পোস্টগুলি

মে, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমাদের মাঝে রবীন্দ্রনাথ সব কিছুতে কবিকে সামনে পাই,,,

রবীন্দ্রনাথ যেন আমার খুব কাছের একজন মানুষ বলেই মনে হয়,,,, আমাদের প্রতিটা বাঙ্গালীর  মনেই হয়তো সেই অনুভূতিটা আছে,,,,,,,,রবীন্দ্রনাথের প্রত্যেক কবিতা  গল্প সব কিছুই যেন আমাদের জীবনের অনুপ্রেরণা,,,,, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির কাছে এক বট গাছের  মত,,,,,যাঁর দর্শনের ছায়া মেলে ধরেছে তাঁর উপন্যাস গান কবিতাগুলি,,, আর সেই সাহিত্যই জীবনের বিভিন্ন পদক্ষেপে  আমাদের উজ্জিবীত করে চলেছে,,,, একটা সুখ হোক বা দুঃখ  অবসাদ হোক প্রেম বা বিরহ সমস্ত ক্ষেত্রে জীবনী শক্তিতে প্রেরণা দেয় তাঁর লেখা,,,,,শুধুমাত্র একটি বিশেষ দিন নয় বাঙালি রবীন্দ্রনাথকে রোজ উদযাপন করে  তাঁর লেখা কিছু বিশেষ লাইন সব সময়  যেন আমাদের   জীবনের সাথে মিলে যায়,,,,"যারে তুমি নীচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে" অহংকারের বশে মানুষ সত্যি একদিন মাটিতেই মিশে যেতে হয়,,,,,,,, রবীন্দ্রনাথ মানব জীবনে এমন কোন ভাব  নেই এমন কোন ক্ষেত্রনেই বা এমন কোন চিন্তা নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেননি,,,,, : তিনি মনে মনে দুঃখকেই যেন বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন কারণ  সংসারে যদি সুখের পরিমাণ বেশী থাকে তাহা হইলে মীমাংসার কোন সমস্যা থাকেনা জমা অপেক্ষা খরচ বেশী হইলে

অতীতের পাতায়

নিশিথ রাতের আঁধার গুলি প্রহর গুনছে টিক টিক করে দিন আসে দিন যায় সময় বহে যায় অতীত পড়ে থাকে স্মৃতির মিনারে ভার সাম্য দিন গুলি কালে কালে লিখে যায় সময়ের ছেঁড়া কাহিনী গহন রাতে আবার জ্বেলে দেয় হৃদয়ে স্মৃতির প্রদীপ খানি সময়ের যান্ত্রিক পথে হাত ধরে হেঁটে চলেছি যুগ থেকে যুগান্তর এক অবিরাম গতিতে হারিয়ে খুঁজি নূতন করে মনে পড়ে যায় কত কথা স্মৃতির পাতাতে কোথায় যে হারিয়ে গেলো সেই দিন যার অপেক্ষায় থাকতেম বসে আবেগ অনুভূতিতে পাতায় পাতায় শব্দের ছক ছিলো যেনো মনের পাশে কোথায় সেই হলুদ খাম শেষ কবে করেছি স্পর্শ তাও কি আর আছে মনে জানি তুমি আর আসবেনা কখনও তোমার যে আজ নেই প্রয়োজন কারো জীবনে আবেগ অনুভূতি ভালোবাসা সব কিছু নিয়ে চলে গেছো নিজের সাথে প্রযুক্তির আর্শীবাদ জীবনের অভিশাপ ফোনটা যে এসেছে সকলের হাতে আন্তরিকতার ছোঁয়ায় ছিলো একদিন স্মৃতি আঁকে জলছবি ফেলে আসা অতীতটা জীবন চলে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ভাসিয়ে দিয়ে সুখের ভেলাটা।

মা

আজ শুভ মাতৃ দিবসে পৃথিবীর সকল মা'য়ের প্রতি আমার শতকোটি প্রণাম ও গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাই,,,, আমার লেখা একটা ছোট কবিতা সকল মা'য়ের জন্য,,,, মা "মা " জীবনে সব কিছুর বিনিময়ে যাকে যায়না পাওয়া মা হলো সেই বৃক্ষ যার ছায়া তলে বসে নিরাপত্তার আশ্রয়ে স্বাস নেওয়া সোহাগ ভরা মায়ের পরশ মায়ের স্নেহ ভূলতে কি পারো কেও নিস্বার্থ মমতা ভালোবাসা সবেই তো দেয় উজার করে তার হিসাব কি নাও? তিল তিল করে বড় করে মা সকল দুঃখেও ছাড়ে না হাত একলা পথে মায়ের আর্শীবাদে কেটে যায় সকল আপদ বিপদ সন্তানের মঙ্গল কামনাতে মায়ের কাছে সন্তানেই হলো তার পৃথিবী সন্তানের চেয়ে বড় আর কিছুই নেই মায়ের ঋণ যায় না শোধ করা আছে পরম সুখ মায়ের কোলেই তবুও আজ ভিজে থাকে মায়ের চোখ না জানে কত বিনিদ্র রজনী কেটে যায় বৃদ্ধাশ্রমে তবুও ভালোবাসার একটু ছোঁয়ায় বুক ভরে যায় মা'য়ের মাকে ভালোবেসে করছে পালন মাতৃ দিবস মহা ধূম ধামে।

কবি স্মরণে

নূতন সূর্য নূতন প্রাণ নব দিগন্তের নব প্রভাতে আবার পেয়েছি  তোমায় নূতন করে এই মাটিতে বিশ্বের কবি বাংলার রবি সার্থক এই ধরাভূমি তোমায় পেয়ে আজ ধন্য মোরা চরণে তোমায় বার বার নমি পঁচিশে বৈশাখ রবির কিরণে  বেজে  উঠলো শঙ্খের  মহাধ্বনি আকাশ বাতাস মুখরিত সঙ্গীতে শোনা যায় যেন তোমার পদধ্বনি সময় বদলায় যুগ বদলায় সংস্কৃতির হয়েছে পরিবর্তন বাংলা ও বাঙ্গালীর  বুকের মাঝে সদা থাকবে তুমি চিরন্তন যদি তোর ডাক শুনে কেও না আসে তবে পথটা খুঁজে নিই তোমার গানে আলোকের ঝর্ণাধারায় ধুঁয়ে যাক আছে  যত দুঃখ কষ্ট  মনে দুঃখ দৈন্য হিংসা বিদ্বেসে ভরে আছে  আজ এই  দেশ আবার বাজবে একেই সুর যে সুরে ছিলো মানোবিকতার সন্দেশ মনে প্রাণে আজো আছো তুমি  প্রেমে আর বাংলার গানে গানে পঁচিশে বৈশাখের এই শুভ ক্ষনে প্রণাম জানাই তোমার   চরণে।   

ওরাও মানুষ

সুখের চাদর গায়ে দিয়ে স্বপ্ন দেখে যখন সবাই নরম বিছানায় তখন তারা বেরিয়ে পড়ে ভোরের আলো  তাদের পথ দেখায় তারাও তো মানুষ কেন  সুখের স্বপ্ন নেই ওদের চোখে উদয় আর অস্ত এই দুটোই  যে তাদের জীবনে পথ দেখে ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মাঠে তারা সোনার ফসল ফলায় সবার মূখে  যারা অন্ন যোগায় র্দুভাগ্য‌ই তাদের  পথ দেখায় দেশের অভাব মেটায় যারা কৃষক বলেই তাদের জানি অভাব অনটনে জীবন কাটায় না জানে আর কত আত্ম কাহিনী করি কি তাদের একবার‌ও মনে চুমুক দি যখন সকালের চায়ে চায়ের বাগানে করছে তারা দিন মুজুরি কেও ভাবে না তাদের নিয়ে তিল তিল করে  নিজেকে শেষ করে অন্যের স্বপ্নকে পোঁছায় উচ্চ শিখরে আকাশ ছোঁয়া ঘর বাড়ী  কল কারখানা প্রতিষ্ঠান  সবেতেই লেখা আছে শ্রমিকের নাম সোনার অক্ষরে শ্রমিক আর মালিক নেই যে কোন ভেদা ভেদা তারাও হয় মানুষ শ্রমিকরা নয় যে অবহেলিত তাদের উদ্দেশ্য ‌আজ পালন হয় মে দিবস।