পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভালোলাগা বলে কয়ে আসেনা

ভালোলাগা বলে কয়ে আসেনা .... হটাৎ বিরক্তিকর গরমটাতে বৃষ্টি ভেজা সকাল টা পেয়ে  মনটা শান্ত শীতল ভালোলাগা  উপভোগ করেছিলাম।  আজ দুদিন ধরে আবার গরমের রেশটা সব ভালোলাগাকে উড়িয়ে নিয়ে চলে গেলো। খুব সকালে উঠার অভ্যাস টা অনেকদিন হয়েছে চলে গেছে,,,কোন ব্যস্ততা না থাকলে যা হয় ।  আজ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে একটা অপূর্ব ভালোলাগা মনটাকে আবার  ছুঁয়ে গেলো। এ কোন ব্যক্তি বিশেষে ভালোলাগা নয়। এ ভালোলাগা কোন কিছুর সাথে তুলনা করা যায়না।  মনটা একদম খুশি তে ভরে গেলো এ এক পরম পাওয়া। অনেকক্ষন ধরে সে ভালোলাগাটাকে মন ভরে অনুভোব করলাম । আমার ফ্ল্যাটের পাশেই কয়েকটা  বড় বড়  গাছ আছে । গাছ গুলোকে কয়েকদিন আগে  বাড়ীর মালিক   ছেটে দিয়েছে। কিছু সবুজ ডাল পালা গাছে নতুন করে আসছে।দেখতেও ভীষন ভালো লাগে ,,,একদম সবুজ রঙের।  অনেক্ষণ থেকেই  মধুর স্বরে  একটা পাখি অনবরত ডেকে যাচ্ছে।আমি শুয়ে শুয়ে সেই ডাকটা শুনছিলাম।   আর কি যে অপূর্ব ভালো লাগছিলো যে আমি বোঝাতে পারবো না। কিছুক্ষণ পরে উঠে পড়লাম। জানালার  পর্দাটা সড়িয়ে দেখার চেষ্টা  করল...

সত্যের জয়

বিচিত্র এই দেশ বিচিত্র সব মানুষ  জ্ঞান বুদ্ধি বিচার বিবেচনা য় ষোলো আনা হোঁশ শত শত অন্যায় অপরাধ জন্ম নেয়  দিনে রাতে যত  জোর জুলুম শাষন শোষণ বাঁধা ক্ষমতার  হাতে অন্যায়  হোকনা কেন যত‌ই শক্তিশালী বিচার হোক অন্যায়ের কেন হয়‌ অসহায় বলি  অন্যায় অবিচারের হোক সঠিক বিচার দুর্বলের উপর কেন আঘাত হানে বারবার মিথ্যের আশ্রয়ে অপরাধী চলে  মাথা উঁচু করে সত্যেকে হারিয়ে মিথ্যের কাঠগড়ায় নিরীহ মানুষ মরে বাড়ছে অন্যায় নীরবে কাঁদছে ন্যায়ের বিচার সত্যের পথভ্রষ্ট  অধর্মের জয়জয়কার  সত্য হোকনা কেন যত‌ই দূর সত্যের জয় নিশ্চ‌ই  পাপ পূণ্যে সকল কর্মের  নির্ধারণ সবে একদিন হয়।

ভালো থেকো ভালো রেখো

ভালো থেকো ভালো রেখো কবিতা...... বিশ্ব কবিতা দিবসে আজ তোমাকে জানাই অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও  ভালোবাসা।  তুমিই তো সেই ভালোবাসা যাকে নিয়ে আমি ভালো থাকি  যে  সর্বক্ষণ আমাকে ভালো রাখার চেষ্টা করে কল্পনার উড়ানে চড়ে পৌঁছে যাই তোমার কাছে সাজিয়ে তুলি  ইচ্ছে মতো অজানা সৃষ্টি র ঘরে। যেখানে আছে  শুধু ভালোলাগার অনুভূতি  বলতে কোন দ্বিধা নেই , বারবার বলতে পারি  তোমায় কতটা ভালোবাসি , মনের কোলাহল  শত কাজের ব্যস্ততার মাঝেও তোমাকেই ভালোবেসে হৃদয়ে লালন করি।  ভয় নেয় তোমাকে হারানোর, তোমার মায়াজালে  জড়ানো সৃষ্টির পরশে খুঁজে পাই জীবনের তীর সময়ের নিষ্ঠুরতায় মনের কথা বলতে তোমার কাছে  ছুটে আসি বারবার। ভালো থেকো তুমি এইভাবে ,ধরে রেখো আমার হাতটা  কখনো করোনা তোমার থেকে আলাদা , তোমাকে নিয়ে  চলতে চাই ,যতক্ষণ আছে প্রাণ এইদেহে  কল্পনায় জুড়ে  থেকো  আমার সঙ্গী হয়ে। ✍️উমা মজুমদার ২১/৩/২৩

চিকিৎসা ব্যবস্থায় একেল সেকেল

সেকেলে আর একেলের চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে অনেক আধুনিকতা  এসেছে। কোনকিছুই আর আগের মতো নেই। একটা কথা আছে যায় দিন ভালো যায় আসে দিন খারাপ আসে।  তেমনি যত‌ই মানুষ আধুনিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে  তত‌ই নানান রকম অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।   সেকেলের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটা অনুন্নত ছিল। এখনকার মতো এতো অত্যাধুনিক চিকিৎসা  ব্যবস্থা ছিলো না।  হসপিটাল, প্রাইভেট নার্সিং হোম, ভালো ডাক্তার ঔষধপত্র কোনকিছুই ছিলোনা।  এইসব চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিলোনা ঠিকেই  তথাপিও মানুষ  অনেকটা সুস্থ সবল থাকতো। উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, ইউরিক এসিড,থাইরয়েড  ডিপ্রেশন আর‌ও নতুন রোগের কথা সেকেলের মানুষ শুনেছে কিনা জানিনা। সেকেলর মানুষ প্রচুর খাওয়া দাওয়া করেও ভালো থেকেছে। শরীর মন স্বাস্থ্য  সবে ভালো থাকতো । চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তাদের অত চিন্তা ভাবনা ছিলো না। সেকেলে মানুষেরা কথায় ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা ও পছন্দ করতো না।  ছোটমোটো অসুখ বিসুখ নিজেদের মতো করে ঠিক করে ফেলতো।   সেকেলে বাড়ীতেই বাচ্চার ডেলিভারী হয়ে যতো। সারাদিন মায়েরা  কাজে কর্মে থেকেও  নরমাল...

মনের কথা

ভালো লাগে নিজের সাথে নিজে  লড়াই করতে,          মন খারাপে ভাঙ্গেনা মন ভালো লাগে নিজেকে নিজের মতো করে বোঝাতে          হয়না হৃদয়ে কোন মান অভিমান ।

সেলাই মেশিন

সখ হলো নাতনির জন্য  জামা সেলাই করবে। মেশিনটা পড়ে আছে  ধূলোমাখা টেবিলে। সরলা দেবীর চোখে জল। এই মেশিনের  সাথে কত স্মৃতি তার জড়িয়ে আছে  । স্বামীর মৃত্যুর পর  হাত মেশিনটাই ছিলো  একমাত্র সম্বল ।  ভুলতে পারেনি সেসব দিনের কথা, কত রাত কেটেছে না ঘুমিয়ে।  মেশিনটার সামনে বসতেই স্মৃতি গুলো তাজা  হয়ে গেলো।  ✍️উমা মজুমদার ১৬/৩/২৩

অতীত স্মৃতি

সারি সারি চেয়ার টেবিল বিয়ের  মন্ডপ সাজতো  নিজ ঘরেতে কারি কারি টাকার ছিলো না প্রয়োজন  চাহিদা মেটাতো অল্পতে পাল্টে যাওয়া সময়ের আবর্তনে  অতীত স্মৃতি রোমন্থন  আচার অনুষ্ঠান রীতি নিয়ম  ভালো মন্দের চলছে যাপন বিয়ে বাড়ীর খাওয়া দাওয়া  অতীতে ছিলো কতনা মজা সাদা ভাত কলাপাতায় লেবু লঙ্কা   মুগের ডাল বেগুন ভাজা  স্বাদে গন্ধে আন্তরিকতার ছোঁয়া  আদর আপ্যায়নে নেই তুলনা  সময়ের সুতোয় বাঁধা আধুনিকতার ছোঁয়া  অতীত কখনো ভুলা যায়না।

মন মানসিকতা

মন মানসিকতা.... একাল সেকাল.... মন আর মানসিকতা একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সৃষ্টিকর্তা সকল সৃষ্টিকূলের মধ্যে মানুষকে অনন্য এক মর্যাদায় শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন।  জ্ঞানে, বিদ্যা, বুদ্ধি সবদিকেই মানুষ শ্রেষ্ঠ। তবুও আগে আর এখনের মানুষের মধ্যে ভাবনা চিন্তার কতটা ফারাক এসেছে সেটা  আমরা সকলে চোখে দেখছি  অনুভব  করছি। সেকেলের মানুষের মন মানসিকতা ছিলোএকদম আলাদা। ‌ সেকেলের মানুষ আধুনিকতার ছোঁয়া না পেয়েও অনেক ভালো ছিলো। সম্পর্কে ভালোবাসা, বিশ্বাস,বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা সন্মান সবে ছিলো হৃদয়ে পরিপূর্ণ। খুব সহজ সরল ভাবে জীবন কাটাতে ভালোবাসতো। চাহিদা অনুযায়ী নিজের মানিয়েছিল। সেকেলে মানুষ খুব সাধারণ ভাবে জীবনকে উপভোগ করে গেছে।  যার জন্য তাদের মানসিকতা গুলো খারাপ হ‌ওয়ার সুযোগ পেতোনা। সকলকে নিয়ে একসাথে মিলে  মিশে থাকার চিন্তা ভাবনায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা শ্রদ্ধা ছিলো। সকলের সাথে বসে গল্পগুজব আড্ডা এইসব ছিলো জীবনের স্বরূপ। মানুষের সঙ্গে মনের যে  একটা সম্পর্ক রয়েছে। মানুষের স্বভাব আচরণে ই মানসিকতা নির্ভর করে।জয়েন্ট ফ্যামিলি  তে থাকায় তাদের মা...

বসন্ত উৎসব

আকাশে বাতাসে উড়লো আবির  মাতলো বিশ্ব ভুবন দোলের রঙে রাঙিয়ে আকাশ করে  বসন্ত উৎসব পালন লাল নীল হলুদে ফাগুনের ফাগ  রঙ মাখে ভেদাভেদ সব ভুলে  আট থেকে আশি  রঙে মাতামাতি ফাগুন হাওয়ায় ভেসে চলে রঙ রূপে ভরপুর চিরনবীন বসন্ত  প্রেমহীন জীবনে বাঁধন ছেড়ে  রঙে রঙে রাঙিয়ে বসন্তের আঙ্গিনায় উচ্ছাস উষ্ণতায় হৃদয় ভরে ছকে বাঁধা জীবনটায় বয়ে আনে  বসন্তে  খুশীর ছোঁয়া শৈশব স্মৃতি রঙিন পাতায়  রঙ মাখে ফাগুন হাওয়া।

এসেছে বসন্ত

শীতের  রিক্ততায় ঝরা পাতা বিদায় বলে শেষে দখিন দুয়ার খুলে রঙিন বসন্ত এসে দাঁড়ায় হেসে সবুজের সমারোহে ফুলে ফলে হিল্লোল প্রকৃতিজুড়ে আকাশ বাতাস মুখরিত কৃষ্ণচূড়ার ডালে কুহুকুহু সুরে পলাশ শিমুলে বসন্তের রঙ  বুকে প্রেমের আগুন জ্বলে বসন্ত মানেই  পূর্ণতা নতুন আবেগে মনপ্রাণ ভরিয়ে তোলে বসন্ত আনে  প্রেমের নেশা ভালোবাসার রঙে প্রেমিক যুগল   ফাগুনের ফাগে রঙের উচ্ছাস বসন্তের আঙ্গিনায় খেলে দৌল।