বিজয়া দশমীর একাল সেকাল

 

যখনেই কোন আনন্দ খুশির কথা মনে হয় তখন মনটা হুট করে চলে যায় সেই সুদূর ছোটবেলায়,,,,।

আজ‌ও যখন বিজয়া দশমীর দিন মাকে বরণ করে ঘরে আসি তখন বহু বছর আগে ফেলে আসা দিনের কথা খুব মনে পড়ে,,,,চোখের উপর জ্বল জ্বল করে ভেসে উঠে দশমীর দিনের কথা,,,, সেকাল আর একালের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে,,,। 

কেবল চিঠির ঘাড়ে সব দায় চাপিয়ে দিলে তা বড়ো অন্যায় হবে,,,, বদল তো ঘটেছে সম্পূর্ণ রূপে আমাদের জীবনচর্চায়,,,,সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা দিনদিন ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছি,,,, পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার রেওয়াজ কমে গিয়েছে অনেকাংশেই,,।

 ছোটোবেলায় দেখতাম বিজয়া উপলক্ষ্যে বাঙালি বাড়িতে ভাজা হতো নিমকি,, গজা,,মা কে দেখেছি নাড়ু বানাতেন,,,।

 দশমী করতে এ বাড়ি ও বাড়ি যাওয়া পুজোর রেশ কাটতে চাইত না কিছুতেই,, এখন সেখানে এসে ভিড় করেছে হাজার ব্যস্ততা,,,। 

সময়ের দারুণ অভাব ,, চিঠির সোনালি দিনগুলো আমরা ভুলেই গেছি,,।

 মোবাইলের টাচস্ক্রিনের মায়ায় আটকে সময়ের  স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে চিঠিপত্রের ডাকবাক্স,,, আজ শূন্য খালি ,,,,লাল ডাকবাক্সের খোলা দরজা দিয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল,, ক্রমেই ধূসর স্মৃতির ভিড়ে জায়গা করে নিচ্ছে সোনালি দিন গুলো ,,,,।

সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে দশমী পালনের রীতিও,,,পুরোনো নতুনের মিশ্রণ নিয়ে আমাদের জীবন চলছে,, পুরোনো রীতিনীতিকে ধরে বসে থাকতে পারে না ,, তাতে জীবন আটকে পড়ে,,তবে নতুনকে আপ্যায়ন করা মানে পুরোনোকে ভুলে থাকা নয়,,, ।

ডিজিটেলের যুগ যেহেতু ,,এত সময় নেই কার‌ও কাছে,,,মোবাইল নিয়ে সব কর্তব্য রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি,,, বিজয়ার শুভেচ্ছা আদানপ্রদানের,,,,গুরুজনদের প্রণাম জানাতে,,।

যুগের সাথে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে,,,, দুর্গাপূজা আমাদের  ঐতিহ্য,,,এই ঐতিহ্যকে কিছুটা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের উপরেও নির্ভর করে,,,সেগুলোকে  নিষ্প্রাণ হতে দেওয়া যায়না,,।

✍️উমা মজুমদার 

4/9/25

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সময় বা পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয় ,,,,কিন্ত অনেক সময় সময়ের উপর সব ছেড়ে দেওয়া টাও বোকামি বলে মনে হয়,,

এসেছে আষাঢ়

বাবা মানে