কুসংস্কারের একাল সেকাল
সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা
কুসংস্কারের একাল সেকাল
কলমে..উমা মজুমদার
২/১১/২২
আমরা যে সমাজে বাস করি সেখানে অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের অতল সমুদ্র। তবে বলতে গেলে একাল সেকালের মধ্যে এখন অনেক পার্থক্য এসেছে। এমন অনেক কুসংস্কার আছে যেগুলো সময়ের সাথে একটু একটু করে লোপ পেয়েছে।
গ্রামেগঞ্জে এখনো কোন নারী বিধবা হলে শক্ত হাতেই তাকে সব নিয়ম পালন করতে হয়। হিন্দু শাস্ত্রের দোহাই দিয়ে কতনা নিয়ম পালন করিয়ে নেয় এখনও।
স্বামী মারা গেলে চুল কেটে দেওয়া হতো । এটার পিছনে মেয়েদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই সেটা করানো হতো এমনটা হতে পারে ।পুরোনো দিনের চিন্তাধারা কুসংস্কারের মধ্যে আবদ্ধ ছিলো, নানানরকম বিধান দিয়ে লোকের মুখ বন্ধ করে রাখা হতো। না করলে পরিবারের অমঙ্গল হবে আরও কত কি।
মেয়েদের উপর জোর জলুম করে বিধবার নিয়ম করানো হতোচুল কেটে দিয়ে তার সৌন্দর্য নষ্ট করে দিতো। তোমার সৌন্দর্য দেখার মানুষ চলে গেছে, আর কি হবে তোমার এই সৌন্দর্যের,ইত্যাদি ইত্যাদি। নারীদের কোনো কিছু প্রতিবাদ করার সাহস ছিলো না। স্বামী মারা গেছে মানে ,সেদিন থেকেই তারও সকল সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ,তার খাওয়া দাওয়ার উপর বাধা নিষেধ জারি করে দেওয়া হতো । মাছ মাংস ডিম খাওয়া চলবেনা রঙিন শাড়ি পরা যাবেনা,একাদশী তে আধপেটা খাওয়া, সবসময় পর্দার আড়ালে তাকে থাকতে হবে আরও হাজার নিয়ম তাকে পালন করতে হতো।
কিন্ত্ত এতো কিছু করেও কি মেয়েদের নিরাপত্তা না আগে দিতে পেরেছে না এখন দিতে পারছে।
যেখানে সেখানে মেয়েরা এখনও অপমান হচ্ছে যেটা আগেও হয়েছে এখনও হয়।
ফারাক শুধু এতটুকু মেয়েরা এখন বলতে শিখেছে। মেয়েরা স্বাবলম্বী হয়ে নিজের প্রতিবাদ নিজেরা কিছু টা করতে শিখেছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন