হৃদয় দিয়ে লেখা এই পত্রখানি ডাকবাক্সে দিলাম ঠিকানা লিখে আছে যত দুঃখ কষ্ট তোমার মনে সব ভুলে হাসি ফুটুক তোমার মুখে হাজার মানুষের পথচলা তবুও পথের ধারে পড়ে আছো একা সময়ের খোলসে রপ বদলায় প্রযুক্তির কল্যাণে ভুলে থাকা।
ক্ষমা করে দাও হে প্রকৃতি মা সব কিছু ভুলে অন্যায় ক্ষমা এ কোন প্রলয় কালের রূপে বর্ষার আক্রোশে শরৎ ক্ষেপে ছিঁচকাঁদুনে বর্ষা অঝোরে ঝরে বছর ঘুরে মা আসছে ঘরে ওগো বর্ষা তুমি ঝরো না আর ফেরার সময় হলো এবার সেজেছে আকাশে মেঘের ভেলা মান অভিমানে চলছে পালা মায়ের আসাতে পড়েছে খুঁটি পূজোর আনন্দ করছো মাটি।
মনের মনি কোঠায় রেখেছি অতীতের দিন গুলো অত্যাধুনিক এই দুনিয়া কিছুটা ভালো নূতন প্রজন্ম দেখেছে বিজ্ঞানের নূতন আলো মোবাইল আমাদের জীবন সঙ্গী হলো চিঠি লেখার অভ্যাস আজ গেছে ছেড়ে প্রিয়জনের মূখ গুলো নিয়েছে কেড়ে ছিলো না কোনো স্মার্ট ফোন ছোট ছোট কাজে বসতো মন ভালো মন্দ সব কিছুই যে আছে এই মুঠো ফোনে বিজ্ঞান আর্শীবাদ না অভিশাপ কে পারে বলতে এই জীবনে সর্বনাশের খেলায় মত্ত আজ শিশুরা খেলার মাঠ আজ উদাসীন চেহেরা সকাল দুপুর যখনেই সময় পাই সবার আগে মোবাইলটা হাতে উঠাই বাচ্চা বুড়ো যাকেই দেখো সময় কাটাই নিজের মতে চলছে পথে কানে হেড ফোন জীবনটা নিয়ে হাতে সময় ক্রমাগত বয়ে চলেছে স্বপ্ন গুলো প্রযুক্তির খাঁচায় বন্দী অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে আমরা প্রতিনিয়ত হারিয়ে ফেলছি জীবনের গন্ডী।
অমানবিক শ্রমের মূল্যে টানা রিকশা শহরে হেঁটে যায় প্রাচীন জীবন রেখা আধুনিক শহর প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ঐতিহ্যের ধারক বহন করে চলেছে জীবিকা নির্বাহ কে আধুনিক যানবাহনে ভুলেছে মানুষ হাতে টানা রিকশাকে।
অজানা পথ অজানা পথিক ছুটে চলা নিরন্তর গন্তব্য পথে নীরবে পড়ে থাকে সে শূণ্যপানে চেয়ে বছরের পর বছর চলে অজস্র পথিকের পথ চলা ক্লান্ত পথিকের পদ চিহ্ন ,শৈশবের ছুটে চলা সকাল বিকেল, সবেই পড়ে আছে তার বুকের উপর, একদিন বড় হওয়ার স্বপ্ন নিযে ছুটেছিলাম বই হাতে বন্ধুরা মিলে সেই চেনা পথ ধরে, বড়ই আপন ছিলো ওই পথ আজও মনে পড়ে।
বিস্তৃর্ণ আকাশ , মন হারায় চাঁদের আলোয় স্বপ্ন বেড়ায় ভোরের আকাশে ,সুখের খোঁজ দিন রাত্রি আসে জীবনে রোজ সৃষ্টির ধারায় আসা যাওয়া জীবনের কাছে তবু চাওয়া সময়ের কথা সময় বলে আশায় আশায় জীবন চলে কেন করো বৃথা মিথ্যের আশা ভবের খেলায় সব নিরাশা।