পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাখী এক বন্ধন

দৌপদী বানিয়ে ছিলো ভাই শ্রীকৃষ্ণকে ভাইয়ের শপথ  যায় না বৃথা বাঁচায় বোনকে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পায় পবিত্র বন্ধনে রাখীর বন্ধন দৃঢ় করে তোলে ভাই বোনের সম্পর্ককে সেই পবিত্র বন্ধন  পালিত হয় শ্রাবণী পূর্ণিমায় সেজে উঠে রাখী  ভালোবাসা আর মমতায় বেঁধে দেয় বোনরা পবিত্র সুতা ভাইয়ের হাতে রক্ষা কবচ হয় ভাইয়ের  বোনদের মঙ্গল কামনায় ভালোবাসার এই বন্ধন ভাইয়ের শপথ বোনদের করবে রক্ষা সকল বিপদ থেকে রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও  যে হয় এই বন্ধন রাখী বন্ধনের সাথে সম্পর্কের এক মিলন পথ সকল ধর্মের মানুষ এক হয়ে  উৎসব পালন সহায় করে সমাজে একতা বাড়াতে এই যে নয় শুধু  রাখী বন্ধন সৌভ্রাত্বের ঐক্যতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা জাগিয়ে তোলে সংস্কৃতিতে।

স্বাধীনতা তুমি

১৯৪৭ সনের ১৫ই আগষ্ট আমরা পেয়েছিলাম আমাদের স্বাধীনতা। পরাধীন ভারতকে  ইংরেজদের থেকে মুক্তি করে স্বাধীনতার সূর্য্য দেখিয়ছিলো। বিন্দু বিন্দু রক্ত দিয়ে যাদের জন্য আজ আমরা স্বাধীনতা পেলাম  তাঁদের এই অবদানের কথা কি করে ভুলি। স্বাধীনতা পেয়েও যেনো আমরা এখন‌ও স্বাধীনতার লড়াই করে চলেছি। আজ এই নব প্রভাতের  পুণ্যকিরণে  স্বাধীনতা দিবসে সকল  দুঃখ কষ্ট  দুর্নীতি  সব দূর করে  যেনো এক নূতন প্রভাতের সূর্য্যদ্বয় হোক। যাঁদের রক্তে আমরা আজ স্বাধীনতা পেলাম তাঁদের  আত্মত্যাগের কথা ভুলে নিজেদের মধ্যে লড়াই  করি। বহু  ত্যাগের বিনিময়ে আজ এই  স্বাধীনতা। স্বাধীনতা পেয়েও যেনো আমরা   পরাধীনতার বেড়ি পড়ে আছি। হাজারো সন্তানহারা মায়েদের  বুক ফাটা আর্তনাদে  আকাশ  বাতাস‌ ও যেনো কেঁদে উঠে প্রাণ। দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে আজ‌ও কত  সৈনিক শহীদ হচ্ছে। ছোট শিশু কন্যা থেকে শুরু করে যুবতী কার‌ও নিস্তার নেই ধর্ষণ কারীদের হাত থেকে।  মেয়েদের ক্ষেত্রে  আজ‌ও  স্বাধীনতা  শুধু নামেই রয়ে গেছে। আমাদের এই সমাজে এখন‌ও মেয়েদের অবহেলা করা হয়। তবে আজ মেয়েরা মাথা তুলে বাঁচতে শিখেছে। অত্যাচারের জবাব দিতে জানে। আমাদের এই স্বাধীনতা

বিশ্বকবি

আজ আবার এলো সেই বিদায় বেলা বাইশে শ্রাবণ হারিয়ে ছিলো  দেশবাশী এক  হীরে  মুল্যবান ভালোবেসে তোমায় বসিয়ে ছিলো হৃদয়ের আসনে তোমার কবিতা তোমার কাব্য  সাহিত্যের মাঝে দিয়ে আজ‌ও তোমাই পাই  ক্ষনে ক্ষনে পঁচিশে বৈশাখ আর বাইশে শ্রাবণ সদায় মনে পড়ে তোমায় এই দিনে সকলের হৃদয় শূন্য করে  চলে গিয়েছিলে তুমি বাইশে শ্রাবণে মৃত্যু যে সত্য তবুও  যে আজ‌ও কেঁদে উঠে প্রাণ  তোমার স্মরনে চিরস্মরণীয় তুমি তোমায় পেয়েছি  কবিতা আর গানে তোমার অবিনশ্বর  রচনাবলীতে আজ‌ও চোখ মেললেই খুঁজে পাই  বাংলার জল আকাশ  বা প্রকৃতির ইতিহাস তোমার কবিতার মাঝে দিয়েই মৃতুকে জেনেছি কেও চলে গেলে হয়না জগ‌ৎ শেষ হে প্রিয় কবি আজ  ২২শে শ্রাবন তোমার এই মহা প্রয়ানদিবসে আমাদের সাথে  আকাশের‌ও মূখ ভার তোমার স্পর্শ আজ‌ও খুঁজে পাই  গীতাঞ্জলি সঞ্চয়িতা দিয়েছো আমাদের   মহা মুল্যবান উপহার।

জীবনের কাছে একটু চাওয়া

জীবনটাই তো আজ মিথ্যে কি হবে রেখে বাজি মনের কথা বলতে চাই  যদি থাকো তুমি রাজি জীবনের চাওয়া পাওয়া হয় না কোনোদিন অবসান সব কিছুই পড়ে থাকে এই জীবনে মনে নিও না কোন রাগ অভিমান তবুও জীবনের কাছে এক ছোট চাওয়া জীবনের এক গান ভালোবাসার গান যে গানে  থাকবেনা কোনো বিসাদের ছোঁওয়া কখন‌ও যদি ভুলে  যাও আমায় জীবনে চলার পথে এই গানেই হবে  আমার জীবনসঙ্গী চলবে আমার সাথে ভালোবাসার এক অঙ্গীকার করছি আমি  তোমায় চিরস্মরনীয়  হয়ে থেকে যাবে এই গান হৃদয়ের খাতায় তোমার কাছে একটু চাওয়া দিয়ো একখানি গান আমায় উপহার ভালোবাসার সুরে বাজবে এই গান  হৃদয়ে আমার।