শ্রাদ্ধে লোকদেখানো দান দক্ষিণা খাওয়া দাওয়ার প্রয়োজন আছে কি????

শ্রাদ্ধ হিন্দু শাস্ত্রের মৃতের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের অনু্ঠান। মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করে নানান রকম আচার রীতি নিয়ম পালন করে আজ‌ও ।আগে দেখেছি একমাস করতো।এখন সেটাকে কমিয়ে  নিজেদের সুবিধা মত কেও ১৩দিন কেওবা ১১দিন শ্রাদ্ধের কাজকর্ম করে।
সব  রীতি নিয়ম মানুষেরেই তৈরী । সব যখন মানুষ তৈরী করে নেয় তখন শ্রাদ্ধের খাওয়া দাওয়া সেগুলো মানুষ খুব সহজে বন্ধ করতে পারে। মৃতের আত্মার শান্তি কামনায় যেটুকু নিয়ম আছে সেগুলো নিজেদের আত্মীয় স্বজন মিলে করে নিতেই পারেন যেগুলো একদম না করলে নয়।
আজকাল তো দেখছি শ্রাদ্ধের দিন নিয়ম সেরে রাখে কারন সেদিন অনেকে খাওয়া দাওয়া পছন্দ করেন না ।তাই মৎস্য মুখেরদিন বেশ ভালো করে অনেক লোকজন কে নিমন্ত্রণ করে ভুরিভোজ করানো হয় ।সেটা কি উদ্দেশ্যে করায় সেটা বুঝতে পারিনা। মানুষ ও খুশি খুশি গিয়ে খেয়ে আসেন। খেয়ে দেয়ে এসে আবার বলেন খুব ভালো খাইয়েছে পদ ভালো হয়েছে আরও কত কথা। শ্রাদ্ধের খাওয়া দাওয়া কোনদিন পছন্দ করিনা।  পুরোনো যেসব প্রথা আজকাল অনেক কিছুই আগের মত নেই তাহলে শ্রাদ্ধের নামে এইসব খাওয়া দাওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। যে বেঁচে থাকতে  শান্তি পায়নি সে মানুষ টা চলে গেলে আনন্দের খাওয়া দাওয়া।
নিজের প্রিয়জনের আত্মার শান্তি কামনায় গরীব দুঃস্থদের মাঝে বা কোন অনাথ আশ্রমে গিয়ে অনায়াসে সাহায্য করতে পারে,সেটাতে  মৃত মানুষের আত্মা কষ্ট পাবেনা বরং খুব খুশিই হবে।
আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান ও মাত্রাতিরিক্ত ভুরিভোজন ও দান দক্ষিণার কোন প্রয়োজন নেই।
লোকদেখানো দান দক্ষিণা খাওয়া দাওয়া এইসব করিয়ে করে কি লাভ। সব রীতি নিয়ম মানুষ বানায় তাই এই সব বর্জন করায় যায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সময় বা পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয় ,,,,কিন্ত অনেক সময় সময়ের উপর সব ছেড়ে দেওয়া টাও বোকামি বলে মনে হয়,,

শ্রদ্ধাঞ্জলী

মূল্যবোধ