আমার স্কুল জীবন
ছোটবেলার স্মৃতির কথা মনে পড়লে এখনও সেই স্কুলের কথায় বেশি করে মনে হয়।স্কুলে কাটানো জীবনটা অন্যান্য জীবনের থেকে একদম আলাদা।সবথেকে সেরা,কাটানো কত খুশি আনন্দ ছোটবেলার স্মৃতিতে অম্লান আজও। কলেজ জীবন টা আবার একদম অন্যরকম,সেখানে পুরোনো বন্ধুদের বা শিক্ষক শিক্ষিকা কাওকেই পাওয়া যায়না।সে সব স্মৃতি খুব একটা মনে জায়গা করতে পারেনি।স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ করে আজও আনন্দ পাই।
আমার ছোটবেলার স্কুল জীবন কেটেছে দুটো স্কুল মিলিয়ে ।প্রথম যে স্কুলে পড়েছিলাম তখনও সেটা গরমেন্ট হয়নি। কয়েকবছর পর অবশ্য হয়ে গেছিলো।
যার জন্য দুটো স্কুলের অনেক স্মৃতি আজও ভুলতে পারিনি। ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস সেভেন অব্দি এক স্কুলে পড়েছি ।সেখানে ছেলেমেয়ে উভয়ে ছিলো,আর সেটা আমার খুব কাছে ছিলো ,বাড়ী থেকে হেঁটেই যেতাম ।আবার টিফিনে বাড়িতে এসে নাকে মুখে দিয়ে টিফিনের পর যে কয়েকটি ক্লাস হতো সে অনুযায়ী বই নিয়ে ছুটতাম ।
তারপর ক্লাস এইটে উঠলাম যখন তখন অনেকটা দূর বাড়ী থেকে র্গালস হাইস্কুলে এডমিশন নিলাম সেখানে টেইন অব্দি। অনেকটা দূর হওয়াতে পাবলিক বাসে আসা যাওয়া করতে হতো।
এই যে দূরে গিয়ে স্কুলে পড়ার আনন্দটা একদম অন্যরকম ছিলো।কত আদর যত্ন করে মা টিফিন করে দিতো ,বাবার থেকে বাস ভাড়া চেয়ে নেওয়া সেগুলোর মধ্যে যে কতটা আনন্দ ছিলো তা আজ অনুভূতি হয়।
তখনকার সময়ে খুব নামকরা স্কুল ছিলো সেটা।এখনও যখন বাপের বাড়ি যাই আর আর নিজের প্রিয় স্কুলকে দেখে সেই স্কুল জীবনটা মনে পড়ে যায়।
সেসময় যেমন টিচার ছিলেন ভালো, তেমনি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা।
ছোটবেলায় যে স্কুলে পড়েছি সেখানে শিক্ষক শিক্ষিকা ওনারাও খুব ভালো ছিলেন । এখন তো সব স্কুল কলেজে সালোয়ার করে দিয়েছে।একদিকে ভালো আমরা কত কষ্ট করে শাড়ি পরে যেতে হতো তারপর আবার কোন সেফটিপিন লাগাতে পারবে না। ভীষন কড়া ছিলো আমাদের এক দিদি,আমাদের উনি পি.টি র ও টিচার ও ছিলেন।খুব সাধারণ ভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে স্কুলে যেতে বলতেন।
সে সময়গুলো কতোটা ভালো ছিলো আর কতটা ডিসিপ্লিন মেনটেন করতে হতো তা বলে বোঝানো যাবে না।
স্কুলে ঢোকার আগে নিজেকে ভালো করে দেখে নিতাম ভুলে কোথাও সেফটিপিন রয়ে যায়নি তো শাড়িতে নাহলে ফার্ষ্ট ক্লাস তোমাকে পুরো বাইরে খাড়া করে রাখবে সেটা কতটা লজ্জাকর ব্যাপার উনি আমাদের আবার ক্লাস টিচার ও ছিলেন।কোন স্যার বা দিদিদের এতোটা ভয় করতো না। সেই দিদিকে সব মেয়েরা ভীষন ভয় করতো।
দিদি যদি কয়েকদিন ছুটি নিয়ে স্কুলে না আসতেন সবাই যেন স্বরাজ পেয়ে যেতো। কোন মেয়ে উশৃঙ্খল ভাবে চলতে পারতো না।
দিদির এইসব কড়াকড়িতে কিছু মেয়েরা দিদির উপর খুব রাগ করতেন , দিদি স্কুলের প্রত্যেকটা মেয়ের প্রতি নজর ছিল,, মেয়েদের সাথে বন্ধুর মত ব্যবহারও করতেন, সুবিধা অসুবিধা গুলোও খুব বুঝতেন। কোনদিন দিদির কথা ভুলতে পারবো না।
সেই সংস্কার শিক্ষা দীক্ষা আমাদের জীবনের
পথচলাতে পাথেয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের স্মৃতির পাতায় হাজারো গল্প জমা হয়ে রয়েছে,,,।
স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা যেন ভুলতেই পারি
না মনের ভিতর সেই দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। কারণ স্মৃতিময় সেই দিনগুলো
কতইনা আনন্দময় মুহূর্ত ছিল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন