পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তৃপ্তির ঢেঁকুর

ধন ধান্যে পুস্পে ভরা  সবুজের দেশ আমার জন্মভুমি আহা  লাগে বড় বেশ।  সবুজ আমার দেশ  শিশির ভেজা  মাটি কোথায় খুঁজে পাবে নাকো   মাতৃভূমি খাঁটি। যত‌ই করো ঘোরাফেরা  স্বপ্ন দেখো বিদেশের মায়ের কোলেতে  সর্বসুখ  সার্থক জনমের । খাওয়া দাওয়া বেশভূষা  চলন বলন পাশ্চাত্যের শীতল পাটি দেশের মাটি  তৃপ্তির ঢেঁকুর মায়ের হাতের।

মুঠোফোনের জমানা

মিল অমিলের জীবন যাপনে যাচ্ছে ছিঁড়ে সংযোগের সুতো আপনজন হারায় ব্যস্ততার ভীড়ে সময় বলে নেই কিছু আগের মত । নাই বা র‌ইলো আন্তরিকতা  ভালোবাসা কার কি যাই আসে  হ্যলো হাই য়ে কাটে সারাদিন  ভিডিও কল ভিডিও চ্যাটিং ঘরে বসে। ✍️উমা মজুমদার ৫/৪/২৩

ভালোবাসার নিজস্ব রঙ

উমা মজুমদার ২৫/৪/২৩ আমরা একে অপরকে ভালোবাসি বলাটা যতটা সহজ....  ততটা কঠিন ভালোবাসার সন্মান রক্ষা করা। ভালোবাসি বলে অপরপক্ষের মানুষটাকে আমি যখন তখন ভালোবাসার দোহাই দিয়ে অপমান করতে পারেনা। ভালোবাসা মনের অনুভূতি যেটা শুধুমাত্র ভালোবাসা দিয়ে জয় করা যায় । ভালোবাসার ও নিজস্ব একটা চরিত্র আছে ...সেও চায় স্বাধীন থাকতে। তাকে কখনোই বেঁধে রাখা যায়না।  দুটো মানুষ একেই সঙ্গে বাস করার পর‌ও তাদের মধ্যে কোন ভালোবাসা থাকেনা ...  তবুও জীবন কাটিয়ে যায় । হয়তো বা একতরফা ভালোবাসায়। মেনে নিতে পারলে ভালো নাহলে  যত অশান্তির সৃষ্টি হয় তখন।  ভালোবাসা জোর জুলুম করে যেমন আদায় করা যায়না তেমনি জোর খাটিয়ে নিজের স্বত্বাকে বিসর্জন দিয়ে ভালোবাসার অভিনয় করে  যাওয়া সেটাও  ঠিকনা। দুটো মানুষ একদম পৃথক....তাদের স্বভাব চরিত্র চিন্তা ভাবনায় যথেষ্ট পার্থক্য থাকে।  ভালোবাসা কারে কয় সেটার অর্থ মানুষ আজ অব্দি কেও বুঝতেই পারেনি....যদি সবাই বুঝতো তাহলে অকালে ভালোবাসার মৃত্যু হয়না।

মুক্তির শ্বাস

অনেকটা আঘাত জমাট বাঁধলে বুঝি  শব্দরা মুক্তির শ্বাস নিতে চায় অনেকটা চোখের জল ঝরলে বোধহয়  হৃদয়ে গভীরতার সৃষ্টি হয়  বারবার অপমানে ঝলসে যাওয়া শরীরটাও চায় চিরদিনের মতো নীরবতার আশ্রয়।

চিরকুট

মনটা বাঁধায় যত ঝামেলা চলে যাক সে নিরুদ্দেশের পথে ভাবনারা থাকুক কাছে  কবির  কবিতায় সে সদায় থাকে সাথে। ইচ্ছেরাও আজ বড্ড খামখেয়ালী  সময় অসময়ে তাদেরকেও চাইনা  ভালোবেসে আগলে রাখার দায়িত্ব  আমিকে তাকে যে একা করা যায়না।

কবিতায় দিনযাপন

কবিতায় দিনযাপন....   নাটকীয় এই জীবনে স্মৃতিগুলো  হোকনা যতই বেমানান  ভালোবেসে লালন করি  সুখস্মৃতি হৃদয়ের অন্তরালে।  কতকাল কেটে গেলো বেলায়  অবেলায় জীবনের বাঁকে । খুঁজে ফিরি নিরন্তর চেনা অচেনা  সেই এলোমেলো পথ হোকনা কেন বয়েসের ভার   তবুও হারাতে তো নেই মানা। স্নেহ মায়া মমতায় মাখানো সেই   মায়ের হাতের সকালের গরম ভাত সাজানো টিফিন বক্স স্কুলের  ক্লাসরুম ইয়েস ম্যাম বলে উঠে। নিরালা দুপুর ইচ্ছেকরে বারবার  ফিরে আসুক সেই দৌড়ঝাঁপ প্রিয় মুখ চেনা গন্ধ আজ অনেক দূরে। সময়ের সাথে মুছে যায় কতনা স্মৃতি তবুও টুকরো টুকরো ছেঁড়া স্মৃতি মুগ্ধতার  আবেশ নিয়ে কবিতায় করে দিন যাপন  । ✍️উমা মজুমদার ৭/৪/২৩

অন্তর মম

যে খুশি নিজের অন্তর কে খুশি দেয় সেটা সকলকে দেখানোর প্রয়োজন হয়না, খুশি র আলো চারিদিক ছড়িয়ে পড়ে।  

দুটি প্রাণ

আলো আর আঁধার যেন একেই শরীরের দুই অঙ্গ,একে অপরের পাশে থেকে আগলে রাখে দুজনকে । আলোতে সবে সুন্দর নিজেকে ঢেকে রাখার প্রয়াস,আঁধারের গা বেয়ে নেমে আসা  শান্তির ঝর্নায় খুঁজে পায় আবার  নিজেকে।