পোস্টগুলি

2019 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হৃদয়ের কথা

না বলা কথা আজ‌ও জমে আছে হৃদয়ের পাতায় নীরব ভালোবাসার ছোঁয়া  হৃদয়ে বয়ে বেড়ায় পারেনি বলতে কখন‌ও  ভালোবাসে তোমায় এই অবুঝ মন পথ চেয়ে ভালোবাসার আশায় মিথ্যে ভালোবাসার খেলা হৃদয়ে দেয় বড় ব্যাথা ভালোবাসা  আসে চুপি চুপি বলে যায়  মনের  কথা ঝরা ফুলের পাপড়ি ঝরে যায় মৃদু গন্ধ ছেড়ে যায় মাটিতে ভালোবাসার ছোঁয়া সর্বক্ষন হৃদয়ে খেলা করে মনের সাথে।  

ভালোবাসা শরতের

একদিন ছিলো বর্ষা সকলের হৃদয়ে চায়না দেখতে আজ  শরতের আকাশে প্রয়োজন হলেই   সবাই বর্ষাকে ডাকে চুপি চুপি শরৎ এসে হাজির বর্ষার পাশে বর্ষা সে যে চলে যাওয়ার  ছিলো কথা তবুও  বসে আছে  মেঘলা আকাশ জুড়ে সিংহাসনের লড়াই চলছে মেঘের আড়ালে শরতের ভালোবাসার কাছে  বর্ষা যায় হেরে দুজনের বন্ধুত্বে হয়  আকাশ ঝলমল সাদা কালো মেঘ ভেসে বেড়ায় নীলকাশে রৌদ বৃষ্টি নিয়ে মেতে থাকে দুজনে প্রকৃতির বুকে বর্ষাও শরতের অপরূপ শোভায় যেতে চায় ভেসে শরতের ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ে দিক দিগন্তে শিউলির সুভাস শরতের নির্মল বাতাসে ভেসে বেড়ায় আকাশে বাতাসে ভেসে আসছে  আগমনীর গান কাশের মেলা সেজেছে মাঠে শরতের ভালোবাসায়।

শিক্ষক দিবস

জীবনের  প্রথম গুরু  মা বাবা তাদের  হাত ধরে জীবনের   শিক্ষা নেওয়া কথা বলা হাঁটতে শেখার হাতে খড়ি বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি শিক্ষার প্রথম  জ্ঞান জীবনের প্রথম পাঠ পড়া মা র থেকেই হয় শুরু তাঁদের কে জানাই  অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা অতীতের পাতায় আজ‌ও আছেন   যাঁরা যাঁদের শিক্ষায় হয়েছি আজ এতো বড় তাঁরা‌ই দিয়েছেন জ্ঞানের মূল মন্ত্র প্রিয় শিক্ষক শিক্ষিকা তাঁরা  আছেন এখন ও হৃদয়ের উচ্চ আসনে শিক্ষক বিহীন  শিক্ষা জীবনে লক্ষহীন জাহাজের মত অজ্ঞানতা দূর করে আলোর পথে নিয়ে যান এক শিক্ষক এই জীবনে জানার  যে নেই শেষ যত‌ই দেখি তত‌ই শিখি জীবন এক পাঠশালা শিক্ষকের স্থান জীবনে সবার উপরে  ছিলো এক সময় এখন শিক্ষকের মর্যাদা সন্মান সবেই  আজ হচ্ছে ভুলন্ঠিত নেই সেই সহজ সরল শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষকের সেই মহান উদারতা আজ শিক্ষা ও  শিক্ষক দুইয়েই  যেনো টাকায়  বিরাজমান তবুও যে সে শিক্ষক  সকলের জীবনের শিক্ষা গুরু প্রেরনা পথ দেখায় জীবনকে উজ্জল ভবিষ্যতের দিকে শিক্ষক শিক্ষা জীবনের পাথেয় আজ এই মহান শিক্ষক দিবসে  সকল শিক্ষক যেনো পায় তাঁদের সন্মান ও পূর্ণ্য মর্যাদা।

মা যে সবার

সাদা মেঘের ভেলা সেজে উঠেছে  মা কে নিয়ে যেতে হবে বাপের বাড়ী শিউলি বিছানো পথ দিয়ে মা হেঁটে  যাবে কাশ মেলা মা য়ের বন্দনায় দাঁড়িয়ে আছে রূপের রানীতে সেজে প্রকৃতিও নেচে যাচ্ছে শরতের স্নিগ্ধ বাতাসে সবার বায়না উৎসবের এই কয়টাদিন যেনো  বর্ষাকে না দেখি শরতের পাশে মায়ের অপেক্ষায় উৎসবের আর কয়টা দিন বাকী কোটি টাকার প্যান্ডেল সেজেছে আলোয়  দুগ্গা মা থাকবে কয়দিন সেখানে পথের ধারে এক মা ভিক্ষের বাটি নিয়ে  ছিঁড়ে ফাটা কাপড়ে কাটায়  দিন প্রোতিযোগিতা চলে প্যান্ডেলে মায়ের চরণ ধূলায় মোবাইলে  মায়ের সাথে  সেলফি তুলতে ব্যাস্ত সবাই পূজোর বাজার চলছে বড় দোকান আর মলে  এত খুশীর মাঝেও কষ্ট হয় মনে যাদের ঘর বাড়ী বন্যার জলে গেছে ভেসে কেও বা আশায় থাকে মা আসছে নিশ্চিন্তে  খাওয়া জুটবে কয়দিন মা আসে সকলের কাছে তবুও দুঃখ হয় কখন‌ও মা কি পারে না তাদের দুঃখ দূর করতে অনাহারে  অসহায়ে দিন কাটায় যারা  তাদের ও যে ইচ্ছে হয় মা কে নিয়ে আনন্দ করতে।

রাখী এক বন্ধন

দৌপদী বানিয়ে ছিলো ভাই শ্রীকৃষ্ণকে ভাইয়ের শপথ  যায় না বৃথা বাঁচায় বোনকে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পায় পবিত্র বন্ধনে রাখীর বন্ধন দৃঢ় করে তোলে ভাই বোনের সম্পর্ককে সেই পবিত্র বন্ধন  পালিত হয় শ্রাবণী পূর্ণিমায় সেজে উঠে রাখী  ভালোবাসা আর মমতায় বেঁধে দেয় বোনরা পবিত্র সুতা ভাইয়ের হাতে রক্ষা কবচ হয় ভাইয়ের  বোনদের মঙ্গল কামনায় ভালোবাসার এই বন্ধন ভাইয়ের শপথ বোনদের করবে রক্ষা সকল বিপদ থেকে রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও  যে হয় এই বন্ধন রাখী বন্ধনের সাথে সম্পর্কের এক মিলন পথ সকল ধর্মের মানুষ এক হয়ে  উৎসব পালন সহায় করে সমাজে একতা বাড়াতে এই যে নয় শুধু  রাখী বন্ধন সৌভ্রাত্বের ঐক্যতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা জাগিয়ে তোলে সংস্কৃতিতে।

স্বাধীনতা তুমি

১৯৪৭ সনের ১৫ই আগষ্ট আমরা পেয়েছিলাম আমাদের স্বাধীনতা। পরাধীন ভারতকে  ইংরেজদের থেকে মুক্তি করে স্বাধীনতার সূর্য্য দেখিয়ছিলো। বিন্দু বিন্দু রক্ত দিয়ে যাদের জন্য আজ আমরা স্বাধীনতা পেলাম  তাঁদের এই অবদানের কথা কি করে ভুলি। স্বাধীনতা পেয়েও যেনো আমরা এখন‌ও স্বাধীনতার লড়াই করে চলেছি। আজ এই নব প্রভাতের  পুণ্যকিরণে  স্বাধীনতা দিবসে সকল  দুঃখ কষ্ট  দুর্নীতি  সব দূর করে  যেনো এক নূতন প্রভাতের সূর্য্যদ্বয় হোক। যাঁদের রক্তে আমরা আজ স্বাধীনতা পেলাম তাঁদের  আত্মত্যাগের কথা ভুলে নিজেদের মধ্যে লড়াই  করি। বহু  ত্যাগের বিনিময়ে আজ এই  স্বাধীনতা। স্বাধীনতা পেয়েও যেনো আমরা   পরাধীনতার বেড়ি পড়ে আছি। হাজারো সন্তানহারা মায়েদের  বুক ফাটা আর্তনাদে  আকাশ  বাতাস‌ ও যেনো কেঁদে উঠে প্রাণ। দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে আজ‌ও কত  সৈনিক শহীদ হচ্ছে। ছোট শিশু কন্যা থেকে শুরু করে যুবতী কার‌ও নিস্তার নেই ধর্ষণ কারীদের হাত থেকে।  মেয়েদের ক্ষেত্রে  আজ‌ও  স্বাধীনতা  শুধু নামেই রয়ে গেছে। আমাদের এই সমাজে এখন‌ও মেয়েদের অবহেলা করা হয়। তবে আজ মেয়েরা মাথা তুলে বাঁচতে শিখেছে। অত্যাচারের জবাব দিতে জানে। আমাদের এই স্বাধীনতা

বিশ্বকবি

আজ আবার এলো সেই বিদায় বেলা বাইশে শ্রাবণ হারিয়ে ছিলো  দেশবাশী এক  হীরে  মুল্যবান ভালোবেসে তোমায় বসিয়ে ছিলো হৃদয়ের আসনে তোমার কবিতা তোমার কাব্য  সাহিত্যের মাঝে দিয়ে আজ‌ও তোমাই পাই  ক্ষনে ক্ষনে পঁচিশে বৈশাখ আর বাইশে শ্রাবণ সদায় মনে পড়ে তোমায় এই দিনে সকলের হৃদয় শূন্য করে  চলে গিয়েছিলে তুমি বাইশে শ্রাবণে মৃত্যু যে সত্য তবুও  যে আজ‌ও কেঁদে উঠে প্রাণ  তোমার স্মরনে চিরস্মরণীয় তুমি তোমায় পেয়েছি  কবিতা আর গানে তোমার অবিনশ্বর  রচনাবলীতে আজ‌ও চোখ মেললেই খুঁজে পাই  বাংলার জল আকাশ  বা প্রকৃতির ইতিহাস তোমার কবিতার মাঝে দিয়েই মৃতুকে জেনেছি কেও চলে গেলে হয়না জগ‌ৎ শেষ হে প্রিয় কবি আজ  ২২শে শ্রাবন তোমার এই মহা প্রয়ানদিবসে আমাদের সাথে  আকাশের‌ও মূখ ভার তোমার স্পর্শ আজ‌ও খুঁজে পাই  গীতাঞ্জলি সঞ্চয়িতা দিয়েছো আমাদের   মহা মুল্যবান উপহার।

জীবনের কাছে একটু চাওয়া

জীবনটাই তো আজ মিথ্যে কি হবে রেখে বাজি মনের কথা বলতে চাই  যদি থাকো তুমি রাজি জীবনের চাওয়া পাওয়া হয় না কোনোদিন অবসান সব কিছুই পড়ে থাকে এই জীবনে মনে নিও না কোন রাগ অভিমান তবুও জীবনের কাছে এক ছোট চাওয়া জীবনের এক গান ভালোবাসার গান যে গানে  থাকবেনা কোনো বিসাদের ছোঁওয়া কখন‌ও যদি ভুলে  যাও আমায় জীবনে চলার পথে এই গানেই হবে  আমার জীবনসঙ্গী চলবে আমার সাথে ভালোবাসার এক অঙ্গীকার করছি আমি  তোমায় চিরস্মরনীয়  হয়ে থেকে যাবে এই গান হৃদয়ের খাতায় তোমার কাছে একটু চাওয়া দিয়ো একখানি গান আমায় উপহার ভালোবাসার সুরে বাজবে এই গান  হৃদয়ে আমার।

জীবন যুদ্ধ

গতানুগতিক পথ ধরে হেঁটে চলেছি জীবনের পদযাত্রায় সবাই  ব্যাস্ত  কারো কাছে নেই সময় পথ চলতে  চলতে চেনা মূখ গুলো কখন যে অচেনা হয়ে যায় নানা বাধা বিপত্তি  মান অভিমান   দুঃখ যন্ত্রনা বোঝায় মনটা চলছে নীরবতার মিছিলে শ্বাস নিতে চায় খোলা আকাশে হৈ হূল্লোর করে  সময় কাটাতে মন চায় পরিবারকে কাছে পেতে এলোমেলো ভাবনা গুলো মনে এসে  বাসা বাঁধে জীবনের প্রাচীর ভেঙ্গে মন ছুটে চলে চলতে চলতে পথে কখন‌ও খুশীর এক টুকরো মেঘ ভেসে আসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় মনকে সুখের পরশ বুলিয়ে যায়  ধরে রাখে সময়টাকে হাতের মুঠোতে জীবন থাকে সময়ের অপেক্ষায় আবার কবে দেখা হবে তাদের সাথে ভালো থাকার  পথটা নিজেকেই খুঁজে নিতে হয়   বিচিত্র এই জীবনে জীবনের মানে যে সত্যি    বদলে গেছে হৃদয় কাঁদে সময় কাঁদে পিছনে ছেড়ে এসেছে অনেটা পথ না জানে আর কত চলতে হবে সবাইকে যে থামতে হবে একদিন। ‌  

ঘরে ফেরার পালা

অঝড়ে ঝরে চলেছো একবার তাকিয়ে দেখো জলে ভাসছে শহর গ্রাম, বন্যার করাল গ্রাসে ঘর বাড়ী গুলো ভাসছে হাহাকার আর্তনাদে বানভাসি মাতাল বন্যা জীবন বিপন্ন প্রাণ গুলো চাপা পড়ে মাটি ধসে বারিধারায় সিক্ত এই প্রকৃতি এর থেকে কেও পায় না মুক্তি ভেঙ্গে দিয়েছো কি আকাশের বাঁধ পথ ঘাট যেনো সব মরন ফাঁদ চলতে ফিরতে যায়না চলা কোনটা রাস্তা কোনটা নালা তুমি অপরূপা তুমি বর্ষার রানী কিন্ত আজ যে তুমি ভয়ঙ্কর প্লাবনি দিশাহীন মানুষগুলো পাইনা কূল কিনারা ক্ষধার্ত তৃষ্ণার্ত বস্ত্র হীন হয়ে সর্বহারা জন জীবন আজ অচল অবস্থায় সকলে বাড়িয়ে দেয় হাত সহায়তায় নীলাকাশে নেই মেঘেদের আনাগোনা সূর্য্যের নেই দেখা হারিয়ে গেছে কি ঠিকানা? বৃষ্টি এবার তোমার ঘরে ফেরার পালা আতঙ্কিত মন নিদ্রা নেই চোখে ভাসিয়ে নেয়ে যাও কখন রাতের বেলা।

আধুনিকতার জয়জয়কার

আধুনিকতার স্বভাবে কেও ছেঁড়া কাপড় পড়ে দুঃখ দুর্দশা অসহায়ে কেও অভাবে ছেঁড়া কাপড় পড়ে তাদের নেই কোন আধুনিক হ‌ওয়ার স্বপ্ন দারিদ্রতাই তাদের জীবন যাপন সভ্যতার নামে  সমাজে দিন দিন  মানসিকতার হচ্ছে পরিবর্তন পোশাক আশাকে তারা আধুনিকা ফ্যাশন নিয়ে চলে পাশ্চ্যত্যের তকমা নিয়ে আধুনিকতার পোশাকে তাকেই ফ্যাশন বলে কালের স্রোতে ভূলে যায় নিজেদের সংস্কৃতি আধুনিক সভ্যতার জয়জয়কার সংস্কৃতি নেয় নূতন  আকৃতি দারিদ্রতা যাদের  নিত্য ফ্যাশন তারাই  একমাত্র জানে ছিন্ন বস্ত্রের কষ্টটা ফ্যাশনের স্রোতে গা ভাসিয়ে চলে অত্যা ধুনিক সমাজটা।

চাহিদদার তৃষ্ণা

জীবনে আজ বড্ড হিসেব নিকেশ চলছে সারাক্ষন শুধু দর কষাকষি প্রাণ খূলে হাসতেও যেনো মানুষ ভূলে গেছে চাহিদা আর প্রাপ্তির অংক কষে যায় মানুষ  দিন রাত্রি চাহিদা গুলো ক্রমাগত সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে এরেই মাঝে  রাত নামে  নূতন সূর্য্য উঠে চাওয়া পাওয়ার পথ আর শেষ হয়না এই তৃষ্ণার বুঝি আর শেষ নেই  চাহিদার তৃষ্ণায় মরীচিকার পিছনে অনুসরন আমরা সবাই ছুটে চলেছি অনন্ত চাহিদাকে সঙ্গী করে এলোমেলো চাহিদা গুলো বড় নিষ্ঠুর তৃষ্ণার্ত চাহিদা নির্মম হাওয়ার বেগে মনকে নিয়ে ছুটে চলে চাহিদা পূরণের আশায় চেনা মূখ গুলো অচেনা হয়ে যায় নিজের অজান্তে জীবনের সত্তা হারিয়ে ফেলে একাকিত্ব নিরাশ্রয় হয়ে  যায় তবুও  চাহিদার তৃষ্ণা মিটে না সময় চলে যায় চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই চাহিদা চলবে আমাদেরেই জীবনের হাত ধরে। 

প্রযুক্তির দুনিয়া

মনের মনি কোঠায় রেখেছি অতীতের দিন গুলো অত্যাধুনিক এই দুনিয়া কিছুটা ভালো নূতন প্রজন্ম  দেখেছে বিজ্ঞানের নূতন আলো মোবাইল আমাদের জীবন সঙ্গী হলো চিঠি লেখার অভ্যাস‌ আজ গেছে ছেড়ে প্রিয়জনের  মূখ গুলো নিয়েছে কেড়ে ছিলো না কোনো স্মার্ট ফোন   ছোট ছোট কাজে বসতো মন ভালো মন্দ সব কিছুই যে আছে এই  মুঠো ফোনে বিজ্ঞান আর্শীবাদ না অভিশাপ কে পারে বলতে এই জীবনে সর্বনাশের খেলায় মত্ত আজ  শিশুরা খেলার মাঠ আজ উদাসীন চেহেরা সকাল দুপুর যখনেই সময় পাই সবার আগে মোবাইলটা হাতে উঠাই বাচ্চা বুড়ো যাকেই দেখো সময় কাটাই নিজের মতে চলছে পথে কানে হেড ফোন   জীবনটা নিয়ে হাতে সময় ক্রমাগত বয়ে চলেছে স্বপ্ন গুলো প্রযুক্তির খাঁচায় বন্দী অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে আমরা প্রতিনিয়ত হারিয়ে ফেলছি জীবনের গন্ডী।

কথার কথা

কথা কখন‌ও সে হয় এক‌ অমূল্য রত্নের সমান ইশ্বর দিয়েছেন আমাদের সৃষ্টির এক অপরূপ দান কিন্ত সেই কথাকেই  বাদ বিবাদে তাকেই করি অসম্মান কথা থাকে কবির  অন্তরে অনুভূতিতে কবিতার ছন্দে কিন্ত এই কথাই কখন‌ও  মনকে করে তিক্ততা কথার দ্বন্দে সুন্দর কথা  হৃদয়ে স্থান পায় কিছু অব্যক্ত কথা মনের গভীরে রয়ে যায় কথার কথা  সে  যে শুধু মূখের কথাই  বলে কখন‌ও কখন‌ও নীরবতাও চিৎকার করে কথা বলে কথা দিয়ে কথা সাজায় সত্যি কথার হয় সর্বদা জয় কথার উপর কথা বলে তিলকে তাল করে মিথ্যকে সত্য  ভেবে পথ চলে কথা হলো আমাদের জীবনের সুন্দর ভাবনা কথাই হলো আমাদের সুন্দর মনের আয়না কথা সে যে  আমাদের জীবনের এক আধার  বক্তা আর শ্রোতার সম্পর্কের মাঝে এক সুত্রধার।

রাতের অতিথি

কে তুমি কোথায়  চলেছো  রাতের অন্ধকারে বেদনার  আকাশ লুকিয়ে ডাকছে আমায় হৃদয়ের ওপারে আমি এক স্বপ্নচারিণী চলেছি অজানা পথে দিন রাত্রি অর্ন্তহীন পথে ছুটে চলা এক অক্লান্ত যাত্রী স্বপ্নের ফেরিওয়ালা স্বপ্ন বোঝাই ছুটে চলি স্বপ্নের দুনিয়াতে দিনশেষে ক্লান্ত শরীরে  স্বপ্নের পসরা সাজিয়ে বসে থাকে আমার অপেক্ষাতে সুখ দুঃখের সাথী পথ চলার  সঙ্গী বেঁচে থাকার এক নিঃশ্বাস স্বপ্ন আসে স্বপ্ন যায় রাতের‌ আঁধারে আমায় নিয়ে করে বাস স্বপ্ন ভাঙ্গার কান্নায় কখন‌ও আর্তনাদ শুনি তাদের আঁধার রাতে ইচ্ছা অনিচ্ছার দৌলায় কখন‌ও ভেসে যাই সমুদ্রের স্রোতে কখন‌ও  চলতে চলতে থমকে যাই স্বপ্নের চোরাবালিতে স্বপ্নের  অতিথি হয়ে প্রাণের স্পন্দন জাগাই হৃদয়তে নূতন সূর্যদ্বয়ের লাল আবির ছড়িয়ে দেয় নূতন প্রভাতে নীলাকাশে হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় নিঃসঙ্গ কষ্টগুলো আবার কেঁদে ভাসে।

ধূসর প্রেম

নিস্তদ্ধ রাতে মনের ইচ্ছেরা ডানা মেলে দিলো স্বচ্ছ রূপালী ঝরনার মত চাঁদের আলো অনুভবে পাশে পেলাম তোমায় স্নিগ্ধ আলোর ছোঁয়াতে জ্যোছনা সমুদ্রে  ভেসে গেলাম তোমার সাথে রাতের রজনী দিচ্ছে হাতছানি আঁধার রাতটা কেটে যাবে এখনি আকুল হৃদয় ভেঙ্গেছে বাঁধ তোমার মিলনে জেগেছে সাধ নির্ঘুম তারারা  মুখ লুকোয় মেঘের আড়ালে আমোঘ প্রেমে মত্ত  সৃষ্টির মায়াজালে রাতের কনা ঝরে পড়ে মাটিতে করছে লুটোপুটি কারো কাছে রয়ে যাও তুমি কবির ভাষায় ঝলসানো রুটি থমকে দাঁড়ায় সূর্য্যের ডাকে বাস্তবতা আঁকড়ে ধরে জীবনটাকে শুরু হয় প্রতিদিনের নিত্যজীবন যান্ত্রিক মানব ব্যস্ততার আবরণ।

বাবা

আজ বিশ্ব বাবা দিবসে সকল বাবাদের প্রতি রইলো আমার শ্রদ্ধা ও প্রণাম আমার ছোট একটি কবিতা আমার বাবাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখা--- উমা মজুমদার ১৬/৬/১৯ বাবা বাবা তোমাকে যে ভীষন মনে পড়ে অসময়ে চলে গেছো আমাদের ছেড়ে তবুও মনে হয় সব সময় যেনো আছো পাশে বাবু বলেই ডেকেছি তোমায় সদা ভালোবেসে সবাই বলে মা র স্থান সবার উপরে এই পৃথিবীতে কিন্ত বাবার কাছে মেয়েরা থাকে রাণী হয়ে অন্তরেতে ভালোবাসার নাম বাবা হল সন্তানদের কাছে অতি প্রিয় কিন্ত আমার কাছে আমার বাবার ভালোবাসা ‌একজন মেয়ের কাছে সব থেকে শ্রেয় তোমার ভালোবাসার পাহাড় গুলো আজও স্মৃতি হয়ে আছে মনের ভিতরে বসে থাকি যখন একা ঘরে এক এক করে সব মনে পড়ে নীরবে কেঁদে যায় মন মনে হয় চিৎকার করে ডাকি তোমায় একবার বাবা বলে কিন্ত যতই তোমাকে ডাকি না কেনো তুমি সাড়া যে দিবে না তুমি বহুদূরে গেছো চলে তোমার বুক ভরা ভালোবাসা আজও রেখেছি মনের ভিতর সযতনে উপর থেকে করো আমাদের আর্শীবাদ যেন সব বাঁধা বিঘ্ন পার করে চলতে পারি এই জীবনে। যেখানেই থাকো তুমি খুব ভালো থেকো আজ পিতৃদিবসে তুমি আমার প্রণাম খানি রেখো। উমা

নামের মানুষ

সৃষ্টির স্রষ্টা  ইশ্বর নিজের হাতে মানুষকে  সর্ব গুণ দিয়ে সৃষ্টি করেছেন মানুষ মানুষের কল্যানের জন্য  ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়ে মানুষকে  পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন কিন্ত এখন মাঝে  মাঝে মনে হয় তিনি কেন এই  মানুষ রূপে বহুরূপীকে  এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন  যেখানে শুধুই আজ অনুতাপ কোথায় আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি যেখানে শুধুই  ঘৃণা বিদ্বেষ আর ছড়িয়ে গেছে যত  পাপ মানুষের শ্রেষ্ট প্রাপ্তি শান্তি আজ এই শান্তিই যেনো  দম বন্ধ হয়ে পড়ে আছে সমাজের বুকে আজ এই সমাজ অশান্তির তীব্রতায় বিপর্যস্ত চরম অস্থিরতার কষাঘাতে  জনজীবন জর্জরিত মনুষ্যহীনতা সমাজের উপর সর্বত্র বিষ ঢেলে চলেছে প্রেম প্রীতি ভালোবাসা আজ সব নির্বাসিত প্রতিনিয়ত‌  আমাদের তাড়া করে ফিরছে ন্যায় অন্যায় সত্য মিথ্যার সংঘাত মানব কল্যান ও মহত্বের পরিচর্যা  প্রতারনার শিকার হয়ে  মানুষে মানুষে  হিংসা বিদ্বেষ কলহে সমাজ আজ কলুষিত অশান্তির এই দাবানলে অনবরত ঘি ঢেলে চলেছি আর সেই আগুনে জ্বলে পুড়ে নিজেরাই মরছি আমরাই যে সমাজের টুটি চেপে ধরে সমাজকে অক্ষম করে রেখেছি অশান্তির মূলে কে দোষী বা কে দায়ী   সেটা ভাববার অপেক্ষা রাখে না তবে অশান্তির  মূল চালিকাই হলাম আমর

হারিয়ে যেতে মন চায়

সমুদ্র তাকে যে দেখেছি স্পর্শ করেছি বহুবার তবুও কেন তাকে দেখার লোভ হয় বুঝি না বারবার সমুদ্র  নামেই যে আছে এক সৃষ্টির অপার অনুভূতি সমুদ্রের  সেই উত্থাল পাথাল ঢেউ বিশাল তার আকৃতি মনে হয় যেন তাকে কাছে টেনে নিয়ে করি আলিঙ্গন একান্তে যার টানে বার বার ছুটে যেতে চায় মন নিজের অজান্তে বিশলতার মাঝে নিজেকে হারিয়ে  তাকে জানার চেষ্টা করি তপ্ত রৌদে বালির পরশ আছড়ে পড়া ঢেউয়ে যেন শুয়ে পড়ি অন্তহীন ফেনিল  নীল জল রাশি একের পর এক ঢেউ  আছড়ে পড়ে তীরে যত‌ই দেখি তত‌ই যেন মুগ্ধ হয়ে যাই  দুচোখ   দিয়ে  শুধু দেখি মন ভরে যতবারেই গেছি যেন বার বার তাকে নূতন রূপে নূতন ভাবে দেখে এসেছি বুঝিয়ে দেয় সবাইকে যত‌ই আসুক সুনামী  ঝড় তুফান  তবুও আমি নিরন্তন বয়ে চলেছি। ই

মানবতার গীত

স্বপ্নের আড়ালে জেগে জেগে ঘুমিয়ে থাকে সুখের স্বপ্নে খোঁজে বাঁচার পথটা আশ্রয়হীন বস্ত্রহীন স্বপ্নগুলো ক্ষত বিক্ষতহয়ে বয়ে চলে জীবন রথটা কন কনে শীতে কাঁপতে কাঁপতে  হাড় গুলো  নিস্তব্দ হয়ে যায় দিনতো কেটে যায় রাতের প্রহর কাটে সূর্য্যদয়ের অপেক্ষায় বেঁচে থাকার তাগিদে তারা প্রতি নিয়ত  যুদ্ধ করে জীবনের সাথে অনাদরে অবহেলায় গড়াগড়ি খায় শৈশবটা কাটে   পথ শিশু হয়ে পথে পথে মানুষ হয়ে  অসহায় মানুষের তরে সহানুভূতির হাতটা যদি আমাদেরেই ধরে সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে মানবতা  আজ থাকবে না মূখ লুকিয়ে  বাড়িয়ে দিক  সহানুভূতির হাত সৃষ্টি সুখের উল্লাসে  মানবতা গেয়ে উঠবে  মানবতার গীত।

এক পশলা বৃষ্টি

গ্রীস্মের কাঠ ফাটা রোদ্দুর ঝলসানো শরীর সূর্য্যি মামা দাপট দেখিয়ে  বসে আছে দেখা নেই যে বর্ষার চারিদিকে  শুধু হাহাকার তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জীবন   মেঘের কোলে সূর্য পড়েছে ঢাকা বর্ষা নামবে এখন প্রতিক্ষার হলো অবসান এক পশলা বৃষ্টিতে ফিরে পেলো প্রাণ তীব্র দহনে অস্থির মানুষ  দুহাত ভরে  জানাই বর্ষাকে আগমন গর্জে উঠেছো তুমি হে বর্ষা বুঝিয়েছো নামের সার্থকতা যত‌ই কাটাই  দিন এসি কুলার ফেনে তুমি ছাড়া নেই সেই শীতলতা জীবনে ব্যস্ততা কংক্রীটে আবদ্ধ শহরে  তোমার বিকল্প নেই রোমান্চিত মনে শুধু চেয়ে দেখি তোমায় ঝরে যাও অঝরেই বৃষ্টি মানে স্মৃতির জানালায় ভেসে উঠে  ছোট বেলার কথা এক পশলা বৃষ্টি যেন আনন্দের স্রোতে ভেসে যাওয়া স্নিগ্ধতা রোদ হাসলেই ভয় জাগে মনে আবার লুকিয়ে যাবে কি মেঘের আড়ালে? তোমায় পেয়ে হয়েছে লোভ বার বার যেনো পাই হাতের নাগালে তোমার স্পর্শে হেসে উঠে ফসলের মাটি কেঁদে বেড়ায়  পথের ধূলিকনা বালি এক পশলা বৃষ্টি মানেই খিঁচুড়ি বিকেলের ঝালমুড়ি ইচ্ছে হয় তোমায় নিয়ে সাথে চলি তৃষ্ণার্থ  কাক পক্ষি ধন্য হয়ে যায় এক পশলা বৃষ্টির  ছোঁয়া পেয়ে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়ে যায় প্রাণ এক পশলা বৃষ্টি দিয়ে।  

রাঙ্গা মাটির দেশে

যখন  বিষন্ন হয়ে যায় মন  শহরের  একঘেয়েমি  পরিবেশে তখন মনটা ছুটে চলে যায় গ্রাম ছাড়া   ঐ রাঙ্গা মাটির  দেশে শহরের কোলাহল  নিরন্তন ছুটে চলেছে লক্ষহীন গন্তব্যের পথে অপ্রীতিকর পরিবেশে বড়  হচ্ছে শিশুরা চলছে প্রোতিযোগিতার সাথে শহরের এই যান্ত্রিক জীবন সদায় খোঁজে ফেরে শান্তির হাত ছানি প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া  মেঠো পথ হাত ধরে হেঁটে চলা  খুঁজে পাই তখন সুখের পরশ খানি ইট পাথরের  দম বন্ধ ফ্ল্যাটে সবেই যেন চলছে আজ গতানুগতিক জীবন  শিশির ভেজা ঘাসে শিউলি ফুলের গন্ধে গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গা মাটির পথ ধরে যেন কাটিয়ে আসি কয়টা দিন সকাল হতেই  মাঠে মাঠে  ফসলের চাষ গ্রামের মানুষকে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে পুকুর পাড়ে আম জাম  নারকেল দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি এক অপরূপ সৃষ্টি বিরাজ করে চারিদিকে ধানের অলি অলি আঁকা বাঁকা পথে হেঁটে চলে যায় মেঠো পথে   সবুজে সবুজে জাগায় প্রাণ নেই যে তাদের কোন চাহিদা   ছোট ছোট মাটির ঘর সন্ধ্যা হলে  জ্বলে কেরোসিনের লন্ঠন। শহরের চাকচিক্যে সবেই মোরা ভুলতে বসেছি  কোথাও যে আজ নেই স্বস্তিরকোন ছোঁয়া গ্রাম‌ও যে আজ হয়ে যাচ্ছে শহর ভুলায় না মন মাটির পথ ধরে সেইআসা যাওয়া।

বিদায় বেলা

বড় হ‌ওয়ার সাথে সাথে হারিয়ে ফেলি  জম জমাট ছোটবেলা ভূলতে বসেছি আনন্দের দিন  গুলো ফেলে এসেছি জীবনের আধাবেলা চলতে চলতে জীবনটা  শেষ বেলায় বয়সটা পোঁছে যাচ্ছে অনেক উর্দ্ধে ভাবনা চিন্তা  সব ছেড়ে দেবো মন থেকে আনন্দ সাগরে ভাসবে বয়সটা যখন বৃদ্ধে।

আমাদের মাঝে রবীন্দ্রনাথ সব কিছুতে কবিকে সামনে পাই,,,

রবীন্দ্রনাথ যেন আমার খুব কাছের একজন মানুষ বলেই মনে হয়,,,, আমাদের প্রতিটা বাঙ্গালীর  মনেই হয়তো সেই অনুভূতিটা আছে,,,,,,,,রবীন্দ্রনাথের প্রত্যেক কবিতা  গল্প সব কিছুই যেন আমাদের জীবনের অনুপ্রেরণা,,,,, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির কাছে এক বট গাছের  মত,,,,,যাঁর দর্শনের ছায়া মেলে ধরেছে তাঁর উপন্যাস গান কবিতাগুলি,,, আর সেই সাহিত্যই জীবনের বিভিন্ন পদক্ষেপে  আমাদের উজ্জিবীত করে চলেছে,,,, একটা সুখ হোক বা দুঃখ  অবসাদ হোক প্রেম বা বিরহ সমস্ত ক্ষেত্রে জীবনী শক্তিতে প্রেরণা দেয় তাঁর লেখা,,,,,শুধুমাত্র একটি বিশেষ দিন নয় বাঙালি রবীন্দ্রনাথকে রোজ উদযাপন করে  তাঁর লেখা কিছু বিশেষ লাইন সব সময়  যেন আমাদের   জীবনের সাথে মিলে যায়,,,,"যারে তুমি নীচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে" অহংকারের বশে মানুষ সত্যি একদিন মাটিতেই মিশে যেতে হয়,,,,,,,, রবীন্দ্রনাথ মানব জীবনে এমন কোন ভাব  নেই এমন কোন ক্ষেত্রনেই বা এমন কোন চিন্তা নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেননি,,,,, : তিনি মনে মনে দুঃখকেই যেন বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন কারণ  সংসারে যদি সুখের পরিমাণ বেশী থাকে তাহা হইলে মীমাংসার কোন সমস্যা থাকেনা জমা অপেক্ষা খরচ বেশী হইলে

অতীতের পাতায়

নিশিথ রাতের আঁধার গুলি প্রহর গুনছে টিক টিক করে দিন আসে দিন যায় সময় বহে যায় অতীত পড়ে থাকে স্মৃতির মিনারে ভার সাম্য দিন গুলি কালে কালে লিখে যায় সময়ের ছেঁড়া কাহিনী গহন রাতে আবার জ্বেলে দেয় হৃদয়ে স্মৃতির প্রদীপ খানি সময়ের যান্ত্রিক পথে হাত ধরে হেঁটে চলেছি যুগ থেকে যুগান্তর এক অবিরাম গতিতে হারিয়ে খুঁজি নূতন করে মনে পড়ে যায় কত কথা স্মৃতির পাতাতে কোথায় যে হারিয়ে গেলো সেই দিন যার অপেক্ষায় থাকতেম বসে আবেগ অনুভূতিতে পাতায় পাতায় শব্দের ছক ছিলো যেনো মনের পাশে কোথায় সেই হলুদ খাম শেষ কবে করেছি স্পর্শ তাও কি আর আছে মনে জানি তুমি আর আসবেনা কখনও তোমার যে আজ নেই প্রয়োজন কারো জীবনে আবেগ অনুভূতি ভালোবাসা সব কিছু নিয়ে চলে গেছো নিজের সাথে প্রযুক্তির আর্শীবাদ জীবনের অভিশাপ ফোনটা যে এসেছে সকলের হাতে আন্তরিকতার ছোঁয়ায় ছিলো একদিন স্মৃতি আঁকে জলছবি ফেলে আসা অতীতটা জীবন চলে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ভাসিয়ে দিয়ে সুখের ভেলাটা।