মেয়েদের ঠিকানা,,,,
মেয়েদের নিজেদের আদৌ নিজের বলে কিছু থাকে,????,,,,,,,, যে বাড়ীতে ছোট থেকে বড় হয় একদিন সব ছেড়ে ছুড়ে অন্য একটা বাড়ীতে তাকে চলে আসতে হয় তখন সেই চেনা বাড়ীটা একদিন কখন যে পর হয়ে যায় নিজেই জানে না,,,,,,,, আর যে বাড়ীতে আসে সে বাড়ীটাতে সব সময় পরের বাড়ীর মেয়ে হয়ে থেকে যায় ,,,,,
যে বাড়ীটাকে ছোট থেকে এতদিন বড় নিজের বলে মনে হতো একদিন যখন তাকে বলাহয় কোথায় যাচ্ছো বাপের বাড়ী তখন সত্যি অবাক লাগে শুনতে ,,,,,,,পাড়া প্রতিবেশী বা নিজের বাড়ীর লোকজন অনেক বলতে শোনা যায় কিরে কতদিন থাকবি বাপের বাড়ী এক কথায় বুঝিয়ে দেওয়া হয় তোমার বিয়ে হয়ে গেছে শশুর বাড়ীটা এখন তোমার বাড়ী ,,,,,,কিন্ত সেখানেও যখন শশুর শাশুরি বলে এখানে তোমার কোন মন মানি চলবে না এটা তোমার বাপের বাড়ী পাওনি ,,,,যখন একটা মেয়েকে এসব কথা শুনতে হয় তখন মনে হয় সত্যি মেয়েদের নিজের বলে কিছুই কি নেই,,,,,,সব সময় একটা মেয়েকেই কেন তার নিজের জায়গাটা খুঁজে নিতে হয়????
বছরের পর বছর ধরে এই একেই প্রথা চলে আসছে বাপের বাড়ী শশুর বাড়ী,,,,,,একটা মেয়ে জন্ম হওয়ার পর থেকেই তার মধ্যে একটা কথা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে এটা তার অস্থায়ী বাড়ী একদিন না একদিন তাকে অন্যের বাড়ী যেতে হবে,,,,,,,,,, এই কথা গুলো একটা মেয়ে জন্মের পরে থেকেই শুনে আসতে হয়,,,,,,,,,,যতই যুগ পাল্টাক সময় পরিবর্তন হোক কিন্ত মেয়েদের বেলায় কোথাও না কোথাও সময় গুলো থমকে আছে,,,,,, সব সময় একটা মেয়েকে শুধু শুনতে হয় মানিয়ে চলার অভ্যাস করো তবেই শান্তি থাকবে ,,,,,,, আমরা মেয়েরা যেন এগুলোতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যদি এগুলো করতে পারি তাহলে সব দিক শান্ত বজায় থাকে না হলে অশান্তি,,,,,,,
নারীর ন্যায্য অধিকারের কথা যতই বলা হোক না কেন যখন একটি মেয়েকে শশুর বাড়ী বা স্বামী ঘর থেকে বের করে দেয় তখন তার ঠাঁই না বাপের বাড়ীতে হয় না শশুর বাড়ীতে তাহলে তএকটি মেয়ের ঠিকানা কোথায়?????,,,,,,,,,,,
সব মেয়ে তো জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না বা নিজে কিছু করবে সেই ক্ষমতা টুকু থাকেনা,,,,,তখন মূখ বুজে সব সহ্য করে যেতে হয় ,,,,,,,,,, আমরা যতই বলি না কেন সময় পাল্টে গেছে কিন্ত আমাদের মেয়েদের বেলাই সময় টা তেমনেই থাকবে ,,,বাপের বাড়ী ,শশুর বাড়ী ,ছেলের বাড়ী নিজের বাড়ী বলাটা আর হবে না হয়তো।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন