পোস্টগুলি

2023 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একান্ত আপনের জন্য কিছু কথা...

একান্ত আপন আমার অতি আপন ঘর ।এখানে যুক্ত হয়েছি, হয়ে গেলো অনেক বছর ।অনেক গ্রুপের সাথে আমি যুক্ত ছিলাম কিন্তু কখন ও একান্ত আপনের মতো আপন করে হয়তো নিতে পারেনি । একান্ত আপনে সেটা কখন ও মনে হয়নি সেই জিনিষটা ।এখানে আসার পর কেয়া স্মৃতিকনাদিকে পেয়ে আরও যেন একান্ত আপন আমার কাছে অতি আপন হয়ে গেছে । নিজের সুবিধা অসুবিধা গুলো মন খুলে বলতে পারি,তাদের কাছে ,,কখন ও অনেকদিন হয়ে যায় ঠিকমত গ্রুপে আসতে পারিনা। একান্ত আপনে এসে আমি একজন প্রিয় বন্ধু পেয়েছি একজন দিদি পেয়েছি। স্মৃতিকনাদির সাথে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে ।আশা রাখছি কেয়ার সাথে দেখা হওয়ার। 🥰🥰🥰 একান্ত আপনের জন্য সাজাই অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনার  ডালা একান্ত আপন মনোরঞ্জন ,শিক্ষা, জ্ঞান সাহিত্য অর্জনের নতুন পাঠশালা ।💐💐💐

শীতের মজা

শীত এলো দাপিয়ে কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকে ভালোই লাগে শীতে আগুন জ্বালিয়ে হাতপা সেঁকে ঝুলছে গাছে খেজুর গুড়ের হাঁড়ি  পিঠে পুলি হবে সকলের বাড়ি  শীতের মজা নাও লুটেপুটে সুস্থ রাখো নিজেকে। ✍️উমা মজুমদার ২৩/১২/২৩

পোড়াশোনার সাতকাহন

মিষ্টি মধুর শৈশব স্মৃতি  মনে পড়ে  ছবি দেখে  লেপ মুড়ি দিয়ে পড়তে বসা  বই পত্র সামনে খোলা রেখে  হাড় কাঁপানো ঠান্ডা ঘুমে চোখ  ঢুলু ঢুলু সকাল সন্ধ্যা য় মায়ের শাসন ফাঁকি দেওয়া  চলবেনা পরীক্ষা দোরগোড়ায়  আনতে হবে ভালো নম্বর সাবজেক্টে  নইলে যে রক্ষে নেই মন্ডা মিঠাই জুটবে কপালে  রেজাল্ট টা ভালো হলেই। ✍️উমা মজুমদার ২১/১২/২৩

আমার মা

আমার মা.... আজ যা আছে কাল সে অতীত  সময় ও চলে সৃষ্টিকে নিয়ে  জন্মিলে মরিতে হয় জেনেও  কষ্ট পাই আপনজনকে হারিয়ে । জীবন থেকে হারিয়ে গেলো  'মা' বলে ডাক, হোলাম মাতৃহারা  আসবে না ফিরে কোনদিন  যেখান থেকে আর যায়না ফেরা।  ভালো না খারাপ কেমন আছো,  কখনো আর চাইবোনা জানতে বুকের ভিতর মুচরে উঠে যখন  পড়ে মনে দুচোখ ভিজে অশ্রুতে। মায়ের সাথেই রক্তের টান  বদলে যায় মুহূর্তে মা ছাড়া জীবনের ছবিটা মা আছে যার সে কি পারে জানতে  জীবনে মা হারানোর ব্যথা কতটা। মনের কথা জানবেনা কেও মায়ের মত  সন্তানের মনের ভিতর হালচাল মায়ের নখদর্পণে  কে কি ভালোবাসে না বাসে সবার পছন্দ  অপছন্দের তালিকা মায়ের মনে।  বাবাকে হারিয়েও পায়নি এত কষ্ট  তোমার স্নেহমমতার ছায়ায় ছিলাম মোরা মায়ের স্নেহমমতা সারাজীবনের সঞ্চয়  নিজের থেকে  যায়না কখনো আলাদা করা।

সত্য মিথ্যার গল্প কথা

সত্য মিথ্যার গল্প কথা... ✍️ উমা মজুমদার ২১/৯/২৩ সত্যে মিথ্যের গল্প কথা চলছে  বহুকাল ধরে সত্যের চেয়ে মিথ্যে বেচে  বাজারে বেশী দরে কানে শোনা চোখে দেখা হয় কি সব সত্যি সত্যহীন বাজারে মিথ্যা কে কেনে নেয় ব্যাগ ভর্তি কে সত্য কি মিথ্যে আসলটা চাপা দেয় মাটি দিয়ে মিথ্যের মুখরোচক গল্প সাজায় টাকার বিনিময়ে বিবেক মনুষ্যত্ব হারিয়ে একদল মিথ্যের ছল চাতুরি সত্যকে আড়াল করে মিথ্যে বলতে নেই যে  জুড়ি যেখানে দেখো সেখানে মিথ্যের শুধু  জয় জয়কার সত্যকে হারিয়ে মিথ্যের গলায় পড়ে জয়ের হার কপোটচারীর মুখোশে  ক্ষনিকের পরাজয়ে সত্যকে করে কাত ধর্মের ঢাক এমনি বাজে নিজের সততার পরিচয়ে সত্য করে বাজিমাত।

ইচ্ছে

ইচ্ছের সাথে চলছে গৃহবাস যত ইচ্ছেতে হয় সর্বনাশ ইচ্ছের উপর নেই কারও জোর ইচ্ছের ঘুড়ি উড়ে চলে দূর বহুদূর ...

আত্মতুষ্টি

 কাওকে বুঝে নেওয়া  মানে আত্মসুখ খুঁজে পাওয়া  মনে থাকনা তোলা কি পেলাম বা  আমায় দিলো ভালোবাসার মানুষ গুলো তবুও   থাকুক ভালো।

বাঁচাও প্রাণ

শিরোনাম...বাঁচাও প্রাণ ✍️ উমা মজুমদার ১৩/৯/২৩ শহরের আনাচে কানাচে  অট্টালিকার পাহাড় প্রকৃতির অবদান ভুলে  যায় মানুষ বারবার । গাছ না কেটে দালান বাড়ী  বুদ্ধি দিয়ে করো কাজ মানবিকতায়  বাঁচে প্রাণ প্রকৃতির বুকে রইলো গাছ। প্রখর রোদে আশ্রয় খোঁজে    ক্লান্ত পথিক ছায়া পেয়ে প্রকৃতির অবদান না ভুলে যত ঘরবাড়ি গাছ বাঁচিয়ে।

ভক্তের ভগবান

✍️উমা মজুমদার ৭/৯/২৩  ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মহাবতার প্রভু শ্রীকৃষ্ণ নেমে এলেন এই ধরাতে পিতা বসুদেব মাতা দেবকীর অষ্টম সন্তান জন্ম নিলেন কংসের কারাগারে মধ্যম নিশীথে দুর্বার প্রলয়ে বসুদেব রাখি এলো নন্দের ভবনে নন্দের দুলাল বড় হয় মা যশোদার ক্রোড়ে অতি আদরে জগতের নাথ প্রভু বিরাজ করে সকলের মাঝে জন্মাষ্টমীর এই শুভক্ষণ পালিত হয় ঘরে  মন্দিরে।

মানবিকতার মহামারী

কয়েকদিন আগেও আমরা এক বিষাক্ত আবহাওয়ার  সাথে প্রাণপণ যুদ্ধ করেছিলাম নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর  জন্যে ,,,একফোঁটা প্রাণ বাঁচানোর জন্যে কি কি না করতে হয়েছে আমাদের ... আজ ও সে সময়টার কথা ভাবলে প্রাণের জল শুকিয়ে  যায় ভয়ে...  সকলের প্রচেষ্টায় আর ঠাকুরের আর্শীবাদে করোনার ভেকসিনে আমাদের প্রাণ রক্ষা পেলাম.... একদিন সকলকে যেতে হবে এই পৃথিবী ছেড়ে  তথাপি মৃত্যু যখন সামনে এসে দাঁড়ায় তখন আমরা সকলে  মৃত্যু ভয়ে দিশেহারা হয়ে যায় .... বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা... মানবিকতা মনুষ্যত্ব  বিবেক বিবেচনা অনুতপ্ত অনুশোচনা মনুষ্য জীবনের কতগুলো পোশাকি নাম,, আরও এমন অনেক ভালো ভালো  শব্দ আছে  দয়া ,মায়া,শ্রদ্ধা সন্মান, ভালোবাসা  আরও কতকি সেগুলো শুনতে ভীষন ভালো লাগে ,,,,,সেগুলো  তখনেই ভালো লাগে শুনতে যখন এগুলোকে আমরা  সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় কাজে লাগাতে পারি ,,,,আমাদের মুখে মুখে এই শব্দ গুলো চলতে থাকে কথা বলার মত.. তবে এই শব্দ  গুলো সত্যি সকলের জন্য নয়, ,,মানুষের জন্য এই শব্দ গুলো হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই শব্দ গুলো জীবনে অপ্রয়োজন বলে জীবন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়... মানবিকতা ছেড়ে  অমানবিকতার জীবন

রাখীর উৎসব

✍️উমা মজুমদার ৩০/৮/২৩ ভাই বোনের ভালোবাসা ও অটুট  সম্পর্কের উৎসব রাখী বন্ধন বোন পড়ালো রাখী ভাইয়ের  হাতে মঙ্গল ধ্বনিতে সেই শুভক্ষণ বছর ঘুরে এলো পবিত্র  উৎসব শ্রাবণী পূর্ণিমায় ভাইবোনের সম্পর্কের  বন্ধন পবিত্র ভালোবাসায় বেঁধে দেয় বোনেরা পবিত্র  সুতো ভাইয়ের হাতে রক্ষা কবচ হয় ভাইয়ের   বোনেদের মঙ্গল কামনাতে ঘরে ঘরে পালিত উৎসব  নিয়ে আসে খুশির বাহার ভালোবাসার এই বন্ধন  ভাইয়ের শপথ বোনের উপহার।

পরিযায়ী

পরিযায়ী মন...      চলো বসি.আজ যত মান অভিমান নিয়ে এলাম তোমার কাছে  সেও যে  চায়না শুনতে .....কোথায় সময় তার এতো আছে....  সময়ের ঘরে  নেই প্রয়োজন কোন হিসেব নিকেশের খাতা  আমার সময় এমনিতেই বড় দামী  যতসব স্মৃতির ঝরাপাতা ..... কেনো অযথা ঝড় তুলো এইসব নিয়ে ঝেড়ে ফেলো মন থেকে ঝড় না তুলে উপায় কি? ভেবে ভবে অশ্রুর বন্যা বয়ে যায় চোখে....  যখন ফিরিয়ে দাও তখন তো পুরো সুদে আসলের খাতায়   অপ্রাপ্তির ভাগে সব সময় গরমিল টা  রয়ে যায় জীবনের পাতায়.... যখনেই বন্ধু ভেবে করতে যাই ভাব স্মৃতির ঝাঁপি খুলে কথার জাল বুনি চোরাপথ ধরে হেঁটে চলি ..... রঙিন বাক্সে হারানো  সময়কে ফিরিয়ে আনি...... তখনই উল্টে আমার দিকে বড় বড় চোখ বলে... শুধুই স্মৃতির জাবরকাটা  এ অলীক কল্পনা ছাড়া আর  কিছুই না ,,মেনে নাও জীবনের আসল রূপটা..... জীবন এক কাঁটাময় যাত্রা যেতে হবে বহুদূর.... তোমরা সাজাও গল্প কথা কাব্যে দিবস রজনী পার হয়ে যায় ...সময় সে তো  ছুটবে এইভাবে তার নিজ গন্তব্যে....  নিজেকে সামলাও প্রস্তুত করো সকল সময়ের জন্যে ....সময়কে দিওনা দোষ সময়কে বদলায় মানুষ রঙিন দুনিয়ায় ...আমারও আছে ভিতরে অনেক রোষ.... সময়ের

রুদ্ধ সময়

সময় কথা বলে একটা প্রবাদ  আছে  .... কিন্তু মানুষের  কার্যকলাপ দেখে সেও  আজ    নির্বাক, বাকশক্তি হারিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা  পালন করছে ,,সময়ের চেয়ে মানুষ শক্তিশালী । যে পাঠশালা স্কুল কলেজকে আমরা মন্দির বলে  এতো দিন ভেবে এসেছি ,,সে জ্ঞান মন্দির কি সত্যিই  মন্দির আছে। যে জ্ঞানের আলো সকল অজ্ঞানের অন্ধকার দূর করতো,,,  সেই শিক্ষা জ্ঞানের আজ কোনো মূল্যে নেই। আজ যত জ্ঞান মন্দির গভীর অমানিশায় ডুবে আছে,,, জ্ঞানী গুণী হয়েও নিজস্ব জ্ঞানকে যেখানে সেখানে পদপিষ্ট করছে। সেই সময়ের অপেক্ষায় শেষ বিকেলের রবি যেমন ভোরের নতুন আলো নিয়ে আসে তেমনি ফিরে আসুক সময়ের নতুন অধ্যায় যেখানে শিক্ষা লজ্জিত হবেনা।

পরান পাখি

"  আমি যদি হোতাম একটি পাখী ডানা মেলে উড়ে চলে যেতাম নীল আকাশের দিক থেকে  দিগন্তের পাড়ে মন যে আজ উড়ে যেতে চায়  সকলের থেকে অনেক দূরে চিন্তা ভাবনা সব মিটিয়ে দিয়ে উড়ে বেড়াবো মনের সুখে সবেই  যে মায়ার বাঁধন কি হবে সংসারের খাঁচায়  বন্দী  থেকে খোলা আকাশে মনের সুখে করবো বিচরন  উড়ে চলে যাবো ভিন দেশে থাকবে না কোন পিছু টান  ভেঙ্গে যাবে না কোন স্বপ্ন এক নিমেষে ক্লান্ত শরীর উড়ে বসবে কোন এক গাছের ডালে পাখীরা পড়ে নেবে মনের ভাষা স্বপ্নের আকাশে পাখী হয়েই থাকতে চাই  মানুষের মাঝে যে শুধু নিরাশা।

উত্তরের খোঁজে

#উত্তরের_খোঁজে ...... #উমা_মজুমদার,✍️ ২৪/৮/২৪.. সকালে ঘর গোছাতে গোছাতে কিছু অগোছালো প্রশ্ন মনের ভিতর উত্তর খুঁজে,,, সবার চিন্তাধারা কেনো এতো ভিন্ন,,, অগোছালো ঘর দেখলেই কেমন যেনো একটা বিরক্তি ভাব কাজ করে মনের ভিতর ,,,,অগোছালো ঘরকে  গুছিয়ে সাজিয়ে নিলেই ঘরটা কেমন বেশ সুন্দর লাগে দেখতে কিন্তু সকলের চিন্তাধারা যে এক হয়না  ,,,,কেও কেও আছে অপরিস্কার থাকতে ভালোবাসে সকলে মিলে ঘরবাড়ি পরিস্কার রাখলে তবেই ঘর মন্দির হয়,,,।  তার থেকেও বড় একটা পজিটিভ এনার্জি কাজ করে আশেপাশে ,,,সেটা কয়জন বোঝে। ঘরের সাথে সাথে আমাদের বাগান হোক বা ফুলের টপ সেগুলোতে ও যদি  আগাছা  ঘিরে রাখে তাহলে সেটার সৌন্দর্য একদম নষ্ট হয়ে যায় সেটা ভালো লাগেনা দেখতে ,,,তাই ওগুলো পরিস্কার করছি আর ভাবছি,, আমাদের চারিদিকের পরিবেশ টাকেও এমন কিছু জঞ্জালে পরিনত করে রেখেছে....  এই আগাছা গুলোকে যদি জড় থেকে কেটে  পরিস্কার না করা হয় তাহলে ঐ আবার ও আগাছা উঠে মাথা চাড়া দেবে,,,আর জঞ্জালে পরিনত করবে,,,,। কেও জানে না এই জঞ্জাল আদৌ নির্মূল হবে কিনা,,, সময়েরটা সময়েই করা খুব প্রয়োজন।

বিশ্বাস

মাছ দেখে লোভ নিজেকে সামলায় করবেনা বিশ্বাস ভঙ থাকবে পাহারায়  অগ্নিপরীক্ষা আজ বিড়ালের সামনে  লোভ সংবরণ করতে হবে নিজের  মনে মালিকের বিশ্বাস ভরসা আমাদের হাতে  রক্ষক যেনো ভক্ষক না হয় নজর সেটাতে। ✍️উমা মজুমদার ১৬/৮/২৩

মায়ের আঁচল

স্নেহ মমতায় মায়ের মত  পৃথিবীতে হয় কি  কেও আর  মায়ের কাছে সন্তানের জন্ম জীবনের পরম উপহার।  শিশুর আশ্রয় মায়ের কোলে  এমন নিরাপত্তা আছে কোথায়  তপ্ত রৌদ বৃষ্টিতে মায়ের আঁচল  সব কিছু থেকে শিশুকে বাঁচায়। মায়ের বুক জড়িয়ে শিশু  খুঁজে পায় শান্তির পরম সুখ সকল যন্ত্রনা ভুলিয়ে দেয় মায়ের  দেখলে পরে শিশুর  মুখ। বিপদের ঢাল হয়ে সামনে দাঁড়ায় মা   সন্তানকে সদা রক্ষার জন্য   মা ডাকে প্রাণ জুড়ায়  মাতৃত্বে নারীর জীবন ধন্য।

ছায়াসঙ্গিনী

ছবি
ছায়াসঙ্গিনী...

অসহায়ের ফুল

অযোগ্য বলে দিয়েছে ছুঁড়ে ফেলে ধংস সৃষ্টির পরিনাম প্রয়োজন শেষ হলে অসহায় হয়ে ছিলাম পথে ঘাটে পড়ে সৃষ্টির মূলে স্রষ্টা  জন্ম নিয়েছে শরীরে দেখো আমায় একটিবার চেয়ে ধন্য হোলাম আমি ও প্রাণ পেয়ে অবহেলা অসহায়ে নাই বা দিলে পরিচয় ভালোবেসে যত্ন করে রেখো আমায় না হয়।

সুখের ছোঁয়ায়

সুখের ছোঁয়ায়... থাক না স্মৃতিগুলো হৃদয়ে করুক আনন্দে বাস স্বপ্নরা বেঁচে থাক ইচ্ছেমত দুচোখে হোক  রাত্রিবাস  প্রতীক্ষার জীবন হোক সমাপ্তি  আসর জমাক অপেক্ষারা নতুন আলোয় পাখনা মেলুক শুকিয়ে যাওয়া মনের ইচ্ছেরা।

অনুভূতি

জীবনটা বড় বড় অদ্ভুত  যতটা তাকে সহজভাবে চালাতে চেষ্টা করি  তত ই যেনো সে কাঁধে চেপে বসে। দিনটা পার করে দেয় বোঝাপড়ার মাঝে       মানিয়ে নাও,মেনে নাও  রক্ষে নেই চুলচেরা  অদল বদল হলে        স্বভাবগত অভ্যাসে ।

রেলগাড়ি

ছুটেছি কত মস্তিতে আওয়াজ করে আমায় কি তোমাদের মনে পড়ে আমি  পুরোনো সে রেলগাড়ী কালো ধোঁয়া ছেড়ে দিতেম পাড়ি অতীতটা আজ যত ই দেখি  বর্তমান টা লাগে তত ই মেকি আদলে বদলে হয়েছি আধুনিক যা আছে স্মৃতিতে কু ঝিক্ ঝিক্।

এক অনন্য সৃষ্টি

পৃথিবীর সব বাবারাই মেয়েদের কাছে সুপারহিরো। তেমনি বাবার কাছে তার মেয়ে হলো সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ। বাবা মেয়ের সম্পর্ক এক অনন্য সৃষ্টি।

দুই ভাই

অনুগল্প...       দুই ভাই.... এমনিতে তেমন কোন দুষ্টমী করেনা,,, কিন্তু মাথায় যদি ফন্দি আসে তখন  কার না ভালো লাগে দুষ্টমী করতে। দুই ভাই খুব বাধ্য ছেলে  ,পিঠেপিঠি নাহলেও বয়সে তেমন পার্থক্য নেই ,, মায়ের কথা শোনে চলে। মা খুব একটা বাইরে বেরোতে দেয়না। মায়ের চিন্তা কে জানে যদি খেলতে গিয়ে  দুষ্টমী করে ব্যাথা পায়। মায়েদের এই একটা চিন্তা রোগ কাজ করে বাচ্চাদের নিয়ে। খেলতে গিয়ে ব্যাথা পাবে বাচ্চারা সেটা আর নতুন কথা কি , মায়েদের তা চলবে না। বেচারা বাচ্চারা মায়েদের কড়া শাসনে পড়ে পড়ে ছোটবেলাটা  অনেকের নষ্ট হয়ে যায়। মায়েরা বড় হয়ে যায়  তাই বুঝতে পারেনা ছোটবেলাটা যে আর ঘুরে আসেনা।  স্কুল থেকে এসেই দুপুরে নিজেদের মতো হোম ওয়ার্ক গুলো সেরে একটুআধটু টিভি দেখে আবার সন্ধ্যায় পড়তে বসা,, কাহাতক আর ভালো লাগে একঘেয়েমি কাটাতে । ছোটো ভাই যেহেতু অনেকটা ছোটো ছিলো বড়দাদা তার থেকে পাঁচ ছ বছরের বড় থাকায়  মাঝে মাঝে ছোটো ভাইকে নিয়ে ছুটির দিনে মায়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে পড়তো খেলতে একঘন্টা খেলাধূলা করে এসে যেতো বাড়িতে। একদিন দুপুর বেলা ছুটির দিন মা ঘুমিয়ে  আছে,, নিজের মনে দুই ভাই খেলাধুলা

আহারে বাঙ্গালী

ভোজনরসিক আহারে  বাঙালি রশে বশ খেতে নাহি ভুলি লুচি আলুর দম সকালের ডোজ নানান ব্যঞ্জনে দুপুরে র ভুরিভোজ আমিষ নিরামিষ হোকনা ডাল ভাত উৎসবের আমেজ খাওয়ার অজুহাত বর্ষায় কথা নেই  খিচুড়ি ভাজা ইলিশ  পাতে চাই বেগুন ভাজা মাছ  একপিস আনন্দ খুশিতে বাঙ্গালীর নেই  তুলনা খাওয়াতে খেতে নেই কোনো মানা।

আবেগী মন

মনটা কেনো জানি ধরা ছোঁয়ার বাইরে নেই নিজের  বশে শব্দগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদিক ওদিক যে যার মতো বসেনা পাশে যত ই জোড়া লাগানোর করি চেষ্টা ততো আঁধারে  যায় মিলিয়ে  এলোমেলো ভাবনাগুলো সেও গা ঘেঁষে না  বেড়ায় পালিয়ে সাদা পাতা পড়ে থাকে টেবিলে কবিতা আমার সাজেনা সময়ের দীর্ঘশ্বাস আমার কথা কেও কোনদিন জানতে চায়না।

তথাকথিত জীবনধারা

তথাকথিত জীবন..... যায় দিন ভালো যায় অতীতের  স্মৃতি জীবনের অমূল্য ধন প্রযুক্তির কল্যাণে প্রথম দেখার  আনন্দে উল্লাসিত মন  টি.ভি এলো ঘরে সময়ের ক্রমধারায়  পরিবর্তন জীবনধারা  সাদা কালো পর্দা আধুনিকতার ছোঁয়ায়  হারিয়ে গেলাম আমরা চোখের সামনে রামায়ন মহাভারত  না জানা কত ঐতিহাসিক কাহিনী পরিবার সহ একসাথে বসে সময় কাটানো ভাসে স্মৃতিপটে ছবিখানি  ধীরে ধীরে প্রবেশ তথাকথিত জীবন  আধুনিকতায় চলেছে  তাল মিলিয়ে   হারানো দিন হারানো সময়  সোনার খাঁচায় বন্দী করে গেছে সব হারিয়ে  জীবন গতিশীল হাঁটছে মানুষ  পুরাতন কে পিছনে ফেলে  বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার সুফল কুফল হাতে দিয়েছে ঢেলে। ✍️উমা মজুমদার ১০/৭/২৩

এক মা মেয়ের মনের কথা ,,,,

মেয়ের কথা..  মেয়ে হয়ে জন্ম নেয় বাবা মায়ের   ঘরে, রাখবে তো মা  মেয়েকে আদর করে...  আমি মেয়ে বলে করবে নাতো আমায় অবহেলা ছেলে হলে সকলের মুখে হাসি আদর খুশি আবদার থাকে তোলা.. মেয়ে  সেও তো এক সন্তান  ... সব সময় কেনো মেয়েকেই, শুনতে হয় নানান কথা? আচ্ছা মা বলো তো  তুমিও তো এক মেয়ে, তোমার‌ও কি আছে এমন মনের  ব্যাথা... মায়ের কথা... মনের ব্যথা নিয়েই মেয়েরা চলতে  জানে, মেয়েদের ও আছে স্বাধীনতার স্বপ্ন  ডানা মেলে উড়তে চায় মেয়েরা কেনো বন্দী নিয়ম শৃঙ্খলার বদ্ধ  খাঁচায়.... প্রাণ খুলে মেয়েরাও তো বাঁচতে  চায় দাঁড়াতে চায় নিজের পায়ে, মেয়েদের যে  শিখানো হয়  বোঝানো হয় সকল সময়ে.... তুমি এক নারী তুমি মা ,তুমি কন্যা  তুমি জায়া তুমি ভগ্নি..  সংসারে সকলকে ভালো রাখার দায়িত্ব সব সময় কেনো নারীর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়... মা বলে যুগ যুগ ধরে তাই তো  চলে আসছে... সংসারকে ভালো রাখা দশজনের মন জয় করে চলা অন্যের জন্য আত্মত্যাগ করাই যে একটি মেয়ের জীবন   তাইতো করে আসছে, ভুলে যায় নারীর সন্মান অসন্মানের ভার বয়ে যেতে সংসারে.... দিনকাল পাল্টে গেছে .মেয়ে বলে...  জানো তো মা,মেয়েরা পারেনা এমন কাজ আজ আর নেই..... শি

নয়নের ধন

সন্তানের চেয়ে কে বা আছে  আপন তাদের কাছে উপার্জনের সবটুকু দিয়ে  বড় করে যতটুকু আছে প্রত্যেক সন্তানের প্রতি  বাবা মা দায়িত্ব পালন করে স্নেহ মমতা ভালোবাসায়  জড়িয়ে থাকে বুক জুড়ে । ভালোর থেকে ভালো শিক্ষা  দীক্ষা রাখেনা কোনো ত্রুটি বাবা মায়ের চেয়ে আপন হয়  একদিন বিদেশের মাটি। হাঁটি হাঁটি পা করে বাবা মায়ের  হাত ধরে চলা শেখে একদিন সে তার সিদ্ধান্তে থাকে পুরো অটল অসহায় বাবা মা দিনরাত সন্তানের   কথা ভেবে  ফেলে চোখের জল।  জীবনের পথে এগিয়ে যেতে  প্রতি পদক্ষেপে সাহস যোগায়  বাবা মায়ের আশীর্বাদ সন্তানের উপর থাকবে সদায়। ✍️উমা মজুমদার ৬/৭/২৩

পার্টনার

✍️উমা মজুমদার ৭/৭/২৩ সাদা কালোর পার্থক্য  আছে যেখানে ভালো মন্দ মিলেমিশে  থাকে সেখানে।  নিরন্তর জীবন যাপনে  মিল অমিলের খেলা ভালোবাসার রঙ বদলায়  আপনজন পথভোলা ।  চেনা অচেনার ভীড়ে  মনের মানুষ খুঁজে পায় আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে গায়ে  এই দুনিয়ায়। যা দেখে তাই শেখে  কি দোষ দেবো তাদের মানুষের মত চলছে তারা  খুঁজে নেয় পার্টনার ।

ইগোর দাপট

প্রয়োজনের চেয়ে কাওকে দাম দিতে গিয়ে, নিজের মুল্যবান সময়টা  কোথায় যেন হারিয়ে যায়। যাদের  জন্য সারাটাদিন ভেবে ভেবে  নিজের  মুল্যবান সময় গুলো নষ্ট করে দেয় ,সেখানে তার  মুল্যটা হারিয়ে যায়। তার কাছে  সেই মানুষটার মুল্য কতটুকু  সেটা  ভেবে দেখা খুব প্রয়োজন।   যাকে ভালোবেসে যার কথা ভেবে  সারাটাদিন   দিয়ে দিলে নানান কাজে কর্মে,পছন্দের  রান্নাবান্নায় , কি ভালোবাসে  কি পছন্দ না পছন্দ সবকিছুতে খেয়াল রাখা।  বেলাশেষে  একটা ভালো কথা শোনার জন্য তোমার মনটা উসখুস করতে থাকে । সেখানে পেলে তার থেকে একগুচ্ছ দায়িত্ব আর কর্তব্যের ভাষন। সেই মানুষটার ভিতর এতটাই ইগো বাসা বাঁধে যে তার কাছে এইসবের  কোনো মুল্যে ই থাকেনা। ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি  সময়ের থেকে  দামি মুল্যবান জিনিস আর কিছু হয়না।  কিন্তু এখন যত দিন  যাচ্ছে তত  দেখছি জীবনের থেকে দামি আর মুল্যবান  ' ইগো' । এই ইগো নামের ভাইরাস মানুষের কাছে অতি মুল্যবান হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। সেটা যে কতটা ভয়ঙ্কর জিনিষ কেও বুঝতে পারেনা । ইগো অহংকার শরীরে অনবরত বহন করে চলেছে। ইগোও সে নিজের মতো বাসা বেঁধে নেয় তার শরীরে যত বেশি মুল্য দেওয়া হৎ তত সে খুঁটি

মনে পড়ে

যেটা চলে যায় সেটা কি  আর আসে কখনো ফিরে মনের মাঝে স্মৃতির পাহাড় সামনে দেখলে তা মনে পড়ে।

স্বপ্ন সাজায়

তুমি কেন এত সুন্দর বলো না বৃষ্টি পড়ছো ঝরে অঝোর ধারায়  কি অপরূপ মিষ্টি  প্রকৃতি ভাসছে তোমার শীতল ছোঁয়াতে  শিহরণ জাগে মনে প্রাণে তোমার স্পর্শতে। মাঠ ঘাঠ জলে ভরে চাষীর মনে আনন্দ ধরে ঋতু আসে ঋতু যায় মনে মনে স্বপ্ন সাজায় আকাশ ছেয়ে মেঘবালিকা বসে আছে গুমড়ো মুখো হয়ে   বলছে ডেকে আষাঢ় এলে তবেই নামবে সে রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টির গান গেয়ে । সারাদিন ধরে ঝরে যায় টুপটাপ একাকী বৃষ্টি  চঞ্চল মেঘ এদিক ওদিক আপনমনে ছুটে বেড়ায়  ঝিরিঝিরি হাওয়া গাছের পাতা নুয়ে নুয়ে পড়ে  বৃষ্টির জল  এলোমেলো শৈশব স্মৃতি সামনে এসে দাঁড়ায় ।

মান ভঞ্জন

অনুগল্প... মান ভঞ্জন ...... ✍️ উমা মজুমদার ৮/৬/২৩ সকাল থেকে বারবার উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছি কিন্তু মিসেস  গাঙ্গুলির দেখা নেই। কি জানি শরীরটা খারাপ করলো নাকি।  মিসেস গাঙ্গুলি আর উনার স্বামী দুজনে খুব ভালো মানুষ।  সকাল হলেই জানালা দিয়ে কথা বার্তা চলে মিসেস গাঙ্গুলি র সাথে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে রান্নাবান্নার খবরা খবর  যেমন  প্রতিদিনের একটা পর্ব চলে ।  মনটা উসখুস করছে,, মোবাইল টা হাতে নিয়ে ফোনটা করেই ফেললাম। ফোন ধরেই আমাকে বলছে জানো তো মাথাটা প্রচন্ড গরম হয়ে  আছে,। কোথায় গিয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে কে জানে,,কত বেলা  হয়ে গেলো  মানুষটার  দেখা নেই। গতকাল সন্ধ্যায় একটা মুভি দেখাতে নিয়ে যেতে বলেছিলাম ,,,,  বললো মাসের শেষ হাতে টাকা নেই।  বলতো সব সময় কি বলি,, ওরা আমাদের একদম বুঝেনা ,,আমিও রাগ করে শুয়ে পড়ি। তাকেও  জলমুড়ি খেয়ে শুতে হলো।  আমি সব শুনে হাসছি ,,,সত্যি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কত কিছুই না চলে। রাগ অভিমান  এই মেঘ হটাৎ ঝরো  বৃষ্টি  এই তো ভালোবাসা। আমি মিসেস গাঙ্গুলিকে বললাম,,,কেনো এতো চিন্তা করছো  ,,,দাদা  দেখো বাজার সেরে  একেবারে মুভির টিকেট নিয়েই আসছে আর তোমার  মান ভঞ্জন করে বলবে চলো ডার্লিং

ঝরা পাতা

রূপ রঙ সৌরভে  ভালোবাসা  একগাল হাসি মুখে ছিলো সেদিন চৈত্রমাস চঞ্চল  হৃদয়ে প্রেমের ছবি আঁকে ফাল্গুনী বাহারে কৃষ্ণ রাধাচূড়া  মত্ত প্রেমের নেশায় চৈত্রের দাপটে প্রেমের ভাঙ্গন ভালোবাসার পরাজয়।  সর্বনাশী সুর বেজে উঠে দিগন্ত ছেয়ে প্রকৃতির রুদ্র মূর্তি তে তবুও ভালোবাসার আগুন জ্বালে  পলাশ বনে বেঁচে থাকার প্রতিশ্রুতিতে । ধূসর শূণ্যতার মাঝেও কেটে যায়  স্মৃতিতে প্রতিদিনের যাপিত জীবন   প্রকৃতির ও কি লীলা খেলা ঝরাপাতা  ঝরে পড়ে ফিরে পায় নতুন প্রাণ।

মনে পড়ে সেই দিনের কথা

✍️উমা মজুমদার ৭/৬/২৩ যাকনা জমে হারিয়ে যাওয়া  দিনের সেই পুরোনো আড্ডাটা ফিরে পাই বন্ধুদের সেই মিলনমেলা সময় কাটানোর সেই  চায়ের টেবিলটা। মনে পড়ে ছুটির শেষে ফেলে আসা  কলেজের কেন্টিনে সময় কাটানো নাইবা ছিলো দামি কফিহাউসের  কফির চুমুক দিয়ে স্মার্টফোনে ছবি তুলে সকলকে দেখানো।  ছিলো গোনা কটি টাকায়  গরম সিঙ্গাড়া ঘুগনি হাতে এককাপ চা আনন্দ উল্লাসে গল্প কথায়  পার করে দেওয়া মনের ইচ্ছা। সময়ের সাথে হারিয়ে যায় কতকি পিপীলিকার মত টেনশন আজ  জীবনকে  কুরেকুরে খায় মোবাইলের নীল আলোয় দিনরাত সর্বনাশের পথে এগিয়ে   যায়।

সংসার

সংসার মানে প্রতিদিনের খাতায়  কতনা ভাবনার বোঝা বয়ে বেড়ায় পুতুলের সংসার সাজানো গোছানো  মনে পড়ে হারানো সেই ছোটবেলায়। ভালো মন্দ সুখ দুঃখ হাসি খুশিতে ভরা সংসারে  চেনা অচেনা আপন পরের ভেদাভেদ  চাওয়া পাওয়ার হিসেব নিকেশ করে যায় নিরন্তর  সম্পর্কে র সুতো বিস্তার করে জীবনটা সংসারে আবদ্ধ। বাবার ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠে সকল সন্তান দায় দায়িত্ব কর্তব্যে তাঁদের লালন পালনে স্নেহ,মমতা ভালোবাসায়  গড়ে উঠে সকল সন্তান    আগামী ভবিষ্যত সুন্দর সুরক্ষিত হোক জীবনে। মা বাবা এগিয়ে যায় একটু একটু করে বার্ধক্যের পথে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত সন্তানের সফলতায় আত্মহারা খুশীতে মা বাবার দায় দায়িত্ব পালনের ঋণ শোধ বৃদ্ধাশ্রমতে তবুও মায়ের মঙ্গলকামনা সন্তান থাকুক ভালো দুধে ভাতে।

সুপ্রভাত

চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা যেমন আছে আকাশে  তেমনি চলে সৃষ্টির নিয়মে ফুল ফোটে গন্ধ ছড়ায় বাতাসে ।

অভয়দান

কার ভুলে কে দিলো মাশুল বিনাকারণে গেলো চলে কত প্রাণ দয়াময় প্রভু শক্তি দাও তাদের যারা হারিয়েছে আপনজনদের  মনে যেনো পায় অভয়দান  মৃত্যু সত্য জানে এই কথাটি তবুও যে ভয় হয় সামনে থেকে  দেখলে পরে । 🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻😌😌😌

অতীতের বিয়ের আনন্দ

স্কুল থেকে একদিন বাড়ি ফিরেছি মা বললো  আমার মাসির বিয়ে নাকি আমাদের বাড়িতে থেকেই হবে। ছেলের বাড়ি র লোকজন নাকি অতো দুরে গিয়ে বিয়ে করবেনা।শুনেই  যেনো কি আনন্দ হলো তা বলে বোঝাতে পারবোনা । বিয়ের খুব একটা দিন বাকী ছিলো না ।কয়েকদিন পর থেকেই  দেখলাম  আমাদের ঘরদোর সব রং করা হচ্ছে ,মাকে দেখলাম নতুন নতুন জানালার পর্দা বিছানার চাদর ,বালিশ এগুলো সব নতুন করে তৈরি করতে।। মা বললো সকলে আসবে  যেভাবে সেভাবে তো আর থাকতে দেওয়া  যায়না ।আমাদের জন্য নতুন জামা কাপড় সব কেনা হয়েছে। আমাদের আশেপাশে সকলেও খুব খুশি মাসির  বিয়ে এখানে হবে । সব সময় আমাদের বাড়িতে লোকজন আলাপ আলোচনায়। এখন সেসব  নিয়ে চিন্তা করতে হয়না।  তারপর সবথেকে যেটা আনন্দের বিষয়। যেগুলো আজকাল খুব মিস করি সেটা হলো রান্নার ঠাকুর । কি অপূর্ব  স্বাদের রান্না বন্না করতো একদম ঘরোয়া রান্না।বাড়ীতে ঠাকুরকে ডেকে আনা হলো উনারা এলো  বাবাকে   দেখলাম কিছু টাকা দিয়ে বায়না কর হলো বিয়ের রান্নার জন্য। তখনকার সময় এখনকার মতো ক্যাটারিং  সার্ভিস চালু হয়নি। আমাদের বাড়ির সামনেই অনেকটা জায়গা ছিলো সেখানে বিশাল প্যান্ডেল করে  বিয়ের কুঞ্জ  সাজানো হলো।স

কলিকালের হাওয়া

কয়দিন ধরে করছে বায়না ছেলেমেয়েরা  শিব দূর্গার কাছে গিয়ে   বেরিয়ে পড়লো  সপরিবারে শিব বাবাজি  বাইকে সকলকে চাপিয়ে।  দূর্গা মায়ের  আজ বেজায় খুশি  এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলো মনে মনে সারাদিন টা পার করে দেয় কৈলাশ পর্বতে  জটাধারী স্বামী বসে বসে ধ্যানে। বেশভূষা শিবের মতো তবে কি নেমে এলো ভোলেনাথ কৈলাশ থেকে কলিকালের লাগলো হাওয়া ভগবানের গায়ে   চোখ ছানাবড়া পুলিশের তাইনা দেখে যত‌ই হোক ভগবান ট্রাফিক রুল সকলের  জন্য এক সমান  দুজনের বেশী চড়তে নেই  হেলমেট টাও  নেই মাথায় দিতে হলো শিবকে না জেনে ফাইন।

মায়ের গল্প

. শিরোনাম ....মায়ের গল্প ✍️উমা মজুমদার ২৭/৫/২৩ একটা মায়ের সাথে আরেকটি মায়ের অসম্ভব মিল থাকে ।তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে। একদিন বিকেলে দাঁড়িয়ে আছি বেলকনিতে। হটাৎ করেই মনে হলো  কে যেনো বলছে, কি রে সন্ধ্যা হয়ে গেলো এখনো দাঁড়িয়ে গল্প করছিস ,পড়তে বসবি  কখন, সন্ধ্যা হয়ে এলো যে ঘরে আয়।  দাঁড়াও না মা আসছি আর একটু কথা বলেই চলে আসছি। পড়বো তো সারাদিন  শুধু পড়া  পড়া বলতে থাকো , ভালোলাগে না।  টিউশন করে এসে একজনের বাড়ীর সামনে এসে কথা বলছিলো দলবেঁধে ।পিঠে সবকয়টি র  ব্যাগ ,তা দেখে বুঝলাম পড়ে এসেছে। মনের খুশিতে কথা বলছিলো ,সত্যি তো এই দিনগুলো আর কি আসবে । অনেকক্ষণ পর একজন একজনকে বাই বলে চলে গলো যে যার মতো বাড়িতে।  হটাৎ করে কে যেনো আমাকে ধাক্কা দিলো, কি  গো সন্ধ্যা হয়ে এলো কখন চা খাবো ,ওহ আচ্ছা চা  করতে  হবে তো ।পড়াশোনার পাঠ কবেই চুকিয়ে এসেছি এই জীবনটা কত বদলে গেছে,এইসব তো কবেই  ছেড়ে এসেছি । আমি আমার মধ্যে আবার  ফিরে আসলাম। মা শব্দের মধ্যে কত স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে থাকে শাসন, অনুশাসন, বকাঝকা সেগুলো একটা সন্তান কে আঁকড়ে রাখে ।

নজরুল প্রণাম

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের   জন্মজয়ন্তীতে জানাই প্রনাম 🙏 যে কবির কাব্যে  শোনা গিয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়ী চির যৌবনের জয়ধ্বনি , শোনা গিয়েছিল অগ্নিবীণার সুর ঝংকার, যিনি ধীর স্থির অচঞ্চল  বাংলা কাব্যে বয়ে এনেছিলেন দুর্বার কালবৈশাখীর ঝড়  সেই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল  জ্যোতিষ্ক।  তিনি তাঁর রচনার মধ্য দিয়ে মানুষের উপর হওয়া মানুষের অত্যাচার  সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।  তিনি সাম্যের কবি  চির যৌবনের কবি কাজী নজরুল ইসলাম'  উদাত্ত কণ্ঠে যিনি ঘোষণা করেছিলেন ,"বল বীর বল উন্নত মম শির। 🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻

গুণের পরিচয়

সততা বিশ্বাস জীবনের শ্রেষ্ট গুণ সদায় যেনো থাকে  মনে সবদিকে শ্রেষ্ঠ মানুষ বিচার   বুদ্ধি স্বভাব আচরণে।  মিথ্যের আরহণে সততার বুকে  আজ  ঘুণের বাসা  মন মানসিকতা য় কালো ছায়া  বিশ্বাসের নেই ভরসা । মানুষ হয়ে মানুষের সর্বনাশ  আত্ম অহংকারে দেখায় দাপট ভুল করেও  হয়না  মাথা  নত ইগোতে করে দাঁত কটমট  মানুষ হয়ে মানুষের জন্য নয়  সংকীর্ণ মনের দেয় পরিচয় ধনের মানুষ বহুজন মনের  মানুষের অভাব বড় ই।

গ্রীস্মের দাবদাহে

কলমে ...উমা মজুমদার ২৪/৫/২৩  সূর্যিমামা হুঙ্কার ছাড়ে রোদ দেয় চোখ রাঙানি নিদাঘ তপ্ত বাতাস ছড়ায়  আগুনের ঝলকানি। ভয়ঙ্কর দাবদাহে রক্ষ প্রকৃতি  ওষ্ঠাগত জনজীবন। ঝরছে দেহে দরদরে ঘাম  অস্থিরতায় কাটছে সারাদিন । ঘুম নেই চোখে সারারাত ছটফট  গরমে হাহাকার  প্রকৃতির রুদ্র মূর্তি কোথাও   নেই দেখা মেঘেদের। তৃষ্ণার্ত চাতকের মতো  আকাশ পানে বারবার চেয়ে রয়  শীতল ধারা হয়ে নেমে আসে বর্ষা  সকলের কাতর  প্রার্থনায়।

জন্মিলে মরিতে হবে

জন্মিলে মরিতে হবে ভুলিনা কখনো  যেতে হবে পরপারে সময় আসিবে যখন সুন্দরের আস্বাদন পৃথিবী দেখি দুচোখ ভরে  প্রাণবায়ু চলে যতক্ষণ।

নিয়তির লেখা

কলমে....উমা মজুমদার ১৯/৫/২৩ জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে,,এই কথাটা শুধু বলার কথা  নয় অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। মাকে সব সময় বলতে শুনেছি  ভগবান  না চাইলে কিছুই হ‌ওয়ার নেই।  মায়ের বলা কথা আজ আমিও কিছুটা হলেও বিশ্বাস করি।  বিয়ের পর  অনেকবার এসেছে আমাদের বাসায় বেড়াতে সেই দিদি জামাই বাবু। দূর সম্পর্কের বোনের মেয়ে। দিদির অনেকটা বয়স হয়ে গেছিলো বিয়ে হচ্ছে না বলে এক ছেলের সন্ধান পেয়ে এসেছিলো ।আমাদের বাসায় দু দিন থেকে দিদিকে দেখেছিলো ছেলের বাড়ীর লোকজন ।খাওয়া দাওয়া করলো পেট পুরে। আগে তো এটাই ছিলো মেয়ে দেখার নিয়ম। তারপর খবর দেয় পছন্দ অপছন্দের । পছন্দ হলে ভালো নাহলে মেয়ের বাবা হতাশ হয়ে ভেঙ্গে পডে। সেই পাত্রের বাড়ি  থেকে জানানো হলো দিদিকে পছন্দ হয়নি। দিদির হাইট কম।সেটা শুনে মেসোর  মনটা  খুব খারাপ হয়ে গেছিলো। অনেক আশা নিয়ে এসেছিলেন। কি করা যাবে মন খারাপ করে লাভ নেই ,হয়তো কোথাও ভালো ছেলে অপেক্ষা করছে।  ট্রেনে যাওয়ার পথে একটি পাশের সিটে একটি ছেলের  সাথে মেসোর  খুব ভালো পরিচয় হলো। কথা বার্তা বলতে গিয়ে জানতে পারলো ছেলেটির জন্য মেয়ে খোঁজা হচ্ছে। বিয়ে করেনি ছেলেটিও। পছন্দ মতো

মানুষ হও

সব মানুষ হয়না এক সমান ভালো মন্দ মিলিয়ে মানুষের গঠন সকলকে এক ভাবা আমাদের ভুল  মুখের মিষ্টতায় সকলকে খাওয়ায় ঘোল পর্দার আড়ালে আসল মুখোশ ঢাকা দয়া মায়া ভালোবাসা হারিয়ে হৃদয় ফাঁকা  মানুষ জন্ম নিয়ে হ‌ও মানুষের মতো ভালোবাসো নিজেকে ভালোবাসো সকলকে হবে পৃথিবীটা সুন্দর ততো।

আমার মা

 কত দিন পার হয়ে যায় বেলা অবেলা  কেটে যায় প্রতিদিন ভাবি বসে মনে  হয়না একটিও কথা তোমার সাথে কাঁদায় মন প্রতি ক্ষনে ক্ষনে। মা তোমার কথা যখনেই মনে পড়ে  মনে হয় সেই আগের মতো সময় অসময় সব কাজ ফেলে কথা বলি মন ভরে। কত কথা  জমে হয়েছে পাহাড়  হয়নি  বলা বারেবারে উতলা হয়  মনটা বার্ধক্য নিয়েছে কেড়ে সব কিছু  শরীরের অসুস্থতায় হয়েছো কাবু  ‌  নিষ্ঠুর বড় সময়টা। নেই কোন চিন্তা ভাবনা মনে তোমার সাধ আহ্লাদের নেই কিছু বাকি  বুকটা যেনো কেঁপে উঠে মাঝে মাঝে   হটাৎ করে কোন একদিন দিবে  ফাঁকি। ভালোবাসতে কথা বলতে কাজে কর্মে একাই একশ আদর যত্নের গড়া সংসার  সব কিছুর পাট  চুকিয়ে দিয়ে আজ  প্রশান্তির ছায়া   মুখের উপর। কত বকাঝকা করে শেখাতে  আমাদের  সংসারের খুঁটিনাটি ঘরকন্নার যাবতীয়  হাতধরে শেখা তোমার কাছ থেকে পিঠে পায়েস কি দেবো ফোড়ন রান্নায়। সময়ের পরিহাসে অবুঝ শিশুর মতো  সহজ সরল খাওয়া দাওয়ায় যত অনিচ্ছা সব ছেড়ে  পরপারে যাওয়ার প্রতিক্ষায়   সেটুকুই রেখেছো মাত্র মনের ইচ্ছা। পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় একদিন সবাই তবুও কষ্ট হয় সেই দিনের কথা ভেবে মায়ের স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা  মায়ের মতো এই জগতে কেওনা

খোঁচা দিয়ে কথা বলা

পৃথিবীতে সব কিছু এক ধাতুতে গড়ে উঠে না।  আমাদের হাতের পাঁচ টা আঙ্গুল তেমন এক সমান না। সবাই যে একেই গুণসম্পন্ন মানুষ হবে সেটাও না ।তাই বলে আমাদের নিজেদের অসম্পূর্ণ গুলো অন্যের উপর কথার আঘাত করে কাওকে ঘায়েল করতে পারিনা ,খোঁচা মেরে কথা বলাটাও ঠিকনা। আমরা মানুষ আমরা সবাই সবকিছুতে সমান পারদর্শী হবো তা নাও হতে পারে।  যথেষ্ট পার্থক্য থাকবেই। আশেপাশের মানুষ ভালো কিছু করে ফেললে কার ও কার ও সহ্য হয়না ।ভিতরে ভিতরে একটু আধটু খারাপ লাগা অনুভব হয়।  এইটা খুবই স্বাভাবিক। তাই বলে আমার যেটা নেই আমি যেটা করতে পারিনা সেটার জন্য অন্যকে ছোট করতে পারিনা। আজকাল ঘরে বাইরে  সব জায়গাতেই চলে একে অপরের উপর খোঁচা মেরে কথা বার্তা। এটা এখন   ফ্যশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় আমরা বলে ফেলার বলি তারপর বলি  আরে এটাতো মজা করে বলেছি  তুমি কেনো খারাপ পাচ্ছো এটার কোন মানে হয়না।  অন্যকে কতটা আঘাত করে একবারে র জন্য কেও ভাবেনা।

মন মন্দিরে

✍️ উমা মজুমদার ৪/৫/২৩ মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে ফেরে  পবিত্র দর্শন তীর্থস্থানে যাগযজ্ঞ পূজার্চনা নৈবদ্য  সাজানো  ঠাকুরের সামনে। চারধাম দর্শনে আত্মশুদ্ধি  ইশ্বরকে খুঁজে ফেরে   দুটি টাকা জোটেনা কপালে  তাদের চিন্তা কে বা করে। আছে অঢেল দান দক্ষিনা ইশ্বর সেবায় পরম আত্মতুষ্টি বৃদ্ধ বাবা মায়ের  অবহেলা অনাদর  ঘরে ঘরে  পড়েনা দৃষ্টি। জীব সেবা পরম সেবা আজ‌ও  পারেনি মানুষ বুঝিতে   ইশ্বর আছে মন মন্দিরে সকলের মাঝে  পারেনা কেহ দেখিতে।

চিত্রকর আমাদের কবিগুরু

ভরা থাক স্মৃতি সুধায়... রবি দর্পণ.... সেমিফাইনাল রাউন্ড.... ✍️উমা মজুমদার ৩/৫/২৩ বিচিত্রতা, বহুমুখিতা যেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অপর নাম।  বলা হয় মহাকাব্য ছাড়া সাহিত্যের এমন কোনো অংশ নেই যেখানে  তিনি দ্যুতি ছড়াননি।   আমরা অধিকাংশ মানুষই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে জানি কবি, লেখক,  নাট্যকার আর সংগীতজ্ঞ হিসেবে।  চিত্রশিল্পীদের মাঝেও তিনি একটা স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।  আসলে রবীন্দ্রনাথ যখন ছবি আঁকতে শুরু করেন, তখন তাঁর বয়স  পয়ষট্টি বছর পেরিয়ে গিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ বয়সে চিত্রকর হয়ে উঠার শখকে  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  নিজেই উল্লেখ করেছেন 'শেষ বয়সের পিয়া'। পূরবী কাব্য গ্রন্থ লেখার সময় একটি ছোট খাতা সব সময় টেবিলের উপর  পড়ে থাকতো। যেখানে কবি লেখার নানা কাটাকুটিকে একত্রে জুড়ে দিয়ে  কলমের আঁচড় কাটতে মজা পেতেন । কাটাকুটির আঁকিবুঁকি থেকে বেরিয়ে  আসতো নানান রকমের ছবি।  জীবনের শেষভাগে এসে এঁকে ফেললেন  প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি ছবি। কবি যেন তার ভেতরের ‘চিত্রকর’ সত্তার  দেখা পেলেন জীবনের শেষলগ্নে।

বিচিত্র জীবন

    ✍️উমা মজুমদার ৩/৫/২৩ বিশ্বাস যেমন খুব সুন্দর একটি শব্দ একে অপরকে ভালোবাসতে শেখায় অন্যদিকে তেমনি ধোঁকা ও জীবনে অনেককিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়। আমরা মানুষ এক অপরের উপর বিশ্বাস করেই তবেই পারে জীবনে চলতে  আলাপচারিতা বন্ধুত্ব বিশ্বাস,হটাৎ একদিন  ধোঁকা সেটা কি করে পারবে জানতে  যেখানে এই শব্দের বেইমানি জীবনকে  দেয় তছনছ করে পথ চলতে জীবনে মানুষের সাথে পরিচয়ে যখন তখন বিপদে পড়ে। ভরসা বিশ্বাসে কাওকে এতটাই নিজের বলে মনে হয় যে মনের কথা সব খুলে বলে  সহজ সরলতার সুযোগ নিয়ে একদিন বিশ্বাস ভেঙে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে। ধোঁকা খাওয়া সেটা যে সব সময় খারাপ  সেটা বললে ভুল হবে  জীবনে এইসবের ও প্রয়োজন আছে নয়তো  সকলকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করবে।  হোঁচট খেলে তবেই সামনের পথটা নজরে পড়ে দ্বিতীয় বার যেন হোঁচট না খায় মানুষের থেকে মানুষ হও সাবধান জীবনটা বড় বিচিত্র ময়।  

আয়রে সখা

আয়রে সখা প্রাণের মাঝে পথ হারায় তোদের খোঁজে কোথায় গেলে পাবো তোদের ফিরে পেতে চাই একটিবারের ।  লুকোচুরির কেনো করিস খেলা  স্মৃতির আড়ালে কাটায়  অবেলা আয় আর একটিবার হৃদয় মাঝে পাইনা দেখা সুখে দুঃখে কাওকে কাছে। সময় যায় বয়ে  দেখনা একটিবার ফিরে  আপনজনেরা হারায় শুধু ব্যস্ততার ভীড়ে।

পেন্ডুলাম ঘড়ি

পেন্ডুলাম ঘড়ি.... ✍️উমা মজুমদার ২/৫/২৩ হারানো দিনের সে দেওয়াল ঘড়ি হেলে দুলে তুমি জাগ্রত প্রহরী  মাতিয়ে রাখতে ঘর শব্দ তরঙ্গে অতীতের হারানো পেন্ডুলাম ঘড়ি। বিয়ে অনুষ্ঠান তোমায় পাওয়া যেতো  উপহার হিসেবে  বাড়ী অফিস সবেতে  তোমার উপস্থিতি  ছিলো কতকাল ধরে  বেশ তো চলছিলে  তুমি দম নিয়ে তবুও নতুনত্বে মন নিলো কেড়ে ।  চেহারা গঠন যত‌ই হোক আধুনিক কমেনি সময়ের চলার গতি  আজ সময় বয়ে যায় নীরবে নিভৃতে ব্যস্ততায় শুধু আমরা মাতি। মিনিট সেকেন্ড ঘন্টা আজ‌ও মাপছে  সময় নেই কোন ভুল ঘড়িতে বিবর্তনের পথ বেয়ে শুধু আমরা হাঁটছি পদচিহ্ন এঁকে যায় সময় প্রতি মুহূর্তে।

তৃপ্তির ঢেঁকুর

ধন ধান্যে পুস্পে ভরা  সবুজের দেশ আমার জন্মভুমি আহা  লাগে বড় বেশ।  সবুজ আমার দেশ  শিশির ভেজা  মাটি কোথায় খুঁজে পাবে নাকো   মাতৃভূমি খাঁটি। যত‌ই করো ঘোরাফেরা  স্বপ্ন দেখো বিদেশের মায়ের কোলেতে  সর্বসুখ  সার্থক জনমের । খাওয়া দাওয়া বেশভূষা  চলন বলন পাশ্চাত্যের শীতল পাটি দেশের মাটি  তৃপ্তির ঢেঁকুর মায়ের হাতের।

মুঠোফোনের জমানা

মিল অমিলের জীবন যাপনে যাচ্ছে ছিঁড়ে সংযোগের সুতো আপনজন হারায় ব্যস্ততার ভীড়ে সময় বলে নেই কিছু আগের মত । নাই বা র‌ইলো আন্তরিকতা  ভালোবাসা কার কি যাই আসে  হ্যলো হাই য়ে কাটে সারাদিন  ভিডিও কল ভিডিও চ্যাটিং ঘরে বসে। ✍️উমা মজুমদার ৫/৪/২৩

ভালোবাসার নিজস্ব রঙ

উমা মজুমদার ২৫/৪/২৩ আমরা একে অপরকে ভালোবাসি বলাটা যতটা সহজ....  ততটা কঠিন ভালোবাসার সন্মান রক্ষা করা। ভালোবাসি বলে অপরপক্ষের মানুষটাকে আমি যখন তখন ভালোবাসার দোহাই দিয়ে অপমান করতে পারেনা। ভালোবাসা মনের অনুভূতি যেটা শুধুমাত্র ভালোবাসা দিয়ে জয় করা যায় । ভালোবাসার ও নিজস্ব একটা চরিত্র আছে ...সেও চায় স্বাধীন থাকতে। তাকে কখনোই বেঁধে রাখা যায়না।  দুটো মানুষ একেই সঙ্গে বাস করার পর‌ও তাদের মধ্যে কোন ভালোবাসা থাকেনা ...  তবুও জীবন কাটিয়ে যায় । হয়তো বা একতরফা ভালোবাসায়। মেনে নিতে পারলে ভালো নাহলে  যত অশান্তির সৃষ্টি হয় তখন।  ভালোবাসা জোর জুলুম করে যেমন আদায় করা যায়না তেমনি জোর খাটিয়ে নিজের স্বত্বাকে বিসর্জন দিয়ে ভালোবাসার অভিনয় করে  যাওয়া সেটাও  ঠিকনা। দুটো মানুষ একদম পৃথক....তাদের স্বভাব চরিত্র চিন্তা ভাবনায় যথেষ্ট পার্থক্য থাকে।  ভালোবাসা কারে কয় সেটার অর্থ মানুষ আজ অব্দি কেও বুঝতেই পারেনি....যদি সবাই বুঝতো তাহলে অকালে ভালোবাসার মৃত্যু হয়না।

মুক্তির শ্বাস

অনেকটা আঘাত জমাট বাঁধলে বুঝি  শব্দরা মুক্তির শ্বাস নিতে চায় অনেকটা চোখের জল ঝরলে বোধহয়  হৃদয়ে গভীরতার সৃষ্টি হয়  বারবার অপমানে ঝলসে যাওয়া শরীরটাও চায় চিরদিনের মতো নীরবতার আশ্রয়।

চিরকুট

মনটা বাঁধায় যত ঝামেলা চলে যাক সে নিরুদ্দেশের পথে ভাবনারা থাকুক কাছে  কবির  কবিতায় সে সদায় থাকে সাথে। ইচ্ছেরাও আজ বড্ড খামখেয়ালী  সময় অসময়ে তাদেরকেও চাইনা  ভালোবেসে আগলে রাখার দায়িত্ব  আমিকে তাকে যে একা করা যায়না।

কবিতায় দিনযাপন

কবিতায় দিনযাপন....   নাটকীয় এই জীবনে স্মৃতিগুলো  হোকনা যতই বেমানান  ভালোবেসে লালন করি  সুখস্মৃতি হৃদয়ের অন্তরালে।  কতকাল কেটে গেলো বেলায়  অবেলায় জীবনের বাঁকে । খুঁজে ফিরি নিরন্তর চেনা অচেনা  সেই এলোমেলো পথ হোকনা কেন বয়েসের ভার   তবুও হারাতে তো নেই মানা। স্নেহ মায়া মমতায় মাখানো সেই   মায়ের হাতের সকালের গরম ভাত সাজানো টিফিন বক্স স্কুলের  ক্লাসরুম ইয়েস ম্যাম বলে উঠে। নিরালা দুপুর ইচ্ছেকরে বারবার  ফিরে আসুক সেই দৌড়ঝাঁপ প্রিয় মুখ চেনা গন্ধ আজ অনেক দূরে। সময়ের সাথে মুছে যায় কতনা স্মৃতি তবুও টুকরো টুকরো ছেঁড়া স্মৃতি মুগ্ধতার  আবেশ নিয়ে কবিতায় করে দিন যাপন  । ✍️উমা মজুমদার ৭/৪/২৩

অন্তর মম

যে খুশি নিজের অন্তর কে খুশি দেয় সেটা সকলকে দেখানোর প্রয়োজন হয়না, খুশি র আলো চারিদিক ছড়িয়ে পড়ে।  

দুটি প্রাণ

আলো আর আঁধার যেন একেই শরীরের দুই অঙ্গ,একে অপরের পাশে থেকে আগলে রাখে দুজনকে । আলোতে সবে সুন্দর নিজেকে ঢেকে রাখার প্রয়াস,আঁধারের গা বেয়ে নেমে আসা  শান্তির ঝর্নায় খুঁজে পায় আবার  নিজেকে।

ভালোলাগা বলে কয়ে আসেনা

ভালোলাগা বলে কয়ে আসেনা .... হটাৎ বিরক্তিকর গরমটাতে বৃষ্টি ভেজা সকাল টা পেয়ে  মনটা শান্ত শীতল ভালোলাগা  উপভোগ করেছিলাম।  আজ দুদিন ধরে আবার গরমের রেশটা সব ভালোলাগাকে উড়িয়ে নিয়ে চলে গেলো। খুব সকালে উঠার অভ্যাস টা অনেকদিন হয়েছে চলে গেছে,,,কোন ব্যস্ততা না থাকলে যা হয় ।  আজ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে একটা অপূর্ব ভালোলাগা মনটাকে আবার  ছুঁয়ে গেলো। এ কোন ব্যক্তি বিশেষে ভালোলাগা নয়। এ ভালোলাগা কোন কিছুর সাথে তুলনা করা যায়না।  মনটা একদম খুশি তে ভরে গেলো এ এক পরম পাওয়া। অনেকক্ষন ধরে সে ভালোলাগাটাকে মন ভরে অনুভোব করলাম । আমার ফ্ল্যাটের পাশেই কয়েকটা  বড় বড়  গাছ আছে । গাছ গুলোকে কয়েকদিন আগে  বাড়ীর মালিক   ছেটে দিয়েছে। কিছু সবুজ ডাল পালা গাছে নতুন করে আসছে।দেখতেও ভীষন ভালো লাগে ,,,একদম সবুজ রঙের।  অনেক্ষণ থেকেই  মধুর স্বরে  একটা পাখি অনবরত ডেকে যাচ্ছে।আমি শুয়ে শুয়ে সেই ডাকটা শুনছিলাম।   আর কি যে অপূর্ব ভালো লাগছিলো যে আমি বোঝাতে পারবো না। কিছুক্ষণ পরে উঠে পড়লাম। জানালার  পর্দাটা সড়িয়ে দেখার চেষ্টা  করলাম কিন্তু চোখে পড়লো না।পাতার আড়াল থেকে শুধু মধুর স্বরটা ভেসে  আসছিলো। সকালের এই ভা

সত্যের জয়

বিচিত্র এই দেশ বিচিত্র সব মানুষ  জ্ঞান বুদ্ধি বিচার বিবেচনা য় ষোলো আনা হোঁশ শত শত অন্যায় অপরাধ জন্ম নেয়  দিনে রাতে যত  জোর জুলুম শাষন শোষণ বাঁধা ক্ষমতার  হাতে অন্যায়  হোকনা কেন যত‌ই শক্তিশালী বিচার হোক অন্যায়ের কেন হয়‌ অসহায় বলি  অন্যায় অবিচারের হোক সঠিক বিচার দুর্বলের উপর কেন আঘাত হানে বারবার মিথ্যের আশ্রয়ে অপরাধী চলে  মাথা উঁচু করে সত্যেকে হারিয়ে মিথ্যের কাঠগড়ায় নিরীহ মানুষ মরে বাড়ছে অন্যায় নীরবে কাঁদছে ন্যায়ের বিচার সত্যের পথভ্রষ্ট  অধর্মের জয়জয়কার  সত্য হোকনা কেন যত‌ই দূর সত্যের জয় নিশ্চ‌ই  পাপ পূণ্যে সকল কর্মের  নির্ধারণ সবে একদিন হয়।

ভালো থেকো ভালো রেখো

ভালো থেকো ভালো রেখো কবিতা...... বিশ্ব কবিতা দিবসে আজ তোমাকে জানাই অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও  ভালোবাসা।  তুমিই তো সেই ভালোবাসা যাকে নিয়ে আমি ভালো থাকি  যে  সর্বক্ষণ আমাকে ভালো রাখার চেষ্টা করে কল্পনার উড়ানে চড়ে পৌঁছে যাই তোমার কাছে সাজিয়ে তুলি  ইচ্ছে মতো অজানা সৃষ্টি র ঘরে। যেখানে আছে  শুধু ভালোলাগার অনুভূতি  বলতে কোন দ্বিধা নেই , বারবার বলতে পারি  তোমায় কতটা ভালোবাসি , মনের কোলাহল  শত কাজের ব্যস্ততার মাঝেও তোমাকেই ভালোবেসে হৃদয়ে লালন করি।  ভয় নেয় তোমাকে হারানোর, তোমার মায়াজালে  জড়ানো সৃষ্টির পরশে খুঁজে পাই জীবনের তীর সময়ের নিষ্ঠুরতায় মনের কথা বলতে তোমার কাছে  ছুটে আসি বারবার। ভালো থেকো তুমি এইভাবে ,ধরে রেখো আমার হাতটা  কখনো করোনা তোমার থেকে আলাদা , তোমাকে নিয়ে  চলতে চাই ,যতক্ষণ আছে প্রাণ এইদেহে  কল্পনায় জুড়ে  থেকো  আমার সঙ্গী হয়ে। ✍️উমা মজুমদার ২১/৩/২৩

চিকিৎসা ব্যবস্থায় একেল সেকেল

সেকেলে আর একেলের চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে অনেক আধুনিকতা  এসেছে। কোনকিছুই আর আগের মতো নেই। একটা কথা আছে যায় দিন ভালো যায় আসে দিন খারাপ আসে।  তেমনি যত‌ই মানুষ আধুনিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে  তত‌ই নানান রকম অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।   সেকেলের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটা অনুন্নত ছিল। এখনকার মতো এতো অত্যাধুনিক চিকিৎসা  ব্যবস্থা ছিলো না।  হসপিটাল, প্রাইভেট নার্সিং হোম, ভালো ডাক্তার ঔষধপত্র কোনকিছুই ছিলোনা।  এইসব চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিলোনা ঠিকেই  তথাপিও মানুষ  অনেকটা সুস্থ সবল থাকতো। উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, ইউরিক এসিড,থাইরয়েড  ডিপ্রেশন আর‌ও নতুন রোগের কথা সেকেলের মানুষ শুনেছে কিনা জানিনা। সেকেলর মানুষ প্রচুর খাওয়া দাওয়া করেও ভালো থেকেছে। শরীর মন স্বাস্থ্য  সবে ভালো থাকতো । চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তাদের অত চিন্তা ভাবনা ছিলো না। সেকেলে মানুষেরা কথায় ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা ও পছন্দ করতো না।  ছোটমোটো অসুখ বিসুখ নিজেদের মতো করে ঠিক করে ফেলতো।   সেকেলে বাড়ীতেই বাচ্চার ডেলিভারী হয়ে যতো। সারাদিন মায়েরা  কাজে কর্মে থেকেও  নরমাল ডেলিভারি হতো।  আর এখনের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ডাক্তার উল্টো কথা বলে সারাদিন শুয়ে

মনের কথা

ভালো লাগে নিজের সাথে নিজে  লড়াই করতে,          মন খারাপে ভাঙ্গেনা মন ভালো লাগে নিজেকে নিজের মতো করে বোঝাতে          হয়না হৃদয়ে কোন মান অভিমান ।

সেলাই মেশিন

সখ হলো নাতনির জন্য  জামা সেলাই করবে। মেশিনটা পড়ে আছে  ধূলোমাখা টেবিলে। সরলা দেবীর চোখে জল। এই মেশিনের  সাথে কত স্মৃতি তার জড়িয়ে আছে  । স্বামীর মৃত্যুর পর  হাত মেশিনটাই ছিলো  একমাত্র সম্বল ।  ভুলতে পারেনি সেসব দিনের কথা, কত রাত কেটেছে না ঘুমিয়ে।  মেশিনটার সামনে বসতেই স্মৃতি গুলো তাজা  হয়ে গেলো।  ✍️উমা মজুমদার ১৬/৩/২৩

অতীত স্মৃতি

সারি সারি চেয়ার টেবিল বিয়ের  মন্ডপ সাজতো  নিজ ঘরেতে কারি কারি টাকার ছিলো না প্রয়োজন  চাহিদা মেটাতো অল্পতে পাল্টে যাওয়া সময়ের আবর্তনে  অতীত স্মৃতি রোমন্থন  আচার অনুষ্ঠান রীতি নিয়ম  ভালো মন্দের চলছে যাপন বিয়ে বাড়ীর খাওয়া দাওয়া  অতীতে ছিলো কতনা মজা সাদা ভাত কলাপাতায় লেবু লঙ্কা   মুগের ডাল বেগুন ভাজা  স্বাদে গন্ধে আন্তরিকতার ছোঁয়া  আদর আপ্যায়নে নেই তুলনা  সময়ের সুতোয় বাঁধা আধুনিকতার ছোঁয়া  অতীত কখনো ভুলা যায়না।

মন মানসিকতা

মন মানসিকতা.... একাল সেকাল.... মন আর মানসিকতা একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সৃষ্টিকর্তা সকল সৃষ্টিকূলের মধ্যে মানুষকে অনন্য এক মর্যাদায় শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন।  জ্ঞানে, বিদ্যা, বুদ্ধি সবদিকেই মানুষ শ্রেষ্ঠ। তবুও আগে আর এখনের মানুষের মধ্যে ভাবনা চিন্তার কতটা ফারাক এসেছে সেটা  আমরা সকলে চোখে দেখছি  অনুভব  করছি। সেকেলের মানুষের মন মানসিকতা ছিলোএকদম আলাদা। ‌ সেকেলের মানুষ আধুনিকতার ছোঁয়া না পেয়েও অনেক ভালো ছিলো। সম্পর্কে ভালোবাসা, বিশ্বাস,বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা সন্মান সবে ছিলো হৃদয়ে পরিপূর্ণ। খুব সহজ সরল ভাবে জীবন কাটাতে ভালোবাসতো। চাহিদা অনুযায়ী নিজের মানিয়েছিল। সেকেলে মানুষ খুব সাধারণ ভাবে জীবনকে উপভোগ করে গেছে।  যার জন্য তাদের মানসিকতা গুলো খারাপ হ‌ওয়ার সুযোগ পেতোনা। সকলকে নিয়ে একসাথে মিলে  মিশে থাকার চিন্তা ভাবনায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা শ্রদ্ধা ছিলো। সকলের সাথে বসে গল্পগুজব আড্ডা এইসব ছিলো জীবনের স্বরূপ। মানুষের সঙ্গে মনের যে  একটা সম্পর্ক রয়েছে। মানুষের স্বভাব আচরণে ই মানসিকতা নির্ভর করে।জয়েন্ট ফ্যামিলি  তে থাকায় তাদের মানসিকতা গুলো উদার  ছিলো । কিছুটা সংকীর্ণ

বসন্ত উৎসব

আকাশে বাতাসে উড়লো আবির  মাতলো বিশ্ব ভুবন দোলের রঙে রাঙিয়ে আকাশ করে  বসন্ত উৎসব পালন লাল নীল হলুদে ফাগুনের ফাগ  রঙ মাখে ভেদাভেদ সব ভুলে  আট থেকে আশি  রঙে মাতামাতি ফাগুন হাওয়ায় ভেসে চলে রঙ রূপে ভরপুর চিরনবীন বসন্ত  প্রেমহীন জীবনে বাঁধন ছেড়ে  রঙে রঙে রাঙিয়ে বসন্তের আঙ্গিনায় উচ্ছাস উষ্ণতায় হৃদয় ভরে ছকে বাঁধা জীবনটায় বয়ে আনে  বসন্তে  খুশীর ছোঁয়া শৈশব স্মৃতি রঙিন পাতায়  রঙ মাখে ফাগুন হাওয়া।

এসেছে বসন্ত

শীতের  রিক্ততায় ঝরা পাতা বিদায় বলে শেষে দখিন দুয়ার খুলে রঙিন বসন্ত এসে দাঁড়ায় হেসে সবুজের সমারোহে ফুলে ফলে হিল্লোল প্রকৃতিজুড়ে আকাশ বাতাস মুখরিত কৃষ্ণচূড়ার ডালে কুহুকুহু সুরে পলাশ শিমুলে বসন্তের রঙ  বুকে প্রেমের আগুন জ্বলে বসন্ত মানেই  পূর্ণতা নতুন আবেগে মনপ্রাণ ভরিয়ে তোলে বসন্ত আনে  প্রেমের নেশা ভালোবাসার রঙে প্রেমিক যুগল   ফাগুনের ফাগে রঙের উচ্ছাস বসন্তের আঙ্গিনায় খেলে দৌল।

আমার ভাষা

কলমে...✍️উমা মজুমদার ২১/২/২৩ শিক্ষার হাতেখড়ি বাংলা আমার প্রাণ  বাংলা ভাষায় পাই মায়ের ঘ্রাণ বাংলা আমার শিক্ষা অন্তরে অন্তরে মাতৃভাষার ঠাঁই দিই সবার উপরে কিসের লজ্জা বাংলায় কথা বলি অহংকারে ডগমগ মাতৃভাষা ভুলি সংস্কৃতি ঐতিহ্যে মাতৃভাষার  পরিচয়  সগৌরবে হোক মাতৃভাষার সর্বত্র জয়।

বাগদেবীর আরাধনায়

মাঘ মাসের শুক্লপঞ্চমী তিথি  বাগদেবীর আরাধনায় সকাল সকাল স্নান সেরে মেতে উঠেন সরস্বতীর বন্দনায় দেবী সরস্বতীর পাদপদ্মে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ  মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সরস্বতী পুজো মানে পবিত্র আনন্দ  মিষ্টি দুষ্টুমির সারাদিন ব্যস্ততা মায়ের আর্শীবাদে বিদ্যা ,বুদ্ধি জ্ঞানের আলোতে হৃদয় ভরে‌  অশিক্ষার অন্ধকারকে দূর করে  বিদ্যার দেবী আসে মা ঘরে ফুল বেলপাতা দোয়াত কলম ,শ্লেট  পেন্সিল,ব‌ই পত্র  সারি সারি রঙ বেরঙের কাপড়ে ছাত্রছাত্রীরা  ধুতি পাঞ্জাবী হলুদ রঙের শাড়ি  ছোট শিশুদের হাতে খড়ি অ আ ক খ লিখে  প্রথম শিক্ষায় হয় ব্রতী বর্ষিত হোক মায়ের আর্শীবাদ  জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী তুমি মা দেবী সরস্বতী ।

মনুষ্যত্বের জলাঞ্জলী

মনুষ্যকূলে জন্ম মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব দয়া মায়া উদারতা মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণ আকৃতিতে মানুষ হলেও স্বভাবে অমানুষ  স্বার্থপর পৃথিবীতে স্বার্থ  নিঃস্বার্থ পরোপকারী বিবেক মনুষ্যত্ববোধ  কে আপন কে পর দয়া মায়ার জলাঞ্জলী। মুখোশের আড়ালে বহুরূপী যায়না চেনা  লোভ লালসা হিংসা বিদ্বেষে মনুষ্যত্ব বলী।

বন্ধু

সর্ম্পকের সুতোয় নয় যে রক্তের বন্ধন আত্মার আত্মীয়ে বোনা বন্ধুত্বের জীবন । সুখে দুঃখে  থাকবে  হাতটি ধরে বন্ধুর বিশ্বাসে মিলায় বস্তু বন্ধুত্বে জীবন ভর। টাকা দামী কাপড় চোপড় বন্ধুত্বে মুল্যহীন জীবন রাঙ্গিয়ে দেয় মনের মত বন্ধু একজন। স্বার্থ ছাড়া এমন বন্ধু কোথায় খুঁজে পাবে  সময়ের খোলশে বন্ধুত্বের বদনাম স্বভাবে সকাল বিকেল বন্ধু ছাড়া কাটতো না একদিন চেনা অচেনার মাঝেও পাওয়া যায় বন্ধু স্বজন। আসল নকলের মাঝেও ভালো বন্ধু জীবনে চায় অনন্তকাল ধরে বন্ধুত্বের সম্পর্ক সুতো গেঁথে রয়।

পৌষ পার্বণ

✍️উমা মজুমদার ১৬/১/২৩ শিশির ভেজা ঘাস নতুন ফসলের গন্ধ ঘরে ঘরে আদর ভালোবাসা দিয়ে আনন্দের সহিত পিঠে গড়ে বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পালা বদল পৌষ পার্বণ রীতি নিয়মে পৌষ সংক্রান্তির নিয়মাচার করে পালন মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান পূর্ণাথীর ভীড় গঙ্গাসাগরে পৌষ পার্বণে পিঠে পুলি পাটিসাপটা নতুন খেজুর গুড়ে দুধ পুলি, চন্দ্র পুলি ,মুগ পুলি  কতনা নাম পিঠের বাহার শীতের মরশমে পিঠের উৎসব দিনে রাতে করে আহার।

মনের গাড়ী

✍️ উমা মজুমদার ১৬/১/২৩ মনের গাড়ী..... মনের গাড়ী ছুটছে সুদূর অতীতে সাজানো গোছানো কামরা স্মৃতিতে গন্তব্য নেই নিরন্তন ভালোলাগার অনুভূতি সময়ের নিষ্ঠুরতায় হারায় ভালোবাসার স্মৃতি।

শীতের আমেজ

সোয়েটার মাফলার মাথায় টুপি কনকনে ঠান্ডায়  কাজের  মাসি  নেয় ছুটি বাজ পড়ে গিন্নির মাথায়  ঝাটা হাতে সাফ সাফাই শীতের সুখ নেই কপালে  শীতের জলখাবার লুচি আলুর দম হয় না মন্দ খেলে গিন্নির হয়রানি তাই  না দেখে কর্তা এসে কাছে ঘেঁসে  ছাড়ো এইসব রান্না বান্না শীতের আমেজ পার্কে বসে  শীত আসে  বছরে একবার শীতের আনন্দে সবাই মাতে  শীতের আড্ডা দেবো জমিয়ে গরম চায়ের কাপ ঠোঁটে শীতের খাওয়া দাওয়া বনভোজন সবে  লাগে ভারী মজা ঘরে ঘরে পৌষ সংক্রান্তি নলেন গুড়ের  পিঠে পুলি ভাজা দুপুরে সোনালী রোদ হাতে কমলা লেবু স্মৃতিতে মনে পড়ে বসন্ত প্রতিক্ষায পুরোনো যায় নতুনের আনন্দে জীবন জুড়ে ।

চিরকুট

রাতের নিস্তব্ধতা যখন একলা আকাশ ছোঁয় উদাসী মন হোঁচট খায় মনের চিলেকোঠায়  মন ভাঙ্গে কাঁদে বিশ্বাস কেনো বারবার  হারে আঘাতের বদলে আঘাত নয় মনকে শান্ত করে।

দুটি বিপরীত শব্দ

চিরদিনের বৈষম্য গরীবের প্রতি  ধনীর অবহেলা ঘৃণার আচরণ একেই আকাশ প্রকৃতির রূপ রঙ  দু চোখ ভরে দেখার অধিকার সমান। সত্যের মাপকাঠিতে ধনী গরীবের জন্ম  মৃত্যুর দিনক্ষণ যখন একজনের হাতে তবে কেনো দুটি বিপরীত শব্দ ধনী গরীব  জীবনযাপনের পার্থক্য এত দুনিয়াতে। টাকা আছে যার জোর খাটে তার আর‌ও  চায় লোভ লালসায় উদর ভরে আত্মতুষ্টির ঢেকুঁর তোলে গরীব নুনে ভাতে হাড় ভাঙা পরিশ্রম রুজি রোজগারে । ধনীর অট্টালিকার নরম বিছানা নির্ঘুম গরীবের শান্তির ঘুম খোলা আকাশ ধনীর নামী দামী রেষ্টুরেন্ট খাওয়ার অপচয়  ক্ষুধার্ত চোখ গরীবের উপবাস । গরিবের সঞ্চয়ে ধনীর প্রদর্শনী দুর্নীতি  কুকীর্তির  যত রঙ্গশালা  ধনীরা উড়ায় দুহাতে টাকা গরীবের  পেটে ক্ষুধার জ্বালা। গরীবের খাতায় লিখেছে নাম দারিদ্র্যের কশাঘাত ধনীর উপহাস গরীবের লড়াই আজীবন বেঁচে থাকার ভাগ্যের নির্মম পরিহাস।

বিদায় বেলা

,✍️উমা মজুমদার  ৩১/১২/২২ তিনশো পঁয়ষট্টি দিন, বারো মাসের ব্যস্ততা বদলায় না কিছুই  দিন গোনা, আসা যাওয়াতে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলি ,নতুন কিছু আশায় নতুন বছরের গন্ধ খুঁজে বেড়ায় ,পুরোনো স্মৃতিতে। ভোরের সূর্য উঁকি দিয়ে যায়, চেনা পথে প্রতিদিন বর্তমান হারিয়ে যায় প্রতি মুহূর্তে, বাস্তবতার ভীড়ে  ইশ্বরের কাছে একটি প্রার্থনা, যাহা কিছু আসুক জীবনে   সবকিছু সহ্য করার ক্ষমতা যেনো, প্রদান করেন নতুন বছরে।