কবির দার্শনিক ভাবনা

রবীন্দ্রনাথ হলেন বিশ্ববরেণ্য কবি  যিনি আধুনিক ভারতীয় দর্শনের একজন বড় প্রতিনিধি,,,,,, সেকথা বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় দার্শনিকরা স্বীকার করেছেন,,,, ।
১৮৭৩ সালে ১১বছর নয় মাস বয়সে কবির উপনয়ন হয় ,,,তখন গায়ত্রী মন্ত্র জপ করবার খুব ঝোঁক ছিল,,আর এই গায়ত্রী মন্ত্রের প্রভাবেই  কবির সারাজীবনের দার্শনিক ভাবনার মূলমন্ত্র,,,, ।
কবির  "মানুষের ধর্ম" গ্রন্থের  " "মানব সত্য" ,"ভাষনে" জীবনের শেষ দিকে‌ও কবি স্মরণ করেছেন এই দিনের কথা,,,,। তখন কবির বয়স মাত্র বারো বছর ,, তিনি বলেছেন এই মন্ত্র চিন্তা করতে করতে কবির মনে হতো বিশ্বভূবনের অস্তিস্ব আর কবির অস্তিত্ব একাত্মক,,,,,এরকম চিন্তার আনন্দে কবির মনের মধ্যে একটা জ্যোতি এনে দিয়েছে,,,কবি সেটা নিজেই বলেছেন,,।
কবি একজন দার্শনিক হয়েও ,,কোন দার্শনিক তর্কবিবিদ্যার যুক্তি প্রণালীতে যেতে চাইতেন না,,তিনি হলেন সত্য দ্রষ্টা,,,সত্যকে উপলব্ধি করেন সরাসরি কাব্যিক রূপকল্প থেকে,,,,।
আমাদের দেশে দর্শন বলতে বোঝায় দৃষ্টি এবং সত্যদর্শন,,,রবীন্দ্রনাথ তাই ফিলোসফি শব্দটিকে এই অর্থে গ্রহণ করেছিলেন,,,,,তাই কবির চিন্তায় "ব্যাক্তিগত উপলদ্ধি" বেশী গুরত্ব লাভ পেয়েছে,,,,।
"মানুষের ধর্ম" গ্রন্থে তিনি বলেছেন আমার ধর্ম কবির ধর্ম,,আমি যা কিছু অনুভোব করি তার উৎস দৃষ্টি জ্ঞান নয়,,,।
রবীন্দ্রনাথের জীবন ভীষন ভাবে জগতের সাথে জড়িত ছিলো ,,মানুষ এসেছে জগতে নিজের করে নিতে ,,ইশ্বরের সততায়  তিনি বিশ্বাস  রেখেছিলেন আর এই ইশ্বরকেই তিনি "জীবন দেবতা " আখ্যায় ভূষিত করেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সময় বা পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয় ,,,,কিন্ত অনেক সময় সময়ের উপর সব ছেড়ে দেওয়া টাও বোকামি বলে মনে হয়,,

শ্রদ্ধাঞ্জলী

মূল্যবোধ