পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জীবন যুদ্ধ

গতানুগতিক পথ ধরে হেঁটে চলেছি জীবনের পদযাত্রায় সবাই  ব্যাস্ত  কারো কাছে নেই সময় পথ চলতে  চলতে চেনা মূখ গুলো কখন যে অচেনা হয়ে যায় নানা বাধা বিপত্তি  মান অভিমান   দুঃখ যন্ত্রনা বোঝায় মনটা চলছে নীরবতার মিছিলে শ্বাস নিতে চায় খোলা আকাশে হৈ হূল্লোর করে  সময় কাটাতে মন চায় পরিবারকে কাছে পেতে এলোমেলো ভাবনা গুলো মনে এসে  বাসা বাঁধে জীবনের প্রাচীর ভেঙ্গে মন ছুটে চলে চলতে চলতে পথে কখন‌ও খুশীর এক টুকরো মেঘ ভেসে আসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় মনকে সুখের পরশ বুলিয়ে যায়  ধরে রাখে সময়টাকে হাতের মুঠোতে জীবন থাকে সময়ের অপেক্ষায় আবার কবে দেখা হবে তাদের সাথে ভালো থাকার  পথটা নিজেকেই খুঁজে নিতে হয়   বিচিত্র এই জীবনে জীবনের মানে যে সত্যি    বদলে গেছে হৃদয় কাঁদে সময় কাঁদে পিছনে ছেড়ে এসেছে অনেটা পথ না জানে আর কত চলতে হবে সবাইকে যে থামতে হবে একদিন। ‌  

ঘরে ফেরার পালা

অঝড়ে ঝরে চলেছো একবার তাকিয়ে দেখো জলে ভাসছে শহর গ্রাম, বন্যার করাল গ্রাসে ঘর বাড়ী গুলো ভাসছে হাহাকার আর্তনাদে বানভাসি মাতাল বন্যা জীবন বিপন্ন প্রাণ গুলো চাপা পড়ে মাটি ধসে বারিধারায় সিক্ত এই প্রকৃতি এর থেকে কেও পায় না মুক্তি ভেঙ্গে দিয়েছো কি আকাশের বাঁধ পথ ঘাট যেনো সব মরন ফাঁদ চলতে ফিরতে যায়না চলা কোনটা রাস্তা কোনটা নালা তুমি অপরূপা তুমি বর্ষার রানী কিন্ত আজ যে তুমি ভয়ঙ্কর প্লাবনি দিশাহীন মানুষগুলো পাইনা কূল কিনারা ক্ষধার্ত তৃষ্ণার্ত বস্ত্র হীন হয়ে সর্বহারা জন জীবন আজ অচল অবস্থায় সকলে বাড়িয়ে দেয় হাত সহায়তায় নীলাকাশে নেই মেঘেদের আনাগোনা সূর্য্যের নেই দেখা হারিয়ে গেছে কি ঠিকানা? বৃষ্টি এবার তোমার ঘরে ফেরার পালা আতঙ্কিত মন নিদ্রা নেই চোখে ভাসিয়ে নেয়ে যাও কখন রাতের বেলা।

আধুনিকতার জয়জয়কার

আধুনিকতার স্বভাবে কেও ছেঁড়া কাপড় পড়ে দুঃখ দুর্দশা অসহায়ে কেও অভাবে ছেঁড়া কাপড় পড়ে তাদের নেই কোন আধুনিক হ‌ওয়ার স্বপ্ন দারিদ্রতাই তাদের জীবন যাপন সভ্যতার নামে  সমাজে দিন দিন  মানসিকতার হচ্ছে পরিবর্তন পোশাক আশাকে তারা আধুনিকা ফ্যাশন নিয়ে চলে পাশ্চ্যত্যের তকমা নিয়ে আধুনিকতার পোশাকে তাকেই ফ্যাশন বলে কালের স্রোতে ভূলে যায় নিজেদের সংস্কৃতি আধুনিক সভ্যতার জয়জয়কার সংস্কৃতি নেয় নূতন  আকৃতি দারিদ্রতা যাদের  নিত্য ফ্যাশন তারাই  একমাত্র জানে ছিন্ন বস্ত্রের কষ্টটা ফ্যাশনের স্রোতে গা ভাসিয়ে চলে অত্যা ধুনিক সমাজটা।

চাহিদদার তৃষ্ণা

জীবনে আজ বড্ড হিসেব নিকেশ চলছে সারাক্ষন শুধু দর কষাকষি প্রাণ খূলে হাসতেও যেনো মানুষ ভূলে গেছে চাহিদা আর প্রাপ্তির অংক কষে যায় মানুষ  দিন রাত্রি চাহিদা গুলো ক্রমাগত সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে এরেই মাঝে  রাত নামে  নূতন সূর্য্য উঠে চাওয়া পাওয়ার পথ আর শেষ হয়না এই তৃষ্ণার বুঝি আর শেষ নেই  চাহিদার তৃষ্ণায় মরীচিকার পিছনে অনুসরন আমরা সবাই ছুটে চলেছি অনন্ত চাহিদাকে সঙ্গী করে এলোমেলো চাহিদা গুলো বড় নিষ্ঠুর তৃষ্ণার্ত চাহিদা নির্মম হাওয়ার বেগে মনকে নিয়ে ছুটে চলে চাহিদা পূরণের আশায় চেনা মূখ গুলো অচেনা হয়ে যায় নিজের অজান্তে জীবনের সত্তা হারিয়ে ফেলে একাকিত্ব নিরাশ্রয় হয়ে  যায় তবুও  চাহিদার তৃষ্ণা মিটে না সময় চলে যায় চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই চাহিদা চলবে আমাদেরেই জীবনের হাত ধরে। 

প্রযুক্তির দুনিয়া

মনের মনি কোঠায় রেখেছি অতীতের দিন গুলো অত্যাধুনিক এই দুনিয়া কিছুটা ভালো নূতন প্রজন্ম  দেখেছে বিজ্ঞানের নূতন আলো মোবাইল আমাদের জীবন সঙ্গী হলো চিঠি লেখার অভ্যাস‌ আজ গেছে ছেড়ে প্রিয়জনের  মূখ গুলো নিয়েছে কেড়ে ছিলো না কোনো স্মার্ট ফোন   ছোট ছোট কাজে বসতো মন ভালো মন্দ সব কিছুই যে আছে এই  মুঠো ফোনে বিজ্ঞান আর্শীবাদ না অভিশাপ কে পারে বলতে এই জীবনে সর্বনাশের খেলায় মত্ত আজ  শিশুরা খেলার মাঠ আজ উদাসীন চেহেরা সকাল দুপুর যখনেই সময় পাই সবার আগে মোবাইলটা হাতে উঠাই বাচ্চা বুড়ো যাকেই দেখো সময় কাটাই নিজের মতে চলছে পথে কানে হেড ফোন   জীবনটা নিয়ে হাতে সময় ক্রমাগত বয়ে চলেছে স্বপ্ন গুলো প্রযুক্তির খাঁচায় বন্দী অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে আমরা প্রতিনিয়ত হারিয়ে ফেলছি জীবনের গন্ডী।

কথার কথা

কথা কখন‌ও সে হয় এক‌ অমূল্য রত্নের সমান ইশ্বর দিয়েছেন আমাদের সৃষ্টির এক অপরূপ দান কিন্ত সেই কথাকেই  বাদ বিবাদে তাকেই করি অসম্মান কথা থাকে কবির  অন্তরে অনুভূতিতে কবিতার ছন্দে কিন্ত এই কথাই কখন‌ও  মনকে করে তিক্ততা কথার দ্বন্দে সুন্দর কথা  হৃদয়ে স্থান পায় কিছু অব্যক্ত কথা মনের গভীরে রয়ে যায় কথার কথা  সে  যে শুধু মূখের কথাই  বলে কখন‌ও কখন‌ও নীরবতাও চিৎকার করে কথা বলে কথা দিয়ে কথা সাজায় সত্যি কথার হয় সর্বদা জয় কথার উপর কথা বলে তিলকে তাল করে মিথ্যকে সত্য  ভেবে পথ চলে কথা হলো আমাদের জীবনের সুন্দর ভাবনা কথাই হলো আমাদের সুন্দর মনের আয়না কথা সে যে  আমাদের জীবনের এক আধার  বক্তা আর শ্রোতার সম্পর্কের মাঝে এক সুত্রধার।

রাতের অতিথি

কে তুমি কোথায়  চলেছো  রাতের অন্ধকারে বেদনার  আকাশ লুকিয়ে ডাকছে আমায় হৃদয়ের ওপারে আমি এক স্বপ্নচারিণী চলেছি অজানা পথে দিন রাত্রি অর্ন্তহীন পথে ছুটে চলা এক অক্লান্ত যাত্রী স্বপ্নের ফেরিওয়ালা স্বপ্ন বোঝাই ছুটে চলি স্বপ্নের দুনিয়াতে দিনশেষে ক্লান্ত শরীরে  স্বপ্নের পসরা সাজিয়ে বসে থাকে আমার অপেক্ষাতে সুখ দুঃখের সাথী পথ চলার  সঙ্গী বেঁচে থাকার এক নিঃশ্বাস স্বপ্ন আসে স্বপ্ন যায় রাতের‌ আঁধারে আমায় নিয়ে করে বাস স্বপ্ন ভাঙ্গার কান্নায় কখন‌ও আর্তনাদ শুনি তাদের আঁধার রাতে ইচ্ছা অনিচ্ছার দৌলায় কখন‌ও ভেসে যাই সমুদ্রের স্রোতে কখন‌ও  চলতে চলতে থমকে যাই স্বপ্নের চোরাবালিতে স্বপ্নের  অতিথি হয়ে প্রাণের স্পন্দন জাগাই হৃদয়তে নূতন সূর্যদ্বয়ের লাল আবির ছড়িয়ে দেয় নূতন প্রভাতে নীলাকাশে হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় নিঃসঙ্গ কষ্টগুলো আবার কেঁদে ভাসে।

ধূসর প্রেম

নিস্তদ্ধ রাতে মনের ইচ্ছেরা ডানা মেলে দিলো স্বচ্ছ রূপালী ঝরনার মত চাঁদের আলো অনুভবে পাশে পেলাম তোমায় স্নিগ্ধ আলোর ছোঁয়াতে জ্যোছনা সমুদ্রে  ভেসে গেলাম তোমার সাথে রাতের রজনী দিচ্ছে হাতছানি আঁধার রাতটা কেটে যাবে এখনি আকুল হৃদয় ভেঙ্গেছে বাঁধ তোমার মিলনে জেগেছে সাধ নির্ঘুম তারারা  মুখ লুকোয় মেঘের আড়ালে আমোঘ প্রেমে মত্ত  সৃষ্টির মায়াজালে রাতের কনা ঝরে পড়ে মাটিতে করছে লুটোপুটি কারো কাছে রয়ে যাও তুমি কবির ভাষায় ঝলসানো রুটি থমকে দাঁড়ায় সূর্য্যের ডাকে বাস্তবতা আঁকড়ে ধরে জীবনটাকে শুরু হয় প্রতিদিনের নিত্যজীবন যান্ত্রিক মানব ব্যস্ততার আবরণ।