পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার স্কুল জীবন

ছোটবেলার স্মৃতির কথা মনে পড়লে এখন‌ও সেই স্কুলের কথায় বেশি করে মনে হয়।স্কুলে কাটানো জীবনটা অন্যান্য জীবনের থেকে একদম আলাদা।সবথেকে সেরা,কাটানো কত খুশি আনন্দ ছোটবেলার স্মৃতিতে অম্লান আজ‌ও। কলেজ জীবন টা আবার একদম অন্যরকম,সেখানে পুরোনো বন্ধুদের  বা শিক্ষক শিক্ষিকা কাওকেই পাওয়া যায়না।সে সব স্মৃতি খুব একটা মনে জায়গা করতে পারেনি।স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ করে আজ‌ও আনন্দ পাই। আমার ছোটবেলার স্কুল জীবন কেটেছে দুটো স্কুল মিলিয়ে ।প্রথম যে স্কুলে পড়েছিলাম তখন‌ও সেটা গরমেন্ট হয়নি। কয়েকবছর পর অবশ্য হয়ে গেছিলো। যার জন্য দুটো স্কুলের অনেক স্মৃতি আজও ভুলতে পারিনি। ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস সেভেন অব্দি এক স্কুলে পড়েছি ।সেখানে ছেলেমেয়ে উভয়ে ছিলো,আর সেটা আমার খুব কাছে ছিলো ,বাড়ী থেকে হেঁটে‌ই যেতাম ।আবার টিফিনে বাড়িতে এসে নাকে মুখে দিয়ে টিফিনের পর  যে ক্লাসথাকতো সে অনুযায়ী ব‌ই নিয়ে ছুটতাম ।  তারপর  ক্লাস এইটে উঠলাম যখন  তখন বেঙ্গলী র্গালস হাইস্কুলে এডমিশন নিলাম সেখানে টেইন অব্দি। তবে সেটা অনেকটা দূর ছিলো পাবলিক বাসে আসা যাওয়া করতে হতো। এই যে দূরে গিয়ে স্কুলে পড়ার আনন্দটা একদম অন্যরকম ছিলো।কত

কুসংস্কারের একাল সেকাল

সংস্কার আর কুসংস্কার আমাদের সমাজে বহু যুগ ধরে চলে আসছে। লোকের বিশ্বাসে বছরের পর বছর  কুসংস্কার কে টিকিয়ে রাখে। পাপ পূণ্যের চিন্তা ধারা গুলো যেদিন আমাদের মনের থেকে চলে যাবে সেদিন থেকেই হয়তো আমরা কুসংস্কার মুক্ত হতে পারবো। আমি বেশ কয়েকবার তিরুপতি মন্দির গেছি,তখন দেখেছি পুরুষ মহিলা উভয়ে ওখানে চুল দিতে। আমরা আমাদের মনে নানান ইচ্ছে পূরণের কথা ঠাকুরের কাছে গিয়ে বলি ,ঠাকুর আমার এই মনস্কামনা পূর্ণ হলে তোমাই এতো টাকার পূজো দেবো, কেও সোনার টিপ দেবে কেওবা জোড়া কবুতর, নানান রকম মান্নতের কথা ঠাকুরের কাছে বলে আসে ।তাই মন্দিরে চুল দেওয়ার ব্যাপারটা আমার মনে হয় সেরকম কিছু একটা ।  এমন শুনেছি যেসব মন্দিরে এই চুল দেওয়া হয় সেগুলো বিক্রি করে প্রচুর টাকা আসে।একদিকে মানুষ নিজের থেকেও বেশী ভগবানের প্রতি বিশ্বাস।  অন্যদিকে মঙ্গল অমঙ্গলের কথা  ভেবে আমাদের মনকে ভয় ভীতি করে তোলে  ।  ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইচ্ছেপূরণ জানানোর একেকজনের একেক রকম মান্নত করে। আর  এই অন্ধবিশ্বাসেই মানুষকে কুসংস্কারের পথে ঠেলে দেয়।

শ্রাদ্ধে লোকদেখানো দান দক্ষিণা খাওয়া দাওয়ার প্রয়োজন আছে কি????

শ্রাদ্ধ হিন্দু শাস্ত্রের মৃতের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের অনু্ঠান। মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করে নানান রকম আচার রীতি নিয়ম পালন করে আজ‌ও ।আগে দেখেছি একমাস করতো।এখন সেটাকে কমিয়ে  নিজেদের সুবিধা মত কেও ১৩দিন কেওবা ১১দিন শ্রাদ্ধের কাজকর্ম করে। সব  রীতি নিয়ম মানুষেরেই তৈরী । সব যখন মানুষ তৈরী করে নেয় তখন শ্রাদ্ধের খাওয়া দাওয়া সেগুলো মানুষ খুব সহজে বন্ধ করতে পারে। মৃতের আত্মার শান্তি কামনায় যেটুকু নিয়ম আছে সেগুলো নিজেদের আত্মীয় স্বজন মিলে করে নিতেই পারেন যেগুলো একদম না করলে নয়। আজকাল তো দেখছি শ্রাদ্ধের দিন নিয়ম সেরে রাখে কারন সেদিন অনেকে খাওয়া দাওয়া পছন্দ করেন না ।তাই মৎস্য মুখেরদিন বেশ ভালো করে অনেক লোকজন কে নিমন্ত্রণ করে ভুরিভোজ করানো হয় ।সেটা কি উদ্দেশ্যে করায় সেটা বুঝতে পারিনা। মানুষ ও খুশি খুশি গিয়ে খেয়ে আসেন। খেয়ে দেয়ে এসে আবার বলেন খুব ভালো খাইয়েছে পদ ভালো হয়েছে আরও কত কথা। শ্রাদ্ধের খাওয়া দাওয়া কোনদিন পছন্দ করিনা।  পুরোনো যেসব প্রথা আজকাল অনেক কিছুই আগের মত নেই তাহলে শ্রাদ্ধের নামে এইসব খাওয়া দাওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। যে বেঁচে থাকতে  শান্তি পায়নি স

আমার স্কুল জীবন

ছোটবেলার স্মৃতির কথা মনে পড়লে এখন‌ও সেই স্কুলের কথায় বেশি করে মনে হয়।স্কুলে কাটানো জীবনটা অন্যান্য জীবনের থেকে একদম আলাদা।সবথেকে সেরা,কাটানো কত খুশি আনন্দ ছোটবেলার স্মৃতিতে অম্লান আজ‌ও। কলেজ জীবন টা আবার একদম অন্যরকম,সেখানে পুরোনো বন্ধুদের  বা শিক্ষক শিক্ষিকা কাওকেই পাওয়া যায়না।সে সব স্মৃতি খুব একটা মনে জায়গা করতে পারেনি।স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ করে আজ‌ও আনন্দ পাই। আমার ছোটবেলার স্কুল জীবন কেটেছে দুটো স্কুল মিলিয়ে ।প্রথম যে স্কুলে পড়েছিলাম তখন‌ও সেটা গরমেন্ট হয়নি। কয়েকবছর পর অবশ্য হয়ে গেছিলো। যার জন্য দুটো স্কুলের অনেক স্মৃতি আজও ভুলতে পারিনি। ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস সেভেন অব্দি এক স্কুলে পড়েছি ।সেখানে ছেলেমেয়ে উভয়ে ছিলো,আর সেটা আমার খুব কাছে ছিলো ,বাড়ী থেকে হেঁটে‌ই যেতাম ।আবার টিফিনে বাড়িতে এসে নাকে মুখে দিয়ে টিফিনের পর  যে ক্লাসথাকতো সে অনুযায়ী ব‌ই নিয়ে ছুটতাম ।  তারপর  ক্লাস এইটে উঠলাম যখন  তখন বেঙ্গলী র্গালস হাইস্কুলে এডমিশন নিলাম সেখানে টেইন অব্দি। তবে সেটা অনেকটা দূর ছিলো পাবলিক বাসে আসা যাওয়া করতে হতো। এই যে দূরে গিয়ে স্কুলে পড়ার আনন্দটা একদম অন্যরকম ছিলো।কত

ধনী গরীব

একেই শরীরে একেই রক্ত মানুষের ভেদাভেদ মনে ধনী গরীব আসা যাওয়া একজনের হাতে সেই জানে  ধনী থাকে অট্টালিকায় সুযোগ সুবিধা আছে সবেতে   পেটের জ্বালা মেটায়  পথে পথে ঘুরে  রাত কাটে শুয়ে ফুটপাতে   রাতদিন খেটে খাওয়া গরিব সখ সৌখিনতার  কি বোঝে নামী দামী রেষ্টুরেন্ট কাপড় চোপড় ধনীকেই তো সাজে নুন আনতে পান্তা ফুরায়  ক্ষুধার্ত গরিবের  পেটের জ্বালা গরিবের সঞ্চয়ে ধনীর অপচয় কুকীর্তির  যত রঙ্গশালা  ধনীরা উড়ায় দুহাতে টাকা গরিবের ঝুলিতে দুটি টাকা গরিবের খাতায় লিখেছে নাম অসহায় হয়ে বেঁচে থাকা।

নিজের ভালোলাগা

সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় মন চায় বন্ধু বান্ধব কিংবা প্রিয় মানুষের সাথে  কিছুটা সময় কাটাতে,,,,,,,,,,,. মান্নাদে র সেই বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গান কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই.......সত্যি আজ আর কাওকে সেরকম করে আড্ডা দিতে দেখা যায় বলে মনে হয় না। ,,,,,,,আজ মোবাইলের দৌলতে দূরে থেকেও যেন খুব কাছ থেকে বসে গল্প করার মত মনে হয় ।ঘন্টাকে ঘন্টা, মন ভালো করা সুখ দুঃখের কথা বার্তা ,,,,,, । কেনো আজ মনটা এমন লাগছে  সব তো করছি তবে কেনো মন  বলছে  কিছু যেনো হয়নি ,,,,, তাড়াতাড়ি করে সব কাজ কর্ম সেরে নেয় ,,,,,,,কখন‌ও যদি ফোন চলে আসলো তাহলে তো হয়ে গেলো দুজনের থেকেই কথা শুনতে হবে,,,,,,,,,,কখন যে খাওয়া জুটবে  ঠিক নেই তাই    ফোন আসলে ফোনটা রিসিব করে বলে নেয় এগন রাখছি পরে সময় করে কল করে  জমিয়ে আড্ডা দেবো,,,,,,,,,,,  হাঁ চলে ঘন্টার পর ঘন্টা বোনে বোনে আড্ডা,,,, আবার মাঝে মাঝে মান অভিমান‌ও চলে,,,   ছেলে আর স্বামী বলে তোমরা এতো কি কথা বলো রোজ রোজ,,,,, তোমাদের কথা শেষ হয়না,,,,,,,,রুমি বলে,  জানি না ,কোথা থেকে এত কথা চলে আসে ,,,,,, রুমি আবার রেগে গিয়ে বলে  তোমরা তো কথায় খুঁজে পাও ন

একাল সেকাল শিক্ষা ব্যবস্থা

এখনকার শিশুরা ছড়া কবিতা গল্পের বই না পড়েই বড় হচ্ছে,,,,, তবে বই না পড়ার দায় পুরোপুরি শিশুদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়,,,,,,,,কারণ  আমরা বড়রা শিশুদের জন্য এমন এক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করেছি,,,,,,যা তাদের শুধু স্কুলের  ব‌ইয়ের বোঝার মাঝে শৈশব হারিয়ে গেছে ,,। স্কুলের ব্যাগটা বড্ড ভারী, আমরা কী আর বইতে পারি, এও কি একটা শাস্তি নয়,,,,,,কষ্ট, কষ্ট হয়,,,,,,,, আমার কষ্ট বুঝতে চাও, ,,,,,,দোহাই পড়ার চাপ কমাও -কষ্ট হয়, কষ্ট হয়।’  শিল্পী কবির সুমনের একটি গানের কথা এগুলো,,,,, তবে এ গানটি কেবল গানই নয়,এ  কথাগুলো সত্যি হয়ে এসেছে বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের ক্ষেত্রেও.....। আমাদের সমাজে এমন বাবা  মায়ের অভাব নেই যারা সন্তানকে শিক্ষা দিতে চান শুধু বইয়ে মুখ গুজিয়ে রাখাই জীবন,,,,,,,পড়াশোনা তো সারাবছর,,,,,,, তারপর বছর শেষে বা  অন্যকোনো উৎসবের ছুটিতে সবাই যখন উৎসবের আমেজে থাকে তখনও চান সন্তান যেন কালির অক্ষরের বইটাকেই আঁকড়ে রাখুক শুধু,,,,,,,। ছুটি মানে ইচ্ছে মত ডানা মেলা নয়,,,,,,,ছুটিটাকেও কাজে লাগাতে হবে পড়াশোনা করে এমন মনে করেন অনেক অভিভাবক,,,,,,,,শিশুদের তাদের নিয়মের মত করেই বড় করা উচিত,,,,। আজকাল আমরা কচি মুখগ

ক্ষতি তো কিছু নেই

সূর্য ডোবার পালা আসে যদি আসুক বেশ তো গোধূলির রঙে হবে এই ধরণী স্বপ্নের দেশ তো স্বপ্নের ডানা মেলে উড়ে যাক যত  মন পাখি  আসবে তো ফিরে আঁধার ঘেরা আকাশ চোখ খুলবে গাইবে পাখি গান ভোরে  কতনা ব্যস্ততা শহরে ছুটাছুটির খেলায মত্ত পথ ভুলাতে হারায় কত জনারণ্যে তবুও  ফিরে আসুক আপনজন আপন ঘরেতে।

অতীতের ডায়রী থেকে

আমার জীবনে মজার ঘটনা বলতে গেলে বেশ কয়েকটি আছে , তার মধ্যে একটি ঘটনার কথা তোমাদের সাথে আমি শেয়ার করছি। এই ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতাতে,পূজোর সময়,বেশ কয়েকবছর আগে। দুই ছেলেকে নিয়ে তখন আমি  ব্যাঙ্গালোরে ওদের পড়াশোনার জন্য থাকতে হতো। সে বছর কলকাতার পূজো দেখবো বলে ব্যাঙ্গালোর থেকে কলকাতায় এসেছিলাম।  কলকাতার পূজো মানে বিশাল ব্যাপার।  চতুর্থী পঞ্চমী থেকেই শুরু হয়ে যায় পূজো দেখা আর এখন তো মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে যায়।  আমরাও পঞ্চমী থেকেই পূজো দেখা শুরু হয়ে গেছিলো। আমার ছোটবোন আবার কলকাতাতেই থাকে।  পূজোর যেকোনো একটাদিন আমরা সবাই মিলে পূজো দেখি। তবে এখন আর রাত জেগে অবশ্য দেখি না।  সে বছর‌ও আমরা যথারীতি বেরিয়ে ছিলাম পূজো দেখতে গাড়ী নিয়ে।সারারাত জেগে পূজো দেখে আমরা সকলে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম । কখন যে ভোর ৫টা বেজে গেছে বলতেই পারিনি। একটা করে পূজো দেখছি সুন্দর সুন্দর ঠাকুরের ফোটো তুলছি। পূজো দেখা প্রায় শেষের পথে। একটা খুব ভালো পূজো বাকি ছিলো,পূজো প্যান্ডেলে  সবার চোখ ঘুমে ঢুলো ঢুলো,পূজো দেখার এ্যানার্জি সব চলে গেছে।  এখন আসল মজার কথায় আসা যাক , এতো ভীড়ের  মধ্যেও সারারাত পূজো দেখে সকলে একসাথ

কুসংস্কারের একাল সেকাল

সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা কুসংস্কারের একাল সেকাল কলমে..উমা মজুমদার ২/১১/২২ আমরা যে সমাজে বাস করি সেখানে অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের অতল সমুদ্র।  তবে বলতে গেলে একাল সেকালের মধ্যে এখন  অনেক পার্থক্য এসেছে। এমন অনেক কুসংস্কার আছে যেগুলো সময়ের সাথে একটু একটু করে লোপ পেয়েছে। গ্রামেগঞ্জে এখনো কোন নারী বিধবা হলে শক্ত হাতেই তাকে সব নিয়ম পালন করতে হয়। হিন্দু শাস্ত্রের দোহাই দিয়ে কতনা নিয়ম পালন করিয়ে নেয় এখন‌ও।  স্বামী মারা গেলে চুল কেটে দেওয়া হতো । এটার পিছনে  মেয়েদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই সেটা করানো হতো এমনটা হতে পারে ।পুরোনো দিনের চিন্তাধারা  কুসংস্কারের মধ্যে আবদ্ধ ছিলো, নানানরকম বিধান দিয়ে লোকের মুখ বন্ধ করে রাখা হতো। না করলে পরিবারের অমঙ্গল হবে আর‌ও কত কি। মেয়েদের উপর জোর জলুম করে বিধবার নিয়ম করানো হতোচুল কেটে দিয়ে তার সৌন্দর্য নষ্ট করে দিতো। তোমার সৌন্দর্য দেখার মানুষ চলে গেছে, আর কি হবে তোমার এই সৌন্দর্যের,ইত্যাদি ইত্যাদি।  নারীদের কোনো কিছু প্রতিবাদ করার সাহস ছিলো না। স্বামী  মারা গেছে মানে ,সেদিন থেকেই তার‌ও সকল সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ,তার খাওয়া দাওয়ার উপর বাধা নিষেধ জারি কর