অতীতের বিয়ের আনন্দ
স্কুল থেকে একদিন বাড়ি ফিরেছি মা বললো আমার মাসির বিয়ে নাকি আমাদের বাড়িতে
থেকেই হবে। ছেলের বাড়ি র লোকজন নাকি অতো দুরে গিয়ে বিয়ে করবেনা।শুনেই যেনো কি আনন্দ
হলো তা বলে বোঝাতে পারবোনা । বিয়ের খুব একটা দিন বাকী ছিলো না ।কয়েকদিন পর থেকেই দেখলাম
আমাদের ঘরদোর সব রং করা হচ্ছে ,মাকে দেখলাম নতুন নতুন জানালার পর্দা বিছানার চাদর ,বালিশ এগুলো
সব নতুন করে তৈরি করতে।। মা বললো সকলে আসবে যেভাবে সেভাবে তো আর থাকতে দেওয়া
যায়না ।আমাদের জন্য নতুন জামা কাপড় সব কেনা হয়েছে। আমাদের আশেপাশে সকলেও খুব খুশি মাসির
বিয়ে এখানে হবে । সব সময় আমাদের বাড়িতে লোকজন আলাপ আলোচনায়। এখন সেসব নিয়ে চিন্তা করতে
হয়না।
তারপর সবথেকে যেটা আনন্দের বিষয়। যেগুলো আজকাল খুব মিস করি সেটা হলো রান্নার ঠাকুর । কি অপূর্ব
স্বাদের রান্না বন্না করতো একদম ঘরোয়া রান্না।বাড়ীতে ঠাকুরকে ডেকে আনা হলো উনারা এলো বাবাকে
দেখলাম কিছু টাকা দিয়ে বায়না কর হলো বিয়ের রান্নার জন্য। তখনকার সময় এখনকার মতো ক্যাটারিং
সার্ভিস চালু হয়নি। আমাদের বাড়ির সামনেই অনেকটা জায়গা ছিলো সেখানে বিশাল প্যান্ডেল করে বিয়ের কুঞ্জ
সাজানো হলো।সে কি আনন্দ হৈ হুল্লোর ,বাড়ি ভর্তী লোকজন ঘর ভর্তি বাজার । বিয়েরদিন সকাল থেকে
দেখলাম মহিলা দের বসে বসে রান্নার ঠাকুরকে সাহায্য করে দেওয়া । বিয়ের বাজনাতে গমগম করছে ঘর ,,
এক অদ্ভুত অনুভূতি যেটা এখন আর পাওয়া যায়না । সব কিছু রেডিমেট খেতে আর পেতে পেতে সব
কিছুতে অভ্যস্ত ।রেডি টু ইটের মতো হয়ে গেছি। হাতের সামনে সব কিছু পাওয়া চাই । টাকা দিয়ে
যেমন সব কিছু কেনা যায়না তেমনি বিয়ের সেই প্রকৃত আনন্দ খুশি এইগুলো খুঁজলে বা চাইলেও পাওয়া
যাবে না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন