পোস্টগুলি

2024 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রাণের হিল্লোল

সবুজের সমারোহে ফুলে ফলে প্রাণের হিল্লোল প্রকৃতিজুড়ে আকাশ বাতাস মুখরিত  কৃষ্ণচূড়ার ডালে কুহুকুহু সুরে। পলাশ শিমুলে বসন্তের রঙ   বুকে প্রেমের আগুন জ্বলে বসন্ত মানেই  পূর্ণতা নতুন আবেগে  মনপ্রাণ ভরিয়ে তোলে। বসন্ত আনে  প্রেমের নেশা  ভালোবাসার রঙে প্রেমিক যুগল   ফাগুনের ফাগে রঙের উচ্ছাস  বসন্তের আঙ্গিনায় খেলে দোল।

বসন্তের রঙে রঙিন

✍️উমা মজুমদার ২৬/৩/২৪ বসন্তের রঙে রঙিন.... মন মাতানো ফাগুন রাঙা আকাশ  গাছে গাছে পলাশ শিমুলের মেলা  ভালোবাসার বীজ বুনে মনের গভীরে   কোকিলের কুহু সুরে মন উতলা। পলাশের রঙে রঙ মাখিয়ে মাতোয়ারা বসন্ত  এসে দাঁড়ায় সকলের দ্বারে রঙ রূপে ভরপুর চিরনবীন বসন্ত  কচি কচি পাতায় সবুজ রঙ ভরে। আকাশে বাতাসে উড়ে ফাগের আবির  দখিন হাওয়ার মাতাল সমীরণ  দৌলের রঙে রাঙায় একে অপরকে  হৈ হুল্লোড়ে বসন্ত উৎসব করে পালন।  আট থেকে আশি  রঙে মাতামাতি একে  অপরকে রঙ মাখে ভেদাভেদ সব ভুলে  প্রকৃতি জুড়ে বসন্ত ফাগুন ফুলের গন্ধে ভ্রমর পাগল গুন গুন করে ফুলে ফুলে। যাওয়া আসার ছকে বাঁধা জীবনটায়  বয়ে আনে কত আনন্দ খুশীর ছোঁয়া বিদায় বেলা এসেই গেল চৈত্রের বেলাশেষ বর্ষ বরণের আনন্দে পেটপুরে খাওয়া দাওয়া।

বাঁচার অবলম্বন

কবিতা দিবসে আমার  একটি কবিতা..... বাঁচার অবলম্বন...... ✍️উমা মজুমদার ২১/৩/২৪ কবিতা তোমাকে  ভালোবেসে পেয়েছি জীবনের  পূর্ণতা হারানোর নেই ভয় তোমার সাথে কতনা মোর সখ্যতা বাঁচার অবলম্বনে মনের  বাঁধনে বেঁধেছি তোমাকে  ভাবনার পাখনা মেলে চলি জীবনের আঁকে বাঁকে শব্দের মাতাল হাওয়ায়  হাজার  ছন্দের অনুরণন  কখনো বেদনা কখনো যন্ত্রনায় হয় হৃদের রক্তক্ষরণ শব্দের মায়াজাল বুনে সাজায় তাকে মনের মত করে যত কষ্ট যত আঘাত ভালোবাসায়   কবিতা গড়ে  কবিতার ছন্দে পড়ুক ঝড়ে হাজার শব্দের রং ছড়ায়ে কি লিখি তা জানিনা মনের কথা  লিখি ভালোবাসা দিয়ে।

তুমি নারী

তুমি নারী, তোমার তুলনা তুমি নিজে সৃষ্টির অতুলনীয় তুমি, নারী তোমায় সাজে নারী তোমার কত রূপ তুমি এক জননী    তুমি  হলে সকল সন্তানের গর্ভধারিণী   মাতৃরূপে করুণাময়ী মমতাময়ীর ভান্ডার     দিচ্ছো পরিচয় তোমার নিজস্বতার  কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছো পুরুষের সমান নিজের স্বত্বায় পরিচয়  নারীর যোগ্য স্থান  নারী নয় অবলা  নারীর আছে সমান অধিকার হবে না নারী লজ্জিত, নিজ হস্তে উঠাও হাতিয়ার।

কালের ফ্যাশন

 নারী পুরুষ উভয়ে  চলে কালের ফ্যাশানে   আজব যত সব  অলংকার মহিলার কানে     সাজপোশাকের নেই বালাই      আধুনিকতার ছোঁয়া সবটাই বদলে যেতে বসেছে জীবনযাত্রায় পরিবর্তনে।

শিক্ষার আলো

সকাল হলে বেড়িয়ে যায় দাদু মোষ নিয়ে সময় কাটে ভালোই দাদুর বাচ্চাদের পড়িয়ে। দাদু নাতির  দেখা হয় রোজ পথের ধারে ছুটির দিনে দাদুর কাছে পড়াশোনা করে। দাদু বলে নাতিকে বড় যদি তুমি হতে চাও  পড়াশোনা করো মন দিয়ে তবে শিক্ষিত হও। পড়াশোনার অনেক গুণ যদি লাগে কাজে জ্ঞানের আলো জ্বলবে দেখো সকলের মাঝে।

মনের সাথে মনের কথা

হটাৎ করে আসা কিছ খুশি র মুহুর্ত জীবনে সবচেয়ে আনন্দময়,  জীবনের স্রোতে হারিয়ে যায় কত চেনা মুহূর্ত  বিষন্নতায় তাকে শুধু খুঁজে ফিরি । কখন ও কিছু না চাইতেই পাওয়াকে জীবনের  অনেক বড় পাওয়া বলে মনে হয় কখনো। চাইলেই যে পাওয়া যায় সেটাতে অভ্যস্ত নয় জীবন ছিঁটেফোঁটা খুশিতেও ভালো থাকা যায়। কে কি ভাবে তাকে  নিয়ে অযথা মনের উপর চাপ দেওয়া সেটা নিয়ে ভাবতে বসলে অপ্রয়োজনীয় আবর্জনা  ছাড়া ভালো কিছু পাওয়া যায়না।  অনেক ভালো হয়েও জীবনে দেখবে লাভ খুব একটা হয় বললে ভুল হবে মন্দটাই বেশী জোটে। ভালো ব্যবহার করলেই যে সকলে প্রশংশার ডালা সাজিয়ে ধরে তা কিন্তু হয়না ,আমরা সবসময় আশা নিয়ে থাকি। আমার সবটুকু ভালো দিয়ে  লালন করি রাতদিন প্রচেষ্টা,নিজের  কাছে ভালো থাকা, জীবনটা শিখিয়ে পড়িয়ে নেয়। হিসেব নিকেশের গল্পকথা নাই বা লেখা হলো খালি থাক কিছু  মনের পাতা । ✍️উমা মজুমদার ৩১/১/২৪

যাদুর নেশা

যাদুর নেশা... কাজে নেই মন পড়াশোনা গোল্লায় কি যে  যাদু একবার হাতে পেলে চায়না কিছু স্বাদের  মধু  দুনিয়া মত্ত তার নেশায় হাতের কাছে থাকা চাই ছোট বড় সকলে ঘরে বাইরে ব্যস্ত তাকে নিয়ে শুধু।

প্রিয় নেতাজী

দেশকে স্বাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তি দিতে  নিজেকে করেছিলেন দান এই বঙ্গসন্তান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা  নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে শতকোটি নমন। পরাধীনতার শৃংখল ছিন্ন করার স্বপ্ন নিয়ে বুকে দেশকে ভালোবেসে দুঃসাহসিক তোমার সংগ্রাম কোটি কোটি ভারতবাসীর ছিলে তুমি আশা ভরসা স্বাধীনতা সংগ্রামের  বীর সন্তান নেতাজী তোমার নাম।

সমাপ্তির গল্পকথা

সমাপ্তির গল্পকথা.... একটি গল্প বা উপন্যাসের কাহিনী পড়তে পড়তে শেষ অধ্যায় টা জানার  জন্য ভীষন উৎসুক হয়ে পড়ি,,, সমাপ্তিটা কেমন হবে শেষটা কি অসন্পূর্ণ থেকে যাবে ,,নাকি সুন্দর সমাপ্তি ঘটবে কত কি ভেবে ফেলি মনের মধ্যে,,, কখনো সুখের কখনো বা দুঃখের ,,যা হয় আমরা সেটাই মেনে নিতে বাধ্য  ,,,সেখানে লেখকের ইচ্ছের উপর সন্পূর্ণ নির্ভর করে। কিন্তু আমাদের জীবনের গল্পকথার  সমাপ্তির ভারটা একদম অন্যরকম সেখানে ইশ্বর নির্ভরযোগ্য,,,, যতই আমরা হিসেব নিকেশের গল্পকথা লিখিনা কেন  আমাদের হাতে কিছুই থাকেনা,,,   আমাদের জীবনে কর্মকান্ডের সমাপ্তির  ঘোষণা একমাত্র উনিই ঠিক করবেন। ✍️উমা মজুমদার। ৫/১/২৪

চিরকুট

জীবন বয়ে চলে নিয়ম বেঁধে  বারো মাসের সুখ দুঃখে বর্ষ হলো শেষ তিমির রাত্রি ভেদ করে রবি পূর্বদিগন্তে প্রতীক্ষাতে আনন্দ খুশি যতক্ষণ শ্বাস প্রশ্বাস।

তালমিল

বর্ষার জল রাস্তায়  থৈ থৈ করে মাছ ধরতে দুজনে জলে নেমে পড়ে কি করে ধরবে জলের জ্যান্ত মাছ বুদ্ধি বেরোলো তাদের মাথায় আজ দুজনের তালমিলে গামছা জলের মাঝে ধরা পড়লো কত মাছ গামছার ভাঁজে খেলার ছলে ভাই বোনের ইচ্ছে পূরণ ছোট ছোট আনন্দ খুশীতে ভরায় মন। ✍️উমা মজুমদার ০১/০১/২০২৪

বর্ষবিদায়

বর্ষবিদায়...২০২৩ বিদেয়  দিলেম পুরোনোর  আঁচলে  বেঁধে  আছে যত দুঃখ কষ্ট বেদনা সময়ের স্রোতে মঙ্গল প্রার্থনা ও শুভকামনার ডালা সাজিয়ে বসে আছি নতুনের আশা নিয়ে বর্ষশেষের রাতে চলে যায় একটি বছর দিন গুণে হিসেব মিলিয়ে হারিয়ে যায় কত আপনজন আপনার কাছ থেকে জন্ম মৃত্যু হাসি কান্নায় ছন্দে সাজানো জীবন ধারা তুমি ছাড়া গতি নেই হে ঈশ্বর ভালো রেখো সকলকে বেদনার স্মৃতিগুলো মুছে যাক আগামীর প্রত্যাশায়   নব ফুল ফুটুক জীবনে শুরু হোক নতুনের পথচলা এসো হে  ২০২৪ নিয়ে এসো খুশির ডালি আঁচলে বেঁধে বিদায় ঘন্টা বেজেছে ঘড়িতে ২০২৩ তোমার স্মৃতি থাক তোলা। ✍️উমা মজুমদার ০১/০১/২০২৪---