নিয়তির লেখা
কলমে....উমা মজুমদার
১৯/৫/২৩
জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে,,এই কথাটা শুধু বলার কথা
নয় অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। মাকে সব সময় বলতে শুনেছি ভগবান
না চাইলে কিছুই হওয়ার নেই।
মায়ের বলা কথা আজ আমিও কিছুটা হলেও বিশ্বাস করি। বিয়ের পর
অনেকবার এসেছে আমাদের বাসায় বেড়াতে সেই দিদি জামাই বাবু।
দূর সম্পর্কের বোনের মেয়ে। দিদির অনেকটা বয়স হয়ে গেছিলো বিয়ে হচ্ছে
না বলে এক ছেলের সন্ধান পেয়ে এসেছিলো ।আমাদের বাসায় দু দিন থেকে
দিদিকে দেখেছিলো ছেলের বাড়ীর লোকজন ।খাওয়া দাওয়া করলো পেট পুরে।
আগে তো এটাই ছিলো মেয়ে দেখার নিয়ম। তারপর খবর দেয় পছন্দ অপছন্দের ।
পছন্দ হলে ভালো নাহলে মেয়ের বাবা হতাশ হয়ে ভেঙ্গে পডে। সেই পাত্রের বাড়ি
থেকে জানানো হলো দিদিকে পছন্দ হয়নি। দিদির হাইট কম।সেটা শুনে মেসোর মনটা
খুব খারাপ হয়ে গেছিলো। অনেক আশা নিয়ে এসেছিলেন।
কি করা যাবে মন খারাপ করে লাভ নেই ,হয়তো কোথাও ভালো ছেলে অপেক্ষা করছে।
ট্রেনে যাওয়ার পথে একটি পাশের সিটে একটি ছেলের সাথে মেসোর খুব ভালো পরিচয়
হলো। কথা বার্তা বলতে গিয়ে জানতে পারলো ছেলেটির জন্য মেয়ে খোঁজা হচ্ছে। বিয়ে করেনি
ছেলেটিও। পছন্দ মতো নাকি মেয়ে পাচ্ছেনা।
রেলওয়েতে চাকুরী করে ভালো পোষ্টে শিলচর বাড়ি । কথাবার্তা বলতে বলতে মেসোরও
খুব পছন্দ হয়ে গেলো ছেলেটিকে। বয়সের দিক থেকে ও একদম ঠিকঠাক ছিলো ।
দিদির সাথে আলাপচারিতায় একে অপরকে পছন্দও হয়ে গেলো হটাৎ দেখায় সেটাও আবার
ট্রেনের কামরায়। কোথায় কি লিখে রাখে একমাত্র সময় জানে।
মেসোও ছেলের ঠিকানা নিয়ে নিলো। সব কিছু খোঁজ খবর ভালো
করে নিয়ে তারপর দিদির বিয়ে ঠিক করেছে।
১৫ দিনের মধ্যে বিয়েও ঠিক হয়ে গেলো ।
এটাই বলে নিয়তির লেখা।
আমার এখনো মনে আছে বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর
মেসো নিজে এসে ছিলো নিমন্ত্রন করতে। যেহেতু ফাইনাল পরীক্ষা ছিলো কেও আমরা যেতে পারিনি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন