পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জীবনের সার কথা

আছে যার কাড়ি কাড়ি অন্যের ধনে হয় ধনী দিনে আনে দিনে খায় সেই  হয় বড়  গুণী মানুষ ধর্ম বড়  ধর্ম বইয়ের মাঝেই  সার দয়া মায়া হিংসায় জ্বলছে বিবেক বুদ্ধি  সব  অসার গরিবের  দুমুঠো চাল জীর্ণ শীর্ণ কুটীর শত কষ্টের মাঝেও তাদের মূখে হাসি আছে ব্যাংক ভরা টাকা  বড়  গাড়ী বাড়ী রং মেখে ঘুরছে নেই আনন্দ খুশী।

বৈশাখের রূপের ছটা

একদিকে নূতন বছর বৈশাখীর উল্লাস অন্যদিকে কালবৈশাখীর তান্ডবের নেই শেষ গ্রীস্মের দাবদাহে চারিদিকে মচায় হাহাকার সূর্য্যের প্রখর তাপে প্রকৃতির নেই পথ পালাবার বৃষ্টিবিহীন বৈশাখীর দিন নেই স্বস্তি প্রকৃতি পুড়ছে তপ্ত হাওয়ায় দর দর করে পড়ছে ঘাম একটু বাতাসে প্রান জুড়ায় আকাশের কালো মেঘ স্বপ্ন দেখায়  রিম ঝিম বৃষ্টি সবার আহ্বানে নেমে আসে বর্ষা এক অপরূপ সৃষ্টি তপ্ত প্রকৃতির বুকে  জলতরঙ্গে সবুজ পাতা চোখ মেলে তৃষ্ণার্ত পাখীরা সব মনের আনন্দে আকাশে ডানা মেলে নীরব দুপুরযেনজেগে উঠে শীতল আবেশের পরশ পেয়ে বৈশাখের এই রূপের ছটা বজায় থাকে সকলের হৃদয়ে।

আয়না

হোতাম যদি  আমি একটি আয়না বন্ধু হোতাম সবার ,সারিয়ে দিতেম মনের ব্যথা বলবে তুমি  আমায় খুলে, আছে   যত  মনের কথা দেখাবো তোমাদের  মনের আয়না , চিনবে তোমায় নূতন করে সুখের স্মৃতিতে ভাসবে তুমি  , মনের সুখে আকাশে উড়ে থাকতেম সবার পাশে পাশে নিজেকে খুঁজে পেতো আমার মাঝে করতো সবাই প্রশ্ন আমাকে দেখো তো লাগছে কেমন   আমায় এই সাজে ? মিথ্যে বলি না আমি কখনও দাঁড়ায় যখন আমার  সামনে দেখায় তাদের সত্যের পথ  আসল নকল নাও চেনে বন্ধু হয়ে বলছি তোমায় কেন সাজাও নিজেকে অন্যের জন্য দেখিয়ে দাও তোমার ভিতর আছে অনেক শক্তি ন‌ও তুমি পন্য জীবন যাত্রায় প্রতিদিন করে যাচ্ছ অভিনয় নিজের সাথে ছোট আঘাতে ভেঙ্গে যায় কাঁচের আয়না নূতন এসে যায় আবার ঘরের কোনেতে কিন্ত মনের আয়না ভেঙ্গে  গেলে সে যে জোড়া লাগে না হৃদয়তে।

ভূল

ভূল দুটি অক্ষরের মিলিত একটি প্রশ্নবোধক শব্দ না জানে কত জীবন আজ হয়েছে এর কাছে জব্দ তবুও মানুষ ভূল করে বার বার  জীবনে চলার পথে স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে ভূল হয়ে যায় নিজের  হাতে কেও  বা করে না জেনে  ভূল কেও করে  জেনে শুনে ভূল টা যে ভূলেই হয় আত্মগ্লানিতে ভোগে নিজের মনে নিজের ভূলে পর্দা পড়ে অন্যের ভূলটা সদায় নজরে পড়ে কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যে কে বলতে পারে এই সংসারে মনের অন্ধকারকে সরিয়ে দিয়ে যে অন্যকে ক্ষমা করে করুণা দয়া মায়ায় ভরিয়ে দেয় ইশ্বর তার হৃদয় অন্তরে আকাশে মেঘ হলেই যে বৃষ্টি হবে সেটা একটা ভ্রান্ত ধারনা ভূলের থেকে শিক্ষা পাওয়া  জীবনে যোগায়  নূতন প্রেরণা।

ব‌ই

ব‌ই আমাদের জ্ঞানের আঁধার ব‌ই  হলো মুক্ত খোলা মনের আকাশ ছোট থেকে বড় হোলাম ব‌ইয়ের   মাঝে খুঁজে পেলাম  অতীতের যত ইতিহাস একা মনের সাথি তুমি থাকো তুমি সবার হাতে তোমায় নিয়ে ভূলে থাকে  হাসি কান্না সবেতে কবি সাহিত্যিক লেখক তাঁরা লিখছে তাঁদের মনের ভাষা ব‌ই থেকে হয় জ্ঞান অর্জন পথ দেখায়  নূতন এক দিশা কবি গুরুর ভাষায়  ব‌ই হয়েছে অতীত আর  বর্তমানকে বাঁচিয়ে রাখার এক সেতু ব্যস্তময় এই জীবনে ছিন্ন হচ্ছে ব‌ইয়ের সাথে পাঠক পাঠিকার সম্পর্কের এই সুতো শরৎ ,আশা ,সনীল, তারাশঙ্কর  তাঁদের সাহিত্যিক উপান্যাসে কত ভালোলাগা সেই চরিত্র ছিলো যে এক  নিবিড় সম্পর্ক ব‌ইয়ের পাতায় পাতায়‌ যেন   এক পরম মিত্র কোথায় গেলো  সেই দিন যখন পড়ার ব‌ইয়ের মাঝেও লুকিয়ে লুকিয়ে পড়া হতো শুকতারা আর  ঠাকুমার ঝুলি আজ  আর কারো কাছে নেই সময় শুধু ব়ই গুলো পড়ে পড়ে জমছে ধুলি।

অভিমান

অভিমান গুলো বাঁসা বেঁধেছে  মনের ভিতরে শব্দ গুলো হারিয়ে যাচ্ছে এক এক করে অভিমানকে আঁকড়ে  বসে থাকে সবাই নিজের ভেবে, মান ,অভিমান,যন্ত্রনায়   ভুগে আপনি  স্বভাবে তবুও  যে  বাঁচতে  চায় তারা একে অপরের হাত ধরে, ক্ষনিকে  হৃদয় থেকে বেদনার মেঘ গুলো  যায় উড়ে স্বপ্ন দেখে  ভালোবাসার  থাকবে যে একে অপরের পাশে, হায়রে অবুঝ মন   সে তো চলে তার অভিমানের বশে। অভিমানের কাছে  ভালো বাসা হেরে যায়, মান অভিমানে হৃদয় যায় ভেঙ্গে ভালোবাসা কেঁদে ভাসায় মন বলে করো না অভিমান   থেকো না দূরে ভালোবাসা যে যায় না ভুলা অভিমান  করে।                                    

নূতন সূর্যোদয়

কাল সকালে  সূর্যোদয় দেখতে গেছিলাম ব্যাঙ্গালোরে  নন্দী  হিলসে ,,,,চোখ দুটো সার্থক হয়ে গেলো ,আর এক  যেঅদ্ভূত অনুভূতির প্রকাশ হলো  মনে ,সেটাই শেয়ার করলাম তোমাদের কাছে,,,,,, ------------------- রাতের আ়়ঁধার পেরিয়ে সাদা চাদরের আস্তরন খুলে দিয়ে ঢডূঘীএকটু একটু করে  মুচকি হেসে বেরিয়ে আসলে  লাল চাদর গায়ে রাজার বেশেস্ত এসে ঔষধকাছ থেকে পেলাম তোমায় হাতের মুঠোয় বন্দী করে নিলাম তোমায়  চোখ দুটোয় প্রিয় যদ এজ ভলাল দরবেশে সেজে উঠলো পূবের আকাশ খুশীতে সবাই আত্মহারা এক অদ্ভুত অনুভূতির প্রকাশ যেন এক নববধূর কপালে লাল টকটকে সিঁদুর সোনালী আভায় ছড়িয়ে দিলে জগতে আলোর বিস্তার আকাশের মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মন দিনের প্রথম আলো নূতন সূর্য নূতন প্রাণ সোনালী অক্ষরে লেখা থাকবে তোমার নাম কর জোড়ে করি তোমায় সহস্র কোটি প্রণাম।

বাঙ্গালী ও বাঙ্গালীয়ানা

মনে প্রাণে বাঙ্গালী  মাতৃভাষা বাঙ্গালী বাংলা আমার প্রাণ বাংলার সংস্কৃতি ও ভাষাকে  জানাই  সাদর সন্মান তাসের ঘরের মত  আজ ভেঙ্গে যাচ্ছে বাংলার সংস্কৃতি বাংলার সংস্কৃতি ঐতিহ্য জীবনধারা সবেই আজ দিকভ্রান্তি নিজ সংস্কৃতির‌ আজ নেই যে পরিচয়  অতীতের স্মৃতি গুলো মনকে কাঁদায় কোথায় সে বাঙ্গালী  কোথায় তাঁর জীবন বোধ একটু একটু করে  যাচ্ছে  ভেসে কালের স্রোতে নেই যে  কোন  আজ মানবতাবোধ মা কে ডাকছে মাম্মি বাবা কে পাপ্পা কে মাসি  কে পিসী  সবেতেই আজ আন্টির ধাপ্পা শিক্ষা দীক্ষায়  আজ অনেক উন্নতি ইংরাজীর পিছনে ছুটে বাংলার অবনতি বাঙ্গালী বলে পরিচয় দিতে পাই  যে লজ্জা পশ্চিমী সভ্যতায় চলছে নিজেদের সাজ সজ্জা পয়লা বৈশাখ নববর্ষ  বিজয়ার শুভেচ্ছা  নমস্কার আধুনিকতায় পড়ে জীবন থেকে করছে বহিস্কার। অতীতের দিন গুলো সামনে রেখে চলবো মোরা এক সাথে নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে হাঁটবো যে এক পথে।

আমের পরিচয়

"আমের পরিচয়" বৈশাখ থেকে শুরু হয় আমার আগমনী জৈষ্ট্য আষাড় অব্দি চলে কাল বৈশাখীর ঝড় থেকেও পারে না আমায় বাঁচাতে টুপ টাপ পড়ি টিনের চালে প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে থাকি সেজে সবুজের বাগানে কাঁচা পাকা হয়ে লুকোচুরি খেলি সবুজ পাতার মাঝখানে বাগান থেকে এসে বাজারে বসি ফলের রাজা হয়ে বিভিন্ন নামে ডাকে আমায় দর দাম চলে আমাকে নিয়ে নূতন অতিথি হয়ে যাই সবার আগে ভালোবেসে নিয়ে যায় ঘরে বাচ্চা থেকে বুড়া কেও যায় না বাদ সবাই খায় মজা করে টক ঝাল মিষ্টি আমায় নিয়ে তৈরী করে নানান স্বাদের আচার গরমের দিনে ঠান্ডা শরবত আর জুস হয়ে সাজাই গ্লাসের বাহার রস গুনে ভরপুর মিষ্টি গন্ধ আর স্বাদ হলো আমার পরিচয় আমি যে হলাম জাতীয় ফল ফলের রাজা আম আমাকে নিয়ে করো এবার যত ইচ্ছা হৈচৈ।

বন্ধুত্বের পরিভাষা

"বন্ধুত্বের পরিভাষা" বন্ধুত্ব সে যে জীবনে   না পাওয়া এক অমূল্য ধন সুখ দুঃখের কথা সব বলতে পারে নিজের মন বন্ধুত্ব সে যে  জীবনে চলার পথে পাশে থাকার নাম বিশ্বাসঘাতকতা করে করো না বন্ধুত্বের বদনাম বিপদ থেকে বিপদ মুক্ত করার নাম হলো বন্ধুত্ব বন্ধুত্বের মাঝে থাকে না যে  কোন বাঁধা আর সর্ত গরীব বড়লোক হয় না ভেদা ভেদ বন্ধুত্বের সাথে পরিচয় পাওয়া যায় বন্ধুত্বের জীবনে চলার পথে কে শত্রু কে মিত্র বন্ধুত্ব আজ মুখোশের আড়ালে সুখ দুঃখে কাঁধে কাঁধ রেখে পারস্পরিক ভালোবাসায় বন্ধুত্ব এগিয়ে চলে সময়ের সাথে বন্ধুত্বের পরিভাষা বদলে  গেছে হয়েছে নূতন নামকরন মিথ্যে বন্ধুত্বের খেলায় মেতে উঠেছে হারিয়ে যাচ্ছে বন্ধুত্বের বন্ধন পছন্দ অপছন্দের বন্ধুত্বের বাজারে আজ নেই কোন  প্রত্যাশা অতীতের স্মৃতি গুলো কেঁদে বেড়ায় আজ শুধু বন্ধুত্বে ব্যর্থ জীবন ভালোই তো ছিলো  শৈশবে  সব কিছু ভুলে কেটে যেতো সারাক্ষন।

বন্ধুত্ব

বন্ধুত্ব সে যে জীবনে   না পাওয়া এক অমূল্য ধন সুখ দুঃখের কথা সব বলতে পারে নিজের মন বন্ধুত্ব সে যে  জীবনে চলার পথে পাশে থাকার নাম বিশ্বাসঘাতকতা করে করো না বন্ধুত্বের বদনাম বিপদ থেকে বিপদ মুক্ত করার নাম হলো বন্ধুত্ব বন্ধুত্বের মাঝে থাকে না যে  কোন বাঁধা আর সর্ত।

এসো হে বৈশাখ

এসো হে বৈশাখ চৈত্রের হচ্ছে সমাপন  বৈশাখকে করি আবাহন এসো হে বৈশাখ তোমার  আজ  সাদর নিমন্ত্রন পুরাতনের যত আছে  দুঃখ  বেদনা ক্লেশ ভূলে নূতনকে করি আমন্ত্রন গানের তালে তালে সত্য মিথ্যা ভাল খারাপ সবই আছে জীবন ভরে তবুও মোরা নতুনের দাঁড় খুলে দেখব জগৎ নয়ন ভরে নববর্ষের প্রভাতে   নূতন সূর্য্য  উঠেছে পূব গগনে আজ আনন্দ উল্লাসে প্রাণ নেচে উঠে পাখীদের গানে আজ  বাঁধবো  মোরা সংকল্প নূতন বছরে আসুক যত দুঃখ দৈন্য ছাড়বো না হাত একে অপরে।

দুটি অবুঝ মন

প্রেমের সাগরে  ভেসে যায় এই অবুঝ দুটি মন প্রকৃতির রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দিয়েছে  ভালোবাসার এই ক্ষন দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে ফিরেছে  তারা এই গাছের ডালে দুজনে আজ লেগেছে গলে  ভালোবাসার কথা বলবে বলে হারিয়ে যাবে   দুটি   মন আজ  প্রেমের কথা ফুরালে গড়বে তারা ভালোবাসার নীড়  ভোরের আলো  ফুটলে।

মেঘ বৃষ্টির অভিমান

"মেঘ বৃষ্টির অভিমান" আকাশটাআজ বড় মেঘলা বৃষ্টি কেন হয়না এক  পশলা বসে আছে  একফোঁটা বৃষ্টির জন্য হলে পরে করতো   ধন্য ধন্য আজ যে   দেখা নেই  বৃষ্টির কোথাও মেঘ গুলো আকাশ থেকে  গেছে উধাও পৃথিবীকে নিয়ে চলছে লড়াই দুজনের মধ্যে, প্রকৃতির থেকে চলে যাবে ওরা অনেক উর্দ্ধে মেঘ করছে আসবো  না বলে  বৃষ্টির সাথে বায়না বৃষ্টি বলে গরমে মানুষ বেহাল তার কষ্ট দেখা যায়না মেঘ বলে  ভেলা হয়ে করবো বিচরণ  আকাশের পথে যাবো না আমি বৃষ্টি হয়ে  তোমার সাথে ঘরে অফিসে  সব জায়গায় লাগাচ্ছে ঠান্ডার  মেশিন বৃষ্টির অভাব হচ্ছে পূরণ দিন প্রতিদিন  নেই যে আমাদের আর কোন  মানুষের  প্রয়োজন শহরে গ্রামে কাটছে গাছ পালা পৃথিবীর লোকজন পাখীরা হচ্ছে যাযাবর  মানুষ গড়ছে তাদের আশ্রয়স্থল জলের কুমির ডাঙ্গায় ভাসছে নেই যে কোথাও একটু জল জলের থেকে মানুষ বেশী নেই যে কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই আকাশছোঁয়া উঠছে মঞ্জিল ভরছে পুকুর বিল আর খাঁই বিজ্ঞানের দৌলেতে  আজ মানুষ পেয়ে যায় কৃত্রিম বৃষ্টি কোন একদিন হারিয়ে যাবে পৃথিবীর মাঝে প্রকৃতির এই অপরূপ সৃষ্টি।