কুসংস্কারের একাল সেকাল
সংস্কার আর কুসংস্কার আমাদের সমাজে বহু যুগ ধরে চলে আসছে। লোকের বিশ্বাসে বছরের পর বছর কুসংস্কার কে টিকিয়ে রাখে। পাপ পূণ্যের চিন্তা ধারা গুলো যেদিন আমাদের মনের থেকে চলে যাবে সেদিন থেকেই হয়তো আমরা কুসংস্কার মুক্ত হতে পারবো।
আমি বেশ কয়েকবার তিরুপতি মন্দির গেছি,তখন দেখেছি পুরুষ মহিলা উভয়ে ওখানে চুল দিতে। আমরা আমাদের মনে নানান ইচ্ছে পূরণের কথা ঠাকুরের কাছে গিয়ে বলি ,ঠাকুর আমার এই মনস্কামনা পূর্ণ হলে তোমাই এতো টাকার পূজো দেবো, কেও সোনার টিপ দেবে কেওবা জোড়া কবুতর, নানান রকম মান্নতের কথা ঠাকুরের কাছে বলে আসে ।তাই মন্দিরে চুল দেওয়ার ব্যাপারটা আমার মনে হয় সেরকম কিছু একটা ।
এমন শুনেছি যেসব মন্দিরে এই চুল দেওয়া হয় সেগুলো বিক্রি করে প্রচুর টাকা আসে।একদিকে মানুষ নিজের থেকেও বেশী ভগবানের প্রতি বিশ্বাস।
অন্যদিকে মঙ্গল অমঙ্গলের কথা ভেবে আমাদের মনকে ভয় ভীতি করে তোলে ।
ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইচ্ছেপূরণ জানানোর একেকজনের একেক রকম মান্নত করে।
আর এই অন্ধবিশ্বাসেই মানুষকে কুসংস্কারের পথে ঠেলে দেয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন