পোস্টগুলি

2024 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সাধ জাগে

মানুষের মত মানুষ হলে  তবেই  দিও মানব জন্ম মানুষ হয়ে মানুষের ক্ষতি দিনের পর দিন যত কুকর্ম । মানব জন্ম পেয়েও মানুষ নেই কোন শোধরানোর নাম আছে শুধু হিংসে বিদ্বেষ ঘৃণা  একে অপরের করে বদনাম ।  তার চেয়ে ভালো রোবট হওয়া থাকবেনা কিছুই মন বলে  হবেনা হৃদয়ে দুঃখকষ্ট যাতনা  ভিজবেনা চোখ অশ্রু জলে।

একতাই শক্তি

হোকনা ক্ষুদ্র পিঁপড়ে কাঁধে কাঁধ  মিলিয়ে কঠিন কাজকে করবে  জয় একতাই শক্তি একতাই বল তবেই  জীবনে  কখনো হবেনা পরাজয়। একে অপরের পিছনে লেগে মানুষ  খেলায় মেতেছে ঐক্য সম্প্রীতি ভাঙ্গনে  দশের  লাঠি পড়ে ভারি যৌথ শক্তির জোর যেখানে ভাঙ্গন নেই সেখানে ।

সময়ের কথা

প্রিয়জন তো সেই হয়   যে সদায় থাকবে  পাশে  ছাড়বেনা হাতটি তোমার  সঙ্গী হয় দুঃসময়ে এসে। সময়ের কথা সময় বলে যায় কে আপন কে পর যায়না চেনা সুযোগ বুঝে কাছে আসে যায় প্রয়োজনে কাওকে দেখা যায়না।

সমাজের চালচিত্র

ছবিতে যা দেখছি সেটা হতে আর বেশি দেরী নেই বললে ভুল হবে,,,।  এমন দিন এসেছে মোটা বই  অবাক হয়ে দেখছে এ আবার  কি জিনিষ,,, আশ্চর্য এক জিনিষ ,,,।  যত নতুন নতুন আবিষ্কার হচ্ছে ততই মানুষ বই পত্র থেকে   থেকে মুখ ফিরিয়ে যান্ত্রিকতায় মগ্ন হচ্ছে,,,।  আমরা আজ সবাই যন্ত্রের দখলে,,,।চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বেশীরভাগ  সময় কাটছে যন্ত্রের সঙ্গে,,,,।এই যন্ত্র ব্যবহারকারীর  অধিকাংশই তরুণ প্রজন্ম,,,।  বই পত্রের পাট চুকিয়ে যা কিছু প্রয়োজন ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে  কাজকর্ম চলে।  মোবাইল, লেপটপে ডাটা, মেমোরি এইসবে প্রয়োজনীয়  জিনিসপত্র  গচ্ছিত রাখে। ফাইলপত্রের ব্যবহার আজকের দিনে আউটডেটেড।

নাক গলানো

নাক গলানো কাকিমা..… পাড়ার প্রধান কেওবা বলে  কাকিমা কেওবা ডাকে আন্টি এক নামেতে চেনে সবাই  নাক গলানো তার কাজটি। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়ায়  নাকটা পোঁছে যায় কাকিমার  সব কাজেতে নাক গলানো  স্বভাব টা নয় যে বদলাবার  অভ্যাসটা  মোটেই নয় ভালো  নাক গলানো তার সবকিছুতে অন্যের দোষ ত্রুটি ভালোই দেখে   চোখে পরে না নিজের বেলাতে।

জীবন টা ছোট

জীবন টা ছোট..… ছোট এক জীবন  কতনা বিচিত্রতায় ভরা তাকে নিয়ে  চলতে হয়  যায়না  কিছুই ছাড়া । কিছু ভালো কিছু মন্দ  জীবন যেন দুদিকে বয় চোখ বন্ধ করলে সবকিছু   এখানেই পড়ে রয়। জীবনখানা যতই ছোট  হিসেব করি বসে  ততই  লাভের গুড় পিঁপড়ে খায়  বুঝিনা তো সেটা কেওই। আজ আছি কাল নেই  কতনা কান্ড ঘটায় জীবনে অবুঝ মানুষ বুঝিনা তবুও  জীবনটা ছোট তাও জেনে।

এক অনাবিল আনন্দ

এক অনাবিল আনন্দ আর খুশির র মূহুর্ত ...... জীবনের এক নতুন অভিজ্ঞতা .... মানুষের জীবন খুব অদ্ভুত..... যেখানের আঁকে বাঁকে ভরপুর বিচিত্রতা..... আর এই বিচিত্র জীবনে ঘটে অসংখ্য সব বিচিত্র ঘটনা....হাসি কান্না,  আনন্দবেদনা, দুঃখ সুখ, ভালো মন্দের মিশানো জীবন  এগিয়ে চলে   খরস্রোতা নদীর মত। জীবন তো একটাই .... অথচ এ জীবনে কত কিছুই না ঘটে যায়।  জীবনের একেকটা মুহূর্ত যেনো একেকরকম মনে হয়....।  মনে যদি আত্মবিশ্বাস থাকে ...আমি পারবো তাহলে সত্যিই তা সম্ভব....  ইশ্বরের উপর ভক্তি শ্রদ্ধা নিয়ে  তাঁকে মনে প্রাণে স্মরণ করে  পৌছানো যায় সে লক্ষ্যস্থলে।  গত রবিবার আমার পরিবার সহ বেড়িয়ে এলাম,, "শিবগঙ্গা পাহাড়  ব্যাঙ্গালোরে র দক্ষিনা কাশী" বলে... প্রকৃতির এক অতুলনীয় সৌন্দর্য,,,, উপরে উঠার পর মনে হয়েছিলো এই বুঝি আকাশকে ছুঁতে পারবো... এক রোমাঞ্চকর যাত্রা......সমুদ্র তল থেকে ৪৫০০ ফীট উপরে.. অনেক পাহাড়ে  চড়েছি ...তবে এ যেন এক নতুন অভিজ্ঞতা  হলো জীবনের আরও একবার.... দেখে  মনে হয়েছিলো পারবো তো?? উঠতে এতটা উপরে...কিছুদূর  গিয়ে বারবার মন...

দীপাবলি র শুভেচ্ছা

কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন —– ‘‘কে যেন ডাক পাঠালো দীপালিকায় জ্বালাও আলো ঘরে ঘরে। জ্বালাও আলো আপন প্রাণে আলোয় সাঁজাও আলোয় ধরিত্রীরে”। আধুনিকতার আড়ম্বরে প্রতিনিয়ত আমরা গা ভাসিয়ে চলেছি ।নানা রঙের  টুনি বাল্বে চারিদিক  সাজিয়ে তোলে । আলোকময় সজ্জায় সজ্জিত  ঝল মল শহর  তবুও চারপাশটা কেমন অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে আছে।  দীপাবলি  অশুভ অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর সাধনা । আনন্দের উৎসব  অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয়কে উদ্‌যাপন করা। আলোকসজ্জার এই দিবস  অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলো জ্বালার দিন। একটি প্রদীপের শিখা যেন সকল অন্ধকারকে দূর করার শক্তি যোগায়।  অগ্নি হলো জ্ঞানের প্রতীক স্বয়ং ঈশ্বর আমাদের মনের সকল  অন্ধকারকে দূর করার জন্য  আলোর পথ দেখান। তেমনই প্রদীপের আলো সমস্ত অন্ধকারকে দূর করে। দীপাবলির প্রদীপের আলোয় আলোকিত চারিদিক  সুন্দর অপূর্ব হয়ে উঠুক   আলোর উৎসব হয়ে উঠুক শান্তির উৎসব। সভ্যতার আলোয় দাঁড়িয়ে যেন আঁধারেই ফিরে যাই আমরা বার বার।  সংকীর্ণতার আবরণে ঢাকা পড়ে মানবতাবোধ আর বিবেকবোধ।  চারিদিকে আজ এতো আঁধার...

প্রতিবাদী নারী

গর্জে উঠেছে নারী সমাজ বিচারের লড়াইয়ে  মুখ বুজে সইবেনা আর যাতনা দিয়েছে বুঝিয়ে  নৃশংস হত্যা ধর্ষণে প্রতিবাদের মিছিল নারীদের  দিন রাত্রি হোক সমান  নারী পুরুষ উভয়ের  শ্বাপদ শাবকের ঘোরাঘুরি  রাতের আড়ালে নারীর শরীর নিয়ে ছিনিমিনি  সুযোগ পেলে নারী নয় অবলা নারী শক্তিতে জাগাও মনোবল‌ নারী বলে  হবে না  দুর্বল মুছে নাও চোখের জল অনেক হয়েছে শাসন শোষন ঝড় উঠেছে প্রতিবাদের  বন্ধ হোক নারী  নির্যাতন প্রতিষ্ঠিত হোক নিরাপত্তা নারীদের নারীও যে রুদ্ররূপ ধারণ করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে অপমানিত নারী যখন উঠে দাঁড়ায় প্রলয়ের ঝড় বয়ে আনে।

মন মর্জি

আপন মর্জিতে আসে যায় খেয়াল খুশির মালিক  ঠিকানা ভুলে চলে আসো গরমে সকলের প্রাণ যাক ফিরে যাও নিজ ঘরে ঠান্ডায় এসো চুপটি করে শারদীয় উৎসব নিয়ে শরত এলো এবার সে থাক।

মুখোশধারী

বাস্তবতার শহর জুড়ে মুখোশধারী  এক মুখ হাজার মুখোশ চেনা ভারী । নিত্যদিনের দিনযাপনে চলে অহরহ কুকর্মে বেড়েছে যত মুখোশের মোহ। মুখোশের আড়ালে ভয়ঙ্কর  চেহারা  অনৈতিক কাজকর্মে লিপ্ত হয়ে পরা।  স্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝেনা মুখে মিষ্টি কথা  ভদ্রতার মুখোশে কুৎসিত যত মানসিকতা। শত শত অপরাধ জন্ম নেয় মুখোশের ভিতরে  বহুরূপী মুখোশে দিনরাত্রি মনুষ্যত্ব মরে। ভয় ডর নেই মনে মুখোশটা খুলবে যেদিন সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ পাপ করে প্রতিদিন।

বিলুপ্তপ্রায় মনুষ্যত্ব

সত্যে মিথ্যা আড়াল করা নিত্য পোশাকের মত   সময়কে বন্দী কষাঘাতে অবিবেকি মনুষ্যত্বের অবক্ষয় প্রতিনিয়ত । পুঁথিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এগিয়ে যাওয়া সামনের দিকে  আরও যে কত বেঁচে থাকা বিষাক্ত বাতাসে দীর্ঘশ্বাস ভিতর থেকে । আজ যেনো মন বলতে চায় ফিরে আসুক ফিরে আসুক সেই দিনগুলো আগেকার  কাটাতে চায় নির্ভয়ে নিডরে জীবনের কন্টকপথে পাথেয় হোক নির্ভরতার। সময়ের কোলাহল ঘোর অমানিশার রাত নিষ্ঠুরতায় মৃত্যুর বাতাস বয়ে যায়  সময়ের মুখোশে যত বাস্তব গল্প বোবা কান্নার আর্তনাদ রক্ত ঝরে নগ্ন দুনিয়ায়।   মানুষ রূপে বহুরূপীকে  পাঠিয়েছেন পৃথিবীতে  যেখানে শুধুই আজ অনুতাপ কোথায় আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি যেখানে শুধুই  ঘৃণা বিদ্বেষ  ছড়িয়ে গেছে যত  পাপ। মিথ্যের মহা আয়োজনে ঝাঁপিয়ে করে সত্যের বিনাশ  ঝড় উঠেছে প্রতিবাদের প্রবল ঝড়ের পরে  হোক সত্যের আলোর প্রকাশ। ✍️উমা মজুমদার ।

বৃষ্টি হোক শহর জুড়ে

মেঘলা আকাশ বাদল দিনে বুক দুরু দুরু মেঘের গর্জনে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে  আষাঢ় শ্রাবণ বৃষ্টি মাখা গায়ে। উতল ধারা বাদল অঝোরে ঝরে  শৈশবের ঝাঁপিটা হটাৎ খুলে পড়ে  পথ ঘাট সব ভাসে হাঁটু সমান জলে মরনফাঁদ থেকে মানুষ প্রাণটা বাঁচিয়ে চলে। শহরজুড়ে চলে বৃষ্টির মাতাল  নেশা জীবন নির্বাহে চালায় তাদের পেশা  কেও বা ভিজে বৃষ্টিতে সুখের নেশায়  কেও বা ভুলে কষ্ট বৃষ্টির ফোঁটায়। অঝোরে ঝড়ুক বৃষ্টি সারা শহর জুড়ে  প্লাবন হোক যত বিষাক্ত মনের ভিতরে।

জীবনের অভিজ্ঞতা

জীবন তখনই সুন্দর যখন জীবন কে জীবনের মতো চালিয়ে নেওয়া যায়। জীবনকে বোঝা মনে করলেই সে আরও কঠোর হয়ে সামনে দাঁড়ায়।

নৌকা সফর

বর্ষার আকাশ কালো করে হটাৎ  বৃষ্টি নেমে এলো  ঘাস আনতে চাচা চাচী এপারে এসে ফেঁসে গেলো  ও মাঝি ভাই নিয়ে যাবে আমাদের বাড়ি দেখেই বলে   গ্রামের পথ ঘাট সব ভাসছে বৃষ্টির থৈথৈ জলে  নিয়ে যাবো দুটি টাকা বেশী চাই আমার বর্ষার এই দিনে নৌকা চালিয়ে পেট চালায় পরিবারের জন্যে   ঘাসের বোঝা মাথায় নিয়ে দুজনে নৌকায় চড়ে দাঁড় টেনে যায় মাঝি গ্রামের পথে ধীরে ধীরে  বাচ্চারা  আছে বসে লালিও ঘাস না পেলে যাবে রেগে বেলা ফুরোয় চাচা চাচী বাড়ী ফেরে  সন্ধ্যার আগে।

ঝরে পড়ুক ভালোবাসা শ্রাবণ ধারা হয়ে

বর্ষার আকাশে নেমে  এলো কালো মেঘের খেলা  কি করে বলি তোমাকে  ছাড়া কাটে না এই বেলা তোমার কথা পড়লে মনে ঝরে পড়ে চোখে শ্রাবন ধারা এলোমেলো ভেজাচুল পাশে দাঁড়িয়ে লাজুক ঐচেহারা  বৃষ্টিভেজা এ দিনে বারেবারে চায় তোমার কিছু বলতে ভালোবেসে দিও  আমায়  একটু জায়গা নাহয় হৃদয়তে ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে দেখা দিলে  চেনা পথ দিয়ে সব ভুলে  মন চায়  হারাতে ভালোবাসার বৃষ্টি মেখে গায়ে কত শ্রাবন চলে গেলো তবুও যে পায়নি   দেখা তোমার    পড়ুক ঝরে ভালোবাসা শ্রাবন মাখা মাটির বুকে আবার।

অদ্ভুত মিল

অদ্ভুত মিল.... সময়টা বয়ে চলছে নিজের স্রোতে কোথাও থমকে দাঁড়ানো তার পক্ষে  অসম্ভব । ঘড়ির কাঁটা সে তো সময়ের কথা শুনে   চলে সেও একদিন চলতে চলতে অকেজো  হয়ে পড়ে ,,, তবুও তার  কর্ম সে করে যায়। কি মিল আমাদের জীবনের সাথে অদ্ভুত.... সময় ও আমাদের যার যার হিসেব গুলোও ঠিক  বুঝিয়ে দেয় কি উচিত কি অনুচিত,,, সেটা যদি ভেবে চলি তাহলে আর কোন সমষ্যা হয়না জীবনে।

রূপসী বর্ষা

মেঘের পর মেঘ জমে আকাশ ঘিরে কালো হয়ে আষাঢ় শ্রাবণ মানেনা মন খুশিতে  তাকে পেয়ে টইটুম্বুর জলজ মেঘ সেজেগুজে আকাশে প্রাণের ঋতু মোহময়ী বর্ষারাণী  প্রাণে মিশে  শ্রাবন সন্ধ্যা ঝরো ঝরো মুখর বাদর দিনে মন ময়ুরী গুণগুণ করে আন্দোলিত মনে  বৃষ্টি ভেজা দিনে হৃদয় নাচে রিনি ঝিনি নূপুরে টিপটিপ বৃষ্টি মাটির সোঁদা গন্ধে মন মাতাল করে ছুঁয়ে যায় মন প্রাণ  বৃষ্টির শীতল স্নিগ্ধ বারিধারায় ঝর ঝর ধারাপাত অপূর্ব রূপের বাহার সুন্দরী বর্ষায় মুঠোফোনে বন্দী জীবন একা ঘরে  বৃষ্টির স্মৃতিচারণ  থৈথৈ জল চারিদিক ছোটবেলা মনে পড়ে  কাঁদে মন।

মোবাইল বন্দী

স্নানে করতেও মোবাইল হাতে একি কান্ড ছেলের অবাক হয়ে বাবা দেখে কি দিনকাল  এলো নিস্তার নেই মোবাইলের।  খেলাধুলা ভুলে দিনরাত পার করে  দেয় এক যন্ত্রের সাথে  ঘরে বাইরে যেখানে যাকে দেখো চলছে মোবাইল নিয়ে হাতে। মোবাইল ছাড়া চলেনা একমিনিট   ছোট বড় সবে সমান  খাওয়া দাওয়া উঠাবসা সবেতে সঙ্গী   কি যে তার মান।

আধুনিকতার বড়াই

ভিখিরির চোখ ছানাবড়া ভাবে যুবতীদের একি হাল ছেঁড়া ফাটা পড়ে চলে লাজলজ্জা নেই আজকাল  এ কেমন দিন এলো ভাই ফ্যাশনের নামে চলছে সবটাই  কেও পড়ে অভাবে কেও দেখায় আধুনিকতার চাল।

হনুমানের যোগাভ্যাস

মানুষ নয় মানুষের মতো অবিকল  যোগা করে দেখ কেমন হনু  যোগাসনে শরীর চনমন রাখে হনুকে  দেখে করো যোগ শুরু  লম্ফঝম্ফ দিতে ওস্তাদ জিমন্যাস্টিক  দেখায়  হনুমান সারাদিন  হাড় নেই শরীরে যেনো যোগা করে সকাল বিকেল প্রতিদিন  শরীর সুস্থ  থাকার একমাত্র  প্রক্রিয়া  হনুমান দেখায় সকলকে সুস্থতার সাধনায় ব্রতী হয়ে যোগাভ্যাসে   স্মরণ করে দিনটিকে।

জীবন সার

কিছু ভালো কিছু মন্দ জীবন দুদিকে বয় চোখ বন্ধ করলে সবকিছু  এখানে পড়ে রয়।

অহংকারী সূর্যিমামা

সকলের সূর্যিমামা বলে তোমার দাপটটা খুব বেশি  অহংটা কমিয়ে এবার মানে মানে বলো আসি  আকাশে বসে পাওনা টের   গরমে মানুষের লাশের ঢের হাতা খুন্তি নামিয়ে এবার পাঠাও আমাদের বৃষ্টিমাসি।

সচেতন হওয়া

মেপে মেপে যত ই দাও ধান বৃষ্টিকে মিষ্টি কথায় ভিজে না চিঁড়ে নেই কাজ আকুতি মিনতি যত ই করো তাকে ইচ্ছের দড়িটা তার হাতেই বাঁধা আজ। বৃষ্টির প্রয়োজন মানুষের যেমন প্রকৃতির তেমন কোন কিছুর বিনিময়ে  যাবে না তাকে পাওয়া লোভে সে পড়বেনা জ্ঞান বুদ্ধিটা তার ভালোই আছে বৃষ্টিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে তোমাদের উচিত সচেতন হওয়া।

ধরনী কাঁপে

প্রকৃতির কাছে মানুষ অসহায় ঝড়ের দাপটে ধরণী কাঁপে থরথর  ধংসলীলার তান্ডব চালায় রুদ্রমূর্তিতে কেড়ে নেয় গরীবের সুখ নিষ্ঠুর ঘূর্ণিঝড় 

আয় বৃষ্টি ঝেঁপে

আয় বৃষ্টি ঝেঁপে...... ✍️উমা মজুমদার  ২০/৬/২৪ আকাশ পানে চেয়ে দেখি বিশাল কালো মেঘের ঘনঘটা গর্জন করে পড়বে ঝরে বৃষ্টিস্নানে হবে প্রাণবন্ত  জীবকূলে এসো হে বর্ষন নবীন বেশে প্রকৃতিকে দাও শীতল স্বচ্ছ করে ঝমঝমিয়ে ঝরে পড়ো বৃষ্টির ধারা হয়ে নাচবে ময়ূরী পেখম তুলে । দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আসলে তুমি তবুও ক্ষনিকের তরে  দাম বাড়াও শুধুই অকারণে কি লাভ সকলকে কষ্ট দিয়ে  প্রখর তাপদাহে  জ্বলছে শরীর নেই কষ্ট তোমার মনে বৃষ্টির আশায় বসে বসে ডাকছে তোমায় কাতর হয়ে। আষাঢ়ের কালো জল ভরা মেঘে নামলো বৃষ্টি পাইনি তেমন পরশ  হলদে হয়ে যাওয়া সবুজ গাছপালা পথ চেয়ে বৃষ্টির আশায়    গাছপাতাদের শরীরে প্রাণ নেই যেন গরম হাওয়া বাতাসে মান অভিমান ভুলে নেমে এসো বরন করে নেবো তোমায়।

অমানবিকতার পরিচয়

লিমেরিক... শিরোনাম.. অমানবিকতার পরিচয় কেও ডুবছে জলে প্রাণ যায় যাক মানুষের  আগে ছবি মোবাইলে পরে ভাববে কথা অন্যের  মানুষ মানুষের জন্য হয় মুখের কথা মুখেই রয় বিপদ দেখলে লেজ তুলে পালায় পরিচয় দেয় অমানবিকতার ।

অচল মুদ্রা

আজ আমরা অতীত অবহেলিত.... বাজারে  আমাদের দেখলে  বলে আমরা অচল পয়সা কোন দাম দেয়না। তবুও আমরা আছি ভালোবেসে স্মৃতির পাতায় ।

অঘোর বরসা

অঘোর বরসায় চারিদিক ঘুটঘুটে  অন্ধকার    আঁধার রাতে  হাঁটু জল ভেঙে ছাতা মাথা দিয়ে যায় বুক দুরুদুরু গা ছমছম চলেছে একা পথে রেরে কে যায় থলিতে আছে কি দে আমায়। একি ভুত না মানুষ কালো জ্বলজ্বল করে দুচোখ থলিতে আছে রামায়ণ গীতা  কি বলি ভুতকে  ফন্দি আঁটে মনে নইলে যাবে প্রাণটা বেঘোরে  থলি  দিয়ে পালায় রাম রাম করে সেখান থেকে।

আমার কাছে আমার মা

আমার কাছে আমার মা,..... মা তুমি চলে গিয়েও এখনো সর্বদা আছো চোখের সন্মুখে...চোখ বন্ধ করলেই যেন তোমাকে অনুভব করি....মা কে কি কখনো যায় ভুলা মা মানে অনেক কিছু যা  লিখে যায়না প্রকাশ করা....কাছে নাইবা পেলাম তোমাকে তবুও তোমার স্নেহ মমতা ভালোবাসা সব কিছুকে  রেখেছি  আগলে হৃদয়ে... পৃথিবীর মধুরতম ডাক মা..... ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে  অকৃত্রিম ভালোবাসা....… শৈশব থেকে আনন্দ বেদনা ভয় কিংবা উদ্দীপনা প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে  থাকে মায়ের নাম....... জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল..... একটি শিশু জন্মের আগে থেকেই মায়ের সান্নিধ্যে অভ্যস্ত হতে থাকে একটু একটু করে.......মায়ের ভেতর বেড়ে  ওঠার সময়টা থেকেই সন্তানের যে আত্মিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় মায়ের সঙ্গে, জন্মের পর সেটা ধীরে ধীরে কেবল  বাড়তেই থাকে..... মা আমাদের অস্তিত্বের এক অপরিহার্য অংশে পরিণত হন....  কবি কাজী নজরুল ইসলাম ঠিকই লিখেছেন:  পার হয়ে কত নদী কত সে সাগর  এই পারে এলি তুই শিশু যাদুকর!  কোন রূপ-লোকে ছ...

প্রাণের হিল্লোল

সবুজের সমারোহে ফুলে ফলে প্রাণের হিল্লোল প্রকৃতিজুড়ে আকাশ বাতাস মুখরিত  কৃষ্ণচূড়ার ডালে কুহুকুহু সুরে। পলাশ শিমুলে বসন্তের রঙ   বুকে প্রেমের আগুন জ্বলে বসন্ত মানেই  পূর্ণতা নতুন আবেগে  মনপ্রাণ ভরিয়ে তোলে। বসন্ত আনে  প্রেমের নেশা  ভালোবাসার রঙে প্রেমিক যুগল   ফাগুনের ফাগে রঙের উচ্ছাস  বসন্তের আঙ্গিনায় খেলে দোল।

বসন্তের রঙে রঙিন

✍️উমা মজুমদার ২৬/৩/২৪ বসন্তের রঙে রঙিন.... মন মাতানো ফাগুন রাঙা আকাশ  গাছে গাছে পলাশ শিমুলের মেলা  ভালোবাসার বীজ বুনে মনের গভীরে   কোকিলের কুহু সুরে মন উতলা। পলাশের রঙে রঙ মাখিয়ে মাতোয়ারা বসন্ত  এসে দাঁড়ায় সকলের দ্বারে রঙ রূপে ভরপুর চিরনবীন বসন্ত  কচি কচি পাতায় সবুজ রঙ ভরে। আকাশে বাতাসে উড়ে ফাগের আবির  দখিন হাওয়ার মাতাল সমীরণ  দৌলের রঙে রাঙায় একে অপরকে  হৈ হুল্লোড়ে বসন্ত উৎসব করে পালন।  আট থেকে আশি  রঙে মাতামাতি একে  অপরকে রঙ মাখে ভেদাভেদ সব ভুলে  প্রকৃতি জুড়ে বসন্ত ফাগুন ফুলের গন্ধে ভ্রমর পাগল গুন গুন করে ফুলে ফুলে। যাওয়া আসার ছকে বাঁধা জীবনটায়  বয়ে আনে কত আনন্দ খুশীর ছোঁয়া বিদায় বেলা এসেই গেল চৈত্রের বেলাশেষ বর্ষ বরণের আনন্দে পেটপুরে খাওয়া দাওয়া।

বাঁচার অবলম্বন

কবিতা দিবসে আমার  একটি কবিতা..... বাঁচার অবলম্বন...... ✍️উমা মজুমদার ২১/৩/২৪ কবিতা তোমাকে  ভালোবেসে পেয়েছি জীবনের  পূর্ণতা হারানোর নেই ভয় তোমার সাথে কতনা মোর সখ্যতা বাঁচার অবলম্বনে মনের  বাঁধনে বেঁধেছি তোমাকে  ভাবনার পাখনা মেলে চলি জীবনের আঁকে বাঁকে শব্দের মাতাল হাওয়ায়  হাজার  ছন্দের অনুরণন  কখনো বেদনা কখনো যন্ত্রনায় হয় হৃদের রক্তক্ষরণ শব্দের মায়াজাল বুনে সাজায় তাকে মনের মত করে যত কষ্ট যত আঘাত ভালোবাসায়   কবিতা গড়ে  কবিতার ছন্দে পড়ুক ঝড়ে হাজার শব্দের রং ছড়ায়ে কি লিখি তা জানিনা মনের কথা  লিখি ভালোবাসা দিয়ে।

তুমি নারী

তুমি নারী, তোমার তুলনা তুমি নিজে সৃষ্টির অতুলনীয় তুমি, নারী তোমায় সাজে নারী তোমার কত রূপ তুমি এক জননী    তুমি  হলে সকল সন্তানের গর্ভধারিণী   মাতৃরূপে করুণাময়ী মমতাময়ীর ভান্ডার     দিচ্ছো পরিচয় তোমার নিজস্বতার  কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছো পুরুষের সমান নিজের স্বত্বায় পরিচয়  নারীর যোগ্য স্থান  নারী নয় অবলা  নারীর আছে সমান অধিকার হবে না নারী লজ্জিত, নিজ হস্তে উঠাও হাতিয়ার।

কালের ফ্যাশন

 নারী পুরুষ উভয়ে  চলে কালের ফ্যাশানে   আজব যত সব  অলংকার মহিলার কানে     সাজপোশাকের নেই বালাই      আধুনিকতার ছোঁয়া সবটাই বদলে যেতে বসেছে জীবনযাত্রায় পরিবর্তনে।

শিক্ষার আলো

সকাল হলে বেড়িয়ে যায় দাদু মোষ নিয়ে সময় কাটে ভালোই দাদুর বাচ্চাদের পড়িয়ে। দাদু নাতির  দেখা হয় রোজ পথের ধারে ছুটির দিনে দাদুর কাছে পড়াশোনা করে। দাদু বলে নাতিকে বড় যদি তুমি হতে চাও  পড়াশোনা করো মন দিয়ে তবে শিক্ষিত হও। পড়াশোনার অনেক গুণ যদি লাগে কাজে জ্ঞানের আলো জ্বলবে দেখো সকলের মাঝে।

মনের সাথে মনের কথা

হটাৎ করে আসা কিছ খুশি র মুহুর্ত জীবনে সবচেয়ে আনন্দময়,  জীবনের স্রোতে হারিয়ে যায় কত চেনা মুহূর্ত  বিষন্নতায় তাকে শুধু খুঁজে ফিরি । কখন ও কিছু না চাইতেই পাওয়াকে জীবনের  অনেক বড় পাওয়া বলে মনে হয় কখনো। চাইলেই যে পাওয়া যায় সেটাতে অভ্যস্ত নয় জীবন ছিঁটেফোঁটা খুশিতেও ভালো থাকা যায়। কে কি ভাবে তাকে  নিয়ে অযথা মনের উপর চাপ দেওয়া সেটা নিয়ে ভাবতে বসলে অপ্রয়োজনীয় আবর্জনা  ছাড়া ভালো কিছু পাওয়া যায়না।  অনেক ভালো হয়েও জীবনে দেখবে লাভ খুব একটা হয় বললে ভুল হবে মন্দটাই বেশী জোটে। ভালো ব্যবহার করলেই যে সকলে প্রশংশার ডালা সাজিয়ে ধরে তা কিন্তু হয়না ,আমরা সবসময় আশা নিয়ে থাকি। আমার সবটুকু ভালো দিয়ে  লালন করি রাতদিন প্রচেষ্টা,নিজের  কাছে ভালো থাকা, জীবনটা শিখিয়ে পড়িয়ে নেয়। হিসেব নিকেশের গল্পকথা নাই বা লেখা হলো খালি থাক কিছু  মনের পাতা । ✍️উমা মজুমদার ৩১/১/২৪

যাদুর নেশা

যাদুর নেশা... কাজে নেই মন পড়াশোনা গোল্লায় কি যে  যাদু একবার হাতে পেলে চায়না কিছু স্বাদের  মধু  দুনিয়া মত্ত তার নেশায় হাতের কাছে থাকা চাই ছোট বড় সকলে ঘরে বাইরে ব্যস্ত তাকে নিয়ে শুধু।

প্রিয় নেতাজী

দেশকে স্বাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তি দিতে  নিজেকে করেছিলেন দান এই বঙ্গসন্তান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা  নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে শতকোটি নমন। পরাধীনতার শৃংখল ছিন্ন করার স্বপ্ন নিয়ে বুকে দেশকে ভালোবেসে দুঃসাহসিক তোমার সংগ্রাম কোটি কোটি ভারতবাসীর ছিলে তুমি আশা ভরসা স্বাধীনতা সংগ্রামের  বীর সন্তান নেতাজী তোমার নাম।

সমাপ্তির গল্পকথা

সমাপ্তির গল্পকথা.... একটি গল্প বা উপন্যাসের কাহিনী পড়তে পড়তে শেষ অধ্যায় টা জানার  জন্য ভীষন উৎসুক হয়ে পড়ি,,, সমাপ্তিটা কেমন হবে শেষটা কি অসন্পূর্ণ থেকে যাবে ,,নাকি সুন্দর সমাপ্তি ঘটবে কত কি ভেবে ফেলি মনের মধ্যে,,, কখনো সুখের কখনো বা দুঃখের ,,যা হয় আমরা সেটাই মেনে নিতে বাধ্য  ,,,সেখানে লেখকের ইচ্ছের উপর সন্পূর্ণ নির্ভর করে। কিন্তু আমাদের জীবনের গল্পকথার  সমাপ্তির ভারটা একদম অন্যরকম সেখানে ইশ্বর নির্ভরযোগ্য,,,, যতই আমরা হিসেব নিকেশের গল্পকথা লিখিনা কেন  আমাদের হাতে কিছুই থাকেনা,,,   আমাদের জীবনে কর্মকান্ডের সমাপ্তির  ঘোষণা একমাত্র উনিই ঠিক করবেন। ✍️উমা মজুমদার। ৫/১/২৪

চিরকুট

জীবন বয়ে চলে নিয়ম বেঁধে  বারো মাসের সুখ দুঃখে বর্ষ হলো শেষ তিমির রাত্রি ভেদ করে রবি পূর্বদিগন্তে প্রতীক্ষাতে আনন্দ খুশি যতক্ষণ শ্বাস প্রশ্বাস।

তালমিল

বর্ষার জল রাস্তায়  থৈ থৈ করে মাছ ধরতে দুজনে জলে নেমে পড়ে কি করে ধরবে জলের জ্যান্ত মাছ বুদ্ধি বেরোলো তাদের মাথায় আজ দুজনের তালমিলে গামছা জলের মাঝে ধরা পড়লো কত মাছ গামছার ভাঁজে খেলার ছলে ভাই বোনের ইচ্ছে পূরণ ছোট ছোট আনন্দ খুশীতে ভরায় মন। ✍️উমা মজুমদার ০১/০১/২০২৪

বর্ষবিদায়

বর্ষবিদায়...২০২৩ বিদেয়  দিলেম পুরোনোর  আঁচলে  বেঁধে  আছে যত দুঃখ কষ্ট বেদনা সময়ের স্রোতে মঙ্গল প্রার্থনা ও শুভকামনার ডালা সাজিয়ে বসে আছি নতুনের আশা নিয়ে বর্ষশেষের রাতে চলে যায় একটি বছর দিন গুণে হিসেব মিলিয়ে হারিয়ে যায় কত আপনজন আপনার কাছ থেকে জন্ম মৃত্যু হাসি কান্নায় ছন্দে সাজানো জীবন ধারা তুমি ছাড়া গতি নেই হে ঈশ্বর ভালো রেখো সকলকে বেদনার স্মৃতিগুলো মুছে যাক আগামীর প্রত্যাশায়   নব ফুল ফুটুক জীবনে শুরু হোক নতুনের পথচলা এসো হে  ২০২৪ নিয়ে এসো খুশির ডালি আঁচলে বেঁধে বিদায় ঘন্টা বেজেছে ঘড়িতে ২০২৩ তোমার স্মৃতি থাক তোলা। ✍️উমা মজুমদার ০১/০১/২০২৪---