পোস্টগুলি

জুন, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাবা

আজ বিশ্ব বাবা দিবসে সকল বাবাদের প্রতি রইলো আমার শ্রদ্ধা ও প্রণাম আমার ছোট একটি কবিতা আমার বাবাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখা--- উমা মজুমদার ১৬/৬/১৯ বাবা বাবা তোমাকে যে ভীষন মনে পড়ে অসময়ে চলে গেছো আমাদের ছেড়ে তবুও মনে হয় সব সময় যেনো আছো পাশে বাবু বলেই ডেকেছি তোমায় সদা ভালোবেসে সবাই বলে মা র স্থান সবার উপরে এই পৃথিবীতে কিন্ত বাবার কাছে মেয়েরা থাকে রাণী হয়ে অন্তরেতে ভালোবাসার নাম বাবা হল সন্তানদের কাছে অতি প্রিয় কিন্ত আমার কাছে আমার বাবার ভালোবাসা ‌একজন মেয়ের কাছে সব থেকে শ্রেয় তোমার ভালোবাসার পাহাড় গুলো আজও স্মৃতি হয়ে আছে মনের ভিতরে বসে থাকি যখন একা ঘরে এক এক করে সব মনে পড়ে নীরবে কেঁদে যায় মন মনে হয় চিৎকার করে ডাকি তোমায় একবার বাবা বলে কিন্ত যতই তোমাকে ডাকি না কেনো তুমি সাড়া যে দিবে না তুমি বহুদূরে গেছো চলে তোমার বুক ভরা ভালোবাসা আজও রেখেছি মনের ভিতর সযতনে উপর থেকে করো আমাদের আর্শীবাদ যেন সব বাঁধা বিঘ্ন পার করে চলতে পারি এই জীবনে। যেখানেই থাকো তুমি খুব ভালো থেকো আজ পিতৃদিবসে তুমি আমার প্রণাম খানি রেখো। উমা

নামের মানুষ

সৃষ্টির স্রষ্টা  ইশ্বর নিজের হাতে মানুষকে  সর্ব গুণ দিয়ে সৃষ্টি করেছেন মানুষ মানুষের কল্যানের জন্য  ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়ে মানুষকে  পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন কিন্ত এখন মাঝে  মাঝে মনে হয় তিনি কেন এই  মানুষ রূপে বহুরূপীকে  এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন  যেখানে শুধুই আজ অনুতাপ কোথায় আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি যেখানে শুধুই  ঘৃণা বিদ্বেষ আর ছড়িয়ে গেছে যত  পাপ মানুষের শ্রেষ্ট প্রাপ্তি শান্তি আজ এই শান্তিই যেনো  দম বন্ধ হয়ে পড়ে আছে সমাজের বুকে আজ এই সমাজ অশান্তির তীব্রতায় বিপর্যস্ত চরম অস্থিরতার কষাঘাতে  জনজীবন জর্জরিত মনুষ্যহীনতা সমাজের উপর সর্বত্র বিষ ঢেলে চলেছে প্রেম প্রীতি ভালোবাসা আজ সব নির্বাসিত প্রতিনিয়ত‌  আমাদের তাড়া করে ফিরছে ন্যায় অন্যায় সত্য মিথ্যার সংঘাত মানব কল্যান ও মহত্বের পরিচর্যা  প্রতারনার শিকার হয়ে  মানুষে মানুষে  হিংসা বিদ্বেষ কলহে সমাজ আজ কলুষিত অশান্তির এই দাবানলে অনবরত ঘি ঢেলে চলেছি আর সেই আগুনে জ্বলে পুড়ে নিজেরাই মরছি আমরাই যে সমাজের টুটি চেপে ধরে সমাজকে অক্ষম করে রেখেছি অশান্তির মূলে কে দোষী বা কে দায়ী   সেটা ভাববার অপেক্ষা রাখে না তবে অশান্তির  মূল চালিকাই হলাম আমর

হারিয়ে যেতে মন চায়

সমুদ্র তাকে যে দেখেছি স্পর্শ করেছি বহুবার তবুও কেন তাকে দেখার লোভ হয় বুঝি না বারবার সমুদ্র  নামেই যে আছে এক সৃষ্টির অপার অনুভূতি সমুদ্রের  সেই উত্থাল পাথাল ঢেউ বিশাল তার আকৃতি মনে হয় যেন তাকে কাছে টেনে নিয়ে করি আলিঙ্গন একান্তে যার টানে বার বার ছুটে যেতে চায় মন নিজের অজান্তে বিশলতার মাঝে নিজেকে হারিয়ে  তাকে জানার চেষ্টা করি তপ্ত রৌদে বালির পরশ আছড়ে পড়া ঢেউয়ে যেন শুয়ে পড়ি অন্তহীন ফেনিল  নীল জল রাশি একের পর এক ঢেউ  আছড়ে পড়ে তীরে যত‌ই দেখি তত‌ই যেন মুগ্ধ হয়ে যাই  দুচোখ   দিয়ে  শুধু দেখি মন ভরে যতবারেই গেছি যেন বার বার তাকে নূতন রূপে নূতন ভাবে দেখে এসেছি বুঝিয়ে দেয় সবাইকে যত‌ই আসুক সুনামী  ঝড় তুফান  তবুও আমি নিরন্তন বয়ে চলেছি। ই

মানবতার গীত

স্বপ্নের আড়ালে জেগে জেগে ঘুমিয়ে থাকে সুখের স্বপ্নে খোঁজে বাঁচার পথটা আশ্রয়হীন বস্ত্রহীন স্বপ্নগুলো ক্ষত বিক্ষতহয়ে বয়ে চলে জীবন রথটা কন কনে শীতে কাঁপতে কাঁপতে  হাড় গুলো  নিস্তব্দ হয়ে যায় দিনতো কেটে যায় রাতের প্রহর কাটে সূর্য্যদয়ের অপেক্ষায় বেঁচে থাকার তাগিদে তারা প্রতি নিয়ত  যুদ্ধ করে জীবনের সাথে অনাদরে অবহেলায় গড়াগড়ি খায় শৈশবটা কাটে   পথ শিশু হয়ে পথে পথে মানুষ হয়ে  অসহায় মানুষের তরে সহানুভূতির হাতটা যদি আমাদেরেই ধরে সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে মানবতা  আজ থাকবে না মূখ লুকিয়ে  বাড়িয়ে দিক  সহানুভূতির হাত সৃষ্টি সুখের উল্লাসে  মানবতা গেয়ে উঠবে  মানবতার গীত।

এক পশলা বৃষ্টি

গ্রীস্মের কাঠ ফাটা রোদ্দুর ঝলসানো শরীর সূর্য্যি মামা দাপট দেখিয়ে  বসে আছে দেখা নেই যে বর্ষার চারিদিকে  শুধু হাহাকার তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জীবন   মেঘের কোলে সূর্য পড়েছে ঢাকা বর্ষা নামবে এখন প্রতিক্ষার হলো অবসান এক পশলা বৃষ্টিতে ফিরে পেলো প্রাণ তীব্র দহনে অস্থির মানুষ  দুহাত ভরে  জানাই বর্ষাকে আগমন গর্জে উঠেছো তুমি হে বর্ষা বুঝিয়েছো নামের সার্থকতা যত‌ই কাটাই  দিন এসি কুলার ফেনে তুমি ছাড়া নেই সেই শীতলতা জীবনে ব্যস্ততা কংক্রীটে আবদ্ধ শহরে  তোমার বিকল্প নেই রোমান্চিত মনে শুধু চেয়ে দেখি তোমায় ঝরে যাও অঝরেই বৃষ্টি মানে স্মৃতির জানালায় ভেসে উঠে  ছোট বেলার কথা এক পশলা বৃষ্টি যেন আনন্দের স্রোতে ভেসে যাওয়া স্নিগ্ধতা রোদ হাসলেই ভয় জাগে মনে আবার লুকিয়ে যাবে কি মেঘের আড়ালে? তোমায় পেয়ে হয়েছে লোভ বার বার যেনো পাই হাতের নাগালে তোমার স্পর্শে হেসে উঠে ফসলের মাটি কেঁদে বেড়ায়  পথের ধূলিকনা বালি এক পশলা বৃষ্টি মানেই খিঁচুড়ি বিকেলের ঝালমুড়ি ইচ্ছে হয় তোমায় নিয়ে সাথে চলি তৃষ্ণার্থ  কাক পক্ষি ধন্য হয়ে যায় এক পশলা বৃষ্টির  ছোঁয়া পেয়ে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়ে যায় প্রাণ এক পশলা বৃষ্টি দিয়ে।  

রাঙ্গা মাটির দেশে

যখন  বিষন্ন হয়ে যায় মন  শহরের  একঘেয়েমি  পরিবেশে তখন মনটা ছুটে চলে যায় গ্রাম ছাড়া   ঐ রাঙ্গা মাটির  দেশে শহরের কোলাহল  নিরন্তন ছুটে চলেছে লক্ষহীন গন্তব্যের পথে অপ্রীতিকর পরিবেশে বড়  হচ্ছে শিশুরা চলছে প্রোতিযোগিতার সাথে শহরের এই যান্ত্রিক জীবন সদায় খোঁজে ফেরে শান্তির হাত ছানি প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া  মেঠো পথ হাত ধরে হেঁটে চলা  খুঁজে পাই তখন সুখের পরশ খানি ইট পাথরের  দম বন্ধ ফ্ল্যাটে সবেই যেন চলছে আজ গতানুগতিক জীবন  শিশির ভেজা ঘাসে শিউলি ফুলের গন্ধে গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গা মাটির পথ ধরে যেন কাটিয়ে আসি কয়টা দিন সকাল হতেই  মাঠে মাঠে  ফসলের চাষ গ্রামের মানুষকে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে পুকুর পাড়ে আম জাম  নারকেল দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি এক অপরূপ সৃষ্টি বিরাজ করে চারিদিকে ধানের অলি অলি আঁকা বাঁকা পথে হেঁটে চলে যায় মেঠো পথে   সবুজে সবুজে জাগায় প্রাণ নেই যে তাদের কোন চাহিদা   ছোট ছোট মাটির ঘর সন্ধ্যা হলে  জ্বলে কেরোসিনের লন্ঠন। শহরের চাকচিক্যে সবেই মোরা ভুলতে বসেছি  কোথাও যে আজ নেই স্বস্তিরকোন ছোঁয়া গ্রাম‌ও যে আজ হয়ে যাচ্ছে শহর ভুলায় না মন মাটির পথ ধরে সেইআসা যাওয়া।

বিদায় বেলা

বড় হ‌ওয়ার সাথে সাথে হারিয়ে ফেলি  জম জমাট ছোটবেলা ভূলতে বসেছি আনন্দের দিন  গুলো ফেলে এসেছি জীবনের আধাবেলা চলতে চলতে জীবনটা  শেষ বেলায় বয়সটা পোঁছে যাচ্ছে অনেক উর্দ্ধে ভাবনা চিন্তা  সব ছেড়ে দেবো মন থেকে আনন্দ সাগরে ভাসবে বয়সটা যখন বৃদ্ধে।