পোস্টগুলি

জুন, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অনুভূতির আকাশে

ও বৃষ্টি  একটিবার নেমে এসো  তোমার শীতলতা  ছুঁয়ে দেখি তোমার আসার পথ চেয়ে সময়  ফুরায শুধু  কেন দাও  ফাঁকি। ফেলে আসা দিনের মত  তুমিও বুঝি   বদলে গেছো  অনেক বৃষ্টি হারিয়েছো কঠিন বাস্তবে  প্রকৃতির  নিয়মে  বর্ষায় তোমার সৃষ্টি । সারাদিন গোপনে তোমায় ভাবি  এ বুঝি নামবে প্রেমের শীতলধারা  থমথমে আকাশ আসবে তো বৃষ্টি   সিক্ত হবে ধরণী নব বারিধারায়  মাটির সোদা গন্ধে শৈশবের ফেলে  আসা স্মৃতি নতুন করে সাজবে তোমার প্রাণের সাথে প্রাণ মিলিয়ে  বিষন্ন মনটা নিজেকে খুঁজে পাবে।

ও নদী কথা বলো

ও নদী  কথা বলো কি করে থাকো এতো শান্ত ধীর স্থির  কোথায় তোমার চলার ঠিকানা রুদ্ধশ্বাসে  শুধু ছুটে যাওয়া পাহাড়ের  কোল বেয়ে নেমে আসা জলধারা ধরিত্রী মায়ের সন্তান কুলুকুলু শব্দে বয়ে চলা একবুক তৃষ্ণার্তের তুমি যে প্রাণের সমান  জলতরঙের ঢেউ তুলে কুলুকুলু ধ্বনিতে সকলের  প্রাণ জুড়াও  একাকি  সুর তুলে কথা বলা আপন সুখে বয়ে চলা তোমারই তো সাজে তোমারও যে আছে জন্ম  বংশ পরিচয় সকলের কাছে ন‌ও তো অজানা অচেনা  কত গ্রাম শহর,নগর প্রসিদ্ধ তোমার নামে পবিত্র গঙ্গা জল ঘরে বয়ে আনা জলের স্রোতে ভেসে আসা দুঃখ যন্ত্রনা  টেনে নাও আপন বুকে শত সহস্র মানুষের তুমি প্রাণদাতা তোমাকে ঘিরে জীবিকার পথ নিয়েছে বেছে  তুমি গঙ্গা পতিত পাবনি  দেবী রূপে পূজিতা সকলের কাছে  ধীর স্থির বয়ে চলা  নদী কখনো শান্ত কখনো অশান্ত বর্ষায় ভরা যৌবনে   হাজার ব্যাথা বুকে চেপে হাজারো পথ  চলা মিলনের টানে।

অনুভূতির শব্দ

দুরত্বকে যত‌ই কাছে টানে  তত‌ই                         দূরে সরে যায় পাশাপাশি হেঁটে চলা সময়              স্মৃতিতে আড়াল করে  আবেগ অনুভূতি  মান অভিমানের                           চাদর জড়ায়।   বিশ্বাস ভাঙ্গা কান্নায় শব্দরা স্রোতে                                     ভাসে মনটা খুঁজে বেড়ায় এক টুকরো                     হৃদয় ভালোবেসে।

মা বাবার প্রতি কর্তব্য

মায়ের মমতা ভরা আঁচল  বাবার স্নেহের আশ্রয় আপদ বিপদে দুহাতে তাঁদের আর্শীবাদ চলার পাথেয়। সন্তানের মঙ্গল কামনা ,পথ চেয়ে বসে থাকা  এক মা ই পারে দিনরাত খেটে  সন্তানের ভবিষ্যৎ উন্নতি বাবার রোজগারে। শত অভাব অনটনে দুঃখের মাঝে হাসি ফোটায় মুখে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে চিন্তা সন্তান কি করে থাকবে সুখে।  ভুলে যায় একদিন বৃদ্ধ হলে মা  বাবার  অসহায় মুখখানি দু চোখ ভরে অশ্রু ঝরে বাবা মায়ের একাকিত্বের কাহিনী। মা বাবা সকল সন্তানের  জীবনের পরম ধন পরম আদরের তাঁদের অসন্মান কখনো যেনো না হয় দেখা উচিত সন্তানের। মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়ে দুচোখ ভরে দেখে, এই জগতকে  শ্রদ্ধা সন্মান দিয়ে ভালো রাখা সন্তানের কর্তব্য মাতা পিতা কে।

ঝর্ণা কলম

অতীতের ঝর্না কলম ছেলেবেলার ঝুলিতে কালিতে ভরা দুটি আঙ্গুল পারিনি মুছে দিতে। ঝর্ণা কলম  আর দোয়াত ভরা সুলেখা কালি  তুমি আছো ছেলেবেলায়  কি করে তোমায় ভুলি। পরীক্ষার আগে নতুন ঝর্ণা কলম ছেলেবেলায়  অক্ষরে অক্ষরে কালিতে ভরতো  সাদা পাতায়। ভালো নম্বরে উপহারে জুটতো আরেক ঝর্ণা কলম খুশি তে ঝলমল  পাওয়ার আনন্দটা ছিলোনা কম। আভিজাত্য ও ঐতিহ্যের গৌরব বুক পকেটের শোভা  ঝর্ণা  কলমে প্রকাশ পেতো কবি সাহিত্যিকদের প্রতিভা। কালি কলমের সম্পর্কে  ভাব চিন্তাধারার মিলন ঘটায় যুগের সাথে পুরাতন হলেও আছে মনের মনিকোঠায়। পুরাতন স্মৃতি হোক না পুরাতন তবুও যায় না ভোলা সময়ে অসময়ে বেঁচে থাকার সুখ হৃদয়ে থাকনা তোলা।

বার্ধক্যের একাকিত্ব

  “মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে” কবিগুরুর এই উক্তিটি আমাদের সবার মনের সুপ্ত বাসনার প্রতিফলন,,,, আমরা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে চাই কিন্তু বার্ধক্য আমরা সহজে মেনে নিতে পারিনা।,,তাই নয় কি????   দূরের আকাশে সন্ধ্যা নামে হাওয়ায় ভাসে  দীর্ঘশ্বাস  দিবসের অবসান সময়ের কাছে বন্দী তবুও বাঁচার আশ শৈশব থেকে কৈশোর কাটে  যে বেশ হাসি খুশিতে  আগামী স্বপ্ন নিয়ে যৌবন ছুটে বেড়ায় জীবনের পথে এক এক করে খোলস বদলায় প্রাণ যতক্ষন  শরীরে  দায় দায়িত্ব পালনে কর্মরত সংসার স্বাদ আহ্লাদ পূর্ণ করে  জীবনের পরীক্ষা সময়ের চাকায়  আপন ভাগ্য নির্ধারণ  সম্বল বল শেষ ,চমকে যাওয়া ফোনের ঘন্টি ,ছলছল চোখে স্মৃতিচারণ জীবন কাব্যে  সমাপ্তির পথে শব্দের হালচাল বার্ধক্যের থাবায় শীরা উপশীরা বেঁয়ে নিঃশব্দে নেমে আসা কষ্ট বিশ্রামের নেশায়   চাওয়া পাওয়ার হিসেব নিকেশের শেষ চাওয়া জীবনের দোরগোড়ায়  ফুরিয়েছে সকল ইচ্ছে সাধ জীবনের নাগপাশ মুক্ত করে পরপারের অপেক্ষায়।

দুই প্রজন্ম

সমাজ পরিবর্তনশীল,,, এখানে দিন দিন নতুন নতুন পরিবর্তন ঘটছে,,একাল আর সেকাল  পরিবর্তন আমাদের জীবনে নিত্য পোশাকের মত হয়ে গেছে,,,,এর মধ্যে যেটা সব থেকে পরিবর্তন হচ্ছে সেটা হলো পারিবারিক সম্পর্ক,,,,,পারিবারিক বন্ধন,,,, পরিবর্তিত সময়ে আমরা লক্ষ করছি সমাজে কিছু জিনিষ যেমন আমাদের অভ্যাস, আমাদের জীবন যাপন  খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে ,,,পারিবারিক বন্ধন গুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে,,,,এখন নতুন প্রজন্মের সাথে অভিভাবকদের  মতের মিল কিছুতেই খাপ খাওয়াতে পারছে না,,,,,,,,, পুরানো প্রজন্ম দের সাথে নতুন প্রজন্মের অনেক মতবিরোধ ,,,,, প্রতিটি প্রজন্ম একটি নিদিষ্ট সময়ের সাথে জীবন যাপন করে,,,,, এতে কোন সন্দেহ নেই যে  ,,এখনকার সময়টা নতুন প্রজন্মের জন্য অনেক টা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মত,,,,,,,, অভিভাবক ও নতুন প্রজন্ম দু পক্ষকে‌ই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়,,,,,,,।  নানা রকম মতবিরোধ থাকা সত্বেও অনেক সময় সন্তানদের কথা শুনতে হয় অভিভাবকের,,,,,,,,,,  তবু‌ও আমি মনে করি নিজ নিজ সন্তানদের ভালোর জন্য প্রত্যেক  অভিভাবকে কখন‌ও কঠোর হতে হয়,,,,,, সেটা নতুন প্রজন্মের জন্য কিছুটা হলে‌ও ভালো,,,,,,,, সময়ের সাথে চলতে চলতে আমর

সবুজের ব্যথা

বয়সের ভারে জীর্ণ দীর্ঘাঙ্গী আছো দাঁড়িয়ে রক্ত ঝরে তোমার শরীরের ধারালো অস্ত্রের ঘায়ে প্রাণ আছে যার কে বুঝিবে হায় বৃক্ষের ব্যথা প্রকৃতি আজ রুষ্ট শোনেনা কেও তাদের  কথা পেটের দায়ে করে কর্ম দোষ কি তার আছে বারে বারে আঘাত হানে তোমারি বৃক্ষ মাঝে কাঠফাটা রোদে  বসেছে কত  তোমারি ছায়াতলে  স্বার্থান্বেষী মানুষ  তবুও কাটে গাছ লোভের বলে মাঠ ঘাঠ  জলাশয় মরুভূমি প্রকৃতির করুন পরিনতি  নদী নালা  ভরাট আধুনিকতার ছোঁয়ায় সবুজ প্রকৃতি।