পোস্টগুলি

2023 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মায়ের গল্প

. শিরোনাম ....মায়ের গল্প ✍️উমা মজুমদার ২৭/৫/২৩ একটা মায়ের সাথে আরেকটি মায়ের অসম্ভব মিল থাকে ।তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে। একদিন বিকেলে দাঁড়িয়ে আছি বেলকনিতে। হটাৎ করেই মনে হলো  কে যেনো বলছে, কি রে সন্ধ্যা হয়ে গেলো এখনো দাঁড়িয়ে গল্প করছিস ,পড়তে বসবি  কখন, সন্ধ্যা হয়ে এলো যে ঘরে আয়।  দাঁড়াও না মা আসছি আর একটু কথা বলেই চলে আসছি। পড়বো তো সারাদিন  শুধু পড়া  পড়া বলতে থাকো , ভালোলাগে না।  টিউশন করে এসে একজনের বাড়ীর সামনে এসে কথা বলছিলো দলবেঁধে ।পিঠে সবকয়টি র  ব্যাগ ,তা দেখে বুঝলাম পড়ে এসেছে। মনের খুশিতে কথা বলছিলো ,সত্যি তো এই দিনগুলো আর কি আসবে । অনেকক্ষণ পর একজন একজনকে বাই বলে চলে গলো যে যার মতো বাড়িতে।  হটাৎ করে কে যেনো আমাকে ধাক্কা দিলো, কি  গো সন্ধ্যা হয়ে এলো কখন চা খাবো ,ওহ আচ্ছা চা  করতে  হবে তো ।পড়াশোনার পাঠ কবেই চুকিয়ে এসেছি এই জীবনটা কত বদলে গেছে,এইসব তো কবেই  ছেড়ে এসেছি । আমি আমার মধ্যে আবার  ফিরে আসলাম। মা শব্দের মধ্যে কত স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে থাকে শাসন, অনুশাসন, বকাঝকা সেগুলো একটা সন্তান কে আঁকড়ে রাখে ।

নজরুল প্রণাম

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের   জন্মজয়ন্তীতে জানাই প্রনাম 🙏 যে কবির কাব্যে  শোনা গিয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়ী চির যৌবনের জয়ধ্বনি , শোনা গিয়েছিল অগ্নিবীণার সুর ঝংকার, যিনি ধীর স্থির অচঞ্চল  বাংলা কাব্যে বয়ে এনেছিলেন দুর্বার কালবৈশাখীর ঝড়  সেই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল  জ্যোতিষ্ক।  তিনি তাঁর রচনার মধ্য দিয়ে মানুষের উপর হওয়া মানুষের অত্যাচার  সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।  তিনি সাম্যের কবি  চির যৌবনের কবি কাজী নজরুল ইসলাম'  উদাত্ত কণ্ঠে যিনি ঘোষণা করেছিলেন ,"বল বীর বল উন্নত মম শির। 🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻

গুণের পরিচয়

সততা বিশ্বাস জীবনের শ্রেষ্ট গুণ সদায় যেনো থাকে  মনে সবদিকে শ্রেষ্ঠ মানুষ বিচার   বুদ্ধি স্বভাব আচরণে।  মিথ্যের আরহণে সততার বুকে  আজ  ঘুণের বাসা  মন মানসিকতা য় কালো ছায়া  বিশ্বাসের নেই ভরসা । মানুষ হয়ে মানুষের সর্বনাশ  আত্ম অহংকারে দেখায় দাপট ভুল করেও  হয়না  মাথা  নত ইগোতে করে দাঁত কটমট  মানুষ হয়ে মানুষের জন্য নয়  সংকীর্ণ মনের দেয় পরিচয় ধনের মানুষ বহুজন মনের  মানুষের অভাব বড় ই।

গ্রীস্মের দাবদাহে

কলমে ...উমা মজুমদার ২৪/৫/২৩  সূর্যিমামা হুঙ্কার ছাড়ে রোদ দেয় চোখ রাঙানি নিদাঘ তপ্ত বাতাস ছড়ায়  আগুনের ঝলকানি। ভয়ঙ্কর দাবদাহে রক্ষ প্রকৃতি  ওষ্ঠাগত জনজীবন। ঝরছে দেহে দরদরে ঘাম  অস্থিরতায় কাটছে সারাদিন । ঘুম নেই চোখে সারারাত ছটফট  গরমে হাহাকার  প্রকৃতির রুদ্র মূর্তি কোথাও   নেই দেখা মেঘেদের। তৃষ্ণার্ত চাতকের মতো  আকাশ পানে বারবার চেয়ে রয়  শীতল ধারা হয়ে নেমে আসে বর্ষা  সকলের কাতর  প্রার্থনায়।

জন্মিলে মরিতে হবে

জন্মিলে মরিতে হবে ভুলিনা কখনো  যেতে হবে পরপারে সময় আসিবে যখন সুন্দরের আস্বাদন পৃথিবী দেখি দুচোখ ভরে  প্রাণবায়ু চলে যতক্ষণ।

নিয়তির লেখা

কলমে....উমা মজুমদার ১৯/৫/২৩ জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে,,এই কথাটা শুধু বলার কথা  নয় অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। মাকে সব সময় বলতে শুনেছি  ভগবান  না চাইলে কিছুই হ‌ওয়ার নেই।  মায়ের বলা কথা আজ আমিও কিছুটা হলেও বিশ্বাস করি।  বিয়ের পর  অনেকবার এসেছে আমাদের বাসায় বেড়াতে সেই দিদি জামাই বাবু। দূর সম্পর্কের বোনের মেয়ে। দিদির অনেকটা বয়স হয়ে গেছিলো বিয়ে হচ্ছে না বলে এক ছেলের সন্ধান পেয়ে এসেছিলো ।আমাদের বাসায় দু দিন থেকে দিদিকে দেখেছিলো ছেলের বাড়ীর লোকজন ।খাওয়া দাওয়া করলো পেট পুরে। আগে তো এটাই ছিলো মেয়ে দেখার নিয়ম। তারপর খবর দেয় পছন্দ অপছন্দের । পছন্দ হলে ভালো নাহলে মেয়ের বাবা হতাশ হয়ে ভেঙ্গে পডে। সেই পাত্রের বাড়ি  থেকে জানানো হলো দিদিকে পছন্দ হয়নি। দিদির হাইট কম।সেটা শুনে মেসোর  মনটা  খুব খারাপ হয়ে গেছিলো। অনেক আশা নিয়ে এসেছিলেন। কি করা যাবে মন খারাপ করে লাভ নেই ,হয়তো কোথাও ভালো ছেলে অপেক্ষা করছে।  ট্রেনে যাওয়ার পথে একটি পাশের সিটে একটি ছেলের  সাথে মেসোর  খুব ভালো পরিচয় হলো। কথা বার্তা বলতে গিয়ে জানতে পারলো ছেলেটির জন্য মেয়ে খোঁজা হচ্ছে। বিয়ে করেনি ছেলেটিও। পছন্দ মতো

মানুষ হও

সব মানুষ হয়না এক সমান ভালো মন্দ মিলিয়ে মানুষের গঠন সকলকে এক ভাবা আমাদের ভুল  মুখের মিষ্টতায় সকলকে খাওয়ায় ঘোল পর্দার আড়ালে আসল মুখোশ ঢাকা দয়া মায়া ভালোবাসা হারিয়ে হৃদয় ফাঁকা  মানুষ জন্ম নিয়ে হ‌ও মানুষের মতো ভালোবাসো নিজেকে ভালোবাসো সকলকে হবে পৃথিবীটা সুন্দর ততো।

আমার মা

 কত দিন পার হয়ে যায় বেলা অবেলা  কেটে যায় প্রতিদিন ভাবি বসে মনে  হয়না একটিও কথা তোমার সাথে কাঁদায় মন প্রতি ক্ষনে ক্ষনে। মা তোমার কথা যখনেই মনে পড়ে  মনে হয় সেই আগের মতো সময় অসময় সব কাজ ফেলে কথা বলি মন ভরে। কত কথা  জমে হয়েছে পাহাড়  হয়নি  বলা বারেবারে উতলা হয়  মনটা বার্ধক্য নিয়েছে কেড়ে সব কিছু  শরীরের অসুস্থতায় হয়েছো কাবু  ‌  নিষ্ঠুর বড় সময়টা। নেই কোন চিন্তা ভাবনা মনে তোমার সাধ আহ্লাদের নেই কিছু বাকি  বুকটা যেনো কেঁপে উঠে মাঝে মাঝে   হটাৎ করে কোন একদিন দিবে  ফাঁকি। ভালোবাসতে কথা বলতে কাজে কর্মে একাই একশ আদর যত্নের গড়া সংসার  সব কিছুর পাট  চুকিয়ে দিয়ে আজ  প্রশান্তির ছায়া   মুখের উপর। কত বকাঝকা করে শেখাতে  আমাদের  সংসারের খুঁটিনাটি ঘরকন্নার যাবতীয়  হাতধরে শেখা তোমার কাছ থেকে পিঠে পায়েস কি দেবো ফোড়ন রান্নায়। সময়ের পরিহাসে অবুঝ শিশুর মতো  সহজ সরল খাওয়া দাওয়ায় যত অনিচ্ছা সব ছেড়ে  পরপারে যাওয়ার প্রতিক্ষায়   সেটুকুই রেখেছো মাত্র মনের ইচ্ছা। পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় একদিন সবাই তবুও কষ্ট হয় সেই দিনের কথা ভেবে মায়ের স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা  মায়ের মতো এই জগতে কেওনা

খোঁচা দিয়ে কথা বলা

পৃথিবীতে সব কিছু এক ধাতুতে গড়ে উঠে না।  আমাদের হাতের পাঁচ টা আঙ্গুল তেমন এক সমান না। সবাই যে একেই গুণসম্পন্ন মানুষ হবে সেটাও না ।তাই বলে আমাদের নিজেদের অসম্পূর্ণ গুলো অন্যের উপর কথার আঘাত করে কাওকে ঘায়েল করতে পারিনা ,খোঁচা মেরে কথা বলাটাও ঠিকনা। আমরা মানুষ আমরা সবাই সবকিছুতে সমান পারদর্শী হবো তা নাও হতে পারে।  যথেষ্ট পার্থক্য থাকবেই। আশেপাশের মানুষ ভালো কিছু করে ফেললে কার ও কার ও সহ্য হয়না ।ভিতরে ভিতরে একটু আধটু খারাপ লাগা অনুভব হয়।  এইটা খুবই স্বাভাবিক। তাই বলে আমার যেটা নেই আমি যেটা করতে পারিনা সেটার জন্য অন্যকে ছোট করতে পারিনা। আজকাল ঘরে বাইরে  সব জায়গাতেই চলে একে অপরের উপর খোঁচা মেরে কথা বার্তা। এটা এখন   ফ্যশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় আমরা বলে ফেলার বলি তারপর বলি  আরে এটাতো মজা করে বলেছি  তুমি কেনো খারাপ পাচ্ছো এটার কোন মানে হয়না।  অন্যকে কতটা আঘাত করে একবারে র জন্য কেও ভাবেনা।

মন মন্দিরে

✍️ উমা মজুমদার ৪/৫/২৩ মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে ফেরে  পবিত্র দর্শন তীর্থস্থানে যাগযজ্ঞ পূজার্চনা নৈবদ্য  সাজানো  ঠাকুরের সামনে। চারধাম দর্শনে আত্মশুদ্ধি  ইশ্বরকে খুঁজে ফেরে   দুটি টাকা জোটেনা কপালে  তাদের চিন্তা কে বা করে। আছে অঢেল দান দক্ষিনা ইশ্বর সেবায় পরম আত্মতুষ্টি বৃদ্ধ বাবা মায়ের  অবহেলা অনাদর  ঘরে ঘরে  পড়েনা দৃষ্টি। জীব সেবা পরম সেবা আজ‌ও  পারেনি মানুষ বুঝিতে   ইশ্বর আছে মন মন্দিরে সকলের মাঝে  পারেনা কেহ দেখিতে।

চিত্রকর আমাদের কবিগুরু

ভরা থাক স্মৃতি সুধায়... রবি দর্পণ.... সেমিফাইনাল রাউন্ড.... ✍️উমা মজুমদার ৩/৫/২৩ বিচিত্রতা, বহুমুখিতা যেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অপর নাম।  বলা হয় মহাকাব্য ছাড়া সাহিত্যের এমন কোনো অংশ নেই যেখানে  তিনি দ্যুতি ছড়াননি।   আমরা অধিকাংশ মানুষই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে জানি কবি, লেখক,  নাট্যকার আর সংগীতজ্ঞ হিসেবে।  চিত্রশিল্পীদের মাঝেও তিনি একটা স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।  আসলে রবীন্দ্রনাথ যখন ছবি আঁকতে শুরু করেন, তখন তাঁর বয়স  পয়ষট্টি বছর পেরিয়ে গিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ বয়সে চিত্রকর হয়ে উঠার শখকে  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  নিজেই উল্লেখ করেছেন 'শেষ বয়সের পিয়া'। পূরবী কাব্য গ্রন্থ লেখার সময় একটি ছোট খাতা সব সময় টেবিলের উপর  পড়ে থাকতো। যেখানে কবি লেখার নানা কাটাকুটিকে একত্রে জুড়ে দিয়ে  কলমের আঁচড় কাটতে মজা পেতেন । কাটাকুটির আঁকিবুঁকি থেকে বেরিয়ে  আসতো নানান রকমের ছবি।  জীবনের শেষভাগে এসে এঁকে ফেললেন  প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি ছবি। কবি যেন তার ভেতরের ‘চিত্রকর’ সত্তার  দেখা পেলেন জীবনের শেষলগ্নে।

মানুষ চিনতে ভুল করোনা

 "যে ধোঁকা দেয় সে চালাক হতে পারে কিন্তু যে ধোঁকা খায় সে বোকা নয়,সে বিশ্বাসী."..     ✍️উমা মজুমদার ৩/৫/২৩ বিশ্বাস শব্দটি যেমন খুব সুন্দর একটি শব্দ। তেমনি ধোঁকা ও জীবনে শিক্ষা দিয়ে যায়। আমরা মানুষ এক অপরের উপর বিশ্বাস করেই তবেই চলতে হয় জীবনে । আরেকটি ধোঁকা কে কাকে কখন ধোঁকা দেবে সেটা খুব কম লোকেই বুঝতে পারি।  যেখানে এই শব্দের বেইমানি জীবনকে তছনছ করে দেয়। পথ চলতে জীবনে বহু মানুষের সাথে আমাদের পরিচয় হয় ।কাওকে এতটাই নিজের বলে মনে হয় যে, বিশ্বাস করে  আমরা আমাদের মনের কথা সব খুলে বলে  ফেলি।  সহজ সরলতার সুযোগ নিয়ে একদিন বিশ্বাসের উপর  আঘাত করে । ধোঁকা খাওয়া সেটা যে সব সময় খারাপ হয় সেটা বললে ভুল হবে । আমি মনে করি জীবনে এইসবের ও প্রয়োজন আছে ।নয়তো আমরা সকলকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করবো। হোঁচট খেলে তবেই আমরা চলতে সাবধান হবো।

আয়রে সখা

আয়রে সখা প্রাণের মাঝে পথ হারায় তোদের খোঁজে কোথায় গেলে পাবো তোদের ফিরে পেতে চাই একটিবারের ।  লুকোচুরির কেনো করিস খেলা  স্মৃতির আড়ালে কাটায়  অবেলা আয় আর একটিবার হৃদয় মাঝে পাইনা দেখা সুখে দুঃখে কাওকে কাছে। সময় যায় বয়ে  দেখনা একটিবার ফিরে  আপনজনেরা হারায় শুধু ব্যস্ততার ভীড়ে।

পেন্ডুলাম ঘড়ি

পেন্ডুলাম ঘড়ি.... ✍️উমা মজুমদার ২/৫/২৩ হারানো দিনের সে দেওয়াল ঘড়ি হেলে দুলে তুমি জাগ্রত প্রহরী  মাতিয়ে রাখতে ঘর শব্দ তরঙ্গে অতীতের হারানো পেন্ডুলাম ঘড়ি। বিয়ে অনুষ্ঠান তোমায় পাওয়া যেতো  উপহার হিসেবে  বাড়ী অফিস সবেতে  তোমার উপস্থিতি  ছিলো কতকাল ধরে  বেশ তো চলছিলে  তুমি দম নিয়ে তবুও নতুনত্বে মন নিলো কেড়ে ।  চেহারা গঠন যত‌ই হোক আধুনিক কমেনি সময়ের চলার গতি  আজ সময় বয়ে যায় নীরবে নিভৃতে ব্যস্ততায় শুধু আমরা মাতি। মিনিট সেকেন্ড ঘন্টা আজ‌ও মাপছে  সময় নেই কোন ভুল ঘড়িতে বিবর্তনের পথ বেয়ে শুধু আমরা হাঁটছি পদচিহ্ন এঁকে যায় সময় প্রতি মুহূর্তে।

তৃপ্তির ঢেঁকুর

ধন ধান্যে পুস্পে ভরা  সবুজের দেশ আমার জন্মভুমি আহা  লাগে বড় বেশ।  সবুজ আমার দেশ  শিশির ভেজা  মাটি কোথায় খুঁজে পাবে নাকো   মাতৃভূমি খাঁটি। যত‌ই করো ঘোরাফেরা  স্বপ্ন দেখো বিদেশের মায়ের কোলেতে  সর্বসুখ  সার্থক জনমের । খাওয়া দাওয়া বেশভূষা  চলন বলন পাশ্চাত্যের শীতল পাটি দেশের মাটি  তৃপ্তির ঢেঁকুর মায়ের হাতের।

মুঠোফোনের জমানা

মিল অমিলের জীবন যাপনে যাচ্ছে ছিঁড়ে সংযোগের সুতো আপনজন হারায় ব্যস্ততার ভীড়ে সময় বলে নেই কিছু আগের মত । নাই বা র‌ইলো আন্তরিকতা  ভালোবাসা কার কি যাই আসে  হ্যলো হাই য়ে কাটে সারাদিন  ভিডিও কল ভিডিও চ্যাটিং ঘরে বসে। ✍️উমা মজুমদার ৫/৪/২৩

ভালোবাসার নিজস্ব রঙ

উমা মজুমদার ২৫/৪/২৩ আমরা একে অপরকে ভালোবাসি বলাটা যতটা সহজ....  ততটা কঠিন ভালোবাসার সন্মান রক্ষা করা। ভালোবাসি বলে অপরপক্ষের মানুষটাকে আমি যখন তখন ভালোবাসার দোহাই দিয়ে অপমান করতে পারেনা। ভালোবাসা মনের অনুভূতি যেটা শুধুমাত্র ভালোবাসা দিয়ে জয় করা যায় । ভালোবাসার ও নিজস্ব একটা চরিত্র আছে ...সেও চায় স্বাধীন থাকতে। তাকে কখনোই বেঁধে রাখা যায়না।  দুটো মানুষ একেই সঙ্গে বাস করার পর‌ও তাদের মধ্যে কোন ভালোবাসা থাকেনা ...  তবুও জীবন কাটিয়ে যায় । হয়তো বা একতরফা ভালোবাসায়। মেনে নিতে পারলে ভালো নাহলে  যত অশান্তির সৃষ্টি হয় তখন।  ভালোবাসা জোর জুলুম করে যেমন আদায় করা যায়না তেমনি জোর খাটিয়ে নিজের স্বত্বাকে বিসর্জন দিয়ে ভালোবাসার অভিনয় করে  যাওয়া সেটাও  ঠিকনা। দুটো মানুষ একদম পৃথক....তাদের স্বভাব চরিত্র চিন্তা ভাবনায় যথেষ্ট পার্থক্য থাকে।  ভালোবাসা কারে কয় সেটার অর্থ মানুষ আজ অব্দি কেও বুঝতেই পারেনি....যদি সবাই বুঝতো তাহলে অকালে ভালোবাসার মৃত্যু হয়না।

মুক্তির শ্বাস

অনেকটা আঘাত জমাট বাঁধলে বুঝি  শব্দরা মুক্তির শ্বাস নিতে চায় অনেকটা চোখের জল ঝরলে বোধহয়  হৃদয়ে গভীরতার সৃষ্টি হয়  বারবার অপমানে ঝলসে যাওয়া শরীরটাও চায় চিরদিনের মতো নীরবতার আশ্রয়।

চিরকুট

মনটা বাঁধায় যত ঝামেলা চলে যাক সে নিরুদ্দেশের পথে ভাবনারা থাকুক কাছে  কবির  কবিতায় সে সদায় থাকে সাথে। ইচ্ছেরাও আজ বড্ড খামখেয়ালী  সময় অসময়ে তাদেরকেও চাইনা  ভালোবেসে আগলে রাখার দায়িত্ব  আমিকে তাকে যে একা করা যায়না।

কবিতায় দিনযাপন

কবিতায় দিনযাপন....   নাটকীয় এই জীবনে স্মৃতিগুলো  হোকনা যতই বেমানান  ভালোবেসে লালন করি  সুখস্মৃতি হৃদয়ের অন্তরালে।  কতকাল কেটে গেলো বেলায়  অবেলায় জীবনের বাঁকে । খুঁজে ফিরি নিরন্তর চেনা অচেনা  সেই এলোমেলো পথ হোকনা কেন বয়েসের ভার   তবুও হারাতে তো নেই মানা। স্নেহ মায়া মমতায় মাখানো সেই   মায়ের হাতের সকালের গরম ভাত সাজানো টিফিন বক্স স্কুলের  ক্লাসরুম ইয়েস ম্যাম বলে উঠে। নিরালা দুপুর ইচ্ছেকরে বারবার  ফিরে আসুক সেই দৌড়ঝাঁপ প্রিয় মুখ চেনা গন্ধ আজ অনেক দূরে। সময়ের সাথে মুছে যায় কতনা স্মৃতি তবুও টুকরো টুকরো ছেঁড়া স্মৃতি মুগ্ধতার  আবেশ নিয়ে কবিতায় করে দিন যাপন  । ✍️উমা মজুমদার ৭/৪/২৩

অন্তর মম

যে খুশি নিজের অন্তর কে খুশি দেয় সেটা সকলকে দেখানোর প্রয়োজন হয়না, খুশি র আলো চারিদিক ছড়িয়ে পড়ে।  

দুটি প্রাণ

আলো আর আঁধার যেন একেই শরীরের দুই অঙ্গ,একে অপরের পাশে থেকে আগলে রাখে দুজনকে । আলোতে সবে সুন্দর নিজেকে ঢেকে রাখার প্রয়াস,আঁধারের গা বেয়ে নেমে আসা  শান্তির ঝর্নায় খুঁজে পায় আবার  নিজেকে।

ভালোলাগা বলে কয়ে আসেনা

ভালোলাগা বলে কয়ে আসেনা .... হটাৎ বিরক্তিকর গরমটাতে বৃষ্টি ভেজা সকাল টা পেয়ে  মনটা শান্ত শীতল ভালোলাগা  উপভোগ করেছিলাম।  আজ দুদিন ধরে আবার গরমের রেশটা সব ভালোলাগাকে উড়িয়ে নিয়ে চলে গেলো। খুব সকালে উঠার অভ্যাস টা অনেকদিন হয়েছে চলে গেছে,,,কোন ব্যস্ততা না থাকলে যা হয় ।  আজ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে একটা অপূর্ব ভালোলাগা মনটাকে আবার  ছুঁয়ে গেলো। এ কোন ব্যক্তি বিশেষে ভালোলাগা নয়। এ ভালোলাগা কোন কিছুর সাথে তুলনা করা যায়না।  মনটা একদম খুশি তে ভরে গেলো এ এক পরম পাওয়া। অনেকক্ষন ধরে সে ভালোলাগাটাকে মন ভরে অনুভোব করলাম । আমার ফ্ল্যাটের পাশেই কয়েকটা  বড় বড়  গাছ আছে । গাছ গুলোকে কয়েকদিন আগে  বাড়ীর মালিক   ছেটে দিয়েছে। কিছু সবুজ ডাল পালা গাছে নতুন করে আসছে।দেখতেও ভীষন ভালো লাগে ,,,একদম সবুজ রঙের।  অনেক্ষণ থেকেই  মধুর স্বরে  একটা পাখি অনবরত ডেকে যাচ্ছে।আমি শুয়ে শুয়ে সেই ডাকটা শুনছিলাম।   আর কি যে অপূর্ব ভালো লাগছিলো যে আমি বোঝাতে পারবো না। কিছুক্ষণ পরে উঠে পড়লাম। জানালার  পর্দাটা সড়িয়ে দেখার চেষ্টা  করলাম কিন্তু চোখে পড়লো না।পাতার আড়াল থেকে শুধু মধুর স্বরটা ভেসে  আসছিলো। সকালের এই ভা

সত্যের জয়

বিচিত্র এই দেশ বিচিত্র সব মানুষ  জ্ঞান বুদ্ধি বিচার বিবেচনা য় ষোলো আনা হোঁশ শত শত অন্যায় অপরাধ জন্ম নেয়  দিনে রাতে যত  জোর জুলুম শাষন শোষণ বাঁধা ক্ষমতার  হাতে অন্যায়  হোকনা কেন যত‌ই শক্তিশালী বিচার হোক অন্যায়ের কেন হয়‌ অসহায় বলি  অন্যায় অবিচারের হোক সঠিক বিচার দুর্বলের উপর কেন আঘাত হানে বারবার মিথ্যের আশ্রয়ে অপরাধী চলে  মাথা উঁচু করে সত্যেকে হারিয়ে মিথ্যের কাঠগড়ায় নিরীহ মানুষ মরে বাড়ছে অন্যায় নীরবে কাঁদছে ন্যায়ের বিচার সত্যের পথভ্রষ্ট  অধর্মের জয়জয়কার  সত্য হোকনা কেন যত‌ই দূর সত্যের জয় নিশ্চ‌ই  পাপ পূণ্যে সকল কর্মের  নির্ধারণ সবে একদিন হয়।

ভালো থেকো ভালো রেখো

ভালো থেকো ভালো রেখো কবিতা...... বিশ্ব কবিতা দিবসে আজ তোমাকে জানাই অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও  ভালোবাসা।  তুমিই তো সেই ভালোবাসা যাকে নিয়ে আমি ভালো থাকি  যে  সর্বক্ষণ আমাকে ভালো রাখার চেষ্টা করে কল্পনার উড়ানে চড়ে পৌঁছে যাই তোমার কাছে সাজিয়ে তুলি  ইচ্ছে মতো অজানা সৃষ্টি র ঘরে। যেখানে আছে  শুধু ভালোলাগার অনুভূতি  বলতে কোন দ্বিধা নেই , বারবার বলতে পারি  তোমায় কতটা ভালোবাসি , মনের কোলাহল  শত কাজের ব্যস্ততার মাঝেও তোমাকেই ভালোবেসে হৃদয়ে লালন করি।  ভয় নেয় তোমাকে হারানোর, তোমার মায়াজালে  জড়ানো সৃষ্টির পরশে খুঁজে পাই জীবনের তীর সময়ের নিষ্ঠুরতায় মনের কথা বলতে তোমার কাছে  ছুটে আসি বারবার। ভালো থেকো তুমি এইভাবে ,ধরে রেখো আমার হাতটা  কখনো করোনা তোমার থেকে আলাদা , তোমাকে নিয়ে  চলতে চাই ,যতক্ষণ আছে প্রাণ এইদেহে  কল্পনায় জুড়ে  থেকো  আমার সঙ্গী হয়ে। ✍️উমা মজুমদার ২১/৩/২৩

চিকিৎসা ব্যবস্থায় একেল সেকেল

সেকেলে আর একেলের চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে অনেক আধুনিকতা  এসেছে। কোনকিছুই আর আগের মতো নেই। একটা কথা আছে যায় দিন ভালো যায় আসে দিন খারাপ আসে।  তেমনি যত‌ই মানুষ আধুনিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে  তত‌ই নানান রকম অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।   সেকেলের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটা অনুন্নত ছিল। এখনকার মতো এতো অত্যাধুনিক চিকিৎসা  ব্যবস্থা ছিলো না।  হসপিটাল, প্রাইভেট নার্সিং হোম, ভালো ডাক্তার ঔষধপত্র কোনকিছুই ছিলোনা।  এইসব চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিলোনা ঠিকেই  তথাপিও মানুষ  অনেকটা সুস্থ সবল থাকতো। উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, ইউরিক এসিড,থাইরয়েড  ডিপ্রেশন আর‌ও নতুন রোগের কথা সেকেলের মানুষ শুনেছে কিনা জানিনা। সেকেলর মানুষ প্রচুর খাওয়া দাওয়া করেও ভালো থেকেছে। শরীর মন স্বাস্থ্য  সবে ভালো থাকতো । চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তাদের অত চিন্তা ভাবনা ছিলো না। সেকেলে মানুষেরা কথায় ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা ও পছন্দ করতো না।  ছোটমোটো অসুখ বিসুখ নিজেদের মতো করে ঠিক করে ফেলতো।   সেকেলে বাড়ীতেই বাচ্চার ডেলিভারী হয়ে যতো। সারাদিন মায়েরা  কাজে কর্মে থেকেও  নরমাল ডেলিভারি হতো।  আর এখনের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ডাক্তার উল্টো কথা বলে সারাদিন শুয়ে

মনের কথা

ভালো লাগে নিজের সাথে নিজে  লড়াই করতে,          মন খারাপে ভাঙ্গেনা মন ভালো লাগে নিজেকে নিজের মতো করে বোঝাতে          হয়না হৃদয়ে কোন মান অভিমান ।

সেলাই মেশিন

সখ হলো নাতনির জন্য  জামা সেলাই করবে। মেশিনটা পড়ে আছে  ধূলোমাখা টেবিলে। সরলা দেবীর চোখে জল। এই মেশিনের  সাথে কত স্মৃতি তার জড়িয়ে আছে  । স্বামীর মৃত্যুর পর  হাত মেশিনটাই ছিলো  একমাত্র সম্বল ।  ভুলতে পারেনি সেসব দিনের কথা, কত রাত কেটেছে না ঘুমিয়ে।  মেশিনটার সামনে বসতেই স্মৃতি গুলো তাজা  হয়ে গেলো।  ✍️উমা মজুমদার ১৬/৩/২৩

অতীত স্মৃতি

সারি সারি চেয়ার টেবিল বিয়ের  মন্ডপ সাজতো  নিজ ঘরেতে কারি কারি টাকার ছিলো না প্রয়োজন  চাহিদা মেটাতো অল্পতে পাল্টে যাওয়া সময়ের আবর্তনে  অতীত স্মৃতি রোমন্থন  আচার অনুষ্ঠান রীতি নিয়ম  ভালো মন্দের চলছে যাপন বিয়ে বাড়ীর খাওয়া দাওয়া  অতীতে ছিলো কতনা মজা সাদা ভাত কলাপাতায় লেবু লঙ্কা   মুগের ডাল বেগুন ভাজা  স্বাদে গন্ধে আন্তরিকতার ছোঁয়া  আদর আপ্যায়নে নেই তুলনা  সময়ের সুতোয় বাঁধা আধুনিকতার ছোঁয়া  অতীত কখনো ভুলা যায়না।

মন মানসিকতা

মন মানসিকতা.... একাল সেকাল.... মন আর মানসিকতা একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সৃষ্টিকর্তা সকল সৃষ্টিকূলের মধ্যে মানুষকে অনন্য এক মর্যাদায় শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন।  জ্ঞানে, বিদ্যা, বুদ্ধি সবদিকেই মানুষ শ্রেষ্ঠ। তবুও আগে আর এখনের মানুষের মধ্যে ভাবনা চিন্তার কতটা ফারাক এসেছে সেটা  আমরা সকলে চোখে দেখছি  অনুভব  করছি। সেকেলের মানুষের মন মানসিকতা ছিলোএকদম আলাদা। ‌ সেকেলের মানুষ আধুনিকতার ছোঁয়া না পেয়েও অনেক ভালো ছিলো। সম্পর্কে ভালোবাসা, বিশ্বাস,বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা সন্মান সবে ছিলো হৃদয়ে পরিপূর্ণ। খুব সহজ সরল ভাবে জীবন কাটাতে ভালোবাসতো। চাহিদা অনুযায়ী নিজের মানিয়েছিল। সেকেলে মানুষ খুব সাধারণ ভাবে জীবনকে উপভোগ করে গেছে।  যার জন্য তাদের মানসিকতা গুলো খারাপ হ‌ওয়ার সুযোগ পেতোনা। সকলকে নিয়ে একসাথে মিলে  মিশে থাকার চিন্তা ভাবনায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা শ্রদ্ধা ছিলো। সকলের সাথে বসে গল্পগুজব আড্ডা এইসব ছিলো জীবনের স্বরূপ। মানুষের সঙ্গে মনের যে  একটা সম্পর্ক রয়েছে। মানুষের স্বভাব আচরণে ই মানসিকতা নির্ভর করে।জয়েন্ট ফ্যামিলি  তে থাকায় তাদের মানসিকতা গুলো উদার  ছিলো । কিছুটা সংকীর্ণ

বসন্ত উৎসব

আকাশে বাতাসে উড়লো আবির  মাতলো বিশ্ব ভুবন দোলের রঙে রাঙিয়ে আকাশ করে  বসন্ত উৎসব পালন লাল নীল হলুদে ফাগুনের ফাগ  রঙ মাখে ভেদাভেদ সব ভুলে  আট থেকে আশি  রঙে মাতামাতি ফাগুন হাওয়ায় ভেসে চলে রঙ রূপে ভরপুর চিরনবীন বসন্ত  প্রেমহীন জীবনে বাঁধন ছেড়ে  রঙে রঙে রাঙিয়ে বসন্তের আঙ্গিনায় উচ্ছাস উষ্ণতায় হৃদয় ভরে ছকে বাঁধা জীবনটায় বয়ে আনে  বসন্তে  খুশীর ছোঁয়া শৈশব স্মৃতি রঙিন পাতায়  রঙ মাখে ফাগুন হাওয়া।

এসেছে বসন্ত

শীতের  রিক্ততায় ঝরা পাতা বিদায় বলে শেষে দখিন দুয়ার খুলে রঙিন বসন্ত এসে দাঁড়ায় হেসে সবুজের সমারোহে ফুলে ফলে হিল্লোল প্রকৃতিজুড়ে আকাশ বাতাস মুখরিত কৃষ্ণচূড়ার ডালে কুহুকুহু সুরে পলাশ শিমুলে বসন্তের রঙ  বুকে প্রেমের আগুন জ্বলে বসন্ত মানেই  পূর্ণতা নতুন আবেগে মনপ্রাণ ভরিয়ে তোলে বসন্ত আনে  প্রেমের নেশা ভালোবাসার রঙে প্রেমিক যুগল   ফাগুনের ফাগে রঙের উচ্ছাস বসন্তের আঙ্গিনায় খেলে দৌল।

আমার ভাষা

কলমে...✍️উমা মজুমদার ২১/২/২৩ শিক্ষার হাতেখড়ি বাংলা আমার প্রাণ  বাংলা ভাষায় পাই মায়ের ঘ্রাণ বাংলা আমার শিক্ষা অন্তরে অন্তরে মাতৃভাষার ঠাঁই দিই সবার উপরে কিসের লজ্জা বাংলায় কথা বলি অহংকারে ডগমগ মাতৃভাষা ভুলি সংস্কৃতি ঐতিহ্যে মাতৃভাষার  পরিচয়  সগৌরবে হোক মাতৃভাষার সর্বত্র জয়।

বাগদেবীর আরাধনায়

মাঘ মাসের শুক্লপঞ্চমী তিথি  বাগদেবীর আরাধনায় সকাল সকাল স্নান সেরে মেতে উঠেন সরস্বতীর বন্দনায় দেবী সরস্বতীর পাদপদ্মে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ  মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সরস্বতী পুজো মানে পবিত্র আনন্দ  মিষ্টি দুষ্টুমির সারাদিন ব্যস্ততা মায়ের আর্শীবাদে বিদ্যা ,বুদ্ধি জ্ঞানের আলোতে হৃদয় ভরে‌  অশিক্ষার অন্ধকারকে দূর করে  বিদ্যার দেবী আসে মা ঘরে ফুল বেলপাতা দোয়াত কলম ,শ্লেট  পেন্সিল,ব‌ই পত্র  সারি সারি রঙ বেরঙের কাপড়ে ছাত্রছাত্রীরা  ধুতি পাঞ্জাবী হলুদ রঙের শাড়ি  ছোট শিশুদের হাতে খড়ি অ আ ক খ লিখে  প্রথম শিক্ষায় হয় ব্রতী বর্ষিত হোক মায়ের আর্শীবাদ  জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী তুমি মা দেবী সরস্বতী ।

মনুষ্যত্বের জলাঞ্জলী

মনুষ্যকূলে জন্ম মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব দয়া মায়া উদারতা মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণ আকৃতিতে মানুষ হলেও স্বভাবে অমানুষ  স্বার্থপর পৃথিবীতে স্বার্থ  নিঃস্বার্থ পরোপকারী বিবেক মনুষ্যত্ববোধ  কে আপন কে পর দয়া মায়ার জলাঞ্জলী। মুখোশের আড়ালে বহুরূপী যায়না চেনা  লোভ লালসা হিংসা বিদ্বেষে মনুষ্যত্ব বলী।

বন্ধু

সর্ম্পকের সুতোয় নয় যে রক্তের বন্ধন আত্মার আত্মীয়ে বোনা বন্ধুত্বের জীবন । সুখে দুঃখে  থাকবে  হাতটি ধরে বন্ধুর বিশ্বাসে মিলায় বস্তু বন্ধুত্বে জীবন ভর। টাকা দামী কাপড় চোপড় বন্ধুত্বে মুল্যহীন জীবন রাঙ্গিয়ে দেয় মনের মত বন্ধু একজন। স্বার্থ ছাড়া এমন বন্ধু কোথায় খুঁজে পাবে  সময়ের খোলশে বন্ধুত্বের বদনাম স্বভাবে সকাল বিকেল বন্ধু ছাড়া কাটতো না একদিন চেনা অচেনার মাঝেও পাওয়া যায় বন্ধু স্বজন। আসল নকলের মাঝেও ভালো বন্ধু জীবনে চায় অনন্তকাল ধরে বন্ধুত্বের সম্পর্কে র সুতো গেঁথে যায়।

পৌষ পার্বণ

✍️উমা মজুমদার ১৬/১/২৩ শিশির ভেজা ঘাস নতুন ফসলের গন্ধ ঘরে ঘরে আদর ভালোবাসা দিয়ে আনন্দের সহিত পিঠে গড়ে বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পালা বদল পৌষ পার্বণ রীতি নিয়মে পৌষ সংক্রান্তির নিয়মাচার করে পালন মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান পূর্ণাথীর ভীড় গঙ্গাসাগরে পৌষ পার্বণে পিঠে পুলি পাটিসাপটা নতুন খেজুর গুড়ে দুধ পুলি, চন্দ্র পুলি ,মুগ পুলি  কতনা নাম পিঠের বাহার শীতের মরশমে পিঠের উৎসব দিনে রাতে করে আহার।

মনের গাড়ী

✍️ উমা মজুমদার ১৬/১/২৩ মনের গাড়ী..... মনের গাড়ী ছুটছে সুদূর অতীতে সাজানো গোছানো কামরা স্মৃতিতে গন্তব্য নেই নিরন্তন ভালোলাগার অনুভূতি সময়ের নিষ্ঠুরতায় হারায় ভালোবাসার স্মৃতি।

শীতের আমেজ

সোয়েটার মাফলার মাথায় টুপি কনকনে ঠান্ডায়  কাজের  মাসি  নেয় ছুটি বাজ পড়ে গিন্নির মাথায়  ঝাটা হাতে সাফ সাফাই শীতের সুখ নেই কপালে  শীতের জলখাবার লুচি আলুর দম হয় না মন্দ খেলে গিন্নির হয়রানি তাই  না দেখে কর্তা এসে কাছে ঘেঁসে  ছাড়ো এইসব রান্না বান্না শীতের আমেজ পার্কে বসে  শীত আসে  বছরে একবার শীতের আনন্দে সবাই মাতে  শীতের আড্ডা দেবো জমিয়ে গরম চায়ের কাপ ঠোঁটে শীতের খাওয়া দাওয়া বনভোজন সবে  লাগে ভারী মজা ঘরে ঘরে পৌষ সংক্রান্তি নলেন গুড়ের  পিঠে পুলি ভাজা দুপুরে সোনালী রোদ হাতে কমলা লেবু স্মৃতিতে মনে পড়ে বসন্ত প্রতিক্ষায পুরোনো যায় নতুনের আনন্দে জীবন জুড়ে ।

চিরকুট

রাতের নিস্তব্ধতা যখন একলা আকাশ ছোঁয় উদাসী মন হোঁচট খায় মনের চিলেকোঠায়  মন ভাঙ্গে কাঁদে বিশ্বাস কেনো বারবার  হারে আঘাতের বদলে আঘাত নয় মনকে শান্ত করে।

দুটি বিপরীত শব্দ

চিরদিনের বৈষম্য গরীবের প্রতি  ধনীর অবহেলা ঘৃণার আচরণ একেই আকাশ প্রকৃতির রূপ রঙ  দু চোখ ভরে দেখার অধিকার সমান। সত্যের মাপকাঠিতে ধনী গরীবের জন্ম  মৃত্যুর দিনক্ষণ যখন একজনের হাতে তবে কেনো দুটি বিপরীত শব্দ ধনী গরীব  জীবনযাপনের পার্থক্য এত দুনিয়াতে। টাকা আছে যার জোর খাটে তার আর‌ও  চায় লোভ লালসায় উদর ভরে আত্মতুষ্টির ঢেকুঁর তোলে গরীব নুনে ভাতে হাড় ভাঙা পরিশ্রম রুজি রোজগারে । ধনীর অট্টালিকার নরম বিছানা নির্ঘুম গরীবের শান্তির ঘুম খোলা আকাশ ধনীর নামী দামী রেষ্টুরেন্ট খাওয়ার অপচয়  ক্ষুধার্ত চোখ গরীবের উপবাস । গরিবের সঞ্চয়ে ধনীর প্রদর্শনী দুর্নীতি  কুকীর্তির  যত রঙ্গশালা  ধনীরা উড়ায় দুহাতে টাকা গরীবের  পেটে ক্ষুধার জ্বালা। গরীবের খাতায় লিখেছে নাম দারিদ্র্যের কশাঘাত ধনীর উপহাস গরীবের লড়াই আজীবন বেঁচে থাকার ভাগ্যের নির্মম পরিহাস।

বিদায় বেলা

,✍️উমা মজুমদার  ৩১/১২/২২ তিনশো পঁয়ষট্টি দিন, বারো মাসের ব্যস্ততা বদলায় না কিছুই  দিন গোনা, আসা যাওয়াতে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলি ,নতুন কিছু আশায় নতুন বছরের গন্ধ খুঁজে বেড়ায় ,পুরোনো স্মৃতিতে। ভোরের সূর্য উঁকি দিয়ে যায়, চেনা পথে প্রতিদিন বর্তমান হারিয়ে যায় প্রতি মুহূর্তে, বাস্তবতার ভীড়ে  ইশ্বরের কাছে একটি প্রার্থনা, যাহা কিছু আসুক জীবনে   সবকিছু সহ্য করার ক্ষমতা যেনো, প্রদান করেন নতুন বছরে।