পোস্টগুলি

সময়ের কথা

প্রিয়জন তো সেই হয়   যে সদায় থাকবে  পাশে  ছাড়বেনা হাতটি তোমার  সঙ্গী হয় দুঃসময়ে এসে। সময়ের কথা সময় বলে যায় কে আপন কে পর যায়না চেনা সুযোগ বুঝে কাছে আসে যায় প্রয়োজনে কাওকে দেখা যায়না।

সমাজের চালচিত্র

ছবিতে যা দেখছি সেটা হতে আর বেশি দেরী নেই বললে ভুল হবে,,,।  এমন দিন এসেছে মোটা বই  অবাক হয়ে দেখছে এ আবার  কি জিনিষ,,, আশ্চর্য এক জিনিষ ,,,।  যত নতুন নতুন আবিষ্কার হচ্ছে ততই মানুষ বই পত্র থেকে   থেকে মুখ ফিরিয়ে যান্ত্রিকতায় মগ্ন হচ্ছে,,,।  আমরা আজ সবাই যন্ত্রের দখলে,,,।চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বেশীরভাগ  সময় কাটছে যন্ত্রের সঙ্গে,,,,।এই যন্ত্র ব্যবহারকারীর  অধিকাংশই তরুণ প্রজন্ম,,,।  বই পত্রের পাট চুকিয়ে যা কিছু প্রয়োজন ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে  কাজকর্ম চলে।  মোবাইল, লেপটপে ডাটা, মেমোরি এইসবে প্রয়োজনীয়  জিনিসপত্র  গচ্ছিত রাখে। ফাইলপত্রের ব্যবহার আজকের দিনে আউটডেটেড।

নাক গলানো

নাক গলানো কাকিমা..… পাড়ার প্রধান কেওবা বলে  কাকিমা কেওবা ডাকে আন্টি এক নামেতে চেনে সবাই  নাক গলানো তার কাজটি। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়ায়  নাকটা পোঁছে যায় কাকিমার  সব কাজেতে নাক গলানো  স্বভাব টা নয় যে বদলাবার  অভ্যাসটা  মোটেই নয় ভালো  নাক গলানো তার সবকিছুতে অন্যের দোষ ত্রুটি ভালোই দেখে   চোখে পরে না নিজের বেলাতে।

জীবন টা ছোট

জীবন টা ছোট..… ছোট এক জীবন  কতনা বিচিত্রতায় ভরা তাকে নিয়ে  চলতে হয়  যায়না  কিছুই ছাড়া । কিছু ভালো কিছু মন্দ  জীবন যেন দুদিকে বয় চোখ বন্ধ করলে সবকিছু   এখানেই পড়ে রয়। জীবনখানা যতই ছোট  হিসেব করি বসে  ততই  লাভের গুড় পিঁপড়ে খায়  বুঝিনা তো সেটা কেওই। আজ আছি কাল নেই  কতনা কান্ড ঘটায় জীবনে অবুঝ মানুষ বুঝিনা তবুও  জীবনটা ছোট তাও জেনে।

এক অনাবিল আনন্দ

এক অনাবিল আনন্দ আর খুশির র মূহুর্ত ...... জীবনের এক নতুন অভিজ্ঞতা .... মানুষের জীবন খুব অদ্ভুত..... যেখানের আঁকে বাঁকে ভরপুর বিচিত্রতা..... আর এই বিচিত্র জীবনে ঘটে অসংখ্য সব বিচিত্র ঘটনা....হাসি কান্না,  আনন্দবেদনা, দুঃখ সুখ, ভালো মন্দের মিশানো জীবন  এগিয়ে চলে   খরস্রোতা নদীর মত। জীবন তো একটাই .... অথচ এ জীবনে কত কিছুই না ঘটে যায়।  জীবনের একেকটা মুহূর্ত যেনো একেকরকম মনে হয়....।  মনে যদি আত্মবিশ্বাস থাকে ...আমি পারবো তাহলে সত্যিই তা সম্ভব....  ইশ্বরের উপর ভক্তি শ্রদ্ধা নিয়ে  তাঁকে মনে প্রাণে স্মরণ করে  পৌছানো যায় সে লক্ষ্যস্থলে।  গত রবিবার আমার পরিবার সহ বেড়িয়ে এলাম,, "শিবগঙ্গা পাহাড়  ব্যাঙ্গালোরে র দক্ষিনা কাশী" বলে... প্রকৃতির এক অতুলনীয় সৌন্দর্য,,,, উপরে উঠার পর মনে হয়েছিলো এই বুঝি আকাশকে ছুঁতে পারবো... এক রোমাঞ্চকর যাত্রা......সমুদ্র তল থেকে ৪৫০০ ফীট উপরে.. অনেক পাহাড়ে  চড়েছি ...তবে এ যেন এক নতুন অভিজ্ঞতা  হলো জীবনের আরও একবার.... দেখে  মনে হয়েছিলো পারবো তো?? উঠতে এতটা উপরে...কিছুদূর  গিয়ে বারবার মনে হয়েছিলো... পথ যতই কঠিন আর দুর্গম হোক মনের প্রবল আত্মবিশ্বাস এ

দীপাবলি র শুভেচ্ছা

কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন —– ‘‘কে যেন ডাক পাঠালো দীপালিকায় জ্বালাও আলো ঘরে ঘরে। জ্বালাও আলো আপন প্রাণে আলোয় সাঁজাও আলোয় ধরিত্রীরে”। আধুনিকতার আড়ম্বরে প্রতিনিয়ত আমরা গা ভাসিয়ে চলেছি ।নানা রঙের  টুনি বাল্বে চারিদিক  সাজিয়ে তোলে । আলোকময় সজ্জায় সজ্জিত  ঝল মল শহর  তবুও চারপাশটা কেমন অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে আছে।  দীপাবলি  অশুভ অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর সাধনা । আনন্দের উৎসব  অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয়কে উদ্‌যাপন করা। আলোকসজ্জার এই দিবস  অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলো জ্বালার দিন। একটি প্রদীপের শিখা যেন সকল অন্ধকারকে দূর করার শক্তি যোগায়।  অগ্নি হলো জ্ঞানের প্রতীক স্বয়ং ঈশ্বর আমাদের মনের সকল  অন্ধকারকে দূর করার জন্য  আলোর পথ দেখান। তেমনই প্রদীপের আলো সমস্ত অন্ধকারকে দূর করে। দীপাবলির প্রদীপের আলোয় আলোকিত চারিদিক  সুন্দর অপূর্ব হয়ে উঠুক   আলোর উৎসব হয়ে উঠুক শান্তির উৎসব। সভ্যতার আলোয় দাঁড়িয়ে যেন আঁধারেই ফিরে যাই আমরা বার বার।  সংকীর্ণতার আবরণে ঢাকা পড়ে মানবতাবোধ আর বিবেকবোধ।  চারিদিকে আজ এতো আঁধার হয়তো বা কিছু প্রদীপের আলোয় এই আঁধার যাবে না  কিছুতেই । শুভ দীপাবলি র আলোর উৎ

প্রতিবাদী নারী

গর্জে উঠেছে নারী সমাজ বিচারের লড়াইয়ে  মুখ বুজে সইবেনা আর যাতনা দিয়েছে বুঝিয়ে  নৃশংস হত্যা ধর্ষণে প্রতিবাদের মিছিল নারীদের  দিন রাত্রি হোক সমান  নারী পুরুষ উভয়ের  শ্বাপদ শাবকের ঘোরাঘুরি  রাতের আড়ালে নারীর শরীর নিয়ে ছিনিমিনি  সুযোগ পেলে নারী নয় অবলা নারী শক্তিতে জাগাও মনোবল‌ নারী বলে  হবে না  দুর্বল মুছে নাও চোখের জল অনেক হয়েছে শাসন শোষন ঝড় উঠেছে প্রতিবাদের  বন্ধ হোক নারী  নির্যাতন প্রতিষ্ঠিত হোক নিরাপত্তা নারীদের নারীও যে রুদ্ররূপ ধারণ করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে অপমানিত নারী যখন উঠে দাঁড়ায় প্রলয়ের ঝড় বয়ে আনে।