ঝরা শিউলি
বিবাহিত জীবনে গত ২৭টা বছর ঘুটঘুটে কালো অন্ধকার ছিলো ,,,,,,,,,,আজ সেই অন্ধকার যেন এক নিমেষে আলোয় পরিনত করে দিলো তার মেয়ে অনন্যা,,,,,,, অমিতের সাথে ভালোবাসা করে বিয়ে করেছিলো,,,,, ,,,,,,আজ ভাবতে কষ্ট হয় কেন অমিতের মত একটা ছেলেকে সেদিন ভালোবেসে ছিলো ,,,,,কত স্বপ্ন নিয়ে না অমিতের সাথে ঘর বেঁধেছিলো,,,,,,,,, কোথায় ছিলো সেদিন অমিতের ভালোবাসা ,,,,,,,,,কেন সেদিন সে বলতে পারেনি কিছু ,,,,,,,, শেষে কিনা মেয়ে ,,,,,,,,, বংশে বাতি দেবে কে ?? ঝাঁঝিয়ে ওঠেন শাশুড়ি মা বীণা দেবী ,,,,,,,, আপনি দেখবেন মা ও একদিন বংশের মুখ উজ্জ্বল করবে,,,,,,, করুন সুরে বলে শিউলি,,,,,,, ওকে আমরা মানি না,,,,,,,,,এ মেয়ে জন্মানোর চেয়ে মরাই ভালো ,,,,,,,,, অমিতের মধ্য সেদিন একটুকু ভালোবাসার স্পর্শ ও সহমর্মতির হাত দেখতে পেলো না,,,,,,,,, হাজারো পুরানো স্মৃতি কথা মানসপটে একের পর এক মনে পড়তে লাগলো,,,,,,, সেই কালো অমাবষ্যার রাত শিউলি আজও ভুলেনি,,,,,,,,, এক কাপড়ে সেদিন শিউলি মেয়ে অনন্যাকে নিয়ে বেরিয়ে এসেছিল শ্বশুরবাড়ি থেকে ,,,,,,,,,,,,, সেদিন এই কঠিন সিন্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়ে ছিলো,,,,,, শিউলি যে জীবনে এমন একটা দুঃসাহসিক সিন্ধান্ত...