পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঝরা শিউলি

বিবাহিত জীবনে গত ২৭টা বছর ঘুটঘুটে কালো অন্ধকার ছিলো ,,,,,,,,,,আজ সেই অন্ধকার যেন এক নিমেষে আলোয় পরিনত করে দিলো তার মেয়ে অনন্যা,,,,,,, অমিতের সাথে ভালোবাসা করে বিয়ে করেছিলো,,,,, ,,,,,,আজ ভাবতে কষ্ট হয় কেন অমিতের মত একটা ছেলেকে সেদিন ভালোবেসে ছিলো ,,,,,কত স্বপ্ন নিয়ে না অমিতের সাথে ঘর বেঁধেছিলো,,,,,,,,, কোথায় ছিলো সেদিন অমিতের ভালোবাসা ,,,,,,,,,কেন সেদিন সে বলতে পারেনি কিছু ,,,,,,,, শেষে কিনা মেয়ে ,,,,,,,,, বংশে বাতি দেবে কে ?? ঝাঁঝিয়ে ওঠেন শাশুড়ি মা বীণা দেবী ,,,,,,,, আপনি দেখবেন মা ও একদিন বংশের মুখ উজ্জ্বল করবে,,,,,,, করুন সুরে বলে শিউলি,,,,,,, ওকে আমরা মানি না,,,,,,,,,এ মেয়ে জন্মানোর চেয়ে মরাই ভালো ,,,,,,,,, অমিতের মধ্য সেদিন একটুকু ভালোবাসার স্পর্শ ও সহমর্মতির হাত দেখতে পেলো না,,,,,,,,, হাজারো পুরানো স্মৃতি কথা মানসপটে একের পর এক মনে পড়তে লাগলো,,,,,,, সেই কালো অমাবষ্যার রাত শিউলি আজও ভুলেনি,,,,,,,,, এক কাপড়ে সেদিন শিউলি মেয়ে অনন্যাকে নিয়ে বেরিয়ে এসেছিল শ্বশুরবাড়ি থেকে ,,,,,,,,,,,,, সেদিন এই কঠিন সিন্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়ে ছিলো,,,,,, শিউলি যে জীবনে এমন একটা দুঃসাহসিক সিন্ধান্ত

মা আসছেন

কৈলাশ থেকে আসছে মা  সঙ্গে চার ছেলেপুলে মায়ের আগমনে আনন্দের উল্লাস  পূজোর গন্ধ শিউলি ফুলে বাজলো তোমার আলোর বেনু   মাতলো রে ভূবন  মা আসছে বাপের বাড়ী খুশীতে  নাচে মন শঙ্খ উলুধ্বনি আর ঢাকের আওয়াজে করবো  মাকে  দু হাতে বরণ বেজে উঠেছে মায়ের শঙ্খধ্বনি করবে এবার মা অসুর নিধন তুমি যে অসুর বিনাশিনী শক্তিরূপিণী দেখাও তোমার রূপ মহিষাসুর মর্দিনী ধংস করো মা এই অসুর শক্তি বিনাশ করো যত অপ শক্তি তুমি মা দুর্গতিনাশিনী।

নবপত্রিকা

..................... আকাশে বাতাসে মহা  শক্তির আগমনী সকল কষ্ট ভুলায় মাগো  তোমার  মূখখানি মন্ডপে মন্ডপে দেবীর অধিষ্ঠান  শঙ্খ উলুধ্বনিতে পূজোর সকালে স্নান সেরে  লাড়পাড় শাড়ীতে কলাব‌উ সেজে মাথায় ঘোমটা  তুমি জগৎজননী নয়টি  গাছে তোমার সৃষ্টি  দেবী নবপত্রিকাবাসিনী ঢাকের বোলে পূজোর মন্ত্রাচ্চোরনে শুরু হয় পূজোর আয়োজন সপ্তমীর সকালে মহা সমারোহে তোমার  হয় স্থাপন অবগুন্ঠিতা বধূ সেজে থাকো তুমি দেবীর ডান পাশে  নব দূর্গা নবপত্রিকা দেবীদূর্গার প্রতীক পরিচয় তোমার অশুভ শক্তিনাশে।

মায়ের রূপ

প্রতিমাতেই নয় প্রতি মা তেই মা থাকে এটা যেমনটা সত্যি তেমনেই চিরন্তন,,,,,,,, সন্তানদের জন্য এক মা দূর্গার রূপ ধারন করে দশভূজায়  যেমন সংসার সামলায় তেমনি দরকার পড়লে  মহিষাসুর মর্দিনী সাজতে পিছুপা হোন না,,,,,,,, একেক সময় খুব মনেহয় সে ই কাকিমার কথা,,,,,,,,,,,, আমরা উনাকে কাকিমা বলেই ডাকতাম,, খুব কাছ থেকে এক মা কে  লড়তে দেখেছি তার পরিবারের জন্য,,,,,,,,,  কাকিমার স্বামী মানে কাকু খুব ভালো পোষ্টে রেল‌ওয়েতে কাজ করতেন ,,,,,,,,,,আর কাকিমাও কর্মরতা মহিলা ছিলেন ,,,ভালো সরকারী অফিসে কাজ করতেন ,,,,,, চার ছেলে মেয়ের সংসার কোন অভাব কষ্ট ছিলো না,,,,,,,,,তথাপি বলে না যে এই জীবনে সুখ সবার ভাগ্যে থাকে না ,,,,,,,,,,, কিন্ত কাকিমার জীবনটা অন্যান্য মহিলাদের মত ছিলো না ,,,,,,,,, ছোটবেলা থেকেই সে কাকিমাকে দেখে দেখে যেন আমরা বড় হয়েছি,,,,,,,,,একজন মা একজন স্ত্রী  হতে হলে কতটা ধৈর্য্য সহনশীলতার প্রয়োজন সেটা কাকিমাকে না দেখলে সত্যি বুজতাম না,,,,,,,,, সেই কাকিমাকে দেখে পাড়ার মা কাকিমারা‌ও কতটা অনুপ্রেরনা পেয়েছে সেটা হয়তো বলতে পারবো না,,,,,,,,,, কিন্ত কাকিমাকে নিয়ে  যথেষ্ট সমালোচনা হতো  সেটা কাকিমা নিজ

সোশ্যাল মিডিয়া

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের আধুনিক জীবনে একটা নতুন বাস্তবতা ,,,,,,,,এটার সাথে প্রতিদিন আমাদের উঠা বসা চলছে,,,,,,,,, বিবর্তনের  স্রোতে গা ভাসিয়ে মানবসভ্যতা অনেকদূর এগিয়ে গেছে ,,,,,,,,এখন আর মানুষ বসে বসে পত্রিকার পাতা ঘাঁটা ঘাঁটি করে না,,,,,,,,,,,,আমাদের চারপাশে বা দেশবিদেশে কি ঘটছে সেগুলো একনিমেষেই পেয়ে যাচ্ছে ,,,,,,সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মাঝে মধ্যেই এমন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে যে সেটা সমাজে অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করে,,,,,,, এখানে ভালো খারাপ দুটোই আছে,,,,,,,, কিন্ত সারা বিশ্বেই এখন সোশ্যাল মিডিয়া এতটাই  শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে কোন কিছুই আর ঢাকা চাপা থাকে না,,,,,,,,,, বিশ্বজুড়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়া একটা আলোড়ন সৃষ্টি করছে,,,,,,,অনেকে আবার এই সোশ্যালমিডিয়াকে হাতিয়ার করে নানা ধরনের গুজব খবর ছড়াচ্ছে,,,,,,, টিভি খুললেই আজকাল নানা ধরনের চ্যানেলে নানা ধরনের খবর আসছে তা দেখে  সত্যি মাথাটা খারাপ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়,,,,,,,,মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য  সোশ্যাল মিডিয়াকেই তারা বেছে নেয়,,,,,,ব্যাক্তি গত আক্রোশ ,রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সবকিছুই সোশ্যাল মিডিয়া একটা বড় প্ল্যাটর্ফোম হয়েছ