পোস্টগুলি

প্রতিবাদী নারী

গর্জে উঠেছে নারী সমাজ বিচারের লড়াইয়ে  মুখ বুজে সইবেনা আর যাতনা দিয়েছে বুঝিয়ে  নৃশংস হত্যা ধর্ষণে প্রতিবাদের মিছিল নারীদের  দিন রাত্রি হোক সমান  নারী পুরুষ উভয়ের  শ্বাপদ শাবকের ঘোরাঘুরি  রাতের আড়ালে নারীর শরীর নিয়ে ছিনিমিনি  সুযোগ পেলে নারী নয় অবলা নারী শক্তিতে জাগাও মনোবল‌ নারী বলে  হবে না  দুর্বল মুছে নাও চোখের জল অনেক হয়েছে শাসন শোষন ঝড় উঠেছে প্রতিবাদের  বন্ধ হোক নারী  নির্যাতন প্রতিষ্ঠিত হোক নিরাপত্তা নারীদের নারীও যে রুদ্ররূপ ধারণ করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে অপমানিত নারী যখন উঠে দাঁড়ায় প্রলয়ের ঝড় বয়ে আনে।

মন মর্জি

আপন মর্জিতে আসে যায় খেয়াল খুশির মালিক  ঠিকানা ভুলে চলে আসো গরমে সকলের প্রাণ যাক ফিরে যাও নিজ ঘরে ঠান্ডায় এসো চুপটি করে শারদীয় উৎসব নিয়ে শরত এলো এবার সে থাক।

মুখোশধারী

বাস্তবতার শহর জুড়ে মুখোশধারী  এক মুখ হাজার মুখোশ চেনা ভারী । নিত্যদিনের দিনযাপনে চলে অহরহ কুকর্মে বেড়েছে যত মুখোশের মোহ। মুখোশের আড়ালে ভয়ঙ্কর  চেহারা  অনৈতিক কাজকর্মে লিপ্ত হয়ে পরা।  স্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝেনা মুখে মিষ্টি কথা  ভদ্রতার মুখোশে কুৎসিত যত মানসিকতা। শত শত অপরাধ জন্ম নেয় মুখোশের ভিতরে  বহুরূপী মুখোশে দিনরাত্রি মনুষ্যত্ব মরে। ভয় ডর নেই মনে মুখোশটা খুলবে যেদিন সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ পাপ করে প্রতিদিন।

বিলুপ্তপ্রায় মনুষ্যত্ব

সত্যে মিথ্যা আড়াল করা নিত্য পোশাকের মত   সময়কে বন্দী কষাঘাতে অবিবেকি মনুষ্যত্বের অবক্ষয় প্রতিনিয়ত । পুঁথিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এগিয়ে যাওয়া সামনের দিকে  আরও যে কত বেঁচে থাকা বিষাক্ত বাতাসে দীর্ঘশ্বাস ভিতর থেকে । আজ যেনো মন বলতে চায় ফিরে আসুক ফিরে আসুক সেই দিনগুলো আগেকার  কাটাতে চায় নির্ভয়ে নিডরে জীবনের কন্টকপথে পাথেয় হোক নির্ভরতার। সময়ের কোলাহল ঘোর অমানিশার রাত নিষ্ঠুরতায় মৃত্যুর বাতাস বয়ে যায়  সময়ের মুখোশে যত বাস্তব গল্প বোবা কান্নার আর্তনাদ রক্ত ঝরে নগ্ন দুনিয়ায়।   মানুষ রূপে বহুরূপীকে  পাঠিয়েছেন পৃথিবীতে  যেখানে শুধুই আজ অনুতাপ কোথায় আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি যেখানে শুধুই  ঘৃণা বিদ্বেষ  ছড়িয়ে গেছে যত  পাপ। মিথ্যের মহা আয়োজনে ঝাঁপিয়ে করে সত্যের বিনাশ  ঝড় উঠেছে প্রতিবাদের প্রবল ঝড়ের পরে  হোক সত্যের আলোর প্রকাশ। ✍️উমা মজুমদার ।

বৃষ্টি হোক শহর জুড়ে

মেঘলা আকাশ বাদল দিনে বুক দুরু দুরু মেঘের গর্জনে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে  আষাঢ় শ্রাবণ বৃষ্টি মাখা গায়ে। উতল ধারা বাদল অঝোরে ঝরে  শৈশবের ঝাঁপিটা হটাৎ খুলে পড়ে  পথ ঘাট সব ভাসে হাঁটু সমান জলে মরনফাঁদ থেকে মানুষ প্রাণটা বাঁচিয়ে চলে। শহরজুড়ে চলে বৃষ্টির মাতাল  নেশা জীবন নির্বাহে চালায় তাদের পেশা  কেও বা ভিজে বৃষ্টিতে সুখের নেশায়  কেও বা ভুলে কষ্ট বৃষ্টির ফোঁটায়। অঝোরে ঝড়ুক বৃষ্টি সারা শহর জুড়ে  প্লাবন হোক যত বিষাক্ত মনের ভিতরে।

জীবনের অভিজ্ঞতা

জীবন তখনই সুন্দর যখন জীবন কে জীবনের মতো চালিয়ে নেওয়া যায়। জীবনকে বোঝা মনে করলেই সে আরও কঠোর হয়ে সামনে দাঁড়ায়।

নৌকা সফর

বর্ষার আকাশ কালো করে হটাৎ  বৃষ্টি নেমে এলো  ঘাস আনতে চাচা চাচী এপারে এসে ফেঁসে গেলো  ও মাঝি ভাই নিয়ে যাবে আমাদের বাড়ি দেখেই বলে   গ্রামের পথ ঘাট সব ভাসছে বৃষ্টির থৈথৈ জলে  নিয়ে যাবো দুটি টাকা বেশী চাই আমার বর্ষার এই দিনে নৌকা চালিয়ে পেট চালায় পরিবারের জন্যে   ঘাসের বোঝা মাথায় নিয়ে দুজনে নৌকায় চড়ে দাঁড় টেনে যায় মাঝি গ্রামের পথে ধীরে ধীরে  বাচ্চারা  আছে বসে লালিও ঘাস না পেলে যাবে রেগে বেলা ফুরোয় চাচা চাচী বাড়ী ফেরে  সন্ধ্যার আগে।