পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অসহায়ের ফুল

অযোগ্য বলে দিয়েছে ছুঁড়ে ফেলে ধংস সৃষ্টির পরিনাম প্রয়োজন শেষ হলে অসহায় হয়ে ছিলাম পথে ঘাটে পড়ে সৃষ্টির মূলে স্রষ্টা  জন্ম নিয়েছে শরীরে দেখো আমায় একটিবার চেয়ে ধন্য হোলাম আমি ও প্রাণ পেয়ে অবহেলা অসহায়ে নাই বা দিলে পরিচয় ভালোবেসে যত্ন করে রেখো আমায় না হয়।

সুখের ছোঁয়ায়

সুখের ছোঁয়ায়... থাক না স্মৃতিগুলো হৃদয়ে করুক আনন্দে বাস স্বপ্নরা বেঁচে থাক ইচ্ছেমত দুচোখে হোক  রাত্রিবাস  প্রতীক্ষার জীবন হোক সমাপ্তি  আসর জমাক অপেক্ষারা নতুন আলোয় পাখনা মেলুক শুকিয়ে যাওয়া মনের ইচ্ছেরা।

অনুভূতি

জীবনটা বড় বড় অদ্ভুত  যতটা তাকে সহজভাবে চালাতে চেষ্টা করি  তত ই যেনো সে কাঁধে চেপে বসে। দিনটা পার করে দেয় বোঝাপড়ার মাঝে       মানিয়ে নাও,মেনে নাও  রক্ষে নেই চুলচেরা  অদল বদল হলে        স্বভাবগত অভ্যাসে ।

রেলগাড়ি

ছুটেছি কত মস্তিতে আওয়াজ করে আমায় কি তোমাদের মনে পড়ে আমি  পুরোনো সে রেলগাড়ী কালো ধোঁয়া ছেড়ে দিতেম পাড়ি অতীতটা আজ যত ই দেখি  বর্তমান টা লাগে তত ই মেকি আদলে বদলে হয়েছি আধুনিক যা আছে স্মৃতিতে কু ঝিক্ ঝিক্।

এক অনন্য সৃষ্টি

পৃথিবীর সব বাবারাই মেয়েদের কাছে সুপারহিরো। তেমনি বাবার কাছে তার মেয়ে হলো সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ। বাবা মেয়ের সম্পর্ক এক অনন্য সৃষ্টি।

দুই ভাই

অনুগল্প...       দুই ভাই.... এমনিতে তেমন কোন দুষ্টমী করেনা,,, কিন্তু মাথায় যদি ফন্দি আসে তখন  কার না ভালো লাগে দুষ্টমী করতে। দুই ভাই খুব বাধ্য ছেলে  ,পিঠেপিঠি নাহলেও বয়সে তেমন পার্থক্য নেই ,, মায়ের কথা শোনে চলে। মা খুব একটা বাইরে বেরোতে দেয়না। মায়ের চিন্তা কে জানে যদি খেলতে গিয়ে  দুষ্টমী করে ব্যাথা পায়। মায়েদের এই একটা চিন্তা রোগ কাজ করে বাচ্চাদের নিয়ে। খেলতে গিয়ে ব্যাথা পাবে বাচ্চারা সেটা আর নতুন কথা কি , মায়েদের তা চলবে না। বেচারা বাচ্চারা মায়েদের কড়া শাসনে পড়ে পড়ে ছোটবেলাটা  অনেকের নষ্ট হয়ে যায়। মায়েরা বড় হয়ে যায়  তাই বুঝতে পারেনা ছোটবেলাটা যে আর ঘুরে আসেনা।  স্কুল থেকে এসেই দুপুরে নিজেদের মতো হোম ওয়ার্ক গুলো সেরে একটুআধটু টিভি দেখে আবার সন্ধ্যায় পড়তে বসা,, কাহাতক আর ভালো লাগে একঘেয়েমি কাটাতে । ছোটো ভাই যেহেতু অনেকটা ছোটো ছিলো বড়দাদা তার থেকে পাঁচ ছ বছরের বড় থাকায়  মাঝে মাঝে ছোটো ভাইকে নিয়ে ছুটির দিনে মায়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে পড়তো খেলতে একঘন্টা খেলাধূলা করে এসে যেতো বাড়িতে। একদিন দুপুর বেলা ছুটির দিন মা ঘুমিয়ে  আছে,, নিজের মনে দুই ভাই খেলাধুলা

আহারে বাঙ্গালী

ভোজনরসিক আহারে  বাঙালি রশে বশ খেতে নাহি ভুলি লুচি আলুর দম সকালের ডোজ নানান ব্যঞ্জনে দুপুরে র ভুরিভোজ আমিষ নিরামিষ হোকনা ডাল ভাত উৎসবের আমেজ খাওয়ার অজুহাত বর্ষায় কথা নেই  খিচুড়ি ভাজা ইলিশ  পাতে চাই বেগুন ভাজা মাছ  একপিস আনন্দ খুশিতে বাঙ্গালীর নেই  তুলনা খাওয়াতে খেতে নেই কোনো মানা।

আবেগী মন

মনটা কেনো জানি ধরা ছোঁয়ার বাইরে নেই নিজের  বশে শব্দগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদিক ওদিক যে যার মতো বসেনা পাশে যত ই জোড়া লাগানোর করি চেষ্টা ততো আঁধারে  যায় মিলিয়ে  এলোমেলো ভাবনাগুলো সেও গা ঘেঁষে না  বেড়ায় পালিয়ে সাদা পাতা পড়ে থাকে টেবিলে কবিতা আমার সাজেনা সময়ের দীর্ঘশ্বাস আমার কথা কেও কোনদিন জানতে চায়না।

তথাকথিত জীবনধারা

তথাকথিত জীবন..... যায় দিন ভালো যায় অতীতের  স্মৃতি জীবনের অমূল্য ধন প্রযুক্তির কল্যাণে প্রথম দেখার  আনন্দে উল্লাসিত মন  টি.ভি এলো ঘরে সময়ের ক্রমধারায়  পরিবর্তন জীবনধারা  সাদা কালো পর্দা আধুনিকতার ছোঁয়ায়  হারিয়ে গেলাম আমরা চোখের সামনে রামায়ন মহাভারত  না জানা কত ঐতিহাসিক কাহিনী পরিবার সহ একসাথে বসে সময় কাটানো ভাসে স্মৃতিপটে ছবিখানি  ধীরে ধীরে প্রবেশ তথাকথিত জীবন  আধুনিকতায় চলেছে  তাল মিলিয়ে   হারানো দিন হারানো সময়  সোনার খাঁচায় বন্দী করে গেছে সব হারিয়ে  জীবন গতিশীল হাঁটছে মানুষ  পুরাতন কে পিছনে ফেলে  বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার সুফল কুফল হাতে দিয়েছে ঢেলে। ✍️উমা মজুমদার ১০/৭/২৩

এক মা মেয়ের মনের কথা ,,,,

মেয়ের কথা..  মেয়ে হয়ে জন্ম নেয় বাবা মায়ের   ঘরে, রাখবে তো মা  মেয়েকে আদর করে...  আমি মেয়ে বলে করবে নাতো আমায় অবহেলা ছেলে হলে সকলের মুখে হাসি আদর খুশি আবদার থাকে তোলা.. মেয়ে  সেও তো এক সন্তান  ... সব সময় কেনো মেয়েকেই, শুনতে হয় নানান কথা? আচ্ছা মা বলো তো  তুমিও তো এক মেয়ে, তোমার‌ও কি আছে এমন মনের  ব্যাথা... মায়ের কথা... মনের ব্যথা নিয়েই মেয়েরা চলতে  জানে, মেয়েদের ও আছে স্বাধীনতার স্বপ্ন  ডানা মেলে উড়তে চায় মেয়েরা কেনো বন্দী নিয়ম শৃঙ্খলার বদ্ধ  খাঁচায়.... প্রাণ খুলে মেয়েরাও তো বাঁচতে  চায় দাঁড়াতে চায় নিজের পায়ে, মেয়েদের যে  শিখানো হয়  বোঝানো হয় সকল সময়ে.... তুমি এক নারী তুমি মা ,তুমি কন্যা  তুমি জায়া তুমি ভগ্নি..  সংসারে সকলকে ভালো রাখার দায়িত্ব সব সময় কেনো নারীর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়... মা বলে যুগ যুগ ধরে তাই তো  চলে আসছে... সংসারকে ভালো রাখা দশজনের মন জয় করে চলা অন্যের জন্য আত্মত্যাগ করাই যে একটি মেয়ের জীবন   তাইতো করে আসছে, ভুলে যায় নারীর সন্মান অসন্মানের ভার বয়ে যেতে সংসারে.... দিনকাল পাল্টে গেছে .মেয়ে বলে...  জানো তো মা,মেয়েরা পারেনা এমন কাজ আজ আর নেই..... শি

নয়নের ধন

সন্তানের চেয়ে কে বা আছে  আপন তাদের কাছে উপার্জনের সবটুকু দিয়ে  বড় করে যতটুকু আছে প্রত্যেক সন্তানের প্রতি  বাবা মা দায়িত্ব পালন করে স্নেহ মমতা ভালোবাসায়  জড়িয়ে থাকে বুক জুড়ে । ভালোর থেকে ভালো শিক্ষা  দীক্ষা রাখেনা কোনো ত্রুটি বাবা মায়ের চেয়ে আপন হয়  একদিন বিদেশের মাটি। হাঁটি হাঁটি পা করে বাবা মায়ের  হাত ধরে চলা শেখে একদিন সে তার সিদ্ধান্তে থাকে পুরো অটল অসহায় বাবা মা দিনরাত সন্তানের   কথা ভেবে  ফেলে চোখের জল।  জীবনের পথে এগিয়ে যেতে  প্রতি পদক্ষেপে সাহস যোগায়  বাবা মায়ের আশীর্বাদ সন্তানের উপর থাকবে সদায়। ✍️উমা মজুমদার ৬/৭/২৩

পার্টনার

✍️উমা মজুমদার ৭/৭/২৩ সাদা কালোর পার্থক্য  আছে যেখানে ভালো মন্দ মিলেমিশে  থাকে সেখানে।  নিরন্তর জীবন যাপনে  মিল অমিলের খেলা ভালোবাসার রঙ বদলায়  আপনজন পথভোলা ।  চেনা অচেনার ভীড়ে  মনের মানুষ খুঁজে পায় আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে গায়ে  এই দুনিয়ায়। যা দেখে তাই শেখে  কি দোষ দেবো তাদের মানুষের মত চলছে তারা  খুঁজে নেয় পার্টনার ।

ইগোর দাপট

প্রয়োজনের চেয়ে কাওকে দাম দিতে গিয়ে, নিজের মুল্যবান সময়টা  কোথায় যেন হারিয়ে যায়। যাদের  জন্য সারাটাদিন ভেবে ভেবে  নিজের  মুল্যবান সময় গুলো নষ্ট করে দেয় ,সেখানে তার  মুল্যটা হারিয়ে যায়। তার কাছে  সেই মানুষটার মুল্য কতটুকু  সেটা  ভেবে দেখা খুব প্রয়োজন।   যাকে ভালোবেসে যার কথা ভেবে  সারাটাদিন   দিয়ে দিলে নানান কাজে কর্মে,পছন্দের  রান্নাবান্নায় , কি ভালোবাসে  কি পছন্দ না পছন্দ সবকিছুতে খেয়াল রাখা।  বেলাশেষে  একটা ভালো কথা শোনার জন্য তোমার মনটা উসখুস করতে থাকে । সেখানে পেলে তার থেকে একগুচ্ছ দায়িত্ব আর কর্তব্যের ভাষন। সেই মানুষটার ভিতর এতটাই ইগো বাসা বাঁধে যে তার কাছে এইসবের  কোনো মুল্যে ই থাকেনা। ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি  সময়ের থেকে  দামি মুল্যবান জিনিস আর কিছু হয়না।  কিন্তু এখন যত দিন  যাচ্ছে তত  দেখছি জীবনের থেকে দামি আর মুল্যবান  ' ইগো' । এই ইগো নামের ভাইরাস মানুষের কাছে অতি মুল্যবান হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। সেটা যে কতটা ভয়ঙ্কর জিনিষ কেও বুঝতে পারেনা । ইগো অহংকার শরীরে অনবরত বহন করে চলেছে। ইগোও সে নিজের মতো বাসা বেঁধে নেয় তার শরীরে যত বেশি মুল্য দেওয়া হৎ তত সে খুঁটি