পোস্টগুলি

মায়ের গল্প

. শিরোনাম ....মায়ের গল্প ✍️উমা মজুমদার ২৭/৫/২৩ একটা মায়ের সাথে আরেকটি মায়ের অসম্ভব মিল থাকে ।তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে। একদিন বিকেলে দাঁড়িয়ে আছি বেলকনিতে। হটাৎ করেই মনে হলো  কে যেনো বলছে, কি রে সন্ধ্যা হয়ে গেলো এখনো দাঁড়িয়ে গল্প করছিস ,পড়তে বসবি  কখন, সন্ধ্যা হয়ে এলো যে ঘরে আয়।  দাঁড়াও না মা আসছি আর একটু কথা বলেই চলে আসছি। পড়বো তো সারাদিন  শুধু পড়া  পড়া বলতে থাকো , ভালোলাগে না।  টিউশন করে এসে একজনের বাড়ীর সামনে এসে কথা বলছিলো দলবেঁধে ।পিঠে সবকয়টি র  ব্যাগ ,তা দেখে বুঝলাম পড়ে এসেছে। মনের খুশিতে কথা বলছিলো ,সত্যি তো এই দিনগুলো আর কি আসবে । অনেকক্ষণ পর একজন একজনকে বাই বলে চলে গলো যে যার মতো বাড়িতে।  হটাৎ করে কে যেনো আমাকে ধাক্কা দিলো, কি  গো সন্ধ্যা হয়ে এলো কখন চা খাবো ,ওহ আচ্ছা চা  করতে  হবে তো ।পড়াশোনার পাঠ কবেই চুকিয়ে এসেছি এই জীবনটা কত বদলে গেছে,এইসব তো কবেই  ছেড়ে এসেছি । আমি আমার মধ্যে আবার  ফিরে আসলাম। মা শব্দের মধ্যে কত স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে থাকে শাসন, অনুশাসন, বকাঝকা সেগুলো একটা সন্তান কে আঁকড়ে রাখে ।

নজরুল প্রণাম

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের   জন্মজয়ন্তীতে জানাই প্রনাম 🙏 যে কবির কাব্যে  শোনা গিয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়ী চির যৌবনের জয়ধ্বনি , শোনা গিয়েছিল অগ্নিবীণার সুর ঝংকার, যিনি ধীর স্থির অচঞ্চল  বাংলা কাব্যে বয়ে এনেছিলেন দুর্বার কালবৈশাখীর ঝড়  সেই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল  জ্যোতিষ্ক।  তিনি তাঁর রচনার মধ্য দিয়ে মানুষের উপর হওয়া মানুষের অত্যাচার  সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।  তিনি সাম্যের কবি  চির যৌবনের কবি কাজী নজরুল ইসলাম'  উদাত্ত কণ্ঠে যিনি ঘোষণা করেছিলেন ,"বল বীর বল উন্নত মম শির। 🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻

গুণের পরিচয়

সততা বিশ্বাস জীবনের শ্রেষ্ট গুণ সদায় যেনো থাকে  মনে সবদিকে শ্রেষ্ঠ মানুষ বিচার   বুদ্ধি স্বভাব আচরণে।  মিথ্যের আরহণে সততার বুকে  আজ  ঘুণের বাসা  মন মানসিকতা য় কালো ছায়া  বিশ্বাসের নেই ভরসা । মানুষ হয়ে মানুষের সর্বনাশ  আত্ম অহংকারে দেখায় দাপট ভুল করেও  হয়না  মাথা  নত ইগোতে করে দাঁত কটমট  মানুষ হয়ে মানুষের জন্য নয়  সংকীর্ণ মনের দেয় পরিচয় ধনের মানুষ বহুজন মনের  মানুষের অভাব বড় ই।

গ্রীস্মের দাবদাহে

কলমে ...উমা মজুমদার ২৪/৫/২৩  সূর্যিমামা হুঙ্কার ছাড়ে রোদ দেয় চোখ রাঙানি নিদাঘ তপ্ত বাতাস ছড়ায়  আগুনের ঝলকানি। ভয়ঙ্কর দাবদাহে রক্ষ প্রকৃতি  ওষ্ঠাগত জনজীবন। ঝরছে দেহে দরদরে ঘাম  অস্থিরতায় কাটছে সারাদিন । ঘুম নেই চোখে সারারাত ছটফট  গরমে হাহাকার  প্রকৃতির রুদ্র মূর্তি কোথাও   নেই দেখা মেঘেদের। তৃষ্ণার্ত চাতকের মতো  আকাশ পানে বারবার চেয়ে রয়  শীতল ধারা হয়ে নেমে আসে বর্ষা  সকলের কাতর  প্রার্থনায়।

জন্মিলে মরিতে হবে

জন্মিলে মরিতে হবে ভুলিনা কখনো  যেতে হবে পরপারে সময় আসিবে যখন সুন্দরের আস্বাদন পৃথিবী দেখি দুচোখ ভরে  প্রাণবায়ু চলে যতক্ষণ।

নিয়তির লেখা

কলমে....উমা মজুমদার ১৯/৫/২৩ জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে,,এই কথাটা শুধু বলার কথা  নয় অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। মাকে সব সময় বলতে শুনেছি  ভগবান  না চাইলে কিছুই হ‌ওয়ার নেই।  মায়ের বলা কথা আজ আমিও কিছুটা হলেও বিশ্বাস করি।  বিয়ের পর  অনেকবার এসেছে আমাদের বাসায় বেড়াতে সেই দিদি জামাই বাবু। দূর সম্পর্কের বোনের মেয়ে। দিদির অনেকটা বয়স হয়ে গেছিলো বিয়ে হচ্ছে না বলে এক ছেলের সন্ধান পেয়ে এসেছিলো ।আমাদের বাসায় দু দিন থেকে দিদিকে দেখেছিলো ছেলের বাড়ীর লোকজন ।খাওয়া দাওয়া করলো পেট পুরে। আগে তো এটাই ছিলো মেয়ে দেখার নিয়ম। তারপর খবর দেয় পছন্দ অপছন্দের । পছন্দ হলে ভালো নাহলে মেয়ের বাবা হতাশ হয়ে ভেঙ্গে পডে। সেই পাত্রের বাড়ি  থেকে জানানো হলো দিদিকে পছন্দ হয়নি। দিদির হাইট কম।সেটা শুনে মেসোর  মনটা  খুব খারাপ হয়ে গেছিলো। অনেক আশা নিয়ে এসেছিলেন। কি করা যাবে মন খারাপ করে লাভ নেই ,হয়তো কোথাও ভালো ছেলে অপেক্ষা করছে।  ট্রেনে যাওয়ার পথে একটি পাশের সিটে একটি ছেলের  সাথে মেসোর  খুব ভালো পরিচয় হলো। কথা বার্তা বলতে গিয়ে জানতে পারলো ছেলেটির জন্য মেয়ে খোঁজা হচ্ছে। বিয়ে করেনি ছেলেটিও। পছন্দ মতো

মানুষ হও

সব মানুষ হয়না এক সমান ভালো মন্দ মিলিয়ে মানুষের গঠন সকলকে এক ভাবা আমাদের ভুল  মুখের মিষ্টতায় সকলকে খাওয়ায় ঘোল পর্দার আড়ালে আসল মুখোশ ঢাকা দয়া মায়া ভালোবাসা হারিয়ে হৃদয় ফাঁকা  মানুষ জন্ম নিয়ে হ‌ও মানুষের মতো ভালোবাসো নিজেকে ভালোবাসো সকলকে হবে পৃথিবীটা সুন্দর ততো।