পোস্টগুলি

2021 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শৈশব স্মৃতি

শৈশবের স্মৃতিতে কতনা স্মৃতিচারণ সময়ের স্রোতে স্মৃতিপটে, হয় আগমন। রূপোর মত  চকচকে সাদা, ছোট সুটকেস ছোট ছোট হাতে হেলেদুলে চলতো সে বেশ। ব‌ই খাতা পেন্সিল ভরে, ছুটতো স্কুল ভ্রমনে আজ শুধু স্মৃতির তালিকায় ,হৃদয়ের এককোনে। আমাদের শৈশব ছিলো বড়‌ই ভালো ,রেখেছি বেঁধে নতুন প্রজন্মে শৈশব হারায় ,ব‌ই ভর্তি ব্যাগ কাঁধে।

ভালোবেসে

ভালোবেসে ধরেছি হাত ,ছেড়ে দেবো বলে নয় কত কথা জমেছে হৃদয়ে , ভালোবাসা চেয়ে রয়। অপেক্ষায় আজ শব্দরা হারিয়েছে , ভালোবাসি  তোমায় পারিনি বলতে। হৃদয়ে যখন  উঠে ঝড়  রাতের  নির্জনে মন চায়  একাকি পথ হারাতে।  ভুলেছো কি  তুমি  আমায় , প্রতিজ্ঞাবদ্ধ  সে  রাত পারো যদি করো ক্ষমা, সকল বাঁধন খুলে মুক্ত হোক  আমাদের চলার  পথ। থেকো না  আর মুখটি ভার করে  ,সাজে না তোমার  ওই মুখে, সব ভুলে চলো  আবার নতুন করে পথ চলি  , র‌ইবো ভালোবেসে সুখে দুঃখে।‍

বিজ্ঞানের সৃষ্টি

হারিয়ে গেলাম তোমার মাঝে,  কাটলো অবসাদ পেলাম নতুন করে ,জীবনের‌ অজানা  এক  স্বাদ। আধুনিকতার ছোঁয়ায়, মোবাইলটা এলো  হাতে , ছোট এক যন্ত্রে কথা বলা আপনজনের সাথে ।  বিজ্ঞানের সৃষ্টি, অবাক হোলাম তোমায়  দেখে ব্যস্ত সময় হারালো ,মোবাইলের নীল আলো দুচোখে। সময়ের নতুন পরিবর্তনে ,তোমায় করেছে একঘরা দামী  স্মার্টফোন , সকলের হাতে  করে  ঘোরাফেরা।

আশার আলো

সোনার চামচ মুখে নিয়ে  কেও বা জন্মে অট্টালিকায় ফুটপাতে জন্ম হয়ে,জীবন কাটে  পথের ধারে, অনাহারে অসহায জন্মটা অভাবে, শৈশব হারয়ে যায় পথে পথে ঘুরে কেটে যায় সারাদিন চাওয়া পাওয়া থাকে না মনে   দু  মুঠো  খেয়ে জীবন যাপন। মানুষ জীবন ধন্য,ধনী গরীব ভেদাভেদ মানুষ দোষ দেয় আপন ভাগ্যকে থাকেনা   পিছনে পরে গরীব বলে  স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যায় লেখাপড়া শিখে।  বড় মানুষ হয় একদিন  প্রাণপণ চেষ্টায় ইচ্ছায় কি না হয় দারিদ্রতা হেরে যায় ।।

সহজ পাঠ

সহজ পাঠের  স্মৃতি, আজও মনের দ্বারে অ'তে অজগর আ' তে আম, চেনা অক্ষরে। মায়ের কোলে আদর খেয়ে, সকাল বিকেল যুগের হাওয়ায়  সহজ পাঠ   আজ সেকাল সহজ পাঠের চলতি ভাষা, বর্ণের সাথে পরিচয় রবিঠাকুরের অনন্য সৃষ্টি,সহজ পাঠ  স্মৃতিতে রয়।

ভাইফোঁটা

ভাইয়ের কপালে বোনের ফোঁটা   মিষ্টি বন্ধনের উৎসব পালন, ভাইফোঁটার উৎসব ঘরে ঘরে ভালোবাসায় গড়া মিষ্টি বন্ধন। অশক্ত শরীর ,বয়সের নেই যে বাধা  তবুও,ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় ,দিবে ফোঁটা চন্দন কাজলের মঙ্গল  তিলক, দূর হবে আপদ  বিপদ ,বোনের ফোঁটায় যমের দুয়ারে পড়ে কাঁটা।

বসন্ত এলো যে

শীতের  ঝরা পাতা বিদায় বলে শেষে দখিন দুয়ার খুলে বসন্ত দাঁড়ায় এসে  নতুন বেশে প্রকৃতি সাজে ফুলে ফুলে ভ্রমর খেলে  পলাশ শিমুলে রং লাগে এলো রে বসন্ত ফাগুন বলে প্রেমের নেশায়  সুর বাজে সুর তোলে কোকিলের কহুতানে  আকাশে  বাতাসে  রঙ ছড়ায় বসন্তের  আগমনে ভালোবাসার রং নিয়ে রঙিন বসন্ত আসে যায় তবু‌ও হয় ন  রঙিন ,উদাসী মন ব্যর্থ ভালোবাসায়।

এসো মা বছর পরে

কত আনন্দ কত  আয়োজন তোমার  আগমনে একটি বছর অপেক্ষায় আসো তুমি এই ভুবনে মাগো তুমি এলে  আবার কখন   চলেও গেলে পূজোর আনন্দে মেতে ছিলাম সকল কষ্ট  ভুলে মহালয়া ,আগমনী,তোমার বরনের ডালা দু চোখ  জলে ভরে ,তোমার বিদায় বেলা। আছে দুঃখ  আছে কষ্ট  ,সকলের জীবনেতে বছর পরে এসো মাগো, সকল কষ্ট ভুলাতে। দিন গুনা হলো শুরু ,মায়ের  আসার পথ চেয়ে সকলকে সুস্থ রেখো মা, তোমার চরণ ধূলো দিয়ে। শিউলির গন্ধ ছড়িয়ে আসবে, যখন বছর পরে বরণ করে নেবো তোমায় , আলতা পায়ে সিঁদুর পড়ে।

নিয়মরেখা

পূজো উপলক্ষে একটি কবিতা আমার..... নিয়মরেখা কলমে__উমা মজুমদার ২/১০/২১.... বিচিত্র নিয়মে পৃথিবী চলে  চলেনা জীবন  সমান্তরালে বাঁচার প্রয়াস  ছন্দ মিলিয়ে অভিযোগ নেই  জীবন নিয়ে পরিচয় পায়  সমাজ থেকে পথ শিশু বলে সকলে ডাকে  শৈশব  হারায়  কাজের  মাঝে মুখে মিষ্টি হাসি শৈশব খোঁজে দিন কাটে পথে  ভাবনা  নেই অনাহারে  কাটে  এইভাবেই পথে পথে ঘুরে  পেটের জ্বালা নাওনা  বাবুরা  একটি   মালা মুখখানা  হাসি  দুহাত  পাতে  খুশী হয়ে নেয় কেও বা হাতে জানেনা তাদের দোষ কথায়  অসহায়ে  কেন  দিন  কাটায় বছরে  বছরে  মা  দূর্গা আসে  পথের  দূর্গারা আঁধারে  বসে পূজোর আনন্দে দু চোখ ভিজে আলোয় আলোয় মা দূর্গা সাজে।

ডাকবাক্স

হৃদয় দিয়ে লেখা এই পত্রখানি ডাকবাক্সে দিলাম ঠিকানা লিখে আছে যত দুঃখ কষ্ট তোমার মনে সব ভুলে হাসি ফুটুক তোমার মুখে  হাজার  মানুষের পথচলা তবুও  পথের ধারে পড়ে আছো একা সময়ের খোলসে রপ বদলায় প্রযুক্তির কল্যাণে  ভুলে থাকা।

ছিঁচকাঁদুনে বর্ষা

ক্ষমা করে দাও   হে প্রকৃতি মা সব কিছু ভুলে    অন্যায় ক্ষমা এ কোন প্রলয়    কালের রূপে  বর্ষার আক্রোশে   শরৎ ক্ষেপে ছিঁচকাঁদুনে বর্ষা    অঝোরে ঝরে বছর ঘুরে মা       আসছে ঘরে ওগো বর্ষা তুমি     ঝরো না আর ফেরার সময়       হলো এবার সেজেছে আকাশে     মেঘের ভেলা  মান অভিমানে           চলছে পালা মায়ের আসাতে       পড়েছে খুঁটি  পূজোর আনন্দ      করছো  মাটি।

আধুনিকের ছোঁয়া

মনের মনি কোঠায় রেখেছি  অতীতের দিন গুলো অত্যাধুনিক এই দুনিয়া  কিছুটা ভালো নূতন প্রজন্ম  দেখেছে  বিজ্ঞানের নূতন আলো মোবাইল আমাদের  জীবন সঙ্গী হলো চিঠি লেখার অভ্যাস‌  আজ গেছে ছেড়ে প্রিয়জনের  মূখ গুলো  নিয়েছে কেড়ে  ছিলো না কোনো স্মার্ট ফোন     ছোট ছোট কাজে বসতো মন ভালো মন্দ সব কিছুই যে  আছে এই  মুঠো ফোনে বিজ্ঞান আর্শীবাদ না অভিশাপ  কে পারে বলতে এই জীবনে সর্বনাশের খেলায় মত্ত   আজ  শিশুরা খেলার মাঠ আজ  উদাসীন চেহেরা  সকাল দুপুর যখনেই সময় পাই সবার আগে মোবাইলটা  হাতে উঠাই বাচ্চা বুড়ো যাকেই দেখো  সময় কাটাই নিজের মতে চলছে পথে কানে হেড ফোন   জীবনটা নিয়ে হাতে সময় ক্রমাগত বয়ে চলেছে   স্বপ্ন গুলো প্রযুক্তির খাঁচায় বন্দী অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে আমরা  প্রতিনিয়ত হারিয়ে ফেলছি জীবনের গন্ডী।

টানা রিকশা

অমানবিক শ্রমের মূল্যে টানা  রিকশা শহরে হেঁটে যায় প্রাচীন জীবন রেখা আধুনিক শহর প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ঐতিহ্যের ধারক বহন করে চলেছে  জীবিকা নির্বাহ কে আধুনিক যানবাহনে ভুলেছে  মানুষ  হাতে টানা রিকশাকে।

চেনা পথ

অজানা পথ  অজানা পথিক ছুটে  চলা নিরন্তর গন্তব্য  পথে  নীরবে পড়ে থাকে  সে শূণ্যপানে চেয়ে বছরের পর বছর চলে অজস্র  পথিকের পথ চলা ক্লান্ত পথিকের পদ চিহ্ন ,শৈশবের  ছুটে চলা সকাল বিকেল, সবেই পড়ে আছে তার বুকের উপর,  একদিন বড় হ‌ওয়ার স্বপ্ন নিযে ছুটেছিলাম   ব‌ই হাতে বন্ধুরা মিলে সেই চেনা পথ ধরে, বড়‌ই আপন ছিলো  ওই পথ আজ‌ও মনে পড়ে।

আসেনা ফিরে

স্মৃতিরা সদায়  অতীত খোঁজে শৈশবের কথা   অশ্রুতে ভিজে   ফেলে আসা দিন  আসেনা ফিরে  উদাসী শৈশব       মনের ঘরে ঘড়ির কাঁটায়       ছুটির ঘন্টা সকাল বিকেল       চেনা পথটা কাটেনা সময়          বিকেল বেলা স্মৃতিতে হারায়            ঐ ছেলেবেলা।

সময়ের সংস্করণ

 হোকনা পাতে ডাল ভাত  লেবু লঙ্কা বেগুন ভাজা এদিক ওদিক গড়াগড়ি  কলাপাতায় কতনা মজা স্বাদে গন্ধে কলাপাতায়  তৃপ্তিতে অমৃতের সমান আচার অনুষ্ঠান রীতি নিয়ম  সবে সময়ের সংস্করণ অতীতের স্মৃতি ভুলায়   আধুনিক বুফেতে  কাচের  ডিশ সারি সারি   বাহারি পদ টেবিলেতে।

অতীত স্মৃতি

 হোকনা পাতে ডাল ভাত  লেবু লঙ্কা বেগুন ভাজা এদিক ওদিক গড়াগড়ি  কলাপাতায় কতনা মজা স্বাদে গন্ধে কলাপাতায়  তৃপ্তিতে অমৃতের সমান আচার অনুষ্ঠান রীতি নিয়ম  সবে সময়ের সংস্করণ অতীতের স্মৃতি ভুলায়   আধুনিক বুফেতে  কাচের  ডিশ সারি সারি   বাহারি পদ টেবিলেতে।

মনের পাতা

বিস্তৃর্ণ আকাশ , মন হারায় চাঁদের আলোয়  স্বপ্ন বেড়ায় ভোরের আকাশে ,সুখের  খোঁজ দিন রাত্রি আসে  জীবনে রোজ সৃষ্টির ধারায়   আসা যাওয়া জীবনের কাছে  তবু  চাওয়া সময়ের কথা       সময় বলে আশায় আশায়    জীবন চলে  কেন করো বৃথা   মিথ্যের  আশা ভবের খেলায়          সব  নিরাশা।

বছর ঘুরে

রূপ বদলায়   নীল আকাশ এলোমেলো মন   স্নিগ্ধ বাতাস শরতের মেঘ      ঘুরে বেড়ায় কাশের নাচন     মাথা দৌলায় সুগন্ধি ছড়ায়    শিউলি তলা নির্মল আকাশ   ভোরের বেলা অপরূপ শোভা    প্রকৃতি সাজে আগমনী সুর    আকাশে বাজে মানুষের ভিড়    হাটে বাজারে আনন্দ উল্লাস     বছর ঘূরে।

কলম কালি মন

 কালিতে ভরা কলম শৈশবের  পাতায় পাতায় কতনা লেখালেখি পড়ার শেষে  লেখার  খাতায় আজও তুমি আছো জীবনে  চলার পথে তোমায় আঁকড়ে বাঁচতে চাই   মনের কথাতে শব্দের তাড়নায় কলম চলে   অজানা খোঁজে  সৃষ্টির রচনায় কলমের সার্থকতা শব্দের ভাঁজে।

অজানা দেশ

  দিগন্ত জুড়ে বিস্তৃর্ণ ,মন হারানো  নীল আকাশ কোথায় শুরু কোথায় শেষ, অজানা স্বপ্নের  দেশ। আছে চন্দ্র ,সূর্য্য গ্রহ ,তারা বিশাল  তাদের  পরিবার, সকল দায়িত্ব করছে পালন ,নিজ কর্মে ব্যস্ত বিশ্ব চরাচর। রঙ বেরঙের ছবি আঁকে ,রংধনুর রং ছড়ায় নীল চাদরে, সৃষ্টির অপার সুখ, মেঘের ভেলায় ,স্বপ্নরা ডানা মেলে উড়ে। সাদা চাদরের আস্তরন খুলে , রাতের আঁধার পেরিয়ে,  মুচকি হেসে বেরিয়ে এলো দিনমনি, কপালে লাল টিপ দিয়ে। হলো আবার একটি নতুন প্রভাত পাখীদের মিষ্টি সুরে আশার আলোয় পথচলে ,আনন্দ খুশীর, আঁচল ভরে হারিয়ে গেছে কত রাত দিন, হাজার স্বপ্নরা হয়েছে নিঃশেষ দিনের আলোতে পথিকের পথ চলা, হয়না যে শেষ। অবিরত বয়ে চলা সময়ের স্রোত, দিনের শেষে ক্লান্তি নামে চাওয়া পাওয়ার হিসেব নিকেশ স্মৃতির পাতা বন্ধ খামে।

্ভালোবাসা অসহায়

বসে আছে পথ চেয়ে যত ভাবে  ভুলে যাবে মন মানে না আঁধার ঘনিয়ে আসে  তবুও  ভালোবাসার অপেক্ষা শেষ হয়না। ভালোবাসার কাছে  হৃদয়  অসহায় , হৃদয় কি বোঝে আর। ভালোবাসার  প্রদীপ জ্বেলে,নিদ্রাহীন   প্রহর গুণে অপেক্ষার।  কেটে যায়  আর‌ও একটি রাত   নিদ্রাহীন চোখে, ভিড় করে আসা স্মৃতি গুলো নিঃস্ব পড়ে থাকে।

কবিতার হাত ধরে

কবিতার হাত ধরে...  রঙিন স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রেখে মনের আকাশে উড়ি, বাস্তব হোক যত‌ই কঠিন তবুও নতুন স্বপ্ন গড়ি। কখন‌ও সুখ কখন‌ও দুঃখ ছন্দে বেজে যায় তারা রিনিঝিনি নুপুরে  মান অভিমান জীবনের একতারা। জীবনের স্রোতে গা ভাসিয়ে চলে, সময়ের কথা শুনে, চেনা সূর্য মূখ লুকোয় ,ইচ্ছেরা যায় গোধূলি স্নানে, খুঁজে পাই জীবনের তীর, সকল যন্ত্রনা ,কষ্ট ভুলে কত সুর কত কল্পনা, ইচ্ছের  পাহাড়ে চড়ে, নীল আকাশে ডানা মেলে অজানার খোঁজ করে। সময়ে অসময়ে ছুটে আসে ভালোবাসার ডাকে, অকারনে মন অস্থির, খুঁজে পায় হারানো আমিকে। নিঃশব্দে লিখে যায় ,না বলা কথারা মনের ক্যানভাসে, চাওয়া পাওয়ার নেশাতে কিছু হারিয়ে যায় দিনের শেষে। ঘুনে ধরা এই  পৃথিবীতে আছে শুধু  জীবনের অপূর্ণতা, কবিতাকে  ভালোবেসে পেয়েছি ,জীবনের  পূর্ণতা। একলা  রাতে সঙ্গী হয় মোর  আঁকড়ে ধরি তাকে, ভাবনার পাখনা মেলে চলি ,জীবনের আঁকে বাঁকে । শব্দের মাতাল হাওয়ায়  হাজার  শব্দের অনুরণন,  কখন বেদনা, কখন ভালোলাগা হৃদের রক্তক্ষরণ। শব্দের মায়াজাল বুনে সাজায় তাকে মনের মত করে যত কষ্ট যত আঘাত, ভালোবাসা দিয়ে  কবিতা গড়ে।  কবিতার ছন্দে পড়ুক ঝড়ে,হাজার শব্দের রং ছড়ায়ে

বৃথা জীবন

আঁধার রাত, স্মৃতির ছেঁড়াকথায়  ফেরারী মন ভাঙ্গা গড়ার বেহিসেবী কথা, গল্প সাজায় জীবন স্মৃতির কান্না বাস্তবতার স্রোতে ,শুধু অতীত খোঁজে রামধনুর নীল রং গায়ে, ভেসে বেড়ায় যত মনের  ইচ্ছে   নীশিথ রাতে  হাওয়ায় ভাসে রক্ত মাখা পথের গন্ধ   চাঁদের আলোয় চোখের তারা, শব্দরা কলমে আবদ্ধ , দীর্ঘশ্বাস ফেলে সময় ,বিসাক্ত মনটা রক্তাক্ত কাটা ঘায়ে, রাতের আকাশ একলা ঘরে,মিথ্যে স্বপ্নের ডালা সাজিয়ে সুখের স্বপ্নে আঁধার নামে বাতাসে উড়ে বিষের পরাগ ভাঙ্গা গড়ার বৃথা জীবন  সাদা কালোয় রঙিন মোড়ক।

চোখের ভাষা

56) চোখের ভাষা আজ চোখ দুটো বড় ক্লান্ত দিশেহারা, শুধু খুঁজে বেড়ায়  রাতের অন্ধকারে, শব্দরা মাতামাতি করে ,ঝড় তোলে দু চোখে, যে চোখ  নানান স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতো, আজ শুধু শব্দ খুঁজে বেড়ায়,   যে চোখে  দেখেছিলো একদিন ,আকাশ সমান ভালোবাসা  আর না বলা কথার মান,অভিমান, আজ মনে হাজার প্রশ্ন পাবে কি ফিরে সে চোখকে, যে চোখ শিল্পী  তার  বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে, তুলিতে শেষ টান দেয়, যে চোখে ছিলো কত মায়াবি রঙীন স্বপ্ন, যে চোখে ছিলো কবির কল্পনার কবিতা, যে চোখে   এক  মা  তার  সন্তানের জন্য স্বপ্নের জাল বুনতো, যে চোখে ভালোবাসার মানুষটি  তার হারানো স্বপ্ন খুঁজে পেতো, আজ সে চোখঅশ্রু সজল নয়নে ভেসে যায়, অপেক্ষারা আঁচল মুছে,  কত রাত জেগে থাকা   মা য়ের  চোখ, সন্তানের অপেক্ষায় ক্লান্ত,  চোখের ভাষা হারিয়েছে, সন্তানরা তার শৈশবের ভালোবাসা, মায়ের  স্নেহ , মায়া মমতা,আজ পড়তে পারে না, হারিয়ে গেছে ভালোবাসার মানুষটি,যে চোখে তার  ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছিলো ,,আজ কোন মায়াবী চোখে  ভালোবাসা খুঁজে নিয়েছে সে,ভুলিয়েছে আবার দু চোখ, নীরব অশ্রু ঝরে পড়ে ,রাতের কনার আঁচল ভিজে , চোখের ভাষা কজন পারে পড়তে ,  নীরবে কেঁদে উঠে মন,চোখে

কুসংস্কার

কুসংস্কার টিকে থাকে শুধুমাত্র মানুষের বিশ্বাসের কারণে,,,,,,,, কোন যুক্তি দিয়ে বিচার করলে কিংবা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে দেখা যায় কুসংস্কারের আসলে কোনো ভিত্তি নেই,,,,, মানুষ তার অমঙ্গলের ভয়ে ভীত হয়ে বিভিন্ন হাস্যকর বিষয়কেও বিশ্বাস করে মেনে চলে,,,, তাদের অন্ধ বিশ্বাসই কুসংস্কারকে অন্য সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয় এবং বছরের পর বছর যুগের পর যুক এগুলোকে আঁকড়ে ধরে রাখে,,,,,,, কোনো রকম চিন্তা বা বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে বিচার করা ছাড়াই তারা কুসংস্কারের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস স্থাপন করে,,,,, আর তাই কেউ কেউ মঙ্গল কিংবা শনিবার অমঙ্গল ও অশুভ কিছু ঘটার আশংকায় অনেক প্রয়োজন থাকলেও কোথাও যাত্রা করে না,,,,,,,কালো বিড়াল কিংবা এক শালিক দেখলে যাত্রা অশুভ ভেবে যাওয়া বন্ধ করে দেয়,,,,,,,কোনো কথা বলার সময় টিকটিকি যদি টিক টিক করে শব্দ করে তাহলে সেই শব্দকে ঐ কথার সত্যতা নিশ্চিত করার মাধ্যম হিসেবে ধরে নেয়,,,, জোড়া শালিক দেখলে ভাগ্য ভালো হবে বলে কেউ কেউ বিশ্বাস করে,,,,,, এর সবই হলো কুসংস্কারের প্রতি অন্ধবিশ্বাসের ফল,,,,,। সে আদিমকাল থেকে বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে মানুষ জগৎ এবং জীবনকে জানতে  বুঝতে ও চিনতে শিখেছে,,,,,,,যত‌ই জ

জীবন কথা

জোছনা আলোয়  শব্দরা খোঁজে রাতের নির্জনে   কথারা  ভিজে বিকৃত বিরূপ   জীবন  কাঁদে ভালোবাসা মরে   প্রেমের ফাঁদে পুরোনো নতুন  স্মৃতির   টানে অতীত খোঁজে  টানাপোড়েনে নির্ঘুম তারারা   শব্দ   জাগায় একলা আকাশ  গল্প  সাজায় সারা রাত জাগে    চুপকথারা    ভোরের অপেক্ষা রাতের তারা।

মনের কথা

১হাইকু আঁধার রাত  স্বপ্নের ছেঁড়াকথা    ফেরারী মন ২) ভাঙ্গা গড়ার    বেহিসেবী জীবন        গল্প সাজায় ৩)স্মৃতির কান্না বাস্তবতার স্রোত      অতীত খোঁজে ৪)ইচ্ছেরা ডাকে         রামধনুর নীল             স্বপ্ন মিছিল ৫) উচ্ছিষ্ট জল          নীশিথের রাত                   আতঙ্ক মন   ৬) প্রেমিক মন         মৌমাছি র গুঞ্জন                 হৃদয় ভাঙ্গে ৭) পথিক জানে         পথের আত্মকথা              গো ধূলি বেলা ৮)চাঁদের আলো  শব্দের ঘোরাফেরা    মনের পাতা ৯) শীতল বারি বেদনার আকাশে আসুক ঝেঁপে ১০) মন রঙীন বসন্ত কথা বলে কোকিল ডাকে

প্রকৃতির সুখ

প্রকৃতির সুখ রিমঝিম  বর্ষায় শীতল স্পর্শ, সকলের হৃদয়ে, শ্রাবণধারায় কত আনন্দ গান, নেচে গেয়ে। গাঢ় নীল আকাশ ,রৌদ ঝলমল চায়না বর্ষাকে, আকাশ ধোয়া গায়ে  বর্ষা রানী শরৎকে কাছে ডাকে ।    চুপিসারে  এসে শরৎ হাজির বর্ষার পাশে, মেঘ মুক্ত নীল আকাশ , বর্ষা আছে চুপটি করে বসে। সিংহাসনের লড়াই চলছে ,মেঘের আড়ালে। শরতের আকাশ দেখে   বর্ষা যাই যাই বলে। দুজনের বন্ধুত্বে ভাব হয় নীল আকাশ জুড়ে, সাদা কালো মেঘ ভেসে বেড়ায় হাত ধরে। রৌদ বৃষ্টি নিয়ে মেতে থাকে দুজনে প্রকৃতির বুকে,  শরতের অপরূপ শোভায় মুগ্ধ, বর্ষার দুচোখে। শরৎ ছড়িয়ে দেয় রূপের শোভা দিক দিগন্তে, শিউলির সুবাস, নির্মল বাতাস, শারদ প্রাতে। আকাশে বাতাসে ভেসে আসছে  আগমনীর সুর, কাশের মেলা হেলে দুলে,মা আসতে আর কতদূর।

মনের বাসনা

নীল আকাশে মেঘের দেশে            যাসনা  আর   উড়ে,   মনের খাঁচায় বাঁধবো তোকে              থাকবি হৃদয় জুড়ে।    খাঁচায় বন্দী মন পাখি            মুক্ত আকাশ চায়, বাঁধন ছেঁড়া বনের পাখি              আনন্দে পথ হারায়।        অতৃপ্ত বাসনা প্রানে লয়ে                            বেঁচে থাকার লড়াই।  শিকল বাঁধা মন পাখি                     সঙ্গী হবে তোর নীল আকাশে আলোর ধারা                              যাবে উড়ে বহুদূর   তোর আশাতে পথ  চেয়ে                    আসবি তুই যখন সকল বাঁধন মুক্ত করে                    উড়বো মোরা দুজন।

কবির দার্শনিক ভাবনা

রবীন্দ্রনাথ হলেন বিশ্ববরেণ্য কবি  যিনি আধুনিক ভারতীয় দর্শনের একজন বড় প্রতিনিধি,,,,,, সেকথা বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় দার্শনিকরা স্বীকার করেছেন,,,, । ১৮৭৩ সালে ১১বছর নয় মাস বয়সে কবির উপনয়ন হয় ,,,তখন গায়ত্রী মন্ত্র জপ করবার খুব ঝোঁক ছিল,,আর এই গায়ত্রী মন্ত্রের প্রভাবেই  কবির সারাজীবনের দার্শনিক ভাবনার মূলমন্ত্র,,,, । কবির  "মানুষের ধর্ম" গ্রন্থের  " "মানব সত্য" ,"ভাষনে" জীবনের শেষ দিকে‌ও কবি স্মরণ করেছেন এই দিনের কথা,,,,। তখন কবির বয়স মাত্র বারো বছর ,, তিনি বলেছেন এই মন্ত্র চিন্তা করতে করতে কবির মনে হতো বিশ্বভূবনের অস্তিস্ব আর কবির অস্তিত্ব একাত্মক,,,,,এরকম চিন্তার আনন্দে কবির মনের মধ্যে একটা জ্যোতি এনে দিয়েছে,,,কবি সেটা নিজেই বলেছেন,,। কবি একজন দার্শনিক হয়েও ,,কোন দার্শনিক তর্কবিবিদ্যার যুক্তি প্রণালীতে যেতে চাইতেন না,,তিনি হলেন সত্য দ্রষ্টা,,,সত্যকে উপলব্ধি করেন সরাসরি কাব্যিক রূপকল্প থেকে,,,,। আমাদের দেশে দর্শন বলতে বোঝায় দৃষ্টি এবং সত্যদর্শন,,,রবীন্দ্রনাথ তাই ফিলোসফি শব্দটিকে এই অর্থে গ্রহণ করেছিলেন,,,,,তাই কবির চিন্তায় "ব্যাক্তিগত উপল

আমি

২. আমি ভাবি বসে মনে মনে ,তুমি কি সত্যি  আছো আমার হৃদয় জুড়ে, মান অভিমান আবেগ অনুভূতি ,সবে তোমার , তবু‌ও কি জানি তোমায়।   চলতে চলতে ক্লান্ত পথে    ছুটে যাই তোমাকে নিয়েই, নীরব অশ্রু হয়ে চোখের পাতা  মুছে দিয়ে যাও ,আমার সকল আঘাত। বেঁচে থাকার রঙ্গীন স্বপ্নে জাল বুনে যাও  তুমি আমার মনের গহীনে, ভালোবাসা হয়ে তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে   ছুটে আসো তুমি সকল সময়ে। দুঃখের সাগরে  সুখের জোয়ার হয়ে   থেকো  তুমি আমার পাশে, স্মৃতির সঙ্গী হয়ে  এসো আমার  হৃদয়ের মনিকোঠায়।  গোধূলী বেলার সাঁজের বাতি হয়ে  থেকো তুমি আমার আঙিনায়। কখন‌ও যদি পথ ভুলে  যাই  খুঁজে নিও তুমি আমায়। হটাৎ করে বলবে ডেকে ভয় কি  তোর  আমি যে আছি তোর মনেতে বাঁধা  তবুও যে পরানে লাগে  ভয় , থাকবে তো  তুমি  আমার সকল পথ চলায় ।

কবিগুরুর প্রকৃতি র প্রেম

প্রকৃতির অপরূপ সুধায় বিস্মিত কবির বন্দনা কবিতা গানে ষড়ঋতুর অপরূপ সৌন্দর্যৈর বর্ণনা । কবির কবিতায় প্রকৃতি যেন রহস্যাবৃতা এক নারী গ্রীস্মের প্রখর তাপদাহ  রিমঝিম বর্ষার শিতল বারি। শরতের শুভ্রতা , মেঘবালিকার রৌদ্র ছায়ার খেলা প্রকৃতির রূপ রঙে আপন ভাবনায় কবির ছন্দ মেলা। হেমন্তের ভরা যৌবন ,শীতের ঝরা পাতায় মর্মর ধ্বনি বসন্তের মাতাল হাওয়া , উদাসী বনের করুন কাহিনী। কবির কলমে ,আকাশ ভরা সূর্য তারা বিশ্ব ভরা প্রাণ খাঁচার ভিতর পোষা পাখি, মুক্ত পাখী গায় প্রকৃতির গান। সর্বগ্রাসী মানুষের লোভের হাত,  প্রকৃতিকে বাঁচায়  কে  বিধাতার যা কিছু কল্যাণের দান, মানুষ ধংস করে তাকে।।

তবু মনে রেখো

মনের কি দোষ বলো মন আছে তাই ভাবনা আসে মন শুধায় ভাবনাকে থাকবে কি সদায় এই ভাবে পাশে যেতে হবে  পরপারে  আসবে যখন ডাক   ছেড়ে যাবো একদিন  ভালোবাসা টুকু সাথে নিয়ে মনের অগোচরে কোনদিন তবু‌ও মনে রেখো  কখন‌ও যদি আমায় পড়ে মনে পুরোনো স্মৃতিকে নিও কাছে টেনে জানি না হৃদয়ে জাগবে কি তোমার  আমার চলে যাওয়ার ব্যাথা স্মৃতির মলিন খামে লিখে রেখো আমার ভালোবাসার কথা  এই মন ক্ষনে ক্ষনে শুধায়   পাবে কি জায়গা স্মৃতিটুক  তোমার ভাবনার বুকে পারো যদি রেখো আমায়  ভালোবাসার অশ্রু করে তোমার  দুই চোখে। তবুও মনে রেখো আমায়।

বৃষ্টিতে শৈশব

মেঘলা আকাশ বাদল দিনে বুক দুরু দুরু মেঘের গর্জনে ঝম ঝমিয়ে  নামলো বৃষ্টি  চোখ জুড়ানো অপরূপ  সৃষ্টি থৈ থৈ জলে মাঠ ঘাট ভরে ব্যাঙ ব্যাঙাণীর নাচন ধরে কাপড় ভিজে বাড়ীর ছাদে কেও বা পড়ে মরন ফাঁদে কচিকাঁচারা মাতে বৃষ্টির জলে  মাঠে কাদা ফুটবল খেলে কাগজের নৌকা জলে ভাসে ছিপ নিয়ে যায় নদীর পাশে আয় রে খোকন ঘরে আয় টাপুর টুপুর বৃষ্টিতে খোকন বেড়ায় বৃষ্টি তে ভেজার পেলো ফল নাক দিয়ে পড়ে সর্দি জল যে চলে যায় আর আসে না বৃষ্টির পাশে শৈশব হাসে না রিনিঝিনি নুপুরে শৈশবকে ডাকে স্মৃতির ঘরে শৈশব জলছবি আঁকে

প্রথম প্রেম

সে আমার প্রথম ভালোবাসা, থাকবে হৃদয়ে চিরদিন তোমার আমার পথচলা, অনেকটা পথ অনেকদিন। সে এসেছিল মনের  অগোচরে নীরবে নিভৃতে, নিঃসঙ্গ দিনে মন ছুঁয়ে গেলো বৃষ্টি ভেজা রাতে। সময়ে অসময়ে ছুটে আসে ভালোবাসার ডাকে শুধুই যে দিয়ে গেছে ,পায়নি কিছুই আমার থেকে।  সে যে আমার প্রথম প্রেম প্রথম ভালোবাসা ছন্দ সাজিয়ে পূরণ করে  মনের সকল আশা। ক্ষনিকের পৃথিবীতে আছে শুধু বিশ্বাসঘাতকতা, তাকে  ভালোবেসে পেয়েছি জীবনের পূর্ণতা। জীবন যখন বিষন্ন মনে হয়, আঁকড়ে ধরি তাকে ভাবনার পাখনা মেলে জাগায় ,আমার হৃদয়কে। শব্দের মাতাল হাওয়ায় ছুঁয়ে যায়, আমার মনপ্রাণ   প্রেম  ভালোবাসায গড়ে তুলে ,কবিতার দালান বৃষ্টি মাখা আদর দিয়ে  ভিজিয়ে যায় যত মনের জ্বালা শব্দের মায়াজালে সাজিয়ে হৃদয়ে আমার  ছন্দের মালা।

বৃষ্টিতে শৈশব

মেঘলা আকাশ বাদল দিনে বুক দুরু দুরু মেঘের গর্জনে ঝম ঝমিয়ে  নামলো বৃষ্টি  চোখ জুড়ানো অপরূপ  সৃষ্টি থৈ থৈ জলে মাঠ ঘাঠ ভরে ব্যাঙ ব্যাঙাণীর নাচন ধরে কাপড় ভিজে বাড়ীর ছাদে কেও বা পড়ে মরন ফাঁদে কচিকাঁচারা মাতে বৃষ্টির জলে  মাঠে কাদা ফুটবল খেলে কাগজের নৌকা জলে ভাসে ছিপ নিয়ে যায় নদীর পাশে আইরে খোকন ঘরে আয় টাপুর টুপুর বৃষ্টিতে ভিজে বেড়ায় বৃষ্টি তে ভেজার পেলো ফল নাক দিয়ে পড়ে সর্দি জল যে চলে যায় আর আসে না বৃষ্টির পাশে শৈশব হাসে না রিনিঝিনি নুপুরে বৃষ্টি সুর তোলে  শৈশব বসে কাঁদে স্মৃতির আড়ালে।

বৃষ্টি ভেজা দিন

গ্রীষ্মের শেষ বেলায় ,তাপদাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ নবজলধারা হয়ে নেমে এসো, বর্ষার আহ্বান।  আষাড়ের কালো মেঘ ,ঢেকেছে  আকাশ শুকনো ধরণী সিক্ত হবে  দেয় যে আভাস এই বৃষ্টি ভেজা দিনে রিনি ঝিনি নুপুরে চুপি চুপি এলে তুমি আমার মনের ঘরে রিম ঝিম বর্ষায় ,মনের ভেজা জানালায় ছুঁয়ে যায় মন বার বার, স্নিগ্ধ বারিধারায়। ঝর ঝর ধারাপাতে, তোমার রূপের বাহার বৃষ্টি ভেজা দিনে একলা মনে  সঙ্গী  আমার। মাটির সোঁদা গন্ধে ,বাঁধন মানে না এ  মন রিম ঝিম বর্ষায় মন  ,শুধুই করে গুণ গুণ। বর্ষা তুমি এলে মনে পড়ে ,ফেলে আসা দিনগুলি শৈশবটা হারিয়ে গেছে ,বৃ্ষ্টি ভেজা দিনে অশ্রু ফেলি। বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর ,আড়ালে কান পেতে শুনি বর্ষার শীতল আবেশ ,হৃদয়ে বাজে ,  অনুরাগের ধ্বনি।

বৃষ্টির পরশ

নীতু ভালো করে জানে আবির কি ভাবছে ,,,,,,, এমন এক বৃষ্টির রাতে নীতুর জন্য‌ই আবিরের  প্রাণটা ফিরে পেয়েছে,,,রক্তাক্ত আবির  যন্ত্রনায় ছটফট করছিলো রাস্তায়  ,,, কেও তাকে সাহার্য্য করেনি ,,,  একমাত্র নীতুই   তাকে দেখে হসপিটাল নিয়ে গিয়ে সেবা শ্রুশ্রষা দিয়ে ভালো করে তুলেছে ,,,,,নীতুর ব্যবহার  আবিরকে খুব মুগ্ধ করে,,,,একদিন নীতুকে  ভালোবাসার কথা জানায়,,,  নীতু‌ও  মানা করতে পারেনি সেদিন ,,,,, সেও মনে মনে আবিরকে  ভালোবেসে ফেলেছে। বৃষ্টি আবিররের কাছে বেদনার থেকে‌ও ভালোবাসার পরশ বেশী।

মিনি সাগা,,,মুখোশের আড়ালে

হটাৎ  করে  সেদিন  রুমির  সথে  দেখা  হলো ,,,, যে রুমিকে আমি চিনি ,,,, সেই রুমিকে আমি সেদিন চিনতেই পারলাম না ,,,, প্রাণাজ্জল রুমি কোথায়  যেন হারিয়ে গেছে,,,,,আগের চেহারা আগের হাসি খুশী রুমিকে কোথাও খুঁজে পায়নি,,,,,  জানিস রমা ,, যাকে ভালোবেসে নিজেকে সোঁপে দিয়েছিলাম সে যে ধোকাবাজ বেরোলো,,,  মুখোশের আড়ালে এমন চেহেরা ভাবতেই পারিনি ।

হোলি

রঙের উৎসবে হোলি খেলে সব ভুলে রঙ মাখে গালে। খোকা খুকিরাও মেতেছে দেখো কেমন রঙের খেলায়  ফাগুনের ফাগে আবির  ছড়ায় বসন্ত বেলায় ছকে বাঁধা জীবনটায়  একটু খুশীর ছোঁয়া স্মৃতির পাতায় রঙ মাখে  ফাগুন হাওয়া।

ক্ষনিকের আনন্দ

শ্রুতি  এসে বারবার মাকে তাড়া দিচ্ছে কত দেরী হবে,, , কিন্ত সম্পা  হারিয়ে যাচ্ছে  নিজের অতীতে। সব স্মৃতি তাজা হয়ে গেলো। সকাল  থেকেই ব্যস্ত ,  পিকনিকের তৈয়ারী চলছে মেয়ের জন্য,,,। আবদার  করে  বলেছে, লুচি  আলুরদম  করে দিবে।, কলেজ  জীবনে    সম্পা নিজের  মাকে দিয়ে এমনটাই করিয়ে নিতো সত্যি  সময়  কেমন  কথা  বলে  যায়,,,, ।

জাগো নারী

খুলো পরাধীনতার শিকল মুছে নাও চোখের জল  শিকলে বাঁধা বন্দী জীবন  মানায় না নারীকে এখন নারী শক্তিতে জাগাও মনোবল‌ নারী বলে  হবে না  দুর্বল অনেক হয়েছে শাসন শোষন বন্ধ হোক নারী  নির্যাতন ঝড় উঠুক নারী স্বাধীনতার সসন্মানে  নারীর বাঁচার অধিকার।

চা য়ের অনুভূতি

চায়ের অনুভূতি উমা মজুমদার ১৫/৩/২১ স্বাদে গন্ধে  ভরপুর, একটি কুঁড়ি দুটি পাতা নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় সৃষ্টি ,চা য়ের সার্থকতা। দিনে রাতে চাহিদা ,হাটে বাজারে ফুটপাতে মাটির ভাঁড়ে,  চা য়ের তৃপ্তি  চলতে ফিরতে। বেঁচে থাকার আশ্রয় চা বানিয়ে পেট চালায় এক কাপ চা য়েতে সারাদিনের  ক্লান্তি মেটায়  ব্যস্ত জীবননের নিত্যসঙ্গী দিনের শুরু চা দিয়ে চা য়ে আছে অনেক গুণ ,লেবু চা  আদা দিয়ে  গল্প কথায়  আসর জমে, চা য়ের  বেশ আড্ডাটা ভালোবাসার মিষ্টি অনুভূতি, থাকে চা য়ের চুমুকটা।

নারী নয় অবলা

শ্রেষ্টত্বের মুকুট আজ তোমার মাথায় ধৈর্যে,শৌর্যে পরিচয় ,নারীর গরিমায়  সভ্যতার আড়ালে লড়ে যাও প্রতিদিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে পুরুষের সমান নারী তোমার কত রূপ তুমি এক জননী   তুমি  হলে সকল সন্তানের গর্ভধারিণী মাতৃরূপে  করুণাময়ী মমতাময়ীর ভান্ডার  দিচ্ছো পরিচয় তোমার নিজস্বতার দশহাতে ঘরে বাইরে সামলাও ,সমান তালে অপমানিত লাঞ্ছিত,তবু তুমি নারী বলে হবে না দিবস পালন, একদিনের জন্যে নারীর সন্মান হোক প্রতিদিনের প্রতিক্ষনে তুমি নারী ,তুমি সৃষ্টি  সংসারের ঢাল তুমি স্ত্রী ,কন্যা ,ভগিনী, মাতৃরূপে  তোমায় নমি নারীর সন্মান  ঘরে ঘরে ,নারী নয় অবলা পরাধীনতার শিকল খুলো ,পড়ো  জয়ের মালা।

নববধূ

নব বধূ সাজে  নতুন স্বপ্ন সাজিয়ে বৌ এলো আপন ঘরে পা রাঙিয়ে  ভুল ভ্রান্তিতে ভরা  জীবন আজ থেকে তবুও চলতে হবে জানতে হবে সবাইকে স্নেহের বাঁধন ছেড়ে এলে বাবার বাড়ী ভালোবেসে রাখবে তুমি শশুরবাড়ী পরকে আপন করে ভালোবাসা দিও দুঃখ কষ্ট আসুক যত মানিয়ে নিও।

মাতৃভাষা

কি করে ভুলি তোমায় মা আমার ভাষা মায়ের ভাষা হিন্দী ইংলিশের সংমিশ্রনে আজ  ভুলতে বসেছি রক্তে লেখা মাতৃভাষা নিজেদের বলিদান দিয়ে ইতিহাসে  যারা  লিখেছিলো মাতৃভাষার নাম সেই চিরস্মরণীয় দিনটাকে স্মরণ  করে জানাই শহীদদের শত প্রণাম মাতৃভাষা আমার স্বাধীনতা আমার মান  মাতৃভাষা  আমার জন্মগত অধিকার শুধু একদিনের জন্য নয় এই দিবস পালন কোন ভাষাকে করিনা অপমান বাংলা ভাষা  আমার অহংকার দুঃখ হয় তাদের  দেখে  যখন কিনা বলে বাংলাটা আমার আসে না ভালো করে মা র থেকে  যেমন বড় হয় না কখন‌ও কেও  মায়ের মত থাকুক আমার মাতৃভাষা হৃদয় জুড়ে

স্মৃতির অন্তরালে

                                                 দমদম                                                   ১১/২/২১ প্রিয়  জলি                                                                         তুই আমার ভালোবাসা নিস। আশাকরি খুব ভালো আছিস। কত বছর পর আবার তোর সাথে কথা বলছি । তোকে সেদিন ফেসবুকে  দেখার পর থেকে আর থাকতে পারছিলাম না ,, মনে হচ্ছিলো যেনো তোর কাছে পাখীর মত উড়ে চলে যাই।               কত বছর তোর সাথে কোন দেখা সাক্ষাৎ নেই বল তো,,,, যখন স্মার্ট ফোনটা ছেলে জন্মদিনে উপহার দিলো  ,,,আর শুনেছি কার‌ও নাম টাইপ করে সার্চ করলে তাকে পাওয়া যায় ,,সে লোভটা আর সামলাতে পারলাম না ,,,তখন সাথে সাথে তোর নামটাই যে সর্ব প্রথমে টাইপ করলাম,,,,সেই কবে থেকে  পাগলের মত তোকে খুঁজে চলেছি ,,, গৌহাটি গেলেই তোর কথা খুব মনে হতো জানিস,,,,,,এক সাথে স্কুল কলেজের দিনগুলো কাটিয়েছি ,, তোর সাথে কাটানো ফেলে আসা দিনগুলো কি করে ভুলি বল,,?,,আজও যখন মনে করি মনে হয় ফিরে যাই সে দিন গুলোতে,,,,একসাথে  স্কুলে যাওয়া তারপর মাধ্যমিক পাশ করার একেই কলেজে এডমিশন নেওয়া  ,,সত্যি তুই আর আমি কত ভালো বন্ধু ছিলাম,,,, । কত বন্ধু ছিলো

লকডাউন

দিন রাত কাটছেএই ভেবে  আগামী দিনটার কি হবে। বাইরে  ঘুরছে অজানা শত্রু লকডাউন বুঝিয়ে দিলো ঘরটাই  পরম মিত্র। মানুষকে করলেন গৃহবন্দী কোয়ারেনটাইন্ড মারন ভাইরাসে  জীবন আজ অবরুদ্ধ। সোশ্যাল ডিস্টানসিং, Quarantine, লক ডাউন  অজানা শব্দের ধ্বনিতে তছনছ মানব জীবন।  ভুলে গেছি  চেনা পথ চেনা শহর  লড়াই চলছে ,মানুষের সাথে জীবানুর। সকলে আমরা সকলের তরে লকডাউন মানতে বন্দী ঘরে।

মুখোশ

কত‌ই রঙ্গ দেখি এই দুনিয়ায় ভাই রে ভাই কে ভালো কে মন্দ   বোঝা বড় দায়। মুখোশের আড়ালে চেহেরা, কখন‌ও ভালো  কখন‌ও খারাপ   মূখে মিষ্টি পিছনে ছোরা, করে মধুর   আলাপ। বিশ্বাসটা আর নেই  ,ভালো মানুষের  বড়‌ই  অভাব দেখবো আরো কত কিছু ,বদলাবে না  এই স্বভাব।

শীতের মজা

শীতের হাওয়ায় লাগলো নাচন,  আমলকীর ওই ডালে ডালে জানালা দিয়ে মিষ্টি রৌদ , আহা কি  মজা শীতের সকালে। ঘুরে মজা খেয়ে মজা ,  শীতের মজা নাও লুটে পুটে খেজুর গুড়ের গন্ধ আসে , মায়ের হাতের পুলি পিঠে ছুটছে  সবাই দলে দলে   চিড়িয়াখানা আর বনভোজনে কেও বা করে শীতের ফ্যাশন  কারো বা কাটে শীত রাস্তার এক কোনে।
পথ আমারে সেই দেখাবে যে আমারে চায় আমি অভয় মনে ছাড়ব তরী, এই শুধু মোর দায় প্রভুকে স্মরন করে, হাজার পথ যাবো পেরিয়ে বাঁধা বিঘ্ন দূর করে ,আঁধারকে যাবো কাটিয়ে সময় হোক যত‌ই খারাপ ,শক্ত হাতে ধরব হাল সামলে নেবো জীবন তরী, হবে এক নতুন সকাল।

হারাতে চাইনা

জীবনের চলার পথে  বেঁচে থাকার আশ্রয় নিপুণ কলাকার হয়ে  করে যাচ্ছি অভিনয় মুখে হাসি বুকে কষ্ট  প্রতিনিয়ত হারাই নিজেকে মন অসহায় খুঁজে ফেরি সেই চেনা আমার আমিকে।