একাল সেকাল শিক্ষা ব্যবস্থা

এখনকার শিশুরা ছড়া কবিতা গল্পের বই না পড়েই বড় হচ্ছে,,,,, তবে বই না পড়ার দায় পুরোপুরি শিশুদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়,,,,,,,,কারণ  আমরা বড়রা শিশুদের জন্য এমন এক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করেছি,,,,,,যা তাদের শুধু স্কুলের  ব‌ইয়ের বোঝার মাঝে শৈশব হারিয়ে গেছে ,,।

স্কুলের ব্যাগটা বড্ড ভারী, আমরা কী আর বইতে পারি, এও কি একটা শাস্তি নয়,,,,,,কষ্ট, কষ্ট হয়,,,,,,,, আমার কষ্ট বুঝতে চাও, ,,,,,,দোহাই পড়ার চাপ কমাও -কষ্ট হয়, কষ্ট হয়।’  শিল্পী কবির সুমনের একটি গানের কথা এগুলো,,,,, তবে এ গানটি কেবল গানই নয়,এ  কথাগুলো সত্যি হয়ে এসেছে বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের ক্ষেত্রেও.....।
আমাদের সমাজে এমন বাবা  মায়ের অভাব নেই যারা সন্তানকে শিক্ষা দিতে চান শুধু বইয়ে মুখ গুজিয়ে রাখাই জীবন,,,,,,,পড়াশোনা তো সারাবছর,,,,,,, তারপর বছর শেষে বা  অন্যকোনো উৎসবের ছুটিতে সবাই যখন উৎসবের আমেজে থাকে তখনও চান সন্তান যেন কালির অক্ষরের বইটাকেই আঁকড়ে রাখুক শুধু,,,,,,,।
ছুটি মানে ইচ্ছে মত ডানা মেলা নয়,,,,,,,ছুটিটাকেও কাজে লাগাতে হবে পড়াশোনা করে এমন মনে করেন অনেক অভিভাবক,,,,,,,,শিশুদের তাদের নিয়মের মত করেই বড় করা উচিত,,,,।
আজকাল আমরা কচি মুখগুলোকে একগাদা বইয়ের ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে দেই তা সে বহন করতে পারুক আর না পারুক,,,,,,, দুপুরে স্কুল থেকে বাসায় ফিরেই টেনশন কখন হোমওয়ার্কটা শেষ করে ফেলবে,,,,,,,,,, আমাদের ছোটবেলাটা এমন ছিল না,,,,,,এখনকার শিক্ষা ব্যবস্থা শিশুর খেলার সময় কেড়ে নিয়েছে,,,,,,,,একেবারে ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে স্কুলে যাওয়া, ঘরে ফেরা, হোমওয়ার্কের চাপ সামলানো বা প্রাইভেট টিচারের বাড়ী যাওয়া,,,,,,তার উপর রয়েছে আজকাল যেটা সব থেকে বেশী কোচিং সেন্টারের প্রতি আসক্তি,,,,,,,,,,যা যুগের সবচেয়ে বড় কারন,,,,,এর ভয়াল গ্রাসও কেড়ে নিচ্ছে শিশুর স্বাধীনতা শৈশবের বেড়ে উঠা আর খেলার সময়,,,,,।

অভিভাবকদের মধ্যে এমন একটি মানসিকতা তৈরি হয়েছে যে,,,,,,,,আমার বাচ্চা যদি এ প্লাস না পায় আমি মনে হয় সমাজেই থাকতে পারব না,,,,,, তিন চার জায়গায় বাচ্চাকে কোচিং করাতে হবে,,,,না হলে ভালো রেজাল্ট করবে না,,,এই মানসিকতা আমাদের আগামী প্রজন্মের বিকাশে ক্ষতি করছে। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সময় বা পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয় ,,,,কিন্ত অনেক সময় সময়ের উপর সব ছেড়ে দেওয়া টাও বোকামি বলে মনে হয়,,

শ্রদ্ধাঞ্জলী

মূল্যবোধ