বৃষ্টি ভেজা দিনে ছোটবেলার কিছু স্মৃতি
ভোর রাতে হটাৎ বৃষ্টি পড়ার আওয়াজে সুমিতার ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো,,,,রাতেও আকাশটা পরিস্কার ছিলো কোন বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিলোনা ,,,,,,,তাইতো জানালাটা একটু খুলেই ঘুমিয়ে ছিলো ফ্যানটা ছাড়তে পারে না কারন পতি পরমেশ্বর উনার আবার একটু বাতের বেরাম আছে তাই রাতে ঘুমাতে গেলে একচোট হয়ে যায় এই ফ্যান ছাড়া নিয়ে ,,,,,,কি করবে সুমিতার যে আবার ঘুম আসে না গরমে,,,,,, তাইতো কাল রাতে জানালার গ্লাসটা খুলে নেটটা লাগিয়ে ঘুমিয়ে ছিলো কে জানে সকাল সকাল বৃষ্টি নামবে,,,,
কিন্ত এই বৃষ্টি যে থামার নয় একটানা হয়ে চলেছে ,,,,,,সুমিতার যেন আর ঘুমাতেও ভালো লাগছে না একবার ঘুম ভেঙ্গে গেলে বিছানায় আর থাকতে ভালো লাগে না,,,তাই উঠে ঠাকুর নমস্কার করে বাইরে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিরকে এমন ভাবে দেখছে যেন কত বছর পর এমন বৃষ্টি দেখছে ,,,,
সত্যি কি ভালো লাগতো ছোট বেলাতে যখন এমন বৃষ্টি হতো,,,,,,,বিশেষ করে সকাল বেলা এমন বৃষ্টি হতো আজ যেন আবার সেই পুরোনো দিন গুলোতে ফিরে গেলো,,,,, সেই কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকা আর মনে মনে বলতো ঠাকুর আরও বৃষ্টি দাও তাহলে স্কুল যেতে হবে না স্কুল যাওয়ার রাস্তাতে প্রচন্ড জল জমে যেতো কি করে স্কুল যাবে,,,,,, ,,,মায়ের হাতের সেই গরম খিচুড়ি আর ডিমের অমলেট পাপড় ভাজা আজও বৃষ্টি হলেই খিচুড়ি খাই কিন্ত কেন সেই আনন্দটা আর আসে না সুমিতার ,,,,,, এখনও সুমিতার সেই অভ্যাসটা রয়ে গেছে একটু বৃষ্টি পড়লেই খিচুড়ি খাওয়ার ইচ্ছা হয় তবে সুমিতার মা খুব ভালো খিচুড়ি বানাতো,,,,,,,,,আমাদের জোরেই মা খিচুড়ি বানাতো বাবার একটু অপছন্দ ছিলো কিন্ত খেয়ে ফেলতো,,,,,,,,বিকেলবেলা সুমিতার উপর ভার দেওয়া হতো ভালো করে তেল পিঁয়াজ দিয়ে মুড়ি মেখে বাবাকে খাওয়াতে হতো,,,,,,,,ভীষন পছন্দ ছিলো সুমিতার হাতে মুড়ি মাখা খেতে খুব ভালো বাসতো,,,,কত ছোট ছোট কথা আজও যেন সুমিতা ভুলতে পারেনি,,,,,,
হটাৎ শুভেন্দুর আওয়াজে পিছন ফেরে দেখে,, চা যে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ,,,,,,শুভেন্দু বলে উঠে আজ কিন্ত দুপুরে খিচুড়ি হবে বুঝলে সাথে বেগুন ভাজা,,,,,,,সুমিতা হো হো করে হেসে উঠে,,,,,,, তখনও বাইরে অঝর ধারায় বৃষ্টি হয়ে চলেছে বাইরে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন