পোস্টগুলি

জুন, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মায়ের শিক্ষা

মা বাবার আদরের মেয়ে সুমি ছোট বেলা থেকে খুব আদরে বড় হয়েছে  ,,,,,হাতের কাছে  সব কিছু পেয়ে যেতো কখনও তেমন কষ্ট করতে হয়নি  ,,,এক গ্লাস জলভরে খেতে‌ও কষ্ট হতো ,,,,সুমির  মা সব সময়  কিন্ত বলতো মেয়েকে নিজের কাজ গুলো নিজে করার জন্য কিন্ত সুমি সেগুলো  এক কান দিয়ে শুনতো আরেক কান দিয়ে বের করে দিতো ,,,,,সুমির সব সময় অসহ্য লাগতো মা এত কাজ কি ভাবে  করে,,,,সুমি মাকে  দেখে‌ও কিছু শেখার চেষ্টা করেনি,,,,,,, সুমির মা সব সময় এটা নিয়ে বেশ চিন্তা করতো ,,,,, বিয়ের  পরে যদি শশুর বাড়ীতে গিয়ে‌ও সে এমন ফরমাইশ করে তখন কি হবে,,,,, মেয়েদের বিয়ের পরে মেয়ে শশুর বাড়ী যাওয়ার পর  অনেক সময় কাজ কর্ম করতে না পারার জন্য মাকেইযে কথা শুনতে হয়,, দোষ দেওয়া হয়,,মা কিছুই শিখায়নি   আরো নানান কথা,,,,,,, এদিকে সুমি   নিজে পছন্দ করা এক ছেলেকে বিয়ে করেছে ,,,,,  যে ছেলেকে বিয়ে করেছে সে ছেলে মা বাবার‌ও একমাত্র সন্তান  ,,,,,,,,, সুমির বাবা পেশায়  ডাক্তার  ,,,,,,, বাবা সব সময়  মেয়েদের একটু বেশী ভালোবাসেন তথাপি সুমির  বাবা‌র‌ও যে চিন্তা ছিলো না তা নয়,,,,,, সুমির শাশুরি কিন্ত প্রচন্ড কড়া মেজাজের মানুষ ছিলেন তা

লকডাউন

সকাল হয় ঘুম ভাঙ্গে তাড়া নেই আজ সময়ের স্কুল কলেজ অফিস বন্ধ তালা পড়েছে জীবনের থমকে গেছে মানুষ বদলে গেছে চেনা  পৃথিবী লকডাউনে হারিয়ে গেছে ভালো থাকার চাবি প্রাণঘাতী ভিনগ্রহের প্রাণী  ঘুরছে শহরে শহরে স্তদ্ধ জীবন আর্শীবাদ না অভিশাপ  জীবনের তরে পরিস্কার বাতাস শান্ত সমুদ্র সবুজে সবুজে বিকশিত  দেশে দেশে লকডাউন নতুন শব্দে জীবন জর্জরিত বন্দী মোরা ঘরের ভীতরে একমাত্র জীবনকে বাঁচতে   স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে প্রকৃতি দূষন মুক্ত পৃথিবীতে লকডাউনে জীবন বিপন্ন জীবিকা নিয়েছে কেড়ে ঝড়ের মত ধেয়ে আসা মৃত্যুর হাহাকার পৃথিবী জুড়ে ভয়ের চেয়ে ক্ষুধার জ্বালা বেশী নিষ্ঠুর এই উপবাস ভেঙ্গে পড়েছে ব্যবসা বাণিজ্য  অসহায় আজ মানুষ একটাই প্রার্থনা নিরাপদ হোক সবার আগামী দিনগুলো আঁধার কেটে জীবানুমুক্ত পৃথিবীতে উঠুক নতুন আলো ।

শীতল পরশ

আকাশে আজ বিষন্নতার মেঘের ছায়া গোধূলী বেলায় সূর্য্যের রক্তিম আলোর ছোঁয়া প্রকৃতির বুকে চলে সৃষ্টির অপার‌  খেলা দূর গগনেতে নেমে আসে  রবির অস্তবেলা গোধূলীর রক্তিম আভা কানে কানে বলে  যায়  আসবো আবার কাল সকালে বলবো না বিদায়  চেয়ে দেখো গুরু  গুরু মেঘ গর্জন করে আসছে ধেয়ে উত্তপ্ত দিনের শেষে প্রাণ জুড়াবে শীতল পরশ পেয়ে।

অপেক্ষা

অপেক্ষা তিন মেয়ে এক ছেলে ,,,,,,,রেল‌ওয়েতে চাকরী করতেন খুব ভালো পদে ছিলেন পরিতোষ বাবু,,,,এক টুকরো মাটি কিনেছিলেন  ,,,,,স্বপ্ন ছিলো যে রির্টায়াড হ‌ওয়ার পর নতুন বাড়ীতে যাবে ,,,,বহু বছর কোয়ার্টারে থেকে আর ভালো লাগছিলো না ,,,,,,,সব সময় বলতেন এবার বাড়ীতে গিয়ে ভালো করে  স্বাস নেবেন সেই জন্য  তাড়াতাড়ি করে বাড়ীর কাজটা শুরু করেছিলেন ,,,,,,,একদিকে বাড়ীর কাজ আরেক দিকে  ছেলেটাও সাইন্সে  গ্রেজুয়েশন করে আর কমপিউটার  কোর্স করেও ভালো চাকুরী না পাওয়াতে টেনশন ছিলো,,,,,,  মেয়েরা যেমন পরিতোষ বাবুর প্রাণ ছিলো তেমনি ছেলে ছিলো জীবন,,,অত্যন্ত ভালোবাসতেন,,,আজ হয়তো উপর থেক সবে দেখছেন আর খুশী হচ্ছেন সবাইকে দেখে,,,,,,, মেয়েদের  প্রাণের থেকে বেশী ভালোবাসতেন,,,,,,সবসময় বলতেন আমি আগে ছেলেকে বিয়ে দেবো  ব‌উ আনবো তারপর আমার ছোট মেয়েকে বিয়ে দেবো ,,,,,,ঘরে মেয়ে এনে তারপর ছোট মেয়েকে বিয়ে দেবে এটা সব সময় বলতো ,,,,,,,,,কিন্ত সময় যে বড় বলবান,,,,, অপেক্ষা করতে চেয়েছিলো পরিতোষ বাবু কিন্ত সময় যে তাকে করতে দিলো না,,,,, ভেবেছিলো ছেলেটা একটা ভালো চাকরী পাওয়ার পর নতুন বাড়ীতে যাবে ছেলেকে বিয়ে করাবে ঘর

ঘর বাহির

আমার ঘর বাহির.......... ঘর আর বাহির দুটোই আমি খুব কাছ  থেকে দেখেছি,,,,,,,আজ‌ও সমপরিমানে  ঘর আর বাহির দুটোই করছি,,,,,,,,,,, সেজন্য আমার কোন আক্ষেপ নেই ,,,, ,,, দরকার হলে বাইরে গিয়েও সব করছি,,,,,,জীবনতোমাকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়,,,,,,,,, শুধু চাকরী করলেই যে বাহির হয় তা আমার অভিজ্ঞতা বলে না,,,,,,খুব ছোট বয়সে আমার বিয়ে হয়েছে ,,,,,কলেজে পড়তে পড়তে  বিয়ে হয়ে গেছে ,,,,,,,তিন বোন ছিলাম  বাবার ভাবনা  ছিলো চাকরী থাকতে থাকতে যদি   বাবা আমাদের তিনবোনকে বিয়ে দিয়ে যেতে পারে তাহলে বাবার জন্য হয়তো ভালো হবে,,,,,তবে    ছোট বোনকে আর দিয়ে যেতে পারেননি,,,,,,,,,,,বাবার আর্শীবাদে আমরা তিন বোন এখন অনেক ভালো আছি ,,,,,  জীবনে বাইরে গিয়ে  চাকরী করার মত সুযোগ পাইনি ঠিকেই তবে নানান পরিস্থিতিতে  খুব ভালো করে  ঘর আর বাহির দুটোই সামলাতে শিখেছি,,,,, ,,,,, চাকরী করলে শুধু বাইরের জগত দেখা যায়না ,,,,,,,জীবনে তোমার এমন পরিস্থিতি নিয়ে আসে যখন তোমাকে  ঘরের থেকে বের হয়ে বাহিরটা‌ও সামলাতে হয়,,,,, ,,,,,এখনকার মেয়েরা কারো উপর  নির্ভর হয়ে থাকতে চায় না ,,,স্বনির্ভরশীল হতে বেশী পছন্দ করে ,,,,,, তবে আমি নিজেকে

শ্রদ্ধাঞ্জলী

  "কষ্ট যদি দাও হে প্রভু, শক্তি দিও সহিবার" বিপুল এই সংসার দুঃখ কষ্ট হাসি কান্না  ,,,,, সব আছে সমান সমান ,,,,,,,, চলেছে জীবনে একেই সাথে,,,,, সহিবার শক্তি‌ও যে তিনি দিয়েছেন প্রভু পরমেশ্বর,,,,,,,,, বিষাদ ছুঁয়েছে আজ সকলের মনে ,,,, চরম পরিস্থিতির  মাঝে জীবন আজ সংশয় কালবৈশাখী ঝড়ের মত এসেছে দুঃখের রাতটা,,,,,,,,,,,, আমরা জয় করবো আমাদের ধৈর্য্য শক্তির দ্বারা  এই কালো রাতকে,,,,,,,,,, দুঃসময় মানুষকে ধৈর্য্য শক্তির পরিচয় নেয় ,,,,,, কালো অন্ধকারকে জয় করে আলোর  পথে  পা বাড়াতে শেখায়,,,,,,,,,, আজ দুঃসময়টা আমাদের জীবনে  পরিযায়ী পাখীদের মত,,,,,,,,, এসেছে আবার চলেও যাবে,,,,,,, আমাদের জীবনে  দুঃখ কষ্ট আসবে না শুধু আনন্দ খুশীতে থাকবো এটা আশা করাও ভুল,,,,,,,, কিছু দুঃখ কিছু কষ্ট  জীবনের জন্য  মাঝে মাঝে খুব প্রয়োজন হয়,,,,,, বিপদের সময়  আমরা ভেঙ্গে যেনো না পড়ি,,,,,,, বিপদ বলে আসে না কথাটি খুবই পরিচিত ,,,,, বিপদ যেকোনো সময় আসতে পারে,,,,,, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তিনি সর্বশক্তিমান তিনি আমাদের সকল শক্তি ও সাহস দেবেন ,,,নতুন  আলোর পথ তিনিই দেখাবেন,,,, ,,,,কিছু খারাপের মাঝেও  কিছু ভাল

শ্রদ্ধাঞ্জলী

নজরুল জন্ম জয়ন্তী শ্রদ্ধাঞ্জলী..... "কোন কালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারী প্রেরণা দিয়েছে শক্তি দিয়েছে বিজয় লক্ষী নারী" মানব সভ্যতার অপরিহার্য দুটি উপাদান নারী ও পুরুষ,,,,,,,, মহান স্রষ্টা নারী ও পুরুষ উভয়কেই সৃষ্টি করেছেন,,,,,,,, এই সমাজ ও  সভ্যতা   গঠনে নারী পুরুষ ছাড়া চলবে না,,,,,,,  তাই দুজনের অবদান  সমাজ ওসভ্যতার ভারসাম্যকে বজায় রাখে,, কিন্ত যুগ যুগ ধরে মানুষের অন্ধ বিশ্বাসে নারীকে সব সময় পুরুষের নীচেই সব সময় স্থান দিয়েছে,,,,,,, ফলে নারী তার উচিত সন্মান কোনদিন পাইনি,,,,,,ড নারী মানেই শক্তি,,,,,, পরিবার সংসার সন্তানদের দেখা শোনা অফিস সব কিছু সামলিয়েও এক নারী তার বাহিরে‌ও পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে  সমান তালে চলতে পারে,,,,,সেটা আমরা বহু যুগ যুগ ধরে দেখে এসেছি,,,,,,,, পৃথিবীতে যেসব গৌরবময় কাহিনী সৃষ্টি রয়েছে তাতে নারী পুরুষের অবদান সমান সমান,,,,,,,,পৃথিবীতে যত  রক্তপাত বেদনা দুঃখ কষ্টের যে স্রোত ভেসে গেছে তাতেও নারী পুরুষ সমানভাবেই দায়ী,,,,,,,  দেশকে স্বাধীন করার থেকে আজ অব্দি নারীর অবদান কম নয়,,,,,,,,,,,,,,,, তৎকালীন সমাজে নারীদের অবদান স্বীকৃত ছিলো না,

ভক্ত আর ভগবান

ভক্তের সাথে ভগবানের একটা গভীর সম্পর্ক আছে,,,,,ভগবান কে আমরা দেখতে পাইনা সত্যি কথা তথাপি আমরা সারাক্ষন ভগবানকেই ডেকে চলি ,,,,,,,,,এটা আমাদের মনের বিশ্বাস,,,,,,,, অন্তরে ভক্তি থাকিলে আমাদের ভগবানের কাছে যেতে হয় না,,,,,,,যেখানেই থাকি না কেনো ভগবান সেখান থেকেই আমাদের সাড়া যে দেন,,,,,,,,,,,,,,,ভক্তের  ভক্তিতে ভগবান বাঁধা পড়ে যায়,,,,,,,,, আমরা যদি আমাদের মনকে জয় করতে পারি তাহলে সব বাঁধা বিপত্তি আমরা জয় করতে পারবো,,,,,           মন যখন নিয়ন্ত্রিত থাকে তখন  জীবনের  সব পূর্ণতা লাভ করা যায়,,,,,,বিশ্বাসে মেলে মুক্তি,,,,,,ভগবান আমাদের ভালোবাসেন,,,,,,, তাই সময়ের  ঝড় যখন উঠেছে  তখন   তিনিই থামাবেন ,,,,,,  সারাবিশ্বের মানুষ যখন করোনার ভয়ে গৃহবন্দি হয়ে পড়ছে,,,,,,,,তখন দিনের পর দিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসক চিকিৎসাকর্মীরা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবা করে যাচ্ছেন,,,,,,,,,, প্রতিদিন শত শত মানুষের মৃত্যু দেখছেন,,,,,,,,,,, তাদের মনের উপর কতটা চাপ পড়ছে,,,,,,,,,,,,  কিন্তু এই অবস্থাতেও তারা শুধু নিজেদেরই নয় সাধারণ মানুষকেও ভরসা যোগাচ্ছেন,,,,,,,,,,,,,,এখন তারাও আমাদের কাছে ভগবানের সমান

অনন্য কীর্তি তুমি তাজ

সোনালী আভায় তাজ  তোমার মনোরম ঝড় ঝঞ্চা জলোচ্ছ্বাসে স্থির অটল তুমি, পথে প্রান্তরে ছড়িয়ে আছে নৈসর্গিক নিদর্শন রূপে লাবন্যে ভরা আমাদের এই ভারতভূমি। অনন্য কীর্তি মুঘোল সম্রাট শাহাজাহানের,  অমর সৃষ্টি ভারতের ঐতিহ্য  তাজমহল যমুনার তীরে শ্বেত শুভ্র দাঁড়িয়ে থাকা তাজ হাজার শ্রমিকের কঠিন পরিশ্রমের চোখের জল।  শাহাজান মুমতাজের  ভালোবাসার অমর গাঁথা শ্বেত মর্মর পাথরের মনোরম সৌন্দর্য্য তাজের শিরে, ভালোবাসার এক অপূর্ব নিদর্শন  প্রেমের  প্রতীক অমর করে রেখে দিলো ভালোবাসাকে তাজ করে।  পাথরের গায়ে লেখা আছে শ্রমিকের শ্রমের শ্বেত বিন্দু পৃথিবীর বুকে সৃষ্টি হয়েছিল সৌন্দর্য্যের মনোরম তাজ, সময়ের চাকা ঘুরছে ইতিহাসের পাতা পালটে গেছে  দুচোখ ভরে দেখে তাজ ভুলে গেছে তাদের কথা আজ।

নতুন পৃথিবী

"আমি আবার কাঁদবো হাসবো জীবন জোয়ারে ভাসবো" সুখে দুঃখে থাকবো একে অপরের পাশে আনন্দ খুশী ভাগ করে নেবো ভালোবেসে ঝগড়া বিবাদ ভুলে নতুন পৃথিবী  গড়বো এই কথাটি সদাই মোরা সকলে মনে রাখবো।