পোস্টগুলি

জুন, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মনে পড়ে

যেটা চলে যায় সেটা কি  আর আসে কখনো ফিরে মনের মাঝে স্মৃতির পাহাড় সামনে দেখলে তা মনে পড়ে।

স্বপ্ন সাজায়

তুমি কেন এত সুন্দর বলো না বৃষ্টি পড়ছো ঝরে অঝোর ধারায়  কি অপরূপ মিষ্টি  প্রকৃতি ভাসছে তোমার শীতল ছোঁয়াতে  শিহরণ জাগে মনে প্রাণে তোমার স্পর্শতে। মাঠ ঘাঠ জলে ভরে চাষীর মনে আনন্দ ধরে ঋতু আসে ঋতু যায় মনে মনে স্বপ্ন সাজায় আকাশ ছেয়ে মেঘবালিকা বসে আছে গুমড়ো মুখো হয়ে   বলছে ডেকে আষাঢ় এলে তবেই নামবে সে রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টির গান গেয়ে । সারাদিন ধরে ঝরে যায় টুপটাপ একাকী বৃষ্টি  চঞ্চল মেঘ এদিক ওদিক আপনমনে ছুটে বেড়ায়  ঝিরিঝিরি হাওয়া গাছের পাতা নুয়ে নুয়ে পড়ে  বৃষ্টির জল  এলোমেলো শৈশব স্মৃতি সামনে এসে দাঁড়ায় ।

মান ভঞ্জন

অনুগল্প... মান ভঞ্জন ...... ✍️ উমা মজুমদার ৮/৬/২৩ সকাল থেকে বারবার উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছি কিন্তু মিসেস  গাঙ্গুলির দেখা নেই। কি জানি শরীরটা খারাপ করলো নাকি।  মিসেস গাঙ্গুলি আর উনার স্বামী দুজনে খুব ভালো মানুষ।  সকাল হলেই জানালা দিয়ে কথা বার্তা চলে মিসেস গাঙ্গুলি র সাথে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে রান্নাবান্নার খবরা খবর  যেমন  প্রতিদিনের একটা পর্ব চলে ।  মনটা উসখুস করছে,, মোবাইল টা হাতে নিয়ে ফোনটা করেই ফেললাম। ফোন ধরেই আমাকে বলছে জানো তো মাথাটা প্রচন্ড গরম হয়ে  আছে,। কোথায় গিয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে কে জানে,,কত বেলা  হয়ে গেলো  মানুষটার  দেখা নেই। গতকাল সন্ধ্যায় একটা মুভি দেখাতে নিয়ে যেতে বলেছিলাম ,,,,  বললো মাসের শেষ হাতে টাকা নেই।  বলতো সব সময় কি বলি,, ওরা আমাদের একদম বুঝেনা ,,আমিও রাগ করে শুয়ে পড়ি। তাকেও  জলমুড়ি খেয়ে শুতে হলো।  আমি সব শুনে হাসছি ,,,সত্যি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কত কিছুই না চলে। রাগ অভিমান  এই মেঘ হটাৎ ঝরো  বৃষ্টি  এই তো ভালোবাসা। আমি মিসেস গাঙ্গুলিকে বললাম,,,কেনো এতো চিন্তা করছো  ,,,দাদা  দেখো বাজার সেরে  একেবারে মুভির টিকেট নিয়েই আসছে আর তোমার  মান ভঞ্জন করে বলবে চলো ডার্লিং

ঝরা পাতা

রূপ রঙ সৌরভে  ভালোবাসা  একগাল হাসি মুখে ছিলো সেদিন চৈত্রমাস চঞ্চল  হৃদয়ে প্রেমের ছবি আঁকে ফাল্গুনী বাহারে কৃষ্ণ রাধাচূড়া  মত্ত প্রেমের নেশায় চৈত্রের দাপটে প্রেমের ভাঙ্গন ভালোবাসার পরাজয়।  সর্বনাশী সুর বেজে উঠে দিগন্ত ছেয়ে প্রকৃতির রুদ্র মূর্তি তে তবুও ভালোবাসার আগুন জ্বালে  পলাশ বনে বেঁচে থাকার প্রতিশ্রুতিতে । ধূসর শূণ্যতার মাঝেও কেটে যায়  স্মৃতিতে প্রতিদিনের যাপিত জীবন   প্রকৃতির ও কি লীলা খেলা ঝরাপাতা  ঝরে পড়ে ফিরে পায় নতুন প্রাণ।

মনে পড়ে সেই দিনের কথা

✍️উমা মজুমদার ৭/৬/২৩ যাকনা জমে হারিয়ে যাওয়া  দিনের সেই পুরোনো আড্ডাটা ফিরে পাই বন্ধুদের সেই মিলনমেলা সময় কাটানোর সেই  চায়ের টেবিলটা। মনে পড়ে ছুটির শেষে ফেলে আসা  কলেজের কেন্টিনে সময় কাটানো নাইবা ছিলো দামি কফিহাউসের  কফির চুমুক দিয়ে স্মার্টফোনে ছবি তুলে সকলকে দেখানো।  ছিলো গোনা কটি টাকায়  গরম সিঙ্গাড়া ঘুগনি হাতে এককাপ চা আনন্দ উল্লাসে গল্প কথায়  পার করে দেওয়া মনের ইচ্ছা। সময়ের সাথে হারিয়ে যায় কতকি পিপীলিকার মত টেনশন আজ  জীবনকে  কুরেকুরে খায় মোবাইলের নীল আলোয় দিনরাত সর্বনাশের পথে এগিয়ে   যায়।

সংসার

সংসার মানে প্রতিদিনের খাতায়  কতনা ভাবনার বোঝা বয়ে বেড়ায় পুতুলের সংসার সাজানো গোছানো  মনে পড়ে হারানো সেই ছোটবেলায়। ভালো মন্দ সুখ দুঃখ হাসি খুশিতে ভরা সংসারে  চেনা অচেনা আপন পরের ভেদাভেদ  চাওয়া পাওয়ার হিসেব নিকেশ করে যায় নিরন্তর  সম্পর্কে র সুতো বিস্তার করে জীবনটা সংসারে আবদ্ধ। বাবার ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠে সকল সন্তান দায় দায়িত্ব কর্তব্যে তাঁদের লালন পালনে স্নেহ,মমতা ভালোবাসায়  গড়ে উঠে সকল সন্তান    আগামী ভবিষ্যত সুন্দর সুরক্ষিত হোক জীবনে। মা বাবা এগিয়ে যায় একটু একটু করে বার্ধক্যের পথে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত সন্তানের সফলতায় আত্মহারা খুশীতে মা বাবার দায় দায়িত্ব পালনের ঋণ শোধ বৃদ্ধাশ্রমতে তবুও মায়ের মঙ্গলকামনা সন্তান থাকুক ভালো দুধে ভাতে।

সুপ্রভাত

চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা যেমন আছে আকাশে  তেমনি চলে সৃষ্টির নিয়মে ফুল ফোটে গন্ধ ছড়ায় বাতাসে ।

অভয়দান

কার ভুলে কে দিলো মাশুল বিনাকারণে গেলো চলে কত প্রাণ দয়াময় প্রভু শক্তি দাও তাদের যারা হারিয়েছে আপনজনদের  মনে যেনো পায় অভয়দান  মৃত্যু সত্য জানে এই কথাটি তবুও যে ভয় হয় সামনে থেকে  দেখলে পরে । 🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻😌😌😌

অতীতের বিয়ের আনন্দ

স্কুল থেকে একদিন বাড়ি ফিরেছি মা বললো  আমার মাসির বিয়ে নাকি আমাদের বাড়িতে থেকেই হবে। ছেলের বাড়ি র লোকজন নাকি অতো দুরে গিয়ে বিয়ে করবেনা।শুনেই  যেনো কি আনন্দ হলো তা বলে বোঝাতে পারবোনা । বিয়ের খুব একটা দিন বাকী ছিলো না ।কয়েকদিন পর থেকেই  দেখলাম  আমাদের ঘরদোর সব রং করা হচ্ছে ,মাকে দেখলাম নতুন নতুন জানালার পর্দা বিছানার চাদর ,বালিশ এগুলো সব নতুন করে তৈরি করতে।। মা বললো সকলে আসবে  যেভাবে সেভাবে তো আর থাকতে দেওয়া  যায়না ।আমাদের জন্য নতুন জামা কাপড় সব কেনা হয়েছে। আমাদের আশেপাশে সকলেও খুব খুশি মাসির  বিয়ে এখানে হবে । সব সময় আমাদের বাড়িতে লোকজন আলাপ আলোচনায়। এখন সেসব  নিয়ে চিন্তা করতে হয়না।  তারপর সবথেকে যেটা আনন্দের বিষয়। যেগুলো আজকাল খুব মিস করি সেটা হলো রান্নার ঠাকুর । কি অপূর্ব  স্বাদের রান্না বন্না করতো একদম ঘরোয়া রান্না।বাড়ীতে ঠাকুরকে ডেকে আনা হলো উনারা এলো  বাবাকে   দেখলাম কিছু টাকা দিয়ে বায়না কর হলো বিয়ের রান্নার জন্য। তখনকার সময় এখনকার মতো ক্যাটারিং  সার্ভিস চালু হয়নি। আমাদের বাড়ির সামনেই অনেকটা জায়গা ছিলো সেখানে বিশাল প্যান্ডেল করে  বিয়ের কুঞ্জ  সাজানো হলো।স

কলিকালের হাওয়া

কয়দিন ধরে করছে বায়না ছেলেমেয়েরা  শিব দূর্গার কাছে গিয়ে   বেরিয়ে পড়লো  সপরিবারে শিব বাবাজি  বাইকে সকলকে চাপিয়ে।  দূর্গা মায়ের  আজ বেজায় খুশি  এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলো মনে মনে সারাদিন টা পার করে দেয় কৈলাশ পর্বতে  জটাধারী স্বামী বসে বসে ধ্যানে। বেশভূষা শিবের মতো তবে কি নেমে এলো ভোলেনাথ কৈলাশ থেকে কলিকালের লাগলো হাওয়া ভগবানের গায়ে   চোখ ছানাবড়া পুলিশের তাইনা দেখে যত‌ই হোক ভগবান ট্রাফিক রুল সকলের  জন্য এক সমান  দুজনের বেশী চড়তে নেই  হেলমেট টাও  নেই মাথায় দিতে হলো শিবকে না জেনে ফাইন।